ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

কবিতা লিখতে চাইলে যা জানতে হবে

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
কবিতা লিখতে চাইলে যা জানতে হবে

কবিতা ভালোবাসে না এমন টিনএজ খুঁজে পাওয়া বিরল। তবে এদের মধ্যে আবার অনেকেই কবিতা লেখার চেষ্টা করে। কিন্তু কীভাবে কবিতা লিখতে হবে, তা না জানার কারণে সেটা আর লেখা হয়ে ওঠে না। কবিতা লিখতে গেলে, কবিতা লেখার নিয়ম জানতে হবে। হতে পারে, আপনি কি প্রথমবারের মতো কবিতা লিখতে বসছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন কবিতা কীভাবে লিখতে হয়?

কবিতা লেখার নিয়ম জানা না থাকলে, কবিতা লেখা অনেক কষ্টের বিষয়। কবিতা লেখার সময় কিছু সাধারণ নিয়ম-কানুন জানা থাকলে, আপনি সহজেই আপনার মনের ভাব কবিতা দ্বারা প্রকাশ করতে পারবেন।

এটা সত্য, নিয়মের বেড়াজালে মনের ভাবকে আটকানো ঠিক না। এর ফলে সঠিকভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এটাও সত্য, যুগ যুগ ধরে সব কবি কিছু নিয়ম অনুসরণ করে এসেছেন। আর সেজন্য আজকে আমরা, কবিতা লেখার নিয়ম ও আধুনিক কবিতা লেখার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কবিতা কী?
কবিতা লেখা শুরু করার আগে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে, কবিতা কী। কবিতা হলো শব্দের সংগ্রহ বা বিন্যাস, যারা মনের ভাব এবং ধারণা সহজে প্রকাশ করা যায় ছন্দ বা কল্পনার দ্বারা। মনে রাখতে হবে, কবিতা ছোট ছোট লাইনে লেখা হয় এবং বড় বড় রচনা লিখলে কবিতা হবে না।
পূর্ণ এবং অপূর্ণ লাইন কবিতায় ব্যবহার করা যায়। বিশেষভাবে মনে রাখার বিষয় হলো, সব কবিতায় ছন্দের প্রয়োজন হয় না। কিছু কিছু কবিতার ছন্দ দিয়ে লেখা হয় আর কিছু কিছু কবিতার ছন্দ ছাড়া লেখা হয়। 

কবিতা লেখার উদ্দেশ্য 
কবিতা লেখার সময় আপনাকে বুঝতে হবে, কেন আপনি কবিতা লিখতে চান এবং কেমন মনের ভাব প্রকাশ করতে চান। কবিতা লেখার উদ্দেশ্যের মধ্যে যা যা পড়বে- 
কবিতা লেখার ধরন (Style)
কবিতা বড় হবে না ছোট (Size)
কোন ভাষায় কবিতা লিখবেন (Language)
কার জন্য কবিতা লিখবেন (আপনি নিজের জন্য অথবা অন্য কারও জন্য কবিতা লিখতে পারেন অথবা প্রকাশ করার জন্য লিখতে পারেন)

কবিতার বিষয় নির্ধারণ
কবিতা লেখার শুরুতে আপনাকে একটি বিষয় নির্ধারণ করে নিতে হবে। কবিতা লেখার আগে ঠাণ্ডা মাথায় একটি বিষয় ঠিক করতে হবে। যে বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে আপনি কবিতাটি লিখবেন। কবিতা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখা যায়। সচরাচর যেসব বিষয়ে কবিতা লেখা হয়, তার মধ্যে আছে-
আবেগ (Emotion): আপনি নিজের আবেগ প্রকাশের জন্য কবিতা লিখতে পারেন। যেমন- ভালোবাসা বা ভয়।
ব্যক্তি, স্থান (Person, Place): আপনি যেকোনো ব্যক্তি বা স্থানের গুণ বা রূপের বর্ণনা দিয়ে কবিতা লিখতে পারেন।
সত্য বা কাল্পনিক (Real or friction): আপনি সত্যিকারের জীবন কাহিনি বা কাল্পনিক কাহিনি দিয়ে কবিতা লিখতে পারেন।
মনের ভাব (Feeling): আপনি নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য কবিতা লিখতে পারেন।
বস্তু বা প্রাণী (Object or animal): আপনি কোনো বস্তু বা প্রাণীর বৈশিষ্ট্য বা জীবন নিয়ে কবিতা লিখতে পারেন।
সময় (Time): আপনি যেকোনো সময়ের ওপর কবিতা লিখতে পারবেন। যেমন- অতীত, ভবিষ্যৎ বা বর্তমান।

কবিতার বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা করা
আপনার বিষয় নির্ধারণ করা শেষ হলে। সেই বিষয় নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে এবং কীভাবে আপনার কবিতাটি আপনি ফুটিয়ে তুলবেন তা ভাবতে হবে। প্রথমে আপনাকে ভাবতে হবে কিছু শব্দ, যা দিয়ে আপনার পুরো কবিতাটি সাজাবেন। শব্দগুলোর আপনার কবিতার বিষয়ের সঙ্গে মিল থাকতে হবে। কবি যখন কবিতা লেখে, প্রথমে সে কবিতার বিষয় নিয়ে কল্পনা করে। মনে মনে তার কবিতা সাজিয়ে ফেলে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কবিতা লেখার নিয়ম। যেমন- আপনি একটি চেয়ার নিয়ে কবিতা লিখতে চান, প্রথমে আপনাকে কল্পনা করতে হবে চেয়ারটি যদি জীবিত হতো তাহলে, তার চিন্তাভাবনা, কথাবার্তা বা ভাবনা শক্তি কেমন হতো। আপনার কল্পনার জগতে আপনি বিভিন্ন জিনিস চিন্তা করতে পারেন। সেসব কল্পনা আপনার কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন মানুষের কাছে।

কবিতা লেখার ধরন নির্ধারণ করতে হবে
আপনি কোন ধরনের কবিতা লিখতে চান তা নির্ধারণ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কবিতা কোন ধরনের হবে, তাতে ছন্দ থাকবে কি না, এসব বিষয় চিন্তা করে কবিতার ধরন নির্ধারণ করা উচিত। কবিতা লেখার নিয়ম হিসেবে এই নিয়মকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে।

কবিতার ধরন
Acrostic: কবিতা প্রথম শব্দের প্রথম অক্ষরটি প্রত্যেক লাইনে উচ্চারণ হবে।
Free verse: কোন নিয়ম-কানুন ব্যবহার না করে, নিজের মতো কবিতা যেকোনো কিছু লিখে মনের ভাব প্রকাশ করা।
Haiku: এটি একটি সংক্ষিপ্ত কবিতা এবং এর নির্দিষ্ট সংখ্যার সিলেবল ব্যবহার করা হয় প্রত্যেক লাইনে।
I Am: সম্পূর্ণ কবিতাটি নিজের সম্পর্কে লেখা এবং অন্য কোনো নিয়মকানুন ব্যবহার না করা।
Narrative: সম্পূর্ণ কবিতাটি একটি গল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করা।
Rhyming couplets: কবিতার ২টি লাইনের শেষ শব্দ, ছন্দ হিসেবে ব্যবহার হয়।

টাইটেল এবং কবিতার প্রথম লাইন দেখতে হবে
কবিতা লেখা শুরু করার আগে আপনাকে কবিতার একটি টাইটেল চিন্তা করে নিতে হবে। যখন আপনি কবিতার বিষয়, লেখার ধরন এবং ফরম্যাট পেয়ে যাবেন, তারপর আপনাকে কবিতার টাইটেল সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। বিশেষভাবে মনে রাখবেন, কবিতার টাইটেল দেখে মানুষ আপনার কবিতা পড়বেন, তাই টাইটেলটি হতে হবে কবিতার বিষয়ের সঙ্গে মানানসই।

এরপর আপনাকে কবিতার প্রথম লাইন লিখতে হবে। কবিতা লেখার সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে কবিতার প্রথম লাইন গুছিয়ে লেখা। অনেক সময় আপনার কবিতা প্রথম লাইনটি আপনি আপনার কবিতার টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথম লাইনটি লেখা হয়ে গেলে, আপনি দ্রুত কবিতা শেষ করতে পারবেন।

কবিতার বাকি অংশ লিখতে হবে
কবিতার প্রথম লাইন লেখা হয়ে গেলে আপনি খুব দ্রুত কবিতা সম্পূর্ণ করতে পারবেন। কারণ, প্রথম লাইনের সঙ্গে বাকি সব লাইনের সম্পর্ক থাকে। কবিতার বাকি অংশ লেখার সময় আপনি পূর্ণ বাক্য ব্যবহার করবেন, না অপূর্ণ বাক্য ব্যবহার করবেন, তা ভেবে নিতে হবে। কবিতা ছোট হবে না, বড় হবে তা বাকি অংশ লিখলে বুঝতে পারবেন।

কবিতার ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়া
যখন আপনার কবিতা লেখা শেষ হয়ে যাবে তখন আপনাকে কবিতাটি ভালো করে পড়তে হবে বারবার। কারণ, কবিতা বারবার পড়লেই আপনি আপনার ভুল-ত্রুটি ধরতে পারবেন। বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, বানান ভুল থাকলে শুদ্ধ করা। ছন্দ এবং তাল ঠিক রাখা। কঠিন শব্দ ব্যবহার না করে সহজ শব্দ ব্যবহার করা। ধরন ঠিক রাখা। কবিতার বিষয়বস্তু ঠিক রাখা। মূলভাব প্রকাশ হয়েছে কি না, তা বিশ্লেষণ করা। 

পরিশেষে
আশা করি কবিতা লেখার নিয়ম নিয়ে তেমন কোনো সংশয় নেই। কবিতা লেখার জন্য আপনাকে সাধারণ কিছু নিয়মকানুন জানতে হবে, নাহলে আপনার কবিতা ভালো হবে না এবং আপনি আপনার মনের ভাব মানুষের কাছে প্রকাশ করতে পারবেন না। আরও বিশদভাবে কবিতা লেখার নিয়ম জানতে চাইলে লাইব্রেরিতে এ সম্পর্কিত অনেক বই আছে, সেগুলো পাঠ করতে পারেন।

জাহ্নবী

অবসর কাটুক পাজলে

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
অবসর কাটুক পাজলে
ছবি সংগৃহীত

অবসরে ধাঁধা মেলাতে অনেকেই পছন্দ করি। মস্তিষ্ককে একটু শান দিতে পাজল বা ধাঁধার সমাধান করতে চাই সবাই। তাছাড়া বর্তমান সময়ের টিনএজারদের অবসর কাটানো অনেকটা স্মার্টফোন কেন্দ্রিক। তাই স্মার্টফোনে অবসর কাটাতে চলুন কিছু পাজল গেমের সঙ্গে পরিচিত হয়ে নিই।

সুডোকু মিলাও

জনপ্রিয় এবং খুবই সাধারণ একটি ধাঁধা বা পাজল গেম সুডোকু। সংখ্যাভিত্তিক এই ধাঁধা আমরা সবাই চিনি। অবসর কাটানোর জন্য সুডোকু মিলানো একটি ভালো উপায়। পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই সুডোকু দেওয়া থাকে। সেসব মিলানো যেতে পারে কিংবা অনলাইনে sudoku.com থেকে সুডোকু মিলাতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকমের সুডোকু আছে। সহজ, কঠিন নানাভাবে মিলানো যাবে। যেহেতু পত্রিকায় একাধিক সুডোকু থাকে না। তাই এখান থেকে একের পর এক ধাঁধা সমাধান করে মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন।

ব্রেইন আউট

আইকিউ বাড়াতে ব্রেইন আউট খেলতে পারেন। ব্রেইন আউট হলো এক ধরনের পাজলভিত্তিক গেম। এটি গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাবে। যুক্তি, সৃজনশীলতা এবং স্মৃতিকে পরখ করার জন্য ডিজাইন করা মস্তিষ্কের টিজার এবং ধাঁধায় পূর্ণ একটি মজাদার এবং অদ্ভুত গেম এই ব্রেইন আউট। এই গেমে বিভিন্ন লেভেল আছে। প্রতিটি ধাঁধা সমাধানের মাধ্যমে উপরের লেভেলে উঠা যাবে। জটিল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ ধাঁধার সমাধান করতে এ গেমটি অবসরে খেলা যেতে পারে।

ম্যাথ রিডল অ্যান্ড পাজল

সংখ্যা বা গণিতের ধাঁধা পছন্দ করে এমন টিনএজারের সংখ্যা কম নয়। গাণিতিক ধাঁধা সমাধানে যেমন দক্ষতা বাড়ে তেমনি অবসর কাটাতে অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। অবসর কাটানোর তেমনি একটি অ্যাপ ‘Math | Riddle and Puzzle Game’। এই গেমে ১০০টির মতো গাণিতিক ধাঁধা আছে। জ্যামিতিক চিত্র কিংবা গাণিতিক সমীকরণের জটিল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ সব ধাঁধা আছে এখানে। এগুলো সমাধান করে আইকিউ বাড়ানো যাবে।

কাট দ্য রোপ

চমৎকার পাজলভিত্তিক জনপ্রিয় গেম কাট দ্য রোপ। প্লে স্টোর থেকে এ গেমটিও ডাউনলোড করা হয়েছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন বার। প্রায় আড়াই মিলিয়নের বেশি লোক রেটিং দিয়েছে। এটি মূলত পদার্থবিজ্ঞানভিত্তিক ধাঁধার গেম। যেখানে গেমের একটি চরিত্রকে ক্যান্ডি খাওয়ানোর জন্য সঠিকভাবে দঁড়ি কাটতে হয়। এভাবে ধাঁধার সমাধান করে এগিয়ে যেতে হয় গেমে। জনপ্রিয় এই অফলাইন গেমটি অবসরের সঙ্গী হতে পারে।

ইনফিনিটি লুপ

অবসরে খেলার মতো আরেকটি পাজল গেম ইনফিনিটি লুপ। এই খেলার নিয়ম খুব সহজ এবং গেমের ডিজাইনও খুব সাদামাটা। এই গেমে লুপকে বিভিন্নভাবে সাজাতে হবে। তাহলে প্রতিটি ধাপ পার করা যাবে। আইকিউ এবং ফোকাসের দক্ষতা বাড়াতে অবসরে এই গেম খেলা যেতে পারে।

 

মেহেদী

শিক্ষকতা করতে চান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাঈম

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
শিক্ষকতা করতে চান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাঈম
নাঈম হোসাইন

দেখতে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ মনে হলেও আর দশজন মানুষের মতো নন নাঈম হোসাইন। জন্ম থেকেই দৃষ্টিশক্তিহীন তিনি। অন্য সবার মতো সুন্দর এই পৃথিবীকে একনজর দেখার সৌভাগ্য হয়নি তার। চোখে দেখতে পান না বলে কি স্বপ্ন দেখতে পারবেন না? তিনি স্বপ্ন দেখেছেন এবং স্বপ্ন দেখেই চলেছেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ় মনোবল তাকে নিয়ে গেছে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। অনেকটা দুঃসাধ্য সাধন করে নাঈম ভর্তি হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন তিনি স্বপ্ন দেখেন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষক হওয়ার।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাঈম হোসাইন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে নাঈম সবার ছোট। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শুধু নাঈম নন, তার অন্য ভাইবোনেরাও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। জন্মের পর এই পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য দেখতে পারেননি কেউই। তবে শারীরিক সেই প্রতিবন্ধকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা প্রত্যেকেই ভর্তি হয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাঈমের বড় ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। আর বড় বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
ছোটবেলা থেকে অসম্ভব মেধাবী ছাত্র ছিলেন নাঈম হোসাইন। নাঈম নিজের অদম্য মনোবলকে পুঁজি করে এগিয়ে গেছেন স্বপ্ন জয়ের কণ্টকাকীর্ণ পথে। গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন তিনি।
নাঈম যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন, তখন তার এলাকার এক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান। তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থী। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন। পিতা-মাতার অনুপ্রেরণা ও শিক্ষক বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়ার সার্বিক সহযোগিতায় তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর বন্ধুদের সহযোগিতায় চলাফেরা করতে হয় তাকে। মোবাইল ফোনে স্ক্রিন রিডার অ্যাপসের মাধ্যমে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মোবাইল ফোনে পিডিএফ বই পড়েন নাঈম। একবার কোনো জায়গায় গেলে দ্বিতীয়বার একাই যেতে পারেন। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সব কাজ তিনি একা করতে পারেন। কারও সহযোগিতাও প্রয়োজন হয় না তার। তবে পরীক্ষার সময় শ্রুতলেখক হিসেবে কারও সাহায্য নিতে হয় তাকে।
নাঈম হোসাইন বলেন, ‘আমি মোবাইল ফোনের স্ক্রিন রিডার অ্যাপের মাধ্যমে পড়াশোনা করি। আর পরীক্ষায় বিভাগের জুনিয়র কিংবা অন্য বিভাগের বন্ধুকে শ্রুতলেখক হিসেবে নিয়ে আসি। প্রশ্নের উত্তর আমি মুখে বলি, তারা লিখে দেয়। আমার বই পড়তে খুব ভালো লাগে। তাই আমি মোবাইল ফোনে পিডিএফ বইগুলো পড়ি। কিন্তু সব বইয়ের পিডিএফ সংস্করণ পাওয়া যায় না। ফলে আমাকে একটু ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’

 

মেহেদী

রিজভীর তোলা ছবি দেখে জুড়ায় প্রাণ

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১০ এএম
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
রিজভীর তোলা ছবি দেখে জুড়ায় প্রাণ
রিজভীরে তোলা একটি ছবি

শখের বসে মানুষ কত কিছুই না করে। কেউ ছবি আঁকে, গান গায়, কবিতা আবৃত্তি করে। আরও কত কী। নেহাত শখের বসে তার ছবি তোলার শুরু। কাকা ছবি তুলতেন। সেটা দেখেই তার ইচ্ছে হয়। এমন সুন্দর ছবি আমিও তো তুলতে পারি। এ ইচ্ছেটাই তাকে ছবিতে একের পর এক সফলতার মুখ দেখাচ্ছে। ছবি তুলে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার প্রাইজবন্ড পেয়েছেন তিনি। এতক্ষণ যে মানুষের কথা বলা হলো, তিনি হলেন আবুল হাসনাত রিজভী। নোয়াখালী সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এ সৌন্দর্য রিজভীকে খুব টানে। তাই যখন সময় পান ছুটে যান প্রকৃতির কাছে। একের পর এক ক্যামেরার ক্লিক তাকে অন্য জগতে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ছবি তুলে আমার দেশের সৌন্দর্য পুরো বিশ্বের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে আমি ছবি তোলা বেছে নিয়েছি।
ছবি তুলতে তুলতেই রিজভীর ছবি তোলা শেখা। ইউটিউব, গুগল থেকে সাহায্য নেন সবসময়। আবার প্রয়োজন মনে করলে অভিজ্ঞদের সঙ্গে টুকটাক আলাপ করে নেন। ছবি নিয়ে এ পর্যন্ত অনেকগুলো এক্সিবিশনে অংশ নিয়েছেন রিজভী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার দর্পণ এক্সিবিশন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিবিশন।
ছবি তুলতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় রিজভীকে। নানা মানুষের, পরিবেশের সঙ্গে পরিচয় হয়। আবার ক্যাম্পাসে তার এক ভিন্ন পরিচয় গড়ে উঠেছে। এ বিষয়গুলো তার ভালো লাগে। ভালো ছবি তুললে তো পুরস্কার পাওয়ারই কথা। রিজভী ছবির জন্য অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। ছবিতে তার প্রথম পুরস্কার ছিল প্রথম আলো বিজ্ঞান চিন্তা ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার পুরস্কার, যেটা পেয়েছেন ডিসেম্বর ২০২৩-এ। এর বাইরে ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ Best Bengal Mobile Photography একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৫০০ ছবি জমা পড়ে এবং সেরা ১০ নির্বাচন করা হয়। এই সেরা দশে রিজভী একজন। আবার ২০২৩ সালে তোমার চোখে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় নোয়াখালীর হয়ে আইফোন পুরস্কার জেতেন রিজভী। এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে ১ হাজার ১৪০টি ছবি জমা পড়ে। প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। এ ছাড়া রিজভী প্রথম আলো, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন, রয়্যাল ডিস্ট্রিক্ট নোয়াখালী কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছেন। 
ফেসবুকে রিজভীর ছবিগুলোয় শত শত লাইক, কমেন্ট পড়লেও সবচেয়ে আলোচিত হয়েছিল একটা মসজিদের ছবি। যেটিতে ১০ হাজারের ওপর লাইক পড়েছিল। এত অর্জন থাকলেও রিজভী শুরুতে নানা কথা শুনেছেন। বন্ধু, এলাকার অনেকেই বলত, এসব ছবি তুলে কী হবে। শেষমেশ পড়াশোনা গোল্লায় যাবে। এসব কথায় রিজভী কান দেননি। কারণ, আত্মবিশ্বাস ছিল তিনি ছবি তোলায় ভালো করবেন। ছবি তোলার অনেক গুণ আছে। যা পড়াশোনর জন্য, মেধা বিকাশের জন্য ভালো। রিজভী বলেন, আমি মনে করি এ ধরনের কাজ মেধা বিকাশ করে। মাদক ও বাজে আড্ডার মতো কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখে। দেশের আনাচে-কানাচে আরও ঘুরবেন। দেশের সৌন্দর্য পুরো পৃথিবীতে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন। এমনটাই তার আগামী দিনের পরিকল্পনা।

 

মেহেদী আল মাহমুদ

মানবিক শাকিল

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
মানবিক শাকিল
অসহায়দের কল্যানে এগিয়ে আসেন শাকিল

ঘড়ির কাঁটা রাত ১১টা ছুঁতে চলল। বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য এখনো কয়েকটি প্যাকেট রয়ে গেছে। এগুলো বিতরণ শেষ করেই বাড়ি ফিরতে হবে। আকস্মিক বন্যায় নিজ এলাকা মেঘা ও তার আশপাশের অঞ্চলের মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে প্রায়ই মধ্যরাতে বাড়ি ফেরা হয় শাকিলের।

বিগত বছরগুলোর বন্যার চেয়ে এবারের মতো খারাপ পরিস্থিতি শুধু শাকিলই নয়, চাটখিলবাসীও দেখেনি। যে কারণে একদমই কাছ থেকে তিনি পানিবন্দি মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করেছেন। ছুটে গেছেন মানুষের সেবায়, বাড়ি থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে। তার মানবিকতাবোধ নাড়া দেয় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের। তাদের ফান্ডিং আর শাকিলের স্বেচ্ছাশ্রম মিলেই চলে সামাজিক সব সেবামূলক কার্যক্রম। নিজ দায়িত্বে সকাল কিংবা রাত, হাঁটু থেকে কোমর পানি ভেঙে একাই কাঁধে নিয়ে সাত শতাধিক মানুষের কাছে উপহারসামগ্রী পৌঁছাতে সমর্থ হয়েছেন। এলাকায় শাকিল একজন রিয়্যাল হিরো। যেকোনো দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানোর সারিতে প্রথমেই আসে শাকিলের নাম। 
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার উত্তর পশ্চিম  সীমান্তের গ্রাম মেঘার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন শাকিল চাটখিল সরকারি কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ২০১৮ সাল থেকেই তার মানবিক কর্মকাণ্ড আজ অবধি চলমান। জীবনে প্রথম রক্তদান করে বাবার হাতে মার খেয়েছিলেন শাকিল। এতে তার জেদ বেড়ে যায়। প্রতিজ্ঞা করেন আজীবন মানুষের পাশেই থাকবেন। এর পর জার্নি শুরু হয় চক্ষু রোগীদের ছানি অপারেশনে সার্বিক সহায়তা দানের মধ্য দিয়ে। এ পর্যন্ত উপজেলার চার শতাধিক চক্ষু রোগীকে ঢাকার লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে এনে সেবা দিয়েছেন। এ ছাড়া স্বেচ্ছায় রক্তদান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন, বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম, শীতবস্ত্র বিতরণ, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা, বিবাহ কার্যক্রমে ফান্ড সংগ্রহে সহায়তা ইত্যাদি কার্যক্রম করেছেন। 
শাকিলের স্বেচ্ছাসেবায় এতদূর আসার পেছনে মাইনুদ্দিন জিল্লাল মুন্সির অবদান অনস্বীকার্য। দিন বা রাত যখনই শাকিলের ফোনে কোনো আবদার আসে কিংবা স্বেচ্ছাসেবার ডাক আসে তখনই তিনি ছুটে যান নির্দ্বিধায়। স্বেচ্ছাসেবার অর্ধ যুগে বিভিন্ন সময় স্টুডেন্ট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, অল অব ওয়ান বিডি, ব্লু ফোরাম চাটখিল, বিডি ক্লিন চাটখিলের সঙ্গে কাজ করেছেন। নিজ হাতে কারও সহযোগিতা করতে পেরে নিজে যেমন আনন্দ পান, পাশাপাশি সেবামূলক কার্যক্রমে কেউ খুশি হয়ে যখন মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে দেয় তখন আরও খুশি হন। শতগুণ উদ্যম নিয়ে এগিয়ে যান আরও সামনে।

 

মেহেদী আল মাহমুদ

টিনএজ বয়সেই হয়ে উঠুন ইউটিউবার

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
টিনএজ বয়সেই হয়ে উঠুন ইউটিউবার
ইউটিউবার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আগে নির্ধারণ করুন কোন বিষয়ে ভিডিও করবেন

বেশির ভাগ টিনএজার এখন ইউটিউবার হতে চায়। কেউ পাকাপাকিভাবে তো কেউ শখের বশে। তবে চাইলেই তো আর সফল ইউটিউবার হওয়া যায় না। সেজন্য চাই যথাযথ গাইড। আজ আমরা জানব সফল ইউটিউবার হওয়ার কিছু উপায়। জানাচ্ছেন ফখরুল ইসলাম


বিষয় নির্ধারণ করুন
ইউটিউবার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আগে নির্ধারণ করুন কোন বিষয়ে আপনি ভিডিও করবেন। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সে বিষয়ে কাজ করলে ভালো হবে। ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এক্সপার্ট তাহলে এ সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে টাকা রোজগার করতে পারেন। এক কথায় আপনি যা পারেন, যে বিষয়ে দক্ষ বা ভালো পারেন সে বিষয়ে আপনি অন্যকে শিখাতে পারবেন। 

অডিয়েন্স সম্পর্কে জানুন
আপনাকে জানতে হবে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কারা। কত বছর বয়সী মানুষের জন্য আপনি ভিডিও তৈরি করছেন এবং আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু কতটা উপকারী হবে অডিয়েন্সের জন্য। এটাও জানতে হবে যে, আপনার বিষয়ে অডিয়েন্স কী কী জানতে চাচ্ছে। তাদের কোন বিষয় পছন্দ আর কোন বিষয় পছন্দ না। সঠিক অডিয়েন্স বেছে নেওয়ার মাধ্যমে সফলতার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।

আপনার কম্পেটিটর কারা তা জানুন
আপনার অডিয়েন্স সম্পর্কে জানার পর আপনার প্রথম কাজ হলো আপনার বিষয়ে কারা অলরেডি ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করেছে তাদের সম্পর্কে জানা। তারা হচ্ছে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী। খুঁজে বের করুন তাদের সফল হওয়ার রহস্য। তাদের ওয়েবসাইট দেখুন, আর্টিকেলগুলো পড়ুন। তাদের ভিডিওগুলো মনোযোগ সহকারে দেখুন। তাদের দুর্বলতাগুলো বের করুন। তাদের ভালো দিকগুলো বের করুন। এবার চিন্তা করুন কীভাবে আপনার প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে আপনার ভিডিও প্রমোট করবেন। কোন বিষয়গুলো অ্যাড করলে অতি সহজে প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে আপনি সফল হতে পারবেন তা জানুন।

 

নিজের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে ইউটিউব একটি। সুতরাং ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় ক্রিয়েটিভ প্ল্যাটফর্মে ভালো করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ বা সৃজনশীল মানুষ হতে হবে। আপনার চ্যানেলের জন্য নতুন নতুন আকর্ষণীয়, মজাদার ইউনিক ভিডিও তৈরি করতে হবে, যা ইতোমধ্যে কেউ তৈরি করেনি। আপনার ভিডিও বা কনটেন্টের ভেতরে ইউনিকনেস আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে। তাই নিজের মধ্যে সৃজনশীলতা খুঁজুন এবং তা বের করে ছড়িয়ে দিন, জানিয়ে দিন বিশ্বকে।

 

এসইও ও ট্যাগ করুন
সবার জানা যে এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। একমাত্র এসইও ফর্মুলাই পারে আপনার ভিডিওকে ভাইরাল করতে এবং অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে আপনার ভিডিও পৌঁছে দিতে। সহজভাবে ইউটিউব এসইও করা যায়। ইউটিউব এসইও বলতে, ভিডিওর টাইটেল, ট্যাগ, থাম্বনেইল, কি-ওয়ার্ড রিসার্চ, ডেসক্রিপশন এগুলো বুঝিয়ে থাকে। আপনাকে অবশ্যই কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন সুন্দর করে লিখতে হবে।

 

হাই কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করুন
আপনি যে ভিডিও তৈরি করুন না কেন তা অবশ্যই হাই কোয়ালিটির হতে হবে। হাই কোয়ালিটি বলতে Full HD (1080p/4k) হতে হবে এমন কিছু না। যদি টাইটেল, থাম্বনেইল, ট্যাগ, ডেসক্রিপশন, ভিডিও টপিক, সাউন্ড কোয়ালিটি ইত্যাদি ঠিক থাকে তাহলে 360p/480p রেজল্যুশনের ভিডিও কাজে দিতে পারে। অনেক ট্রাফিক আসতে পারে। মজার বিষয় হচ্ছে, যদি আপনার কনটেন্ট ভালো না হয় তাহলে ট্রাফিক এসেও লাভ হবে না। তাই ট্রাই করুন কনটেন্ট এর মান বৃদ্ধি করার।


ভিডিও লেন্থের দিকে লক্ষ রাখুন
ভিডিও অবশ্যই ১০ মিনিটের বেশি হতে হবে। কারণ ইউটিউব ভিউ টাইম দেখে। দর্শক বেশি সময় ধরেই ভিডিও দেখুক, ইউটিউব তা পছন্দ করে। ধরুন আপনি ১০ মিনিটের একটি ভিডিও অনেক কষ্ট করে তৈরি করছেন এবং ইউটিউবে সাবমিট করছেন, তবে ভিউয়াররা শুধু ৩০ সেকেন্ড বা ৫০ সেকেন্ড অথবা ১ মিনিট দেখে তার পর আস্তে করে ভিডিও থেকে চলে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন আপনার রিচ কমে যাচ্ছে। তখন ইউটিউব তার এলগারিদম দিয়ে বুঝতে পারছে যে, আপনার ভিডিওতে বিশেষ কিছু নেই যা দেখে দর্শকরা বেশিক্ষণ থাকছে না। অন্যদিকে ২০ মিনিটের ভিডিওটি অন্তত পাঁচ সাত মিনিট ধরেই লোকেরা দেখলে তখন ইউটিউব অনেক মানুষের সামনে সাবমিট করবে। ফলে আপনার ভিডিওটি অতি তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়ে যাবে। এর এজন্য ভিডিও লেন্থের দিকে লক্ষ রাখুন।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এত বেশি যে, কারা ব্যবহার করে না তা বের করা সম্ভব। আপনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে ভিডিও শেয়ার করুন। এতে করে কী হবে জানেন? আপনার ভিডিও কতটা ভালো বা কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়েছে বুঝতে পারবেন। কীভাবে? তা হচ্ছে যদি আপনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে না চান, তাহলে ধরেই নিতে হবে আপনার নিজের পছন্দ হয়নি। একটু ভাবুন তো যে ভিডিও আপনার পছন্দ না, সেই ভিডিও কি অন্য মানুষের পছন্দ হবে? এজন্য নিজের কাছে ভালো লাগে এমন কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

 

ধৈর্য ধরুন
দু-একটি ভিডিও তৈরি করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দিলেন এরপর স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন যে আপনি এখন সফল ইউটিউবার হয়ে যাবেন, এমন স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেন। এখানে সফল হতে অনেক ধৈর্য ধরেই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ধৈর্যের মতো মূল্যবান অভ্যাস যদি আপনার না থাকে, তাহলে এটা আপনার জন্য না।

 

মেহেদী আল মাহমুদ