ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই ভারতের

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১০ পিএম
ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই ভারতের
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের মাঠে ভারতকে টপকে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তার ওপর যদি হয় রান পাহাড় টপকানোর মতো কঠিন কাজ, তাহলে তো সেই কাজ মাঠে নামার আগেই অসম্ভব হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। ৩৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২১৪ রানে অলআউট হয়ে ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে ধবলধোলাই হয়েছে ভারতের কাছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের কাছে ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হলো ইংল্যান্ডকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হারার পর এবার ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হতে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজে ইংলিশদের। 

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল ইংল্যান্ড। একের পর এক উইকেট হারিয়েছে দলটি নিয়মিত বিরতিতে। উদ্বোধনী জুটিতে ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট ৬০ জুটি গড়েন। সেটি ভাঙার পরই আরও কয়েকটি ছোট-বড় জুটি গড়ে উঠলেও তা যথেষ্ট ছিল না। 

২২ বলে ৩৪ রান করে বেন ডাকেট আউট হলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। দলীয় ৮০ রানে ফিল সল্ট আর টম ব্যান্টন ২০ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। ফিল সল্ট ব্যক্তিগত ২৩ রানে ধরেন সাজঘরের পথ। আশা দেখিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি টম ব্যান্টন ৪১ বলে ৩৮ রান করে। ২৪ রানে বিদায় নেন জো রুট। 

১৯ রান করেন হ্যারি ব্রুক। গুজ অ্যাটকিনসন ১৯ বলে ৩৮ রান করলে ইংল্যান্ডের রান ২০০ পার হয়। শেষ পর্যন্ত ৩৪.২ ওভারে ২১৪ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।

ভারতের হয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেন অর্শদীপ সিং, হার্ষিত রানা, অক্ষর প্যাটেল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদিপ যাদব নেন ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৫৬ রান করে ভারত। সেঞ্চুরি করেন শুভমান গিল। ১১২ রান করেন তিনি। ৭৮ রান করেন স্রেয়াশ আয়ার। ৫২ রান করেন বিরাট কোহলি। ৪০ রান করেন লোকেশ রাহুল। আদিল রশিদ নেন ৪ উইকেট।

এখনও বিপিএলের পুরো পারিশ্রমিক পাননি ইমন-শরিফুল

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:০০ পিএম
এখনও বিপিএলের পুরো পারিশ্রমিক পাননি ইমন-শরিফুল
ছবি : সংগৃহীত

বিপিএলে অনিয়মের কথা নতুন কিছুই নয়। একের পর এক অনিয়মের হর আসর চলাকালীন সামনে এসেছে। আসর শেষ হওয়ার দেড়মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও সামনে আসছে অনিয়মের খবর।

বিশেষ করে বিপিএলে খেলোয়াড়রা ঠিকঠাক পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ সমসময় ওঠে। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি পুরো টাকা না পাওয়ায় চিটাগাং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিসিবির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। মেন্টর হিসেবে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

এবার পুরো পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন কিংসের আরেক খেলোয়াড় পারভেজ হোসেন ইমন। অর্ধেক পেমেন্ট এখনও বাকি উল্লেখ করে ইমন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘৫০ শতাংশ পেয়েছি, বাকিটা এখনও পাইনি। বলতেছে দেবে দেবে, আমরা এখনও পাচ্ছি না। আমি, শরিফুল, আসলে সব খেলোয়াড়ই... যা পেয়েছি বিপিএল চলাকালীনই পেয়েছি।’

বিপিএল চলাকালীন সময়ে পারভেজ ইমন ক্যাম্পের বাইরে ছিলেন দুয়েকদিন। এরপর তাকে নিয়ে একটি মন্তব্যও করেন মালিক সামির কাদের। তখন তিনি নিজেই স্বীকার করেন ইমনকে পারিশ্রমিক পরিশোধ না করার বিষয়টি, ‘হ্যাঁ, ব্যক্তিগত কারণে আমি ইমনকে পেমেন্ট করিনি।। আমার টাকা তো গাছে ধরে না, আমার সন্তুষ্টির দরকার আছে। সন্তুষ্ট হলে টাকা দিয়ে দেব, বকেয়া রাখব না।’

কিন্তু সেই বকেয়া এখনও পরিশোধ হয়নি। পারিশ্রমিকের এমন সমস্যা পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছিল জানিয়ে ইমন বলেন, ‘সবসময় আমাদের মনোযোগ থাকে পারফরম্যান্সের দিকে। আমাদের পরিকল্পনা থাকে আরও কীভাবে পারফর্ম করব। আমাদের তখন যদি চিন্তা করতে হয় পারিশ্রমিক নিয়ে যে পাচ্ছি না। এটা আসলে মনোযোগে ব্যঘাত ঘটায়।’

যদিও একের পর এক চেক বাউন্সের ঘটনায় সবশেষ বিপিএলে মাত্রাতিরিক্ত সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। চেক বাউন্স হওয়ায় বিদেশি ছাড়াই এক ম্যাচে মাঠে নামতে হয়েছিল দলটিকে।

আইপিএলের শুরুতেই মাঠের বাইরে বুমরাহ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১০ পিএম
আইপিএলের শুরুতেই মাঠের বাইরে বুমরাহ
ছবি : সংগৃহীত

পিঠের চোটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হয়নি ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহর। তাকে ছাড়াই অবশ্য শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত। বিশ্রামে থাকা বুমরাহ এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি। তাই আইপিএলের শুরুতে মাঠে নামা হচ্ছে না তার।

চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আইপিএলের এবারের আসর। এই মাসে ৩টি ম্যাচ খেলবে বুমরাহর দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দলটি তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২৩ মার্চে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে। ২৯ ও ৩১ মার্চ খেলবে গুজরাট টাইটান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। শুরুর ৩ ম্যাচেই তার সার্ভিস পাচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বুমরাহ দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন এপ্রিলের শুরুতে। ধারণা করা হচ্ছে ৪ এপ্রিল লক্ষৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরবেন তিনি। তবে সবকিছু মাঠে নির্ভর করছে বিসিসিআইয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্সের মেডিকেল টিমের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের ওপর।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সিরিজের শেষ টেস্টে পিঠের চোটে দল থেকে ছিটকে যান তিনি। মাঠ ছাড়ার পর থেকেই আছেন পুনর্বাসনে।

ভারতীয় নির্বাচক প্রধান অজিত আগারকার জানিয়েছিলেন, বিসিসিআইয়ের মেডিকেল বিভাগ বুমরাহকে অন্তত পাঁচ সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিল। শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক দলে রাখা হলেও ফেব্রুয়ারির শুরুতে নতুন স্ক্যানের পর তাকে বাদ দেওয়া হয়।

তুমি রবে নীরবে

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩২ এএম
তুমি রবে নীরবে
ছবি : সংগৃহীত

তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে-মম
তুমি রবে নীরবে
নিবিড় নিভৃত, পূর্ণিমা নিশীথিনী-সম
তুমি রবে নীরবে-

রবীন্দ্রনাথের এই লাইনগুলো যেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে অনেকটা মিলে যায়। কারণ তিনি যে ছিলেন ‘সাইলেন্ট কিলার’। বিদায়ও নিয়েছেন সাইলেন্টলি ফেসবুকে কয়েকটি বর্ণমালায়।

কেন তিনি রবেন নীরবে হৃদয়ে? পঞ্চপাণ্ডবের এক পাণ্ডব মাহমুদউল্লাহ। বাকি চারজনকে নিয়ে যে রকম আলোচনা-সমালোচনা ও মাতামাতি, সেখানে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন অনেকটা পেছনে। কিন্তু এসব নিয়ে তার খুব একটা ভাবাবেগ ছিল না। কারণ তিনি যে উপাধি পেয়েছিলেন সাইলেন্ট কিলার। ২২ গজে রানের মালা গেঁথে যাওয়াই যেন ছিল তার কাজ। আবার দলের প্রয়োজনে বল হাতে সাফল্য পাওয়াও। এ সবই তিনি করেছেন নীরবে। কিন্তু এই নীরবতার মাঝেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তার এই ছাড়িয়ে যাওয়াটা ছিল যেকোনো ক্রিকেটারের চির আরাধ্য। বিশেষ করে একজন ব্যাটারের। বৈশ্বিক আসরে তার আগে যে দেশের হয়ে তিন অঙ্কের মালা গাঁথতে পারেননি কেউ। আবার তার চেয়ে বেশি শতকও নেই কারও। সংখ্যার মালায় চারটি। লক্ষণীয় বিষয় ওয়ানডে ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিও এই চারটি। তারচেয়ে বড় কথা তার এই চার সেঞ্চুরির তিনটিই বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাইলফলক হয়ে আছে। বৈশ্বিক দুটি আসরে বাংলাদেশকে সেরা সাফল্য এনে দিয়েছিল।

১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রতিবারই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে আসছে। এ সবই ছিল শুধুমাত্র অংশগ্রহণের মাঝে সীমাবদ্ধ। মাঝে মাঝে বড় দলগুলোর বিপক্ষে পাওয়া জয়ই যেন কুঁড়ে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর মতো হয়ে উঠত উল্লাস করার উপলক্ষ। ১৯৯৯ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো আর ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারিয়ে সুপার এইটে সুযোগ করে নিয়ে সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় ছিল বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে অন্যতম স্বাগতিক হয়েও বাংলাদেশ সবাইকে হতাশ করেছিল। সব হতাশা পরে দূর হয়ে যায় ২০১৫ সালের আসরে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খেলে কোয়ার্টার ফাইনাল। যার নেপথ্যে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ১০৩ রানের ইনিংস বাংলাদেশের ১৫ রানের জয়ে রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ২৭৫ রানের জবাব দিতে নেমে বোলারদের দৃঢ়তায় ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছিল ২৬০ রানে। বেজেছিল তাদের বিদায় ঘণ্টা। মাহমুদউল্লাহর ২ ছক্কা ও ৭ চারে ১৩১ বলে করা সেঞ্চুরি ছিল আইসিসির কোনো ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি। হ্যামিল্টনে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি আবার করেন অপরাজিত ১২৮ রান। এটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসও। আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাটারেরও সর্বোচ্চ। ম্যাচটি অবশ্য বাংলাদেশ জিততে পারেনি। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ২৮৮ রান নিউজিল্যান্ড অতিক্রম করে ৭ উইকেটে ২৯০ রান করে। বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পরের আসরে সাকিব আল হাসান করেছিলেন যথাক্রমে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ ও টনটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৪ রান। এই সাকিব আল হাসানই আইসিসির ইভেন্টে ৩ সেঞ্চুরি করে ঠিক মাহমুদউল্লাহর পেছনেই আছেন।

মাহমুদউল্লাহর পরের সেঞ্চুরি আইসিসির ইভেন্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দলগত অর্জনের সেরা সাফল্যের স্বীকৃতি হয়ে আছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার হার না মানা অপরাজিত ১০২ রান বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো কোনো আসরের সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের করা ৮ উইকেটে ২৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভাসছিল অথৈ সাগরে। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব মিলে দলকে উদ্ধার করেন পঞ্চম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ২২৪ (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যেকোনো জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) রান করে দলকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেয়। সাকিব ১১৪ রান করে আউট হয়েছিলেন। 

মাহমুদউল্লাহর এমন সেঞ্চুরিগুলোর সময় দলের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। তাই তো অবসরের পর তার এমন ইনিংসগুলো নিয়ে মাশরাফি ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘মাঠের ভেতরে-বাইরে তোর সঙ্গে কত স্মৃতি! কত কত আনন্দ আর হতাশায় একাকার হয়েছে আমাদের সময়! অ্যাডিলেইড আর কার্ডিফে তোর সেঞ্চুরির কথা আজ আবার মনে পড়ছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান, তোর এই অর্জন কেড়ে নিতে পারবে না কেউ। তবে আশা করি, তোকে আদর্শ মেনে বৈশ্বিক আসরে তোর চার সেঞ্চুরির রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে দেশের অনেকে। বড় মঞ্চে তুই যেভাবে নিজের সেরাটা মেলে ধরেছিস, সেই পথ অনুসরণ করবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।’

মাহমুদউল্লাহর অপর সেঞ্চুরিটি ছিল ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। তার ক্যারিয়ারের শেষ সেঞ্চুরিটি ছিল অবশ্য শুধুই সান্ত্বনার। মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের নিয়মরক্ষার ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন ১১১ রানের ইনিংস। তারপরও বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল ১৪৯ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৫ উইকেটে ৩৮২ রান। বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট হয়েছিল। কিন্তু এমন সেঞ্চুরি করেও মাহমুদউল্লাহ বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিলেন। দল টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়লেও এমন কি হার নিশ্চিত হওয়ার পরও মাহমুদউল্লার উচ্ছ্বাসের কারণ ছিল বিশ্বকাপে তার দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে। কারণ তিনি দল থেকে বাদ পড়ে সুযোগ পেয়েছিলেন স্কোয়াডে। তাই তো তার এমন উচ্ছ্বাস।

আইসিসির ইভেন্টে তার এই অবদানের জন্যই তিনি বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর অন্তরে চির জাগ্রত হয়ে থাকবেন অনাগত কাল। শুধু কী এ জন্যই? আরও অনেক কিছুই তিনি সঙ্গী করে বিদায় নিয়েছেন। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি ম্যাচ খেলা, একই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৭৭টি ছক্কা মারা ও সবচেয়ে বেশি ৪৩টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া, তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২০৮টি ছক্কা হাঁকানো কিংবা ফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৭১টি ক্যাচ নেওয়া- এসব অর্জনে তিনি নাম্বার ওয়ান। তাকে মনে রাখার মতো আছে আরও কিছু কীর্তি। যেমন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে তার ১৫০ রানের ইনিংস। যেখানে বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটারের হাফ সেঞ্চুরিও নেই। তিনি আট নম্বরে নেমে করেছিলেন এই সেঞ্চুরি। আটে নেমে এ রকম সেঞ্চুরি করা ব্যাটার বিশ্বে খুব বেশি নেই। মাত্র ছয়জন। টেস্ট অভিষেক ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট কিংবা অভিষেক টেস্টে ১১০ রানে ৮ উইকেট নেওয়াটাও তাকে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখবে। অভিষেক টেস্টে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু সোহাগ গাজীর ২১৯ রানে ৯টি। এই টেস্ট ক্রিকেটেই নবম উইকেট জুটিতে তাসকিনকে নিয়ে তার করা ১৯১ রান দ্বিতীয় সেরা। মাত্র ৫ রানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও প্যাট সিমকক্সকে ছাড়িয়ে সবার ওপরে যেতে পারেননি। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার ছিল দিনের হিসাবে ১৭ বছর ২১৪ দিন। বাংলাদেশের হয়ে তারচেয়ে বেশি ক্যারিয়ার আছে তারই আত্মীয় ভায়রা ভাই মুশফিকুর রহিমের। মাহমুদউল্লাহর এক সপ্তাহ আগে ওয়ানডে থেকে বিদায় নেওয়ার দিন মুশফিকের ক্যারিয়ারের বয়স ছিল ৩৯ বছর ২০ দিন। টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহর ২৪৪৪ রান বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার থেকে বেশি আছে শুধু সাকিবের ২৫৫১ রান। ২০০৭ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে পথ চলা শুরু করে আবার সেই ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়েই ফুলস্টপ টেনে দেওয়া মাহমুদউল্লাহ তিন ফরম্যাট মিলে ম্যাচ খেলেছেন মোট ৪৩০টি। তার ওপরে আছেন মুশফিক ৪৭০টি ও সাকিব ৪৪৭টি। এ সবই থাকবে তার নামের পাশে। 

বিদায় মাহমুদউল্লাহ
যেতে নাহি দিব। হায়,
তবু যেতে দিতে হয়,
তবু চলে যায়।

ফের ছিটকে গেলেন নেইমার

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩২ এএম
ফের ছিটকে গেলেন নেইমার
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৬ মাসের বিরতি ভেঙে আগামী সপ্তাহেই ব্রাজিলের জার্সিতে মাঠ মাতানোর কথা ছিল নেইমারের। স্কোয়াডে জায়গাও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই বিরতি দীর্ঘ হচ্ছে আরও। আবারও তিনি ছিটকে গেছেন জাতীয় দলের স্কোয়াড থেকে। 

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে তার নামা হচ্ছে না আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। তার পরিবর্তে দলে ডাকা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড এনদ্রিককে।

সবশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। উরুগুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে বড় চোট পেয়ে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিলেন মাঠের বাইরে। চুক্তি করেও চোটের কারণে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের মাঠে নামতে পেরেছেন মাত্র ৭ ম্যাচে।

চোট থেকে সেরে ওঠার পর সমঝোতার ভিত্তিতে আল হিলাল ছেড়ে ফিরে আসেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। ব্রাজিলের ক্লাবটির হয়ে ৭ ম্যাচে ৩ গোল করে ইঙ্গিত দেন ছন্দে ফেরার।

তবে চোটের সমস্যাও তৈরি হয় এরমধ্যেই। মার্চের ২ তারিখ ব্রাগান্তিনোর বিপক্ষে ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় সান্তোস। ওই জয়ের ম্যাচেই পেশিতে চোট পান ব্রাজিলের তারকা। আর এই চোটেই দলে ফেরার সময়টা দীর্ঘ হচ্ছে নেইমারের।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) নিশ্চিত করেছে, চোটের কারণে নেইমারকে দলে রাখা হচ্ছে না।

চোটের কারণে খেলা হচ্ছে না ম্যানচেস্টার সিটির গোলকিপার এদেরসন ও ফ্ল্যামেঙ্গোর দানিলোও। তাদের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন লিওঁর গোলরক্ষক লুকাস পেরি এবং ফ্ল্যামেঙ্গোর ডিফেন্ডার অ্যালেক্স সান্দ্রো।

দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ১২ রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকায় ৫ নম্বরে আছে ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার ব্রাসিলিয়ার গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে দলটি খেলবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। এরপর বুয়েনস এইরেসে গিয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ ২৬ মার্চ। কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা দুই দলই ব্রাজিলের থেকে পয়েন্ট তালিকায় ওপরে আছে। আর্জেন্টিনা ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে, কলম্বিয়া ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চারে।

টিভিতে আজকের খেলা (১৫ মার্চ)

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৫ এএম
টিভিতে আজকের খেলা (১৫ মার্চ)
ছবি : সংগৃহীত

ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য প্রতিদিনই টেলিভিশনের পর্দায় থাকে অনেক খেলা। তেমনি আজও (১৩ মার্চ) রয়েছে বেশকিছু খেলা। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজ টিভিতে কোন কোন খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট (সরাসরি)

মোহামেডান-লিজেন্ড রূপগঞ্জ
সকাল ৯টা, টি স্পোর্টস

ফুটবল (সরাসরি)

প্রিমিয়ার লিগ

ম্যানসিটি-ব্রাইটন, রাত ৯টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

এভারটন-ওয়েস্টহাম, রাত ৯টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

বুন্দেসলিগা

মেইঞ্জ-ফ্রেইবুর্গ, রাত ৮টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ১

বার্লিন-বায়ার্ন, রাত ৮টা ৩০ মিনিট
লিপজিগ-ডর্টমুন্ড, রাত ১১টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ২