ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

রিজওয়ান-সালমানের রেকর্ড জুটিতে, পাকিস্তানের রেকর্ড জয়

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৬ এএম
রিজওয়ান-সালমানের রেকর্ড জুটিতে, পাকিস্তানের রেকর্ড জয়
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের ইনিংসের ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে উইয়ান মুল্ডারকে ছয় হাঁকিয়ে শতকের ঘরে মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার আগে উদযাপনটা শুরু করলেন সালমান আলী। উল্লাসের মাত্রাটা বেশি ছিল সালমানেরই।

একই ওভারের পঞ্চম বলে এক রানে নিয়ে শতকের ঘরে পৌঁছান সালমানও। এবার সালমানের চেয়ে বেশি উল্লাস মোহাম্মদ রিজওয়ানের। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের রেকর্ড জুটিতে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ৬ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে পাকিস্তান। যা সম্ভব হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলীর রেকর্ড জুটিতে। রান তাড়ায় এই জয়টি পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

যদিও রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। চাপে পড়ে যাওয়া স্বাগতিকদের হয়ে চতুর্থ উইকেটে হাল ধরেন অধিনায়ক রিজওয়ান ও সহ-অধিনায়ক সালমান। তাদের জুটি যখন শুরু হয় তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আড়াই শ রানের বেশি।

বিশাল এই রানের চাপকে তোয়াক্লা না করে রিজওয়ান ও সালমান চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ ২৬০ রানের জুটি গড়েন। জুটিটি পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে যেকোনো উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ। 

৮৭ বলে এক শ ছোঁয়া সালমান ১০৩ বলে ১৩৪ রান করে যখন আউট হন, দলের দরকার মাত্র ২ রান। অধিনায়ক রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ১২৮ বলে ১২২ রান করে।

এর আগে, পাকিস্তান সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান তাড়া করে জিতেছিল ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সে ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমাম উল হক ও বাবর আজম।

তুমি রবে নীরবে

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩২ এএম
তুমি রবে নীরবে
ছবি : সংগৃহীত

তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে-মম
তুমি রবে নীরবে
নিবিড় নিভৃত, পূর্ণিমা নিশীথিনী-সম
তুমি রবে নীরবে-

রবীন্দ্রনাথের এই লাইনগুলো যেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে অনেকটা মিলে যায়। কারণ তিনি যে ছিলেন ‘সাইলেন্ট কিলার’। বিদায়ও নিয়েছেন সাইলেন্টলি ফেসবুকে কয়েকটি বর্ণমালায়।

কেন তিনি রবেন নীরবে হৃদয়ে? পঞ্চপাণ্ডবের এক পাণ্ডব মাহমুদউল্লাহ। বাকি চারজনকে নিয়ে যে রকম আলোচনা-সমালোচনা ও মাতামাতি, সেখানে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন অনেকটা পেছনে। কিন্তু এসব নিয়ে তার খুব একটা ভাবাবেগ ছিল না। কারণ তিনি যে উপাধি পেয়েছিলেন সাইলেন্ট কিলার। ২২ গজে রানের মালা গেঁথে যাওয়াই যেন ছিল তার কাজ। আবার দলের প্রয়োজনে বল হাতে সাফল্য পাওয়াও। এ সবই তিনি করেছেন নীরবে। কিন্তু এই নীরবতার মাঝেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তার এই ছাড়িয়ে যাওয়াটা ছিল যেকোনো ক্রিকেটারের চির আরাধ্য। বিশেষ করে একজন ব্যাটারের। বৈশ্বিক আসরে তার আগে যে দেশের হয়ে তিন অঙ্কের মালা গাঁথতে পারেননি কেউ। আবার তার চেয়ে বেশি শতকও নেই কারও। সংখ্যার মালায় চারটি। লক্ষণীয় বিষয় ওয়ানডে ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিও এই চারটি। তারচেয়ে বড় কথা তার এই চার সেঞ্চুরির তিনটিই বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাইলফলক হয়ে আছে। বৈশ্বিক দুটি আসরে বাংলাদেশকে সেরা সাফল্য এনে দিয়েছিল।

১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রতিবারই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে আসছে। এ সবই ছিল শুধুমাত্র অংশগ্রহণের মাঝে সীমাবদ্ধ। মাঝে মাঝে বড় দলগুলোর বিপক্ষে পাওয়া জয়ই যেন কুঁড়ে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর মতো হয়ে উঠত উল্লাস করার উপলক্ষ। ১৯৯৯ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো আর ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারিয়ে সুপার এইটে সুযোগ করে নিয়ে সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় ছিল বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে অন্যতম স্বাগতিক হয়েও বাংলাদেশ সবাইকে হতাশ করেছিল। সব হতাশা পরে দূর হয়ে যায় ২০১৫ সালের আসরে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খেলে কোয়ার্টার ফাইনাল। যার নেপথ্যে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ১০৩ রানের ইনিংস বাংলাদেশের ১৫ রানের জয়ে রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ২৭৫ রানের জবাব দিতে নেমে বোলারদের দৃঢ়তায় ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছিল ২৬০ রানে। বেজেছিল তাদের বিদায় ঘণ্টা। মাহমুদউল্লাহর ২ ছক্কা ও ৭ চারে ১৩১ বলে করা সেঞ্চুরি ছিল আইসিসির কোনো ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি। হ্যামিল্টনে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি আবার করেন অপরাজিত ১২৮ রান। এটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসও। আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাটারেরও সর্বোচ্চ। ম্যাচটি অবশ্য বাংলাদেশ জিততে পারেনি। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ২৮৮ রান নিউজিল্যান্ড অতিক্রম করে ৭ উইকেটে ২৯০ রান করে। বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পরের আসরে সাকিব আল হাসান করেছিলেন যথাক্রমে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ ও টনটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৪ রান। এই সাকিব আল হাসানই আইসিসির ইভেন্টে ৩ সেঞ্চুরি করে ঠিক মাহমুদউল্লাহর পেছনেই আছেন।

মাহমুদউল্লাহর পরের সেঞ্চুরি আইসিসির ইভেন্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দলগত অর্জনের সেরা সাফল্যের স্বীকৃতি হয়ে আছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার হার না মানা অপরাজিত ১০২ রান বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো কোনো আসরের সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের করা ৮ উইকেটে ২৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভাসছিল অথৈ সাগরে। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব মিলে দলকে উদ্ধার করেন পঞ্চম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ২২৪ (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যেকোনো জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) রান করে দলকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেয়। সাকিব ১১৪ রান করে আউট হয়েছিলেন। 

মাহমুদউল্লাহর এমন সেঞ্চুরিগুলোর সময় দলের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। তাই তো অবসরের পর তার এমন ইনিংসগুলো নিয়ে মাশরাফি ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘মাঠের ভেতরে-বাইরে তোর সঙ্গে কত স্মৃতি! কত কত আনন্দ আর হতাশায় একাকার হয়েছে আমাদের সময়! অ্যাডিলেইড আর কার্ডিফে তোর সেঞ্চুরির কথা আজ আবার মনে পড়ছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান, তোর এই অর্জন কেড়ে নিতে পারবে না কেউ। তবে আশা করি, তোকে আদর্শ মেনে বৈশ্বিক আসরে তোর চার সেঞ্চুরির রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে দেশের অনেকে। বড় মঞ্চে তুই যেভাবে নিজের সেরাটা মেলে ধরেছিস, সেই পথ অনুসরণ করবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।’

মাহমুদউল্লাহর অপর সেঞ্চুরিটি ছিল ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। তার ক্যারিয়ারের শেষ সেঞ্চুরিটি ছিল অবশ্য শুধুই সান্ত্বনার। মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের নিয়মরক্ষার ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন ১১১ রানের ইনিংস। তারপরও বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল ১৪৯ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৫ উইকেটে ৩৮২ রান। বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট হয়েছিল। কিন্তু এমন সেঞ্চুরি করেও মাহমুদউল্লাহ বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিলেন। দল টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়লেও এমন কি হার নিশ্চিত হওয়ার পরও মাহমুদউল্লার উচ্ছ্বাসের কারণ ছিল বিশ্বকাপে তার দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে। কারণ তিনি দল থেকে বাদ পড়ে সুযোগ পেয়েছিলেন স্কোয়াডে। তাই তো তার এমন উচ্ছ্বাস।

আইসিসির ইভেন্টে তার এই অবদানের জন্যই তিনি বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর অন্তরে চির জাগ্রত হয়ে থাকবেন অনাগত কাল। শুধু কী এ জন্যই? আরও অনেক কিছুই তিনি সঙ্গী করে বিদায় নিয়েছেন। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি ম্যাচ খেলা, একই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৭৭টি ছক্কা মারা ও সবচেয়ে বেশি ৪৩টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া, তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২০৮টি ছক্কা হাঁকানো কিংবা ফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৭১টি ক্যাচ নেওয়া- এসব অর্জনে তিনি নাম্বার ওয়ান। তাকে মনে রাখার মতো আছে আরও কিছু কীর্তি। যেমন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে তার ১৫০ রানের ইনিংস। যেখানে বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটারের হাফ সেঞ্চুরিও নেই। তিনি আট নম্বরে নেমে করেছিলেন এই সেঞ্চুরি। আটে নেমে এ রকম সেঞ্চুরি করা ব্যাটার বিশ্বে খুব বেশি নেই। মাত্র ছয়জন। টেস্ট অভিষেক ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট কিংবা অভিষেক টেস্টে ১১০ রানে ৮ উইকেট নেওয়াটাও তাকে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখবে। অভিষেক টেস্টে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু সোহাগ গাজীর ২১৯ রানে ৯টি। এই টেস্ট ক্রিকেটেই নবম উইকেট জুটিতে তাসকিনকে নিয়ে তার করা ১৯১ রান দ্বিতীয় সেরা। মাত্র ৫ রানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও প্যাট সিমকক্সকে ছাড়িয়ে সবার ওপরে যেতে পারেননি। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার ছিল দিনের হিসাবে ১৭ বছর ২১৪ দিন। বাংলাদেশের হয়ে তারচেয়ে বেশি ক্যারিয়ার আছে তারই আত্মীয় ভায়রা ভাই মুশফিকুর রহিমের। মাহমুদউল্লাহর এক সপ্তাহ আগে ওয়ানডে থেকে বিদায় নেওয়ার দিন মুশফিকের ক্যারিয়ারের বয়স ছিল ৩৯ বছর ২০ দিন। টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহর ২৪৪৪ রান বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার থেকে বেশি আছে শুধু সাকিবের ২৫৫১ রান। ২০০৭ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে পথ চলা শুরু করে আবার সেই ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়েই ফুলস্টপ টেনে দেওয়া মাহমুদউল্লাহ তিন ফরম্যাট মিলে ম্যাচ খেলেছেন মোট ৪৩০টি। তার ওপরে আছেন মুশফিক ৪৭০টি ও সাকিব ৪৪৭টি। এ সবই থাকবে তার নামের পাশে। 

বিদায় মাহমুদউল্লাহ
যেতে নাহি দিব। হায়,
তবু যেতে দিতে হয়,
তবু চলে যায়।

টিভিতে আজকের খেলা (১৫ মার্চ)

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৫ এএম
টিভিতে আজকের খেলা (১৫ মার্চ)
ছবি : সংগৃহীত

ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য প্রতিদিনই টেলিভিশনের পর্দায় থাকে অনেক খেলা। তেমনি আজও (১৩ মার্চ) রয়েছে বেশকিছু খেলা। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজ টিভিতে কোন কোন খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট (সরাসরি)

মোহামেডান-লিজেন্ড রূপগঞ্জ
সকাল ৯টা, টি স্পোর্টস

ফুটবল (সরাসরি)

প্রিমিয়ার লিগ

ম্যানসিটি-ব্রাইটন, রাত ৯টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

এভারটন-ওয়েস্টহাম, রাত ৯টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

বুন্দেসলিগা

মেইঞ্জ-ফ্রেইবুর্গ, রাত ৮টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ১

বার্লিন-বায়ার্ন, রাত ৮টা ৩০ মিনিট
লিপজিগ-ডর্টমুন্ড, রাত ১১টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ২

পঞ্চপাণ্ডবের বিদায় দেখেনি ঘরের মাঠ

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:১৯ এএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫ এএম
পঞ্চপাণ্ডবের বিদায় দেখেনি ঘরের মাঠ
পঞ্চপাণ্ডব। ছবি: সংগৃহীত

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের তৃতীয় অধ্যায়ের শুরু হয়েছে। এই কথাটি ভুল প্রমাণিত হওয়ার সুযোগ কম যদি প্রথম অধ্যায়টা ১৯৮৬-২০০৬ পর্যন্ত ধরা হয়। যেখানে বীজ বপন হয়েছে ভবিষ্যতের। পরে ২০০৭ থেকেই জাতীয় দলে খেলছেন পঞ্চপাণ্ডবের সবাই। সেই থেকে ২০২৫-এর শুরুর অংশ পর্যন্ত সময়টাকে দ্বিতীয় অধ্যায় ধরাই যায়। এই অংশেই আছে বেশ কিছু সাফল্যের গল্প। বড় শিরোপার গল্প না থাকলেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠাটা এই সময়েই, যা হয়েছে পঞ্চপাণ্ডবের হাত ধরেই। সিংহভাগ সফলতাই হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। 

এই মাঠকে আপাদমস্তক মুখস্থ খেলোয়াড়দের। অথচ তাদের অবসরের বেলায় সেই মাঠই অবহেলিত! পঞ্চপাণ্ডবের তিন জনেরই কাগজে-কলমে শেষ জাতীয় দলের অধ্যায়। কেবল সাদাপোশাকে আছেন মুশফিকুর রহিম। মাশরাফি টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি। তাই কাগজে-কলমে তার অবসরের ঘোষণা এখনো বাকি। যদিও সে সম্ভাবনা কমই। 

জাতীয় দলে পঞ্চপাণ্ডবের অবদান নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। সিনিয়রদের মধ্যে মাশরাফি ছাড়া সবাই ক্যারিয়ারের গোড়াপত্তন করেছেন দেশের বাইরে। তবে পাঁচজনের কারোরই অবসরের সাক্ষী হয়নি দেশের মাঠ ও সমর্থকরা। মাঠ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েও সেটি বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান। মূলত রাজনৈতিক কারণেই সম্ভব হয়নি তার অবসর নেওয়া।

যে মাশরাফি সবার আগে ২০০১ সালে শুরু করেছিলেন ক্যারিয়ার। একমাত্র তিনিই দেশের মাটিতে শুরু করেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ যখন একের পর এক ম্যাচ ডুবিয়ে যাচ্ছিল তীরে এসে তরী, তখন ইনজুরিপ্রবণ মাশরাফির কাঁধেই আসে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব। এরপর দলকে পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বেই ২০১৫ ওানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের সিরিজ জয়ও এসেছে তারই হাত ধরে। ২০২০ সালে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তাকে সিলেটের মাঠে সম্মাননা জানায় বিসিবি। তবে করোনা-পরবর্তী সময়ে আর তাকে দলে রাখা হয়নি। গেল ৫ বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকা মাশরাফি এখনো দেননি অবসরের ঘোষণা। ২০২০ এর মার্চ পরবর্তী অংশটাকে তার অবসরকালীন সময় ধরে নেওয়া যায় হয়তো। কিন্তু মাঠে দাঁড়িয়ে ভক্ত ও সমর্থকদের সামনে অবসরের ঘোষণা দিতে পারেননি এবং আর দেওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।

২০২২ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন আকস্মিক চট্টগ্রামের একটি হোটেলে অশ্রুসিক্ত নয়নে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। তার এমন সিদ্ধান্ত হতবাক করে দেয় সবাইকে। পর দিন মাশরাফি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে ফিরে দুই ম্যাচ মাঠে নামলেও বহু নাটকীয়তায় বিশ্বকাপে আর যাওয়া হয়নি। এরপর তার দলে ফেরা কিংবা না ফেরা নিয়েও হয়েছে অনেক জল্পনা। সবশেষ জানুয়ারির ১০ তারিখ তামিম নিজেই ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়ে দেন জাতীয় দলের সঙ্গে তার দূরত্ব আর ঘুচবে না। টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে ফেসবুকে অবসর নিয়েছিলেন, একইভাবে পুনরায় ফেসবুকেই বিদায় বলে দেন।

তামিমের ফেসবুক অবসর শুরু ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। তার দেখানো পথে একই বছর ফেসবুকে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন মুশফিকও। সদ্যসমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলীয় ব্যর্থতার দায় এসে পড়ে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপরও। রান আসেনি মুশফিক কিংবা মাহমুদউল্লাহ কারও ব্যাটেই। সমালোচনার মুখেই বলা যায় ওয়ানডে থেকে মুশফিক দেন অবসরের ঘোষণা। যেই হোম অব ক্রিকেটে দিনের পর দিন ঘাম ঝরিয়েছেন সেখানে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে অবসর না নিয়ে ফেসবুককেই বেছে নিয়ে বঞ্চিত করেছেন নিজের ভক্ত ও সমর্থকদের। টেস্টকে বিদায় জানিয়েছেন ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েতে আর গেল বছর ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে।

সবশেষ ব্যতিক্রম কিছু করেননি রিয়াদও। ক্রিকেট পাগল জাতির সমর্থকদের আশা ছিল পঞ্চপাণ্ডবের বিদায় গ্যালারিতে বসে দেখার, কিন্তু সেটি হলো কই! ফর্মের সঙ্গে লড়াই করতে করতেই বোধহয় মাহমুদউল্লাহও ফেসবুক স্ট্যাটাসকেই নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সেরা মাধ্যম ভেবেছেন। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডে দিয়ে ২০০৭ সালে শুরু মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। একই বছর কেনিয়ার নাইরোবিতে টি-টোয়েন্টি ও ২০০৯ সালে উইন্ডিজে শুরু তার টেস্ট ক্যারিয়ার। কিন্তু তিনি টেস্ট থেকে অবসর নেন ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে। গেল বছর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন ভারতের মাটিতে। ঘরের মাঠে কোনো এক সিরিজ খেলে ওয়ানডেকে বিদায় জানানোর গুঞ্জন থাকলেও, সেটিকে ভুল প্রমাণ করে ফেসবুককেই বেছে নিলেন রিয়াদ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বিদেশের মাটিতে অবসর নেওয়া একমাত্র তিনিই পেয়েছেন জিম্বাবুয়ে ও ভারতে পঞ্চপান্ডবদের মধ্যে গার্ড অব অনার।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিন থেকে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করে যাওয়া সাকিবই দেখিয়েছিলেন মাঠ থেকে অবসরের আগ্রহ। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে ঘরের মাঠে সাকিবের অবসর সম্ভাবনাও ক্ষীণ বলা চলে। ওয়ানডে থেকে অবসর না নিলেও তিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। যেখানে শেষ ম্যাচ রয়েছে প্রবাসে। গত বছর নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। নাগপুরেই তিনি জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ছিল তার শেষ ম্যাচ। যেটি তিনি খেলেছিলেন সেন্ট লুসিয়ায়। ওয়ানডেতে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে কিন্তু তাকে দলেই নেওয়া হয়নি।

ঘরের মাঠ থেকে অবসরের সম্ভাবনা আছে শুধু মুশফিকুর রহিমের। যদি তা তার পরিকল্পনার সঙ্গে মেলে। আর যদি কী-বোর্ড চেপে নেন, তবে দেশের সমর্থকদের বঞ্চিত করার ষোলোকলাই পূর্ণ হবে!

এক নজরে দেখে নিন মাহমুদউল্লাহর রেকর্ডগুলো...

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
এক নজরে দেখে নিন মাহমুদউল্লাহর রেকর্ডগুলো...
ছবি : সংগৃহীত

গতকাল রাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি করা রিয়াদ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে গড়েছেন বেশকিছু রেকর্ড।

চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই রেকর্ডগুলো...

বেশি বয়সে সেঞ্চুরি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড তার নামের পাশে। ৩৭ বছর ২৬২ দিনে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

আইসিসি আসরে সেঞ্চুরি

আইসিসি আসরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ সেঞ্চুরি তার নামের পাশের। এরমধ্যে ৩টি ওয়ানডে বিশ্বকাপে আর ১টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ৩ সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে আছেন সাকিব আল হাসান।

আট নম্বরে সর্বোচ্চ ইনিংস

২০২১ সালে টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আটে নেমে খেলেন অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংস যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এই পজিশনে। টেস্ট ইতিহাসে আটে নেমে ১৫০ রান করেছেন ছয়জন ব্যাটসম্যান।

ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ১৫০ রানের ইনিংস খেলা অষ্টম ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে আর কারও ফিফটিও নেই।

৫/৫১

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় বোলার হিসেবে অভিষেকে ফাইফার নেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর আরও ৫ জন করেছেন এই কীর্তি।

৮/১১০

অভিষেক টেস্টে এটি মাহমুদউল্লাহর বোলিং ফিগার। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে অভিষেকে এর চেয়ে বেশি উইকেট শুধু সোহাগ গাজীর (৯/২১৯, বিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মিরপুর, ২০১২)।

নবম উইকেট জুটি

টেস্ট ক্রিকেটে নবম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি ১৯১ রানের। যেটি তাসকিন আহমেদকে নিয়ে গড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০২১ সালে ক্যারিয়ারের শেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েন তারা। মাত্র ৪ রানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার-প্যাট সিমকক্সের রেকর্ড ছুঁতে পারেননি।

ওয়ানডেতে ১ হাজার রান, ৫০ উইকেট ও ৫০ ক্যাচের ‘ট্রিপলে’ মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী শুধু সাকিব আল হাসান।

৩/৪

২০১১ সালে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১.১ ওভার বোলিং করে ৪ রান খরচায় শিকার করেন ৩ উইকেট। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে কম রানে ৩ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এটি। 

১৭ বছর ২১৪ দিন

এটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দ্বিতীয় বড় ক্যারিয়ার সময়ের হিসাবে। সবচেয়ে লম্বা ক্যারিয়ার মুশফিকুর রহিমের ১৮ বছর ২০২ দিন।

২০৮

বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০ ছক্কা মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮৮ ছক্কা তামিম ইকবালের।

৪৩০

তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে মাহমুদউল্লাহর ম্যাচসংখ্যা। মুশফিক (৪৭০) ও সাকিবই (৪৪৭) শুধু আছেন তাঁর ওপরে।

১৭১

বাংলাদেশের ফিল্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে ক্যাচ বেশি ক্যাচ নিয়েছেন আন্তর্জাতিক মাহমুদউল্লাহ। ওয়ানডেতে (৮২) ও টি-টোয়েন্টিতে (৫১) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্যাচশিকারি টেস্টে আছেন তিনে—৩৮ ক্যাচ।

মাহমুদউল্লাহর অবসরে নীরবতা ভাঙলেন সাকিব

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ পিএম
মাহমুদউল্লাহর অবসরে নীরবতা ভাঙলেন সাকিব
ছবি : সংগৃহীত

আগেই বিদায় বলেছিলেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিকে। এবার ওয়ানডেকে বিদায় বলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এর মধ্য দিয়েই সমাপ্তি হলো বাংলাদেশ দলে পঞ্চপান্ডব অধ্যায়ের।

অবসরের ঘোষণা পর সতীর্থদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা পাচ্ছেন রিয়াদ। পরিস্থিতির চাপে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করা সাকিব আল হাসানও শুভকামনা জানিয়েছেন দীর্ঘদিনের এই সতীর্থকে। রিয়াদকে শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে অনেকদিন ধরে চলা নীরবতা ভাঙলেন সাকিব আল হাসান।

ফেসবুকে মাহমুদউল্লাহকে শুভকামনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘রিয়াদ ভাই, আপনার পাশে খেলা এবং আপনার কাছ থেকে শেখা আমার জন্য সৌভাগ্যের। আপনি মাঠে এবং মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই উদাহরণ স্থাপন করেছেন এবং আপনার রেকর্ডই কথা বলে। খেলার প্রতি আপনার নিষ্ঠা, স্থিতিস্থাপকতা এবং ভালোবাসার জন্য জাতি আপনার কাছে ঋণী। আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে আশীর্বাদ করুন এবং নতুন যাত্রায় আপনাকে পথ দেখান।’

সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঐতিহাসিক এক জুটি রয়েছে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ২২৪ রানের সেই অনবদ্য জুটি দেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম স্মরণীয়। তাদের জুটিতেই বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পা রাখে, ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায় এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের জোড়া শতক।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছর জাতীয় দলে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ২৩৯টি। রান করেছেন ৩৬ গড়ে ৫ হাজার ৬৮৯। নামের পাশে রয়েছে ৩২ ফিফটি ও চার সেঞ্চুরি রয়েছে। যার সবকটিই আইসিসি আসরে। পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ৮২ উইকেট।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৫০ টেস্ট খেলে প্রায় ৩৩ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৯১৪ রান। আছে ১৬ ফিফটির সঙ্গে ৫ সেঞ্চুরি।  বল হাতে শিকার করেছেন ৪৩ উইকেট। আর ১৪১টি টি-টোয়েন্টিতে ২৪ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৪৪৪ রান। পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ৪১ উইকেট।