ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

নেটফ্লিক্স সরিয়ে নিচ্ছে ইন্টারেক্টিভভিত্তিক কনটেন্ট

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
নেটফ্লিক্স সরিয়ে নিচ্ছে ইন্টারেক্টিভভিত্তিক কনটেন্ট
নেটফ্লিক্সে বন্ধ হচ্ছে ইন্টারেক্টিভভিত্তিক কনটেন্ট। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট নেটফ্লিক্সে বন্ধ হচ্ছে ইন্টারেক্টিভভিত্তিক কনটেন্ট। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে প্রায় সব ইন্টারেক্টিভ শো ও সিনেমা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেটফ্লিক্স। চলতি সপ্তাহে আমেরিকান প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

অডিয়েন্সের ইন্টারেক্টিভ কনটেন্ট উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণেরও সুযোগ থাকে। নেটফ্লিক্সের ‘ইন্টারেক্টিভ স্পেশালস’ পেজে এখনো ২৪টি টাইটেল আছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি থাকছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক মিরর: ব্যান্ডার্সন্যাচ, আনব্রেকেবল কিমি স্মিট: কিমি ভার্সেস দ্য রেভারেন্ড, রণবীর ভার্সেস ওয়াইল্ড উইথ বেয়ার গ্রিলস এবং ইউ ভার্সেস ওয়াইল্ড। 

এই পদক্ষেপ নেটফ্লিক্সের ইন্টারেক্টিভ কনটেন্ট নিয়ে পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টার হতাশাজনক একটা সমাপ্তি। নেটফ্লিক্স ২০১৭ সালে পুশ ইন বুক: ট্র্যাপড ইন অ্যান এপিক টেল দিয়ে এই ধারার সূচনা করে। এটি এর অডিয়েন্সকে বিভিন্ন গল্পের দিকে নিয়ে যেত। এতে কারমেন সানদিয়াগো ও বস বেবির মতো জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজের শো ছাড়াও, প্রতিদিনের ট্রিভিয়া সিরিজের মতো নতুন ধারণা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে খুব কম সংখ্যক টাইটেল পাওয়া যেত বলে, এই ধারার আয়োজন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি।

নেটফ্লিক্সের মুখপাত্র ক্রিসি কেলেহার বলেন, এই প্রযুক্তি তার উদ্দেশ্য পূরণ করেছে, তবে এখন আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত মনোযোগ দিচ্ছি, তাই এটি এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়।’

নেটফ্লিক্সের ইন্টারেক্টিভ কনটেন্ট বন্ধের এই সিদ্ধান্ত গেমিং কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা পেতে আরেকটি চেষ্টার উদাহরণ। নেটফ্লিক্সের মোবাইল গেমের একটি শক্তিশালী তালিকা আছে, যা তাদের নিজস্ব রিয়েলিটি টিভি শো থেকে নির্মিত হচ্ছে। তবে কোম্পানিটি সম্প্রতি একটি গেম প্রকাশের আগেই ‘এএএ’ গেম স্টুডিও বন্ধ করে দিয়েছে।

এ ছাড়া নেটফ্লিক্সের গেম স্ট্রিমিং বেটা এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে, যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে চালু করা হয়েছে।

/আবরার জাহিন

এআই হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরাও

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
এআই হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরাও
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছ এআই হ্যাকাথন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ভিভাসফট লিমিটেড পেশাদারদের জন্য আয়োজন করতে যাচ্ছে এআই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কাজ করা পেশাদারদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সদ্য স্নাতক, স্টার্টআপ, উদ্ভাবক দল ও প্রযুক্তিবিদরাও অংশ নিতে পারবেন। কোনো প্রকার নিবন্ধন ফি ছাড়াই যে কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

অংশগ্রহণকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবেন। বিজয়ীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। আয়োজকরা মনে করছেন এই আয়োজন বাংলাদেশের এআই খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও তরুণদের উৎসাহিত করবে।

ভিভাসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শাফকাত আসিফ বলেন, ‘ভিভাসফটের এআই হ্যাকাথন একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, অন্যদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার ও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলারও সুযোগ থাকছে। এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এআই নিয়ে সৃজনশীলতা বিকাশ ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আয়োজন আমাদের উদ্ভাবকদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’

এই প্রতিযোগিতা তিনটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীরা তাদের আইডিয়া জমা দেবেন। এরপর নির্বাচিত আইডিয়াগুলো নিয়ে প্রজেক্ট তৈরি করে জমা দিতে হবে। সবশেষে, চূড়ান্ত পর্ব অর্থাৎ অন-সাইট হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রোটোটাইপ (প্রাথমিক সংস্করণ) প্রদর্শন করবেন এবং বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।

আইডিয়া জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০২৪। প্রোটোটাইপ প্রজেক্ট জমা দেওয়ার সময় ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। পরবর্তীতে, ২৫-২৬ জানুয়ারি ২০২৫ সালে চূড়ান্ত হ্যাকাথন পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় কোম্পানির হেডঅফিসে। নিবন্ধন ও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ভিভাসফট ওয়েবসাইটের হ্যাকাথন পেইজে।

/আবরার জাহিন

উল্কাসেমি আয়োজিত ভিএলএসআইথন ২.০-এর বিজয়ীরা পেল তিন লাখ টাকার পুরস্কার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
ভিএলএসআইথন ২.০-এর বিজয়ীরা পেল তিন লাখ টাকার পুরস্কার
ভিএলএসআইথন ২.০-এর বিজয়ীরা। ছবি: আদিব

জমকালো আয়োজনে শেষ হলো দেশের সবচেয়ে বড় ভিএলএসআই প্রতিযোগিতা ভিএলএসআইথন ২.০-এর চূড়ান্ত পর্ব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ী ছয় দলকে পুরস্কৃত করা হয়। 

দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৩৫ জন তরুণ প্রতিযোগীদের ৮২ টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগীরা দুটি ক্যাটাগরিতে ভিএলএসআইথন ২.০-তে অংশগ্রহণ করেন। এগুলো হলো আরটিএল (রেজিস্টার ট্রান্সফার লেভেল) ডিজাইন ও অ্যানালগ ডিজাইন। চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিটি ক্যাটাগরি থেকে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। 

দেশের শীর্ষস্থানীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠান উল্কাসেমি আয়োজিত ও আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ইইই (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং আইইইই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের যৌথ প্রযোজনায় অনুষ্টিত হয় ভিএলএসআইথন ২.০। আরটিএল ডিজাইন ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টিম ‘রুয়েট ডিজিটাল ডায়নামস’। প্রথম রানার আপ হয়েছে বুয়েটের টিম ‘আসকি’ ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে টিম ‘রুয়েট থ্রিইডিয়টস’।

অপরদিকে অ্যানালগ ডিজাইন ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘হেলিকপ্টার’, প্রথম রানার আপ হয়েছে ‘টিম এক্সপোনেনশলস’ ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে টিম ‘আসকি’। বিজয়ী দলগুলোকে মোট তিন লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে উল্কাসেমির সিইও ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এ বিষয়ে উলকাসেমির সিইও বলেন, ‘ভিএলএসআইথন ২.০-তে আমাদের তরুণ প্রকৌশলীরা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনশীলতার ক্ষেত্রে দারুণ সম্ভাবনা এবং দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এই সেমিকন্ডাক্টর চিপের ওপর নির্ভরশীল। সক্ষমতার এক নতুন রূপ সেমিকন্ডাক্টর। ভবিষ্যতে প্রযুক্তির নেতৃত্ব যাদের হাতে থাকবে, সেই দেশগুলোই শাসন করবে পৃথিবী।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের বাজার ৫০ হাজার কোটি ডলার। ২০৩০ সালে মধ্যে যা ফুলেফেঁপে দ্বিগুণ আকার নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। চীন ৪ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে এরই মধ্যে। 

আমাদের সামনে দারুণ সুযোগ। উল্কাসেমি এদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, ২০৩০ সালের মধ্যে এই শিল্পকে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিণত করা সম্ভব। সঠিক সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা পেলে, এই খাতের আয় ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এতে আমাদের এই তরুণ প্রকৌশলীদের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল হক বলেন, ‘উল্কাসেমি আয়োজিত ভিএলএসআইথন ২.০ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রকৌশলীরা অসাধারণ উদ্ভাবনী দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। এই প্রতিযোগিতা শুধু তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার স্বীকৃতি নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রথম পদক্ষেপ। আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে উল্কাসেমি আমাদের তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে যাচ্ছে।’

দ্বিতীয় পর্ব নতুন বছরের কাজের পরিকল্পনায় সহায়ক অ্যাপ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
নতুন বছরের কাজের পরিকল্পনায় সহায়ক অ্যাপ
থিংস থ্রি ‍ও টুডুইস্ট জনপ্রিয় দুটি টু-ডু লিস্ট অ্যাপ।

নতুন বছরের শুরুতে আমরা সবাই নানা লক্ষ্য ঠিক করি। তবে সেসব লক্ষ্য অর্জনে কাজের তালিকা সাজানো ও ম্যানেজমেন্ট করা জরুরি। আজ এমন দুটি জনপ্রিয় অ্যাপ সম্পর্কে জানব, যা আপনাকে নতুন বছরের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

কাজের শ্রেণিবিভাগ ও দ্রুত পরিকল্পনায় থিংস থ্রি

অ্যাপলের ডিভাইস-ভিত্তিক ‘থিংস থ্রি’ অ্যাপ কাজের তালিকা সহজে তৈরিতে ও পরিচালনায় অসাধারণ। থিংস থ্রির মাধ্যমে কাজগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভাগ করা যায়। এতে রয়েছে দ্রুত কপি, পেস্ট ও এডিট করার সুবিধা। 

অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের দৈনিক ও সাপ্তাহিক পরিকল্পনা সহজ করে তোলে। প্রয়োজন অনুযায়ী মূল কাজের সঙ্গে সাব-টাস্ক ও নোট যোগ করার সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ,  আপনি যদি প্রতিদিন অনেক লেখালেখি করেন, তাহলে সেগুলোকে সাব-টাস্ক হিসেবে যুক্ত করে মূল তালিকা পরিষ্কার রাখতে পারবেন। এটি একবার কিনে আজীবন ব্যবহার করা যায়, যা অ্যাপটির আরেকটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য। 

কাজের পরিকল্পনায় কার্যকর টুডুইস্ট

টুডুইস্ট আরও একটি জনপ্রিয় টু-ডু লিস্ট অ্যাপ। এটি ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন কাজের তালিকা সহজে তৈরি ও পরিচালনা করতে সাহায্য করে। এর ব্যবহার সহজ ও কার্যকর। পুনরাবৃত্তিমূলক কাজের তালিকা তৈরি করা ও কাজ সম্পন্ন হলে টিকচিহ্ন দিয়ে মার্ক করা যায়। এ ছাড়া এটি গুগল ক্যালেন্ডারের সঙ্গে সিংক করাও যায়।

এতে দিন ও তারিখ উল্লেখ করে সহজে ভবিষ্যতের কাজ নির্ধারণ করা যায়। নতুন বছরের লক্ষ্যপূরণে অ্যাপটিতে রয়েছে বিশেষ টেমপ্লেট। টুডুইস্টের ফ্রি ও পেইড উভয় সংস্করণ পাওয়া যায়।  

১ম পর্ব নতুন বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক অ্যাপ

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
নতুন বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক অ্যাপ
লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে নোশন ও হ্যাবিটিকা অ্যাপ। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছর মানে নতুন পরিকল্পনা। ‘নতুন বছর, নতুন আমি’ এই প্রতিজ্ঞা করলেও বছরের শুরুতে নেওয়া সংকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারার অভিজ্ঞতা অনেকের রয়েছে। এ সমস্যা সমাধান করে আপনার লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কিছু অ্যাপ। এখানে দুটি অ্যাপের কথা তুলে ধরা হলো, যা নতুন বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ও জবাবদিহি নিশ্চিতে সহায়ক হতে পারে।

কাজ ও সময় ব্যবস্থাপনার সহজ সমাধান নোশন 

নোশন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজগুলো সংগঠিত করতে সাহায্য করে। এটি বহুমুখীপ্ল্যাটফর্ম, যেখানে কাজ, পড়াশোনা বা সৃজনশীল প্রকল্পের জন্য আলাদা ওয়ার্কস্পেস তৈরি করা যায়।

নোশনে রয়েছে বিভিন্ন টেমপ্লেট, যা রুটিন তৈরিতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে দৈনন্দিন রুটিন তৈরি ও লক্ষ্য পূরণে খুব সহজে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। যদি আপনার লক্ষ্য হয় নতুন বছরে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, তাহলে বই পড়ার তালিকা তৈরিতে এটি কার্যকর হবে। প্রতিদিনের পরিকল্পনার জন্য নোশন ক্যালেন্ডারও ব্যবহার করা যায়। এর ফ্রি সংস্করণ বেশির ভাগ ব্যবহারকারীর জন্য যথেষ্ট।

নতুন অভ্যাস তৈরিতে হ্যাবিটিকা

নতুন বছরের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিদিনের অভ্যাসের ভূমিকা অনেক বেশি থাকে। অনেক সময় মনে হয়, বড় কিছু করতে হবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে। তবে বেশির ভাগ সময় ছোট ছোট অভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমাদের লক্ষ্যে। তাই অভ্যাস ট্র্যাক করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে হ্যাবিটিকা অ্যাপ।

হ্যাবিটিকা দৈনন্দিন অভ্যাস ট্র্যাক করতে গেমের মতো অভিজ্ঞতা দেয়। লক্ষ্য পূরণে ছোট ছোট অভ্যাসের গুরুত্ব বুঝিয়ে এটি চরিত্র উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। এ ছাড়া অ্যাপের মধ্যে নানা ধরনের লক্ষ্য অর্জনের সুযোগ পাবেন। কম মদ্যপান ও প্রতিদিন মেডিটেশন করার মতো অভ্যাস তৈরি করতে পারেন এই অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। অভ্যাস তৈরির মাত্রা নির্ধারণের সুযোগ থাকায় এটি বেশ ব্যবহারবান্ধব।

গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বড় পরিবর্তন আসছে

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বড় পরিবর্তন আসছে
গুগল এরই মধ্যে সার্চ প্লাটফর্মে এআই ভিত্তিক ফিচার যুক্ত করেছে। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বড় পরিবর্তন আসছে। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের ডিলবুক সামিটে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গুগল এখন আগের চেয়ে আরও জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে।’ নতুন এই কর্মদক্ষতা ২০২৫ সালের শুরুর দিকে দেখা যাবে বলে জানান পিচাই।

এর আগে গুগল ও এআই প্রতিযোগিতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা বলেছিলেন, ‘গুগলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এআই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা উচিত ছিল।’ এর জবাবে সুন্দর পিচাই গুগল ও মাইক্রোসফটের এআই মডেলগুলোর মধ্যে তুলনার প্রস্তাব দেন। তিনি উল্লেখ করেন, মাইক্রোসফট মূলত ওপেনএআইয়ের মডেলের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে গুগল নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এ সময় পিচাই এআই প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা একটি বড় পরিবর্তনের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। সামনের দিনে আরও উদ্ভাবন আসছে এবং আমরা নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’ 

গুগল এরই মধ্যে সার্চ প্লাটফর্মে এআই ভিত্তিক ফিচার যুক্ত করেছে। সার্চ প্ল্যাটফর্মে এআই জেনারেটেড সারাংশ ও ভিডিওভিত্তিক অনুসন্ধানের জন্য উন্নত লেন্স টুল যুক্ত করেছে। নতুন জেমিনাই এআই মডেল নিয়েও কাজ করছে গুগল, যা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা আরও বাড়াবে। 

সুন্দর পিচাই গুগলের বিখ্যাত ফ্রি মিল পলিসি নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি জানান, ‘এ খাবার শুধু কর্মীদের সুবিধা দেয় না, বরং সৃজনশীল চিন্তা উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখে। গুগলে কাজের শুরুর দিনগুলোয় সহকর্মীদের সঙ্গে খাওয়ার সময় অনেক নতুন ধারণা উদ্ভাবন হয়েছে।’   

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গুগল সার্চে আসন্ন পরিবর্তন এআই প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটিকে আরও এগিয়ে দেবে। এআই প্রযুক্তির উন্নতি গুগলকে আরও উদ্ভাবনী ও ব্যবহারকারীর চাহিদা পূরণে দক্ষ করে তুলবে।  সূত্র: এনডিটিভি

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });