ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

এআই হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরাও

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
এআই হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরাও
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছ এআই হ্যাকাথন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ভিভাসফট লিমিটেড পেশাদারদের জন্য আয়োজন করতে যাচ্ছে এআই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কাজ করা পেশাদারদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সদ্য স্নাতক, স্টার্টআপ, উদ্ভাবক দল ও প্রযুক্তিবিদরাও অংশ নিতে পারবেন। কোনো প্রকার নিবন্ধন ফি ছাড়াই যে কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

অংশগ্রহণকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবেন। বিজয়ীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। আয়োজকরা মনে করছেন এই আয়োজন বাংলাদেশের এআই খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও তরুণদের উৎসাহিত করবে।

ভিভাসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শাফকাত আসিফ বলেন, ‘ভিভাসফটের এআই হ্যাকাথন একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, অন্যদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার ও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলারও সুযোগ থাকছে। এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এআই নিয়ে সৃজনশীলতা বিকাশ ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আয়োজন আমাদের উদ্ভাবকদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’

এই প্রতিযোগিতা তিনটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীরা তাদের আইডিয়া জমা দেবেন। এরপর নির্বাচিত আইডিয়াগুলো নিয়ে প্রজেক্ট তৈরি করে জমা দিতে হবে। সবশেষে, চূড়ান্ত পর্ব অর্থাৎ অন-সাইট হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রোটোটাইপ (প্রাথমিক সংস্করণ) প্রদর্শন করবেন এবং বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।

আইডিয়া জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০২৪। প্রোটোটাইপ প্রজেক্ট জমা দেওয়ার সময় ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। পরবর্তীতে, ২৫-২৬ জানুয়ারি ২০২৫ সালে চূড়ান্ত হ্যাকাথন পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় কোম্পানির হেডঅফিসে। নিবন্ধন ও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ভিভাসফট ওয়েবসাইটের হ্যাকাথন পেইজে।

/আবরার জাহিন

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন ম্যালওয়্যারের হানা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন ম্যালওয়্যারের হানা
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে সম্প্রতি একটি ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট (কোড) পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

হাজারো ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন ধরনের ম্যালওয়্যারের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা গোপনে ভুয়া অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ম্যালওয়্যারটি ক্ষতিকর প্লাগইনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য চুরি করছে। 

বিশ্বব্যাপী ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্ডপ্রেসে এ হামলা সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাইবার নিরাপত্তা গবেষক হিমাংশু আনন্দ বলেন, ‘কমপক্ষে পাঁচ হাজার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে সম্প্রতি একটি ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট (কোড) পাওয়া গেছে। এই কোড ওয়েবসাইট মালিকের অজান্তেই গোপনে অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এই অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্য স্ক্রিপ্টের মধ্যে লেখা থাকে, যা হ্যাকারদের জন্য ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সহজ করে দেয়।’  

স্ক্রিপ্টটি ভুয়া অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট তৈরির পর ওয়েবসাইটে একটি ক্ষতিকর প্লাগইন ইনস্টল করে। এটি ওয়েবসাইটের গোপন তথ্য চুরি করে, যার মধ্যে অ্যাডমিন লগইন ডিটেইলস ও ওয়েবসাইটের কার্যক্রমের বিবরণ রয়েছে। এসব তথ্য পরে দূরের একটি সার্ভারে পাঠানো হয়।  উল্লেখ্য, প্লাগইন হলো এমন একটি টুল যা ওয়েবসাইটে নতুন ফিচার যোগ করে বা বিদ্যমান ফিচার পরিবর্তন করে।

ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগইন ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও, এটি সাইবার আক্রমণের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা ওয়েবসাইট পরিচালকদের নিরাপত্তা বাড়াতে এবং অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও নিয়মিত আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছেন।  

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের নিজেদের সাইট নিরাপদ রাখতে অবিলম্বে সব প্লাগইন যাচাই করার ও সন্দেহজনক কার্যক্রম নজরে এলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ম্যালওয়্যার আরও জটিল আকারে ফিরে আসতে পারে। তাই নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা এখন সময়ের দাবি। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ  

/আবরার জাহিন

অ্যাডোবি ফটোশপে একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন একাধিক ব্যক্তি

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
অ্যাডোবি ফটোশপে একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন একাধিক ব্যক্তি
অ্যাডোবি ফটোশপে লাইভ কো-এডিটিং ফিচার। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাডোবি ফটোশপ ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর। এবার একই ফাইলে একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন একাধিক ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডোবি সম্প্রতি অ্যাডোবি ফটোশপে লাইভ কো-এডিটিং ফিচার চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটার থেকে একই ফাইল সম্পাদনা করতে পারবেন। 

যারা কোনো ডকুমেন্টের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে চান না, তাদের জন্য এটি দারুণ খবর। তবে যারা চূড়ান্ত আউটপুট শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাদের জন্য এটি খুব একটা আনন্দের নাও হতে পারে। অ্যাডোবি তাদের ‘অ্যাডোবি এক্সপ্রেস’-এ একই ধরনের একটি ফিচার আগে থেকে চালু করেছে।

অ্যাডোবি মনে করে, লাইভ কো-এডিটিং ফটোশপে নানা ধরনের কাজ সহজ করবে। এই ফিচার ব্যবহার করে অন্যান্য ডিজাইনারদের সঙ্গে সহযোগিতা করা, সেবা গ্রহীতাদের সরাসরি ডকুমেন্ট সম্পাদনা এবং মন্তব্যের সুযোগ দেওয়া অথবা শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের পাঠ অনুসরণ করতে সহায়তা করবে।

তবে এই ফিচার এখনো চূড়ান্ত নয়। এটি বর্তমানে বেটা সংস্করণে পরীক্ষামূলকভাবে চালু রয়েছে। যদি এই ফিচার পরীক্ষা করতে চান, তবে বেটা টেস্টিং প্রোগ্রামে সাইনআপ করতে হবে। উল্লেখ্য, অ্যাডোবি এক্সপ্রেসেও একই ধরনের একটি ফিচার আগে থেকে রয়েছে।

এ ছাড়া ক্যানভার মতো প্রতিযোগীরাও রিয়েল টাইম সহযোগিতার সুবিধা দিচ্ছে। ফটোশপে লাইভ কো-এডিটিং ফিচার ডিজাইনার ও ব্যবহারকারীদের জন্য কাজকে আরও সহজ, দ্রুত ও কার্যকর করে তুলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভিডিও গেম নির্মাণে বাড়তি খরচ কেন

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
ভিডিও গেম নির্মাণে বাড়তি খরচ কেন
ভিডিও গেমগুলোর আকার ও জটিলতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ভিডিও গেম তৈরি করতে এখন অনেক কোম্পানির শতকোটি টাকা ব্যয় করে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, কেন ভিডিও গেম নির্মাণে এত টাকা খরচ হচ্ছে? সম্প্রতি আমেরিকার দৈনিক পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভিডিও গেমগুলোতে আরও বেশি ফটো-রিয়ালিস্টিক বা বাস্তবসম্মত গ্রাফিক্স দেওয়ার প্রচেষ্টার ফলে এই খরচ বাড়ছে। তবে এতে বিনিয়োগের তুলনায় প্রত্যাশিত মুনাফা কমে আসছে। ফলে এ খাতে কর্মী ছাঁটাই ও স্টুডিও বন্ধ হওয়ার ঘটনা বাড়ছে।

তবে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক জেসন শ্রায়ার এই বিশ্লেষণকে পুরোপুরি সঠিক বলে মনে করেন না। তিনি অবশ্য স্বীকার করেন, গেম তৈরির খরচ নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০০৯ সালে ‘নটি ডগ’ স্টুডিওর ‘আনচার্টেড-২’ তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২ কোটি মার্কিন ডলার। অথচ ২০২০ সালে তাদের ‘দ্য লাস্ট অব আস পার্ট-২’ গেমটির বাজেট ছিল ২২ কোটি ডলার।

শ্রায়ারের ভাষ্যমতে, গ্রাফিক্সের উন্নতির জন্য খরচ বাড়ে। তবে আরও বড় কারণ হলো, গেমগুলোর আকার ও জটিলতা বাড়ার কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য আরও বেশি লোকবলের প্রয়োজন হয়। বড় দল দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে, ফলে ব্যয় বেড়ে যায়।

গেম শিল্পে যারা কয়েক বছর কাজ করেছেন, তাদের প্রত্যেকের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত নেতিবাচক অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে শ্রায়ার মন্তব্য করেন। যেমন- কোনো ফিচার বাতিল হয়ে যায়, শুধু একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সন্তানের পছন্দ না হওয়ার কারণে। আবার গেমটির ‘কোর লুপ’ বা মূল কাঠামো নিয়ে অনিশ্চয়তায় মাসের পর মাস সময় নষ্ট হয়। এ ধরনের দুর্বল ব্যবস্থাপনা শুধু কর্মীদের সময় ও শ্রম নষ্ট করে না, বরং প্রকল্পের সামগ্রিক ব্যয়ও বাড়িয়ে দেয়।

শ্রায়ার মনে করেন, ভিডিও গেম কোম্পানিগুলোর যদি সত্যিই বাজেটের লাগাম টানার প্রয়োজন হয়, তবে তাদের ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দেওয়া উচিত। সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে কর্মী এবং সময়ের অপচয় ঘটে, যা খরচ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ভিডিও গেম শিল্পে সফল হতে হলে কোম্পানিগুলোকে গ্রাফিক্সের মান উন্নত করার পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বও অনুধাবন করতে হবে। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

অনলাইনে নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যাকআপ ই-মেইল অ্যাড্রেস

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
অনলাইনে নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যাকআপ ই-মেইল অ্যাড্রেস
ব্যাকআপ ই-মেইল হলো একটি সেকেন্ডারি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট। ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহজ ও কার্যকরী উপায় একটি ব্যাকআপ ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করা। অনেকে এটি এড়িয়ে যান, তবে এটি ডিজিটাল নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার, ডেটা সুরক্ষা ও অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এটি সহজ ও কার্যকর একটি পদক্ষেপ, যা আপনার অনলাইন উপস্থিতি সুরক্ষিত রাখে।

ব্যাকআপ ই-মেইল অ্যাড্রেস কী?

ব্যাকআপ ই-মেইল হলো একটি সেকেন্ডারি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট, যা আপনার প্রাইমারি ই-মেইলের সঙ্গে লিংক করা থাকে। এটি সাধারণত পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার, ভেরিফিকেশন কোড, অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক কার্যকলাপের নোটিফিকেশন ও কম গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। 

প্রাইমারি ই-মেইলের তুলনায় ব্যাকআপ ই-মেইল অনেকটা অপ্রকাশিত থাকে। ফলে এতে সাইবার হামলার ঝুঁকি কম থাকে। এটি অনলাইন তথ্য সুরক্ষিত রাখতে আরেকটি নিরাপত্তার স্তর হিসেবে কাজ করে। 

কেন প্রয়োজন ব্যাকআপ ই-মেইল অ্যাড্রেস?

উন্নত নিরাপত্তা: প্রাইমারি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে ব্যাকআপ ই-মেইল অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এটি সাইবার আক্রমণ ও তথ্য চুরির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সুরক্ষার স্তর হিসেবে কাজ করে। 

সহজ অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার: পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা লগইন করতে না পারলে, পাসওয়ার্ড রিসেট লিংক ও ভেরিফিকেশন কোড সহজে ব্যাকআপ ই-মেইলের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

সংগঠিত ডিজিটাল বিচরণ: কম গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল ও বিজ্ঞাপন থেকে আপনার প্রাইমারি ইনবক্সকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে ব্যাকআপ ই-মেইল। ফলে জরুরি বার্তা দ্রুত খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। 

ব্যাকআপ ই-মেইল ব্যবহারের পদ্ধতি 

একটি সুরক্ষিত ব্যাকআপ ই-মেইল তৈরি করুন। এর জন্য নির্ভরযোগ্য ই-মেইল সেবা বেছে নিন। যেখানে এনক্রিপশন ও টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের সুবিধা রয়েছে। একটি ইউনিক ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করুন, যা আপনার নাম বা পরিচয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। এটি সাইবার নিরাপত্তা আরও বাড়ায়। একই সঙ্গে ই-মেইলের জন্য শক্তিশালী ও ইউনিক পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। 

এরপর ব্যাকআপ ই-মেইলটি প্রাইমারি অ্যাকাউন্টে লিংক করুন। ব্যাংকিং, শপিং ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে ব্যাকআপ ই-মেইলটি সংযুক্ত করুন। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন ও নিশ্চিত করুন যে এটি কাজ করছে। 

ব্যাকআপ ই-মেইল অ্যাকাউন্টে নিয়মিত লগইন করুন ও নোটিফিকেশন চেক করুন। প্রতি ছয় মাসে পাসওয়ার্ড আপডেট করার অভ্যাস করুন।

 

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের চলাচলে সহায়ক হেডসেট

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ এএম
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের চলাচলে সহায়ক হেডসেট
হ্যাপটিক প্রযুক্তির হেডসেট প্রদর্শন ডটলুমেনর। ছবি: সংগৃহীত

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও ক্ষীণদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার উন্মোচন করেছে রোমানিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডটলুমেন। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রযুক্তিপণ্যের মেলা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো ২০২৫ (সিইএস ২০২৫)-এ হ্যাপটিক প্রযুক্তির হেডসেট নিয়ে হাজির হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এটি এমন এক ধরনের প্রযুক্তি, যা স্পর্শের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করে বা ব্যবহারকারীর শরীরে স্পর্শের অনুভূতি সৃষ্টি করে। এটি একটি ‘সেলফ-ড্রাইভিং’ সিস্টেম, যা চলার পথে বাধা এড়াতে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করে। এটি মূলত একটি ইলেকট্রনিক গাইড ডগের মতো কাজ করে।

হেডসেটটি দেখতে ভিআর গিয়ারের মতো, সামনের অংশটি কপাল ও চোখের ঠিক ওপরে থাকে। পেছনে একটি ভারী পাওয়ার ও প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে। ভারসাম্য বজায় রাখতে ডিজাইনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে এটি সহজেই বহনযোগ্য হয়।  

হেডসেটের সামনের দিকে ছয়টি কম্পিউটার ভিশন ক্যামেরা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কাছাকাছি দূরত্বের এবং বাকি তিনটি দূরের দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করে। এই সিস্টেমের ধারণাটি এসেছে টেসলার ক্যামেরা সিস্টেম থেকে।  

হেডসেটটিতে ছোট ছোট কম্পনকারী মোটর যুক্ত আছে, যা ব্যবহারকারীর কপালে স্পর্শের অনুভূতি সৃষ্টি করে। এই কম্পনগুলো ব্যবহারকারীকে পথের বাধা, যেমন- অন্য মানুষ বা কোনো বস্তু সম্পর্কে সতর্ক করে। যদি কম্পন কপালের মাঝখানে থাকে, তা হলে সামনের পথ নিরাপদ। আর কম্পন একপাশে সরে গেলে, ব্যবহারকারীকে সে অনুযায়ী ঘুরতে হয়।  

হেডসেটে একটি ভয়েস গাইডও রয়েছে, যা জনাকীর্ণ এলাকা সম্পর্কে সতর্ক করে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, হেডসেটটি একবার চার্জে প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলবে। প্রয়োজনে ইউএসবি-সি ব্যাটারি প্যাক সংযোগ করেও এটি চালানো সম্ভব।  

সিইএস ২০২৫ প্রদর্শনীতে ডটলুমেনের হেডসেট পরীক্ষা করা হয়েছে। ভিড়ে ঠাসা প্রদর্শনীস্থলে চোখ বাধা অবস্থায় হেডসেট ব্যবহার করে পরীক্ষক পথ চলেছেন। চলার পথ সরু হয়ে গেলে হেডসেটটি সতর্ক করেছে।  

ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের সংঘর্ষ এড়িয়ে সঠিক পথে চলার নির্দেশ দিতে পেরেছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়, তবে প্রযুক্তিটি সম্ভাবনাময় মনে হয়েছে। এর কার্যকারিতা ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার নিশ্চিত করতে আরও গবেষণার প্রয়োজন হলেও এটি জীবনমান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।  

ডটলুমেন শিগগিরই ইউরোপে হেডসেটটি বাজারজাত করবে। এর দাম ১০ হাজার ইউরোর নিচে রাখা হবে বলে জানা গেছে। যদিও এটি অনেক ব্যয়বহুল মনে হচ্ছে, তবে একটি গাইড কুকুর প্রশিক্ষণের ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম। যুক্তরাষ্ট্রে একটি গাইড কুকুর প্রশিক্ষণে প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়।