ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

নতুন বছরের নতুন ভাবনা লিখে রাখুন গুগল কিপে

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
নতুন বছরের নতুন ভাবনা লিখে রাখুন গুগল কিপে
ডিজিটাল নোটবুকের মতো কাজ করে গুগল কিপ। ছবি: সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততায় অনেক সময় আমাদের লক্ষ্য ভুলে যাই। গুগল কিপ অ্যাপটি এই লক্ষ্যগুলো মনে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

গুগলের মোবাইল ও ওয়েব ভিত্তিক একটি অ্যাপ্লিকেশন ‘গুগল কিপ’, যা দৈনন্দিন কাজের তালিকা, নোট, ধারণা ও অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে। এটি একটি ডিজিটাল নোটবুকের মতো কাজ করে। এটিতে যেকোনো সময় নোটগুলো ব্যবহার করা যায়। 

কোনো ভাবনা মাথায় আসলে তা দ্রুত লিখে রাখতে পারেন গুগল কিপে। কেনাকাটা করতে যাবেন, কোন কাজ করতে হবে, এসবের তালিকা সহজে তৈরি করে ফেলুন এটিতে। যখন হাত ব্যবহার করার সময় নেই, তখন ভয়েস নোট করে রাখুন। গুগল কিপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা টেক্সটে রূপান্তর করে দেবে।

গুগল কিপ খুব সহজে নোট তৈরি করা যায়, যাতে লেখা ও ছবি যোগ করা যায়। নোটগুলোকে বিভিন্ন রং, লেবেল ও ফোল্ডারে সাজিয়ে রাখা যায়। এতে করে নোটগুলো খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ হয়। চাইলে নোটগুলো অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা যায়। ফোন, ট্যাবলেট, কম্পিউটার ও ওয়েব ব্রাউজার থেকে ব্যবহার করা যায় এটি। যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে, তবুও গুগল কিপ ব্যবহার করা যায়।

স্মিশিং হামলা নিষ্ক্রিয় করতে পারে আইফোনের সুরক্ষা ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
স্মিশিং হামলা নিষ্ক্রিয় করতে পারে আইফোনের সুরক্ষা ব্যবস্থা
আইমেসেজ ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে এসএমএস ফিশিং হামলা। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাপল আইমেসেজ ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে একটি বিপজ্জনক স্মিশিং (এসএমএস ফিশিং) হামলা চালানো হচ্ছে। এই আক্রমণ সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে আইমেসেজের বিল্ট-ইন ফিশিং সুরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর করছে। এটি লাখ লাখ ব্যবহারকারীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। তবে একটি নিরাপত্তা ফিচার পরিবর্তন করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

আইমেসেজ সুরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে নিষ্ক্রিয় করে  স্মিশিং আক্রমণ

অ্যাপলের আইমেসেজে বিল্ট-ইন সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা অপরিচিত প্রেরকের পাঠানো লিঙ্ক ব্লক করে। এটি ক্ষতিকর লিঙ্ক থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে সাইবার অপরাধীরা একটি উপায় খুঁজে বের করেছে, যা ব্যবহারকারীদের এই সুরক্ষা ফিচার অকার্যকর করতে প্রলুব্ধ করে। 

স্মিশিং আক্রমণে ভুয়া বার্তা পাঠানো হয়, যা ব্যবহারকারীদের ‘Y (হ্যাঁ) বা N (না)’ দিয়ে উত্তর দিতে বলে। বার্তাগুলোতে ভুয়া ডেলিভারি সতর্কতা বা বকেয়া টোলের বার্তা দেওয়া হয়। ব্যবহারকারী উত্তর দিলে, আইমেসেজ সেটি পরিচিত প্রেরক হিসেবে চিহ্নিত করে এবং লিঙ্ক সক্রিয় হয়ে যায়।  

ব্লিপিং কম্পিউটারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বার্তায় ব্যবহারকারীদের বলা হয়, ‘টেক্সট বার্তাটি বন্ধ করে পুনরায় চালু করুন অথবা লিঙ্কটি কপি করে সাফারি ব্রাউজারে ওপেন করুন।’ এতে ব্যবহারকারীরা ফিশিং সাইটে প্রবেশ করে, যেখানে তাদের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য চুরি করা হয়। এসব তথ্য পরে ব্যক্তিগত পরিচয় চুরি, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ও অন্যান্য অপরাধে ব্যবহৃত হয়।  

কেন ব্যবহারকারীরা এই ফাঁদে পা দেন  

অনেক ব্যবহারকারী সাধারণত বৈধ অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা সতর্কতার জন্য ‘STOP, YES, বা NO’ দিয়ে উত্তর দেন। আক্রমণকারীরা এই আচরণ কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের বুঝতে দেয় না যে, তারা একটি ফিশিং বার্তায় প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। এমনকি লিঙ্কে ক্লিক না করলেও, উত্তর দেওয়ায় সাইবার অপরাধীরা বুঝতে পারে যে, আপনি এমন বার্তায় সাড়া দেন। এটি আপনাকে ভবিষ্যতের স্মিশিং আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে।  

কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন

অপরিচিত নম্বর থেকে পাঠানো বার্তার জবাব দিলে অ্যাপলের বিল্ট-ইন সুরক্ষা ফিচার নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। বিশেষ করে বার্তাটি যদি কোনো অপ্রত্যাশিত পার্সেল বা অজানা জরিমানার বিষয়ে হয়। অপরিচিত সূত্র থেকে প্রাপ্ত লিঙ্কগুলোকে সব সময় ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচনা করুন ও ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।  আপনার কাছে কোনো পার্সেল বা জরিমানা থাকার বিষয়ে সন্দেহ হলে আইমেসেজ বন্ধ করুন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহকসেবার তথ্য যাচাই করুন। বার্তার লিঙ্ক ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ওপেন করবেন না।   

এ ধরনের বার্তায় সতর্ক থাকুন, যা আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চাপ দেয়, সীমিত সময়ের জন্য অফার দেয় বা প্রতিক্রিয়া না দিলে নেতিবাচক ফলাফলের হুমকি দেয়। বেশিরভাগ ফিশিং স্ক্যাম এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে আপনি চিন্তাভাবনার আগে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হন। যেন বুঝে ওঠার আগেই আক্রমণকারীদের কাছে আপনার তথ্য তুলে দেন।  সতর্কতা ও সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে স্মিশিং আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

টেকসই উন্নয়নে বেসিসের সেমিনার

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৮ এএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২২ এএম
টেকসই উন্নয়নে বেসিসের সেমিনার
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অসাধারণ সাফল্য, সম্ভাবনা এবং আগামীর গতিশীল বিশ্বের বৈশ্বিক ডিজিটাল হাবে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র, পূর্বাচলে আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ: দ্য ইমার্জিং আইসিটি পাওয়ার হাউজ’ শীর্ষক সেমিনার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার (সমন্বয় এবং সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিদে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক বেবী রানি কর্মকার। 

এ ছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে জেট্রোর প্রধান প্রতিনিধি ইউজি আন্দো, কোট্রার নির্বাহী পরিচালক সামসু কিম এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে বেসিস প্রশাসক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৩৭টিরও বেশি দেশে ৮৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আইসিটি পরিষেবা রপ্তানি করেছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সব স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান তিনি। 

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বাস্তবায়নে দক্ষ জনশক্তি তৈরি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ 

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য ফিদা হক। বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য রাইসুল কবির ও বেসিস সদস্য সৈয়দ মোশাররফ আলী তথ্যপ্রযুক্তিতে তাদের নিজ নিজ কোম্পানির সফলতার গল্প তুলে ধরেন। 

সেমিনারে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ থেকে ৮ মিলিয়ন দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাদার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’ 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক বেবী রানি কর্মকার তরুণ উদ্ভাবকদের সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তিনির্ভর একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নির্মাণে তাদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই বছরের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২৫-এ দর্শনার্থীদের প্রবেশের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা প্রযুক্তি ব্যবহারের দারুণ উদাহরণ। 

সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং সমাপনী বক্তব্য দেন বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য (অর্থ) ফৌজিয়া নিগার সুলতানা। 

সেমিনারে এই সেক্টরের বিশাল সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়। ই-ট্যাক্স ফাইলিং সিস্টেম, ভূমি নামজারি প্রক্রিয়া এবং টেলিহেলথ কন্টাক্ট সেন্টারের মতো রূপান্তরমূলক প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের গল্প তুলে ধরা হয়- যা মূলত বেসিস সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত।

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন ম্যালওয়্যারের হানা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন ম্যালওয়্যারের হানা
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে সম্প্রতি একটি ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট (কোড) পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

হাজারো ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন ধরনের ম্যালওয়্যারের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা গোপনে ভুয়া অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ম্যালওয়্যারটি ক্ষতিকর প্লাগইনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য চুরি করছে। 

বিশ্বব্যাপী ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্ডপ্রেসে এ হামলা সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাইবার নিরাপত্তা গবেষক হিমাংশু আনন্দ বলেন, ‘কমপক্ষে পাঁচ হাজার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে সম্প্রতি একটি ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট (কোড) পাওয়া গেছে। এই কোড ওয়েবসাইট মালিকের অজান্তেই গোপনে অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এই অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্য স্ক্রিপ্টের মধ্যে লেখা থাকে, যা হ্যাকারদের জন্য ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সহজ করে দেয়।’  

স্ক্রিপ্টটি ভুয়া অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট তৈরির পর ওয়েবসাইটে একটি ক্ষতিকর প্লাগইন ইনস্টল করে। এটি ওয়েবসাইটের গোপন তথ্য চুরি করে, যার মধ্যে অ্যাডমিন লগইন ডিটেইলস ও ওয়েবসাইটের কার্যক্রমের বিবরণ রয়েছে। এসব তথ্য পরে দূরের একটি সার্ভারে পাঠানো হয়।  উল্লেখ্য, প্লাগইন হলো এমন একটি টুল যা ওয়েবসাইটে নতুন ফিচার যোগ করে বা বিদ্যমান ফিচার পরিবর্তন করে।

ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগইন ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও, এটি সাইবার আক্রমণের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা ওয়েবসাইট পরিচালকদের নিরাপত্তা বাড়াতে এবং অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও নিয়মিত আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছেন।  

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের নিজেদের সাইট নিরাপদ রাখতে অবিলম্বে সব প্লাগইন যাচাই করার ও সন্দেহজনক কার্যক্রম নজরে এলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ম্যালওয়্যার আরও জটিল আকারে ফিরে আসতে পারে। তাই নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা এখন সময়ের দাবি। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ  

/আবরার জাহিন

অ্যাডোবি ফটোশপে একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন একাধিক ব্যক্তি

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
অ্যাডোবি ফটোশপে একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন একাধিক ব্যক্তি
অ্যাডোবি ফটোশপে লাইভ কো-এডিটিং ফিচার। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাডোবি ফটোশপ ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর। এবার একই ফাইলে একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন একাধিক ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডোবি সম্প্রতি অ্যাডোবি ফটোশপে লাইভ কো-এডিটিং ফিচার চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটার থেকে একই ফাইল সম্পাদনা করতে পারবেন। 

যারা কোনো ডকুমেন্টের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে চান না, তাদের জন্য এটি দারুণ খবর। তবে যারা চূড়ান্ত আউটপুট শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাদের জন্য এটি খুব একটা আনন্দের নাও হতে পারে। অ্যাডোবি তাদের ‘অ্যাডোবি এক্সপ্রেস’-এ একই ধরনের একটি ফিচার আগে থেকে চালু করেছে।

অ্যাডোবি মনে করে, লাইভ কো-এডিটিং ফটোশপে নানা ধরনের কাজ সহজ করবে। এই ফিচার ব্যবহার করে অন্যান্য ডিজাইনারদের সঙ্গে সহযোগিতা করা, সেবা গ্রহীতাদের সরাসরি ডকুমেন্ট সম্পাদনা এবং মন্তব্যের সুযোগ দেওয়া অথবা শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের পাঠ অনুসরণ করতে সহায়তা করবে।

তবে এই ফিচার এখনো চূড়ান্ত নয়। এটি বর্তমানে বেটা সংস্করণে পরীক্ষামূলকভাবে চালু রয়েছে। যদি এই ফিচার পরীক্ষা করতে চান, তবে বেটা টেস্টিং প্রোগ্রামে সাইনআপ করতে হবে। উল্লেখ্য, অ্যাডোবি এক্সপ্রেসেও একই ধরনের একটি ফিচার আগে থেকে রয়েছে।

এ ছাড়া ক্যানভার মতো প্রতিযোগীরাও রিয়েল টাইম সহযোগিতার সুবিধা দিচ্ছে। ফটোশপে লাইভ কো-এডিটিং ফিচার ডিজাইনার ও ব্যবহারকারীদের জন্য কাজকে আরও সহজ, দ্রুত ও কার্যকর করে তুলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভিডিও গেম নির্মাণে বাড়তি খরচ কেন

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
ভিডিও গেম নির্মাণে বাড়তি খরচ কেন
ভিডিও গেমগুলোর আকার ও জটিলতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ভিডিও গেম তৈরি করতে এখন অনেক কোম্পানির শতকোটি টাকা ব্যয় করে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, কেন ভিডিও গেম নির্মাণে এত টাকা খরচ হচ্ছে? সম্প্রতি আমেরিকার দৈনিক পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভিডিও গেমগুলোতে আরও বেশি ফটো-রিয়ালিস্টিক বা বাস্তবসম্মত গ্রাফিক্স দেওয়ার প্রচেষ্টার ফলে এই খরচ বাড়ছে। তবে এতে বিনিয়োগের তুলনায় প্রত্যাশিত মুনাফা কমে আসছে। ফলে এ খাতে কর্মী ছাঁটাই ও স্টুডিও বন্ধ হওয়ার ঘটনা বাড়ছে।

তবে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক জেসন শ্রায়ার এই বিশ্লেষণকে পুরোপুরি সঠিক বলে মনে করেন না। তিনি অবশ্য স্বীকার করেন, গেম তৈরির খরচ নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০০৯ সালে ‘নটি ডগ’ স্টুডিওর ‘আনচার্টেড-২’ তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২ কোটি মার্কিন ডলার। অথচ ২০২০ সালে তাদের ‘দ্য লাস্ট অব আস পার্ট-২’ গেমটির বাজেট ছিল ২২ কোটি ডলার।

শ্রায়ারের ভাষ্যমতে, গ্রাফিক্সের উন্নতির জন্য খরচ বাড়ে। তবে আরও বড় কারণ হলো, গেমগুলোর আকার ও জটিলতা বাড়ার কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য আরও বেশি লোকবলের প্রয়োজন হয়। বড় দল দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে, ফলে ব্যয় বেড়ে যায়।

গেম শিল্পে যারা কয়েক বছর কাজ করেছেন, তাদের প্রত্যেকের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত নেতিবাচক অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে শ্রায়ার মন্তব্য করেন। যেমন- কোনো ফিচার বাতিল হয়ে যায়, শুধু একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সন্তানের পছন্দ না হওয়ার কারণে। আবার গেমটির ‘কোর লুপ’ বা মূল কাঠামো নিয়ে অনিশ্চয়তায় মাসের পর মাস সময় নষ্ট হয়। এ ধরনের দুর্বল ব্যবস্থাপনা শুধু কর্মীদের সময় ও শ্রম নষ্ট করে না, বরং প্রকল্পের সামগ্রিক ব্যয়ও বাড়িয়ে দেয়।

শ্রায়ার মনে করেন, ভিডিও গেম কোম্পানিগুলোর যদি সত্যিই বাজেটের লাগাম টানার প্রয়োজন হয়, তবে তাদের ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দেওয়া উচিত। সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে কর্মী এবং সময়ের অপচয় ঘটে, যা খরচ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ভিডিও গেম শিল্পে সফল হতে হলে কোম্পানিগুলোকে গ্রাফিক্সের মান উন্নত করার পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বও অনুধাবন করতে হবে। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ