ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

ফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ করছে কোন অ্যাপ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
ফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ করছে কোন অ্যাপ
ফোনের পারফরম্যান্স ও ব্যাটারির আয়ুষ্কালে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ব্যাটারির অতিরিক্ত ব্যবহার। ছবি: সংগৃহীত

স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এর পেছনে কারণ হিসেবে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনকে দায়ী করা যেতে পারে। বিশেষ করে থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যাটারি ব্যবহার করতে পারে, যা ফোনের পারফরম্যান্স ও ব্যাটারির আয়ুষ্কালে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই কোন অ্যাপ বেশি শক্তি খরচ করছে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। জনপ্রিয় প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ সম্প্রতি বিভিন্ন ফোনে এই তথ্য খুঁজে বের করার উপায় সম্পর্কে জানিয়েছে। ফোনের মডেল অনুযায়ী জেনে নিন পদ্ধতিগুলো।

স্যামসাং ফোন

প্রথমে সেটিংস অ্যাপে প্রবেশ করুন। সেখানে ব্যাটারি অপশনটি খুঁজুন। যদি পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম ‘অ্যান্ড্রয়েড ১৩’ সংস্করণ ব্যবহার করেন, তবে ব্যাটারি অ্যান্ড ডিভাইস কেয়ার অপশনে গিয়ে ব্যাটারি অপশনটি পাবেন। এবার ভিউ ডিটেইলস অপশনে ট্যাপ করুন। ব্যাটারি ইউসেজ গ্রাফের নিচে অ্যাপের তালিকাটি দেখুন। চার্জ শেষ হওয়ার পর বা শেষ সাত দিনের ব্যাটারি ব্যবহারের তথ্য দেখে কোনো অ্যাপের অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচ শনাক্ত করতে পারবেন।

আইফোন

সেটিংস অ্যাপে যান। ব্যাটারি অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর ব্যাটারি ইউসেজ বাই অপশনটি স্ক্রল করুন। নির্দিষ্ট অ্যাপের তথ্য দেখতে চাইলে, সেটির ওপর চাপুন বা শো অ্যাকটিভিটি অপশনে ট্যাপ করে ব্যাটারি ব্যবহারের বিস্তারিত জেনে নিন।

গুগল পিক্সেল ফোন

সেটিংস অ্যাপে গিয়ে ব্যাটারি অপশন নির্বাচন করুন। সেখানে ব্যাটারি ইউসেজ অপশনে ট্যাপ করুন। ড্রপ ডাউন মেনু থেকে ভিউ বাই অ্যাপ অপশনটি বেছে নিন। এরপর ব্যাটারি ইউসেজ সিন্স লাস্ট ফুল চার্জ বিভাগে গিয়ে কোনো অ্যাপ কতটা ব্যাটারি ব্যবহার করেছে, তা বুঝতে পারবেন।

ওয়ান প্লাস ফোন

সেটিংসে যান। এবার ব্যাটারি অপশনটি নির্বাচন করুন। ব্যাটারি ইউসেজ ডিটেইলস অপশনে ট্যাপ করুন। গ্রাফে প্রদর্শিত ব্যাটারি ব্যবহারের তালিকা দেখে যে অ্যাপগুলো বেশি শক্তি খরচ করছে তা সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন।

অতিরিক্ত ব্যাটারি ব্যবহার ডিভাইসের ওভারহিটিং ও পারফরম্যান্স কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। কোন অ্যাপ বেশি ব্যাটারি খরচ করছে, তা জানার মাধ্যমে সেই অ্যাপটির ব্যবহার কমান বা ডিভাইস থেকে ডিলিট করে দিন। কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয়ভাবে চলছে এবং ব্যাটারি খরচ করছে, তা খুঁজে বের করে বন্ধ করুন। এতে করে ফোনের ব্যাটারি আরও দীর্ঘ সময় টেকসই হবে।

/আবরার জাহিন

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে যা জানা প্রয়োজন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে যা জানা প্রয়োজন
হোয়াটসঅ্যাপের শর্তাবলি জানা ও মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে এই অ্যাপটি ব্যবহার করার আগে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া জরুরি। প্রযুক্তি ওয়েবসাইট মেকইউজঅব-এর এক প্রতিবেদনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যা নজর রাখা উচিত।

অ্যাকাউন্ট ব্যান

হোয়াটসঅ্যাপের পরিষেবা শর্তাবলি লঙ্ঘন করলে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্প্যাম, স্ক্যাম, ম্যালওয়্যার ছড়ানো বা অফিসিয়াল নয় এমন অ্যাপ ব্যবহারের কারণে এমনটা ঘটতে পারে। এ ছাড়া আনঅফিসিয়াল সংস্করণ বা স্বয়ংক্রিয় মেসেজিং টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা থাকে। এজন্য অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে হোয়াটসঅ্যাপের শর্তাবলি জানা ও মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। 

ডেটা শেয়ারিং

ফেসবুকসহ মেটা মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করে হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে মোবাইল নম্বর, আইপি অ্যাড্রেসসহ অন্যান্য তথ্য ফেসবুকসহ মেটার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে শেয়ার করা হতে পারে। প্রয়োজন হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুরোধে এই তথ্যও শেয়ার করা হতে পারে। বিজনেস অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সময় সার্চ ও কেনাকাটার ইতিহাস পর্যালোচনা করাও হতে পারে। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতিমালা সম্পর্কে ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। 

মেটার ডেটা সংগ্রহ

হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের বিষয়বস্তু পড়তে না পারলেও মেসেজিং কার্যক্রমের মেটাডাটা সংগ্রহ করে। এতে মেসেজের সময়, ফ্রিকোয়েন্সি প্রভৃতি তথ্য জানা সম্ভব হয়, যা মেটা অধিভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে শেয়ার করা হয়। যদিও মেসেজের কনটেন্ট গোপন থাকে, তবে মেটা ডেটা কীভাবে ব্যবহৃত হয়, তা স্পষ্ট নয়। এজন্য অনেক প্রাইভেসি সচেতন ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 

হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি

অপরিচিত লিংকে ক্লিক করা বা তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার করলে হ্যাকাররা অ্যাকাউন্টে অনুপ্রবেশ করতে পারে। এসব অ্যাপ মেসেজিং অভিজ্ঞতা উন্নত করলেও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই সন্দেহজনক লিংক থেকে দূরে থাকা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

/আবরার জাহিন

মৃত্যুর দিন-তারিখ জানাবে অ্যাপ

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
মৃত্যুর দিন-তারিখ জানাবে অ্যাপ
ডেথ ক্লক নামের অ্যাপ জানাবে মৃত্যুর দিন-তারিখ। ছবি: সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে, এবার মৃত্যুর দিনও গণনা করছে একটি অ্যাপ। কল্পবিজ্ঞানের মতো শোনালেও স্মার্টফোনের অ্যাপের মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর তারিখ জানা সম্ভব হবে। ‘ডেথ ক্লক’ নামের এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর সম্ভাব্য তারিখ জানাবে।

২০০৬ সালে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ মাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে ‘আইপড ডেথ ক্লক’ অ্যাপ সম্পর্কে তুলে ধরেছে। তবে নতুন এই অ্যাপের নির্মাতা ব্রেট ফ্র্যানসন ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, অ্যাপটিতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি প্রত্যাশিত জীবনসংক্রান্ত গবেষণার ওপর ভিত্তি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাপটি স্ট্যান্ডার্ড লাইফ টেবিলের তুলনায় বেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।

অ্যাপটি ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীদের বয়স, লিঙ্গ, জাতিসত্তা, পরিবারের স্বাস্থ্যের ইতিহাস, মানসিক স্বাস্থ্য ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের মতো বিস্তারিত তথ্য চায়। এরপর এই তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য মৃত্যুর দিন সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে অ্যাপটি দেখিয়েছে, তিনি ৯০ বছর বয়সে ২০৭৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করবেন। তবে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে তার আয়ু হতে পারে ১০৩ বছর পর্যন্ত।

বছরে ৪০ ডলার সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপ ব্যবহারকারীর মৃত্যুর সম্ভাব্য তারিখের পাশাপাশি দীর্ঘ জীবনযাপনের জন্য কী কী করা উচিত, সে সম্পর্কেও পরামর্শ দেবে।

অ্যাপটির মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর তারিখ জানার পাশাপাশি আর্থিক পরিকল্পনাও করা সহজ হবে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্থিক পরিকল্পনাবিদ রায়ান জাব্রোস্কি বলেছেন, বয়স্ক মানুষদের সবচেয়ে বড় চিন্তা হলো তাদের মৃত্যুর পর তাদের সঞ্চিত অর্থ কী হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে তারা নিজেদের জন্য আরও ভালোভাবে আর্থিক পরিকল্পনা করতে পারবেন।

তবে এই অ্যাপের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ মৃত্যু একটি জটিল বিষয়। এটি অনেকগুলো কারণের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া মানুষের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে মৃত্যুর সম্ভাব্য তারিখও পরিবর্তিত হতে পারে। এই অ্যাপ শুধু একটি অনুমাননির্ভর তারিখ জানায়। এটি কোনোভাবে নিশ্চিত নয়, আপনি কখন মারা যাবেন। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে একেবারে নতুন শব্দ

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে একেবারে নতুন শব্দ
ফুগাত্তো নামে অডিওজেনারেটিভ এআই মডেল উন্মোচন করেছে এনভিডিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সংগীত ও সৃজনশীল জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে নতুন যুগের সূচনা করেছে চিপ নির্মাতা প্রতিাষ্ঠান এনভিডিয়া। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা ‘ফুগাত্তো (Fugatto)’ নামে একটি অডিও জেনারেটর এআই মডেল উন্মোচন করেছে। এটি এমন ধরনের শব্দ তৈরি করতে সক্ষম, যা আগে কখনো শোনা যায়নি। এনভিডিয়া দাবি করেছে, এটি সংগীতের জগতে বিপ্লব ঘটাতে পারে।

ফুগাত্তো এমন জেনারেটিভ এআই মডেল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা টেক্সট প্রম্পট ব্যবহার করে শব্দ তৈরি বা সম্পাদনা করতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, এটি কোনো গান থেকে একটি নির্দিষ্ট বাদ্যযন্ত্রের শব্দ সরিয়ে ফেলতে পারে বা কোনো কণ্ঠস্বরের উচ্চারণ পরিবর্তন করতে পারে।

এনভিডিয়ার রিচার্ড কেরিস ফুগাত্তো বিষয়ে এক ব্লগ পোস্টে জানান, ‘এআই মডেলটি অন্যান্য যেকোনো এআই মডেলের চেয়ে বেশি দক্ষ। এটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের শব্দের মাধ্যমে সংগীতে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। এটি স্যাক্সোফোনকে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করাতে পারে।’ 

ফুগাত্তোর কার্যক্ষমতা প্রদর্শন করে এমন একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সাধারণ প্রম্পট থেকে গভীর, গম্ভীর বেজ ও মাঝে মাঝে উচ্চ-পিচের ডিজিটাল শব্দ তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ট্রেনের শব্দকে স্ট্রিং অর্কেস্ট্রার শব্দে রূপান্তর করতেও সক্ষম ফুগাত্তো।   

সৃজনশীল শিল্পের জন্য উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে এআই প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি। অস্ট্রেলিয়ান ভয়েস অ্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করেছে, এআই চালিত ভয়েস প্রযুক্তির কারণে স্থানীয় প্রায় ৫ হাজার ভয়েস আর্টিস্ট চাকরি হারাতে পারেন। পাশাপাশি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি কপিরাইট লঙ্ঘনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন। 

তবে অনেক শিল্পী এটিকে সংগীতের একটি প্রাকৃতিক বিবর্তন হিসেবে দেখছেন। প্রযোজক ইদো জমিশলানি বলেন, ‘সংগীতের ইতিহাসও প্রযুক্তির ইতিহাস। গিটার বিশ্বকে দিয়েছে রক অ্যান্ড রোল। স্যাম্পলার নিয়ে এসেছে হিপ-হপ। এআই আমাদের সংগীত তৈরির নতুন সুযোগ দিচ্ছে, যা অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ।’

হুয়াওয়ের নতুন অপারেটিং সিস্টেমে থাকছে না গুগল ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
হুয়াওয়ের নতুন অপারেটিং সিস্টেমে থাকছে না গুগল ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
হুয়াওয়ের ‘হারমনি ওএস’ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ উন্মোচন। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে তাদের ‘হারমনি ওএস’ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ উন্মোচন করেছে। নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড বা গুগলের ওপর নির্ভরশীল নয়। ‘হুয়াওয়ে মেট ৭০’ স্মার্টফোনের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার আত্মপ্রকাশ করেছে, যা প্রযুক্তি বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

হুয়াওয়ের এ উদ্যোগ মূলত যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠেছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে হুয়াওয়ে গুগলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই বাধা পেরোতে হুয়াওয়ে ধীরে ধীরে নিজেদের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রযুক্তি উন্নত করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে এগিয়েছে।

নতুন অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম দিন থেকে হুয়াওয়ের কাছে বড় পরিসরে অ্যাপ্লিকেশনের তালিকা না থাকলেও, দ্রুত ১৫ হাজারের বেশি অ্যাপ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে অ্যাপের স্বল্পতা থাকতে পারে। তবে এই প্ল্যাটফর্মে আরও ডিভাইস যুক্ত হলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও অ্যাপের বৈচিত্র্য বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন হারমোনি ওএস অপারেটিং সিস্টেমে হুয়াওয়েকে অ্যাপলের মতো একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার সুযোগ দিয়েছে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা আনতে পারে। ক্যামেরার মাধ্যমে চলন্ত বস্তুর ছবি নেওয়ার অভিনব কৌশল বা হাতের ইশারায় ফাইল স্থানান্তরের মতো অভিনব ফিচার প্রদর্শন করেছে হুয়াওয়ে। প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইতোমধ্যে এই ফিচারগুলো নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। 

উন্নত হার্ডওয়্যার ও নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহারের স্বাধীনতা পেয়ে হুয়াওয়ে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখাতে চায় যে তারা কী দিতে সক্ষম। অদূর ভবিষ্যতে হুয়াওয়ের এই পদক্ষেপ কি গুগল ও অ্যান্ড্রয়েডের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও নিজস্ব ইকোসিস্টেম গড়তে উৎসাহিত করবে? এ প্রশ্নের উত্তর সময় বলে দেবে।

/আবরার জাহিন

ইউটিউব শর্টসে তৈরি করা যাবে এআই চালিত ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
ইউটিউব শর্টসে তৈরি করা যাবে এআই চালিত ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড
ইউটিউব শর্টসে যুক্ত করা যাবে এআই জেনারেট ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড। ছবি: সংগৃহীত

ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের জনপ্রিয় শর্টস ফিচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চালিত ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করা যাবে। ড্রিম স্ক্রিন ফিচারের মাধ্যমে ইউটিউব শর্টসে এআই দিয়ে তৈরি এই ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করা যাবে। সম্প্রতি ফিচারটির ঘোষণা করেছে ইউটিউব। এর আগে ইউটিউব শর্টসে এই ফিচারের মাধ্যমে শুধু এআই জেনারেটেড ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করা যেত।

গুগলের ডিপমাইন্ড বিভাগের তৈরি এআই ভিডিও জেনারেশন মডেল ‘ভিও’-এর সাহায্যে ইউটিউব শর্টসে নতুন সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। এই এআই মডেল বিভিন্ন সিনেম্যাটিক স্টাইলে ১০৮০ পিক্সেলে রেজল্যুশনের ভিডিও ক্লিপ তৈরি করতে সক্ষম। ব্যবহারকারীরা এখন থেকে সরাসরি টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমে এআই ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করতে পারবেন।

এটি ব্যবহারের জন্য শর্টস ক্যামেরায় গিয়ে ‘গ্রিন স্ক্রিন’ আইকনে ক্লিক করুন। তার পর ‘ড্রিম স্ক্রিন’ নির্বাচন করুন। এর পর একটি প্রম্পট লিখতে হবে, যেমন ‘ক্যান্ডি ল্যান্ডস্কেপ ‘ বা ‘বন ও ঝরনা’। এর পর পছন্দের অ্যানিমেশন স্টাইল নির্বাচন করে ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন। ড্রিম স্ক্রিন টুলটি এর পর কয়েকটি ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করবে, যা থেকে আপনি পছন্দমতো একটি বেছে নিন। এবার এআই ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড নির্বাচন করে তার সামনে ভিডিও রেকর্ড করুন।

শর্টস ফিচারে এআই ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরির মতো সুবিধা এখন শুধু ইউটিউবে রয়েছে। শর্টফর্ম ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে শীর্ষস্থানীয় টিকটকে এআই চালিত ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি তৈরি করা যায়। তবে এখন পর্যন্ত ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরির সুযোগ নেই।

ফিচারটি আপাতত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে চালু করা হয়েছে। ইউটিউব আগামীতে নির্মাতাদের জন্য ৬ সেকেন্ডের ‘স্ট্যান্ড-অ্যালোন’ নামের ভিডিও ক্লিপ তৈরির ফিচার যোগ করতে চায়। নতুন এই ফিচার কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য শর্টস ভিডিও নির্মাণের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করবে।

/আবরার জাহিন