ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

সফল উদ্যোক্তাদের গুণাবলি

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ এএম
সফল উদ্যোক্তাদের গুণাবলি
ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ

একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলি আসলে কী! আপনি যদি সফল উদ্যোক্তাদের জীবনী পড়েন তাহলে দেখবেন প্রত্যেকের মাঝে কমন কিছু গুণাবলি রয়েছে। আর তাদের ব্যবসায় সফল হওয়ার ক্ষেত্রে এই গুণাবলি ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে। আপনিও যদি সফল হতে চান, তাহলে একজন সফল উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য আপনাদের মাঝে ধারণ করতে হবে। লিখেছেন ফখরুল ইসলাম

সফল উদ্যোক্তারা জানে কখন ‘না’ বলতে হয়
আপনি যখন একজন উদ্যোক্তা হবেন, তখন আপনার সামনে অনেক সুযোগ আসবে। সুযোগ হাতছাড়া করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তবে, কোন সুযোগটি নিতে হবে আর কোনটি বাদ দিতে হবে এটা জানা জরুরি। পৃথিবীতে অনেক উদ্যোক্তা ব্যর্থ হয়েছে শুধু ‘না’ বলতে না পারার কারণে। তারা সুযোগ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে চিন্তা করেনি, এটা তাদের জন্য উপকারী কি না। যাই হোক, এক্ষেত্রে মাস্টার ছিলেন সফল উদ্যোক্তা স্টিভ জবস। স্টিভ জবস জানতেন কখন ‘না’ বলতে হয়। ১৯৯৭ সালে অ্যাপেল কোম্পানিতে তিনি যখন পুনরায় আগমন করেন, তখন কোম্পানির ৩৫০টি পণ্য ছিল। কিন্তু জবস দুই বছরে ১০টির মতো প্রোডাক্ট বাদ দেন। তিনি ওই ১০টি প্রোডাক্ট ‘না’ করার মাধ্যমে অ্যাপেলের লাভবান প্রোডাক্টগুলোয় ফোকাস করতে পেরেছিলেন।

সফল উদ্যোক্তারা জানে কীভাবে ভালো টিম গঠন করতে হয়
যদি সফল উদ্যোক্তা হতে চান, তাহলে খুব দ্রুত বুঝতে পারবেন আপনি নিজেই সবকিছু করতে পারবেন না। একজন মানুষের পক্ষে কখনো সব বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া যেকোনো মানুষ, সে যতই বুদ্ধিমান, শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ হোক না কেন, নিজেদের দ্বারা কখনো সফলভাবে কোম্পানি চালানোর সম্ভব নয়।

সফল উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই বিশ্বস্ত, সৃজনশীল এবং দক্ষ মানুষের টিম গড়ার মাধ্যমে সফলতা পেয়েছেন। এই টিম হতে পারে দুজন কিংবা তারও বেশি। সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে অন্যদের সঙ্গে কাজ করা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। আমরা এখন যে উবার দেখি, এটা কিন্তু পাঁচ বন্ধু ফিলিপ ক্রিম, নিল পারিখ, টি লিউক শেরউইন, গ্যাব্রিয়েল ফ্ল্যাটম্যান এবং জেফ চ্যাপিনের উদ্যোগ।

মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই। তার টিম ওয়ার্ক সফল হওয়ার পরও বাদ যায়নি। অনিক্কা ফ্রেগোডট নামে নারী ইঞ্জিনিয়ার সাত বছর ধরে তার সহকারী ছিলেন। মার্ক জাকারবার্গ সফলতার অংশীদার। তাইতো তিনি তাকে, ফেসবুকের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারী হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। অ্যাপল সিইও, টিম কুকের কথাই ধরুন। তিনি খুব ক্যারিশমেটিক নেতা ছিলেন না, কিন্তু তারপরও স্টিভ জবস কুকের ওপর নির্ভর করেছিলেন। এটাই টিমওয়ার্ক।

সফল উদ্যোক্তারা প্রত্যেকের পরামর্শের গুরুত্ব দেন
যারা স্টিভ জবসের জীবনী পড়েছেন, তারা জানেন, তিনি কতটা কঠিন সময়ে কাজ করেছেন। এই কঠিন সময়গুলোয় তাকে আত্মবিশ্বাসী করেছিল তার মেধাবী টিম তথা সহকর্মীরা। তার সহকর্মীরা ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। যারা পর্দার অন্তরালেই কাজ করতেন। স্টিভ জবসকে পরামর্শ ও আইডিয়া দিতেন। রিচার্ড ব্র্যানসন তার তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের নীতির থেকে বলেন, ‘অন্যের কাছ থেকে শোনা আমাদের একে অপরের কাছ থেকে শিখতে সক্ষম করে।’

সফল উদ্যোক্তারা ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত থাকে
আপনি যদি অবিবেচক হন তাহলে, আপনি কখনো সাফল্য পাবেন না। আপনাকে ঝুঁকি নিতে হবে। সবসময় মেনে নিতে হবে যে সেখানে ব্যর্থতা থাকবে, পাশাপাশি সফলতাও থাকবে। প্রায় প্রত্যেক সফল উদ্যোক্তার জীবনের কিছু ব্যর্থতার গল্প থাকে। স্টিভ জবসকে একপর্যায়ে অ্যাপল বোর্ড সিইও হিসেবে বহিষ্কার করেছিলেন। বহিষ্কার-পরবর্তী সময় তিনি নেক্সট এবং পিক্সার উন্নয়নে ব্যয় করেছিলেন। তারপর তিনি অ্যাপেলের মন জয় করেছিলেন এর মাধ্যমে।

স্টিভ জবস তার নির্মিত সফল কোম্পানি থেকে ব্যর্থ হয়ে মন হারায়নি। এটা শুধু তাকে ব্যর্থতাকে আলিঙ্গন করতে এবং আরও সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

অত্যন্ত কৌতূহলী
থমাস এডিসন থেকে আমরা কখনোই ফোনোগ্রাফ, মোশন পিকচার ক্যামেরা কিংবা দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক বাল্ব পেতাম না, যদি তিনি কৌতূহলী না হতেন। ইনোমের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নবীন জৈন, তার পোস্টে এই বৈশিষ্ট্যের সারমর্ম তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো যারা বড় স্বপ্ন দেখে। সবসময় নিজেকে মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে, পাগলাটে আইডিয়া থেকে সফলতার শুরু হয়। কৌতূহল যেকোনো সফল উদ্যোক্তার একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য। সফল উদ্যোক্তারা তাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ডের প্রতি উদাসীন হয়ে থাকে না। তারা, নতুন বিষয়ে কৌতূহলী হয়ে থাকে। নতুন কিছুতে বিনিয়োগ করে কৌতূহলের অবসান ঘটায়।

শেখার মধ্যে থাকেন
সফল উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো, তারা প্রায়ই অহংকারী হয় এবং বিশ্বাস করে যে তারা সবকিছু জানে। আপনার মধ্যে যদি এই ধারণা থাকে তাহলে, আজই তা পরিহার করুন। এটা সত্য, অধিকাংশ সফল উদ্যোক্তা প্রথম স্বীকার করেন যে তারা এটা জানেন না। কিন্তু তারা সেই অজানা বিষয়টিকে খুব দ্রুত আয়ত্তে নিয়ে আসেন। সত্যিকার অর্থে সফল হতে হলে জীবনে অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হয়। নতুন কিছু শেখার মানসিকতা থাকতে হয়। রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, শেখা এবং নেতৃত্ব একসঙ্গে যায়। সাফল্যগুলো ঘটে কাজ করা এবং শেখার মাধ্যমে।

সফল উদ্যোক্তারা পরিবার ও ব্যবসার মধ্যে ব্যালেন্স রাখতে পারেন
সফল উদ্যোক্তারা জানেন যে, তাদের ব্যবসা চালানোর চেয়ে জীবনে অনেক বেশি কিছু আছে। তারা তাদের পরিবারের সঙ্গেও আনন্দময় ও গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করেন। তারাও বিরতি নেন এবং ছুটি উপভোগ করেন। ওয়ারেন বাফেটকে একবার এক সভায় এমবিএ শিক্ষার্থীরা জিজ্ঞেস করছিলেন, তার সাফল্যের কারণ। তিনি বলেছিলেন, আমার সফলতার নিজেকে সময় দেওয়া এবং ঘুরে বেড়ানো। আপনার জীবনের সম্পূর্ণ সময়টা ব্যবসার পেছনে দিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো আপনি ব্যবসায় হয়তো সফল কিন্তু জীবনের দিক দিয়ে ব্যর্থ। কারণ মানবজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকে আপনি বঞ্চিত হয়েছেন।

পরিশেষে
রিচার্ড ব্র্যানসন, স্টিভ জবস, ল্যারি পেজ, ওয়ারেন বাফেট এবং বিশ্বের সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে উপরে উল্লেখিত প্রতিটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল। সফল হতে, আপনিও নিজের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসুন।

জাহ্নবী

অবসর কাটুক পাজলে

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
অবসর কাটুক পাজলে
ছবি সংগৃহীত

অবসরে ধাঁধা মেলাতে অনেকেই পছন্দ করি। মস্তিষ্ককে একটু শান দিতে পাজল বা ধাঁধার সমাধান করতে চাই সবাই। তাছাড়া বর্তমান সময়ের টিনএজারদের অবসর কাটানো অনেকটা স্মার্টফোন কেন্দ্রিক। তাই স্মার্টফোনে অবসর কাটাতে চলুন কিছু পাজল গেমের সঙ্গে পরিচিত হয়ে নিই।

সুডোকু মিলাও

জনপ্রিয় এবং খুবই সাধারণ একটি ধাঁধা বা পাজল গেম সুডোকু। সংখ্যাভিত্তিক এই ধাঁধা আমরা সবাই চিনি। অবসর কাটানোর জন্য সুডোকু মিলানো একটি ভালো উপায়। পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই সুডোকু দেওয়া থাকে। সেসব মিলানো যেতে পারে কিংবা অনলাইনে sudoku.com থেকে সুডোকু মিলাতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকমের সুডোকু আছে। সহজ, কঠিন নানাভাবে মিলানো যাবে। যেহেতু পত্রিকায় একাধিক সুডোকু থাকে না। তাই এখান থেকে একের পর এক ধাঁধা সমাধান করে মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন।

ব্রেইন আউট

আইকিউ বাড়াতে ব্রেইন আউট খেলতে পারেন। ব্রেইন আউট হলো এক ধরনের পাজলভিত্তিক গেম। এটি গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাবে। যুক্তি, সৃজনশীলতা এবং স্মৃতিকে পরখ করার জন্য ডিজাইন করা মস্তিষ্কের টিজার এবং ধাঁধায় পূর্ণ একটি মজাদার এবং অদ্ভুত গেম এই ব্রেইন আউট। এই গেমে বিভিন্ন লেভেল আছে। প্রতিটি ধাঁধা সমাধানের মাধ্যমে উপরের লেভেলে উঠা যাবে। জটিল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ ধাঁধার সমাধান করতে এ গেমটি অবসরে খেলা যেতে পারে।

ম্যাথ রিডল অ্যান্ড পাজল

সংখ্যা বা গণিতের ধাঁধা পছন্দ করে এমন টিনএজারের সংখ্যা কম নয়। গাণিতিক ধাঁধা সমাধানে যেমন দক্ষতা বাড়ে তেমনি অবসর কাটাতে অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। অবসর কাটানোর তেমনি একটি অ্যাপ ‘Math | Riddle and Puzzle Game’। এই গেমে ১০০টির মতো গাণিতিক ধাঁধা আছে। জ্যামিতিক চিত্র কিংবা গাণিতিক সমীকরণের জটিল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ সব ধাঁধা আছে এখানে। এগুলো সমাধান করে আইকিউ বাড়ানো যাবে।

কাট দ্য রোপ

চমৎকার পাজলভিত্তিক জনপ্রিয় গেম কাট দ্য রোপ। প্লে স্টোর থেকে এ গেমটিও ডাউনলোড করা হয়েছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন বার। প্রায় আড়াই মিলিয়নের বেশি লোক রেটিং দিয়েছে। এটি মূলত পদার্থবিজ্ঞানভিত্তিক ধাঁধার গেম। যেখানে গেমের একটি চরিত্রকে ক্যান্ডি খাওয়ানোর জন্য সঠিকভাবে দঁড়ি কাটতে হয়। এভাবে ধাঁধার সমাধান করে এগিয়ে যেতে হয় গেমে। জনপ্রিয় এই অফলাইন গেমটি অবসরের সঙ্গী হতে পারে।

ইনফিনিটি লুপ

অবসরে খেলার মতো আরেকটি পাজল গেম ইনফিনিটি লুপ। এই খেলার নিয়ম খুব সহজ এবং গেমের ডিজাইনও খুব সাদামাটা। এই গেমে লুপকে বিভিন্নভাবে সাজাতে হবে। তাহলে প্রতিটি ধাপ পার করা যাবে। আইকিউ এবং ফোকাসের দক্ষতা বাড়াতে অবসরে এই গেম খেলা যেতে পারে।

 

মেহেদী

শিক্ষকতা করতে চান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাঈম

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
শিক্ষকতা করতে চান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাঈম
নাঈম হোসাইন

দেখতে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ মনে হলেও আর দশজন মানুষের মতো নন নাঈম হোসাইন। জন্ম থেকেই দৃষ্টিশক্তিহীন তিনি। অন্য সবার মতো সুন্দর এই পৃথিবীকে একনজর দেখার সৌভাগ্য হয়নি তার। চোখে দেখতে পান না বলে কি স্বপ্ন দেখতে পারবেন না? তিনি স্বপ্ন দেখেছেন এবং স্বপ্ন দেখেই চলেছেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ় মনোবল তাকে নিয়ে গেছে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। অনেকটা দুঃসাধ্য সাধন করে নাঈম ভর্তি হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন তিনি স্বপ্ন দেখেন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষক হওয়ার।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাঈম হোসাইন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে নাঈম সবার ছোট। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শুধু নাঈম নন, তার অন্য ভাইবোনেরাও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। জন্মের পর এই পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য দেখতে পারেননি কেউই। তবে শারীরিক সেই প্রতিবন্ধকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা প্রত্যেকেই ভর্তি হয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাঈমের বড় ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। আর বড় বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
ছোটবেলা থেকে অসম্ভব মেধাবী ছাত্র ছিলেন নাঈম হোসাইন। নাঈম নিজের অদম্য মনোবলকে পুঁজি করে এগিয়ে গেছেন স্বপ্ন জয়ের কণ্টকাকীর্ণ পথে। গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন তিনি।
নাঈম যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন, তখন তার এলাকার এক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান। তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থী। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন। পিতা-মাতার অনুপ্রেরণা ও শিক্ষক বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়ার সার্বিক সহযোগিতায় তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর বন্ধুদের সহযোগিতায় চলাফেরা করতে হয় তাকে। মোবাইল ফোনে স্ক্রিন রিডার অ্যাপসের মাধ্যমে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মোবাইল ফোনে পিডিএফ বই পড়েন নাঈম। একবার কোনো জায়গায় গেলে দ্বিতীয়বার একাই যেতে পারেন। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সব কাজ তিনি একা করতে পারেন। কারও সহযোগিতাও প্রয়োজন হয় না তার। তবে পরীক্ষার সময় শ্রুতলেখক হিসেবে কারও সাহায্য নিতে হয় তাকে।
নাঈম হোসাইন বলেন, ‘আমি মোবাইল ফোনের স্ক্রিন রিডার অ্যাপের মাধ্যমে পড়াশোনা করি। আর পরীক্ষায় বিভাগের জুনিয়র কিংবা অন্য বিভাগের বন্ধুকে শ্রুতলেখক হিসেবে নিয়ে আসি। প্রশ্নের উত্তর আমি মুখে বলি, তারা লিখে দেয়। আমার বই পড়তে খুব ভালো লাগে। তাই আমি মোবাইল ফোনে পিডিএফ বইগুলো পড়ি। কিন্তু সব বইয়ের পিডিএফ সংস্করণ পাওয়া যায় না। ফলে আমাকে একটু ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’

 

মেহেদী

রিজভীর তোলা ছবি দেখে জুড়ায় প্রাণ

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১০ এএম
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
রিজভীর তোলা ছবি দেখে জুড়ায় প্রাণ
রিজভীরে তোলা একটি ছবি

শখের বসে মানুষ কত কিছুই না করে। কেউ ছবি আঁকে, গান গায়, কবিতা আবৃত্তি করে। আরও কত কী। নেহাত শখের বসে তার ছবি তোলার শুরু। কাকা ছবি তুলতেন। সেটা দেখেই তার ইচ্ছে হয়। এমন সুন্দর ছবি আমিও তো তুলতে পারি। এ ইচ্ছেটাই তাকে ছবিতে একের পর এক সফলতার মুখ দেখাচ্ছে। ছবি তুলে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার প্রাইজবন্ড পেয়েছেন তিনি। এতক্ষণ যে মানুষের কথা বলা হলো, তিনি হলেন আবুল হাসনাত রিজভী। নোয়াখালী সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এ সৌন্দর্য রিজভীকে খুব টানে। তাই যখন সময় পান ছুটে যান প্রকৃতির কাছে। একের পর এক ক্যামেরার ক্লিক তাকে অন্য জগতে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ছবি তুলে আমার দেশের সৌন্দর্য পুরো বিশ্বের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে আমি ছবি তোলা বেছে নিয়েছি।
ছবি তুলতে তুলতেই রিজভীর ছবি তোলা শেখা। ইউটিউব, গুগল থেকে সাহায্য নেন সবসময়। আবার প্রয়োজন মনে করলে অভিজ্ঞদের সঙ্গে টুকটাক আলাপ করে নেন। ছবি নিয়ে এ পর্যন্ত অনেকগুলো এক্সিবিশনে অংশ নিয়েছেন রিজভী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার দর্পণ এক্সিবিশন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিবিশন।
ছবি তুলতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় রিজভীকে। নানা মানুষের, পরিবেশের সঙ্গে পরিচয় হয়। আবার ক্যাম্পাসে তার এক ভিন্ন পরিচয় গড়ে উঠেছে। এ বিষয়গুলো তার ভালো লাগে। ভালো ছবি তুললে তো পুরস্কার পাওয়ারই কথা। রিজভী ছবির জন্য অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। ছবিতে তার প্রথম পুরস্কার ছিল প্রথম আলো বিজ্ঞান চিন্তা ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার পুরস্কার, যেটা পেয়েছেন ডিসেম্বর ২০২৩-এ। এর বাইরে ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ Best Bengal Mobile Photography একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৫০০ ছবি জমা পড়ে এবং সেরা ১০ নির্বাচন করা হয়। এই সেরা দশে রিজভী একজন। আবার ২০২৩ সালে তোমার চোখে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় নোয়াখালীর হয়ে আইফোন পুরস্কার জেতেন রিজভী। এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে ১ হাজার ১৪০টি ছবি জমা পড়ে। প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। এ ছাড়া রিজভী প্রথম আলো, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন, রয়্যাল ডিস্ট্রিক্ট নোয়াখালী কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছেন। 
ফেসবুকে রিজভীর ছবিগুলোয় শত শত লাইক, কমেন্ট পড়লেও সবচেয়ে আলোচিত হয়েছিল একটা মসজিদের ছবি। যেটিতে ১০ হাজারের ওপর লাইক পড়েছিল। এত অর্জন থাকলেও রিজভী শুরুতে নানা কথা শুনেছেন। বন্ধু, এলাকার অনেকেই বলত, এসব ছবি তুলে কী হবে। শেষমেশ পড়াশোনা গোল্লায় যাবে। এসব কথায় রিজভী কান দেননি। কারণ, আত্মবিশ্বাস ছিল তিনি ছবি তোলায় ভালো করবেন। ছবি তোলার অনেক গুণ আছে। যা পড়াশোনর জন্য, মেধা বিকাশের জন্য ভালো। রিজভী বলেন, আমি মনে করি এ ধরনের কাজ মেধা বিকাশ করে। মাদক ও বাজে আড্ডার মতো কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখে। দেশের আনাচে-কানাচে আরও ঘুরবেন। দেশের সৌন্দর্য পুরো পৃথিবীতে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন। এমনটাই তার আগামী দিনের পরিকল্পনা।

 

মেহেদী আল মাহমুদ

মানবিক শাকিল

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
মানবিক শাকিল
অসহায়দের কল্যানে এগিয়ে আসেন শাকিল

ঘড়ির কাঁটা রাত ১১টা ছুঁতে চলল। বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য এখনো কয়েকটি প্যাকেট রয়ে গেছে। এগুলো বিতরণ শেষ করেই বাড়ি ফিরতে হবে। আকস্মিক বন্যায় নিজ এলাকা মেঘা ও তার আশপাশের অঞ্চলের মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে প্রায়ই মধ্যরাতে বাড়ি ফেরা হয় শাকিলের।

বিগত বছরগুলোর বন্যার চেয়ে এবারের মতো খারাপ পরিস্থিতি শুধু শাকিলই নয়, চাটখিলবাসীও দেখেনি। যে কারণে একদমই কাছ থেকে তিনি পানিবন্দি মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করেছেন। ছুটে গেছেন মানুষের সেবায়, বাড়ি থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে। তার মানবিকতাবোধ নাড়া দেয় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের। তাদের ফান্ডিং আর শাকিলের স্বেচ্ছাশ্রম মিলেই চলে সামাজিক সব সেবামূলক কার্যক্রম। নিজ দায়িত্বে সকাল কিংবা রাত, হাঁটু থেকে কোমর পানি ভেঙে একাই কাঁধে নিয়ে সাত শতাধিক মানুষের কাছে উপহারসামগ্রী পৌঁছাতে সমর্থ হয়েছেন। এলাকায় শাকিল একজন রিয়্যাল হিরো। যেকোনো দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানোর সারিতে প্রথমেই আসে শাকিলের নাম। 
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার উত্তর পশ্চিম  সীমান্তের গ্রাম মেঘার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন শাকিল চাটখিল সরকারি কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ২০১৮ সাল থেকেই তার মানবিক কর্মকাণ্ড আজ অবধি চলমান। জীবনে প্রথম রক্তদান করে বাবার হাতে মার খেয়েছিলেন শাকিল। এতে তার জেদ বেড়ে যায়। প্রতিজ্ঞা করেন আজীবন মানুষের পাশেই থাকবেন। এর পর জার্নি শুরু হয় চক্ষু রোগীদের ছানি অপারেশনে সার্বিক সহায়তা দানের মধ্য দিয়ে। এ পর্যন্ত উপজেলার চার শতাধিক চক্ষু রোগীকে ঢাকার লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে এনে সেবা দিয়েছেন। এ ছাড়া স্বেচ্ছায় রক্তদান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন, বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম, শীতবস্ত্র বিতরণ, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা, বিবাহ কার্যক্রমে ফান্ড সংগ্রহে সহায়তা ইত্যাদি কার্যক্রম করেছেন। 
শাকিলের স্বেচ্ছাসেবায় এতদূর আসার পেছনে মাইনুদ্দিন জিল্লাল মুন্সির অবদান অনস্বীকার্য। দিন বা রাত যখনই শাকিলের ফোনে কোনো আবদার আসে কিংবা স্বেচ্ছাসেবার ডাক আসে তখনই তিনি ছুটে যান নির্দ্বিধায়। স্বেচ্ছাসেবার অর্ধ যুগে বিভিন্ন সময় স্টুডেন্ট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, অল অব ওয়ান বিডি, ব্লু ফোরাম চাটখিল, বিডি ক্লিন চাটখিলের সঙ্গে কাজ করেছেন। নিজ হাতে কারও সহযোগিতা করতে পেরে নিজে যেমন আনন্দ পান, পাশাপাশি সেবামূলক কার্যক্রমে কেউ খুশি হয়ে যখন মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে দেয় তখন আরও খুশি হন। শতগুণ উদ্যম নিয়ে এগিয়ে যান আরও সামনে।

 

মেহেদী আল মাহমুদ

টিনএজ বয়সেই হয়ে উঠুন ইউটিউবার

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
টিনএজ বয়সেই হয়ে উঠুন ইউটিউবার
ইউটিউবার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আগে নির্ধারণ করুন কোন বিষয়ে ভিডিও করবেন

বেশির ভাগ টিনএজার এখন ইউটিউবার হতে চায়। কেউ পাকাপাকিভাবে তো কেউ শখের বশে। তবে চাইলেই তো আর সফল ইউটিউবার হওয়া যায় না। সেজন্য চাই যথাযথ গাইড। আজ আমরা জানব সফল ইউটিউবার হওয়ার কিছু উপায়। জানাচ্ছেন ফখরুল ইসলাম


বিষয় নির্ধারণ করুন
ইউটিউবার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আগে নির্ধারণ করুন কোন বিষয়ে আপনি ভিডিও করবেন। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সে বিষয়ে কাজ করলে ভালো হবে। ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এক্সপার্ট তাহলে এ সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে টাকা রোজগার করতে পারেন। এক কথায় আপনি যা পারেন, যে বিষয়ে দক্ষ বা ভালো পারেন সে বিষয়ে আপনি অন্যকে শিখাতে পারবেন। 

অডিয়েন্স সম্পর্কে জানুন
আপনাকে জানতে হবে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কারা। কত বছর বয়সী মানুষের জন্য আপনি ভিডিও তৈরি করছেন এবং আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু কতটা উপকারী হবে অডিয়েন্সের জন্য। এটাও জানতে হবে যে, আপনার বিষয়ে অডিয়েন্স কী কী জানতে চাচ্ছে। তাদের কোন বিষয় পছন্দ আর কোন বিষয় পছন্দ না। সঠিক অডিয়েন্স বেছে নেওয়ার মাধ্যমে সফলতার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।

আপনার কম্পেটিটর কারা তা জানুন
আপনার অডিয়েন্স সম্পর্কে জানার পর আপনার প্রথম কাজ হলো আপনার বিষয়ে কারা অলরেডি ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করেছে তাদের সম্পর্কে জানা। তারা হচ্ছে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী। খুঁজে বের করুন তাদের সফল হওয়ার রহস্য। তাদের ওয়েবসাইট দেখুন, আর্টিকেলগুলো পড়ুন। তাদের ভিডিওগুলো মনোযোগ সহকারে দেখুন। তাদের দুর্বলতাগুলো বের করুন। তাদের ভালো দিকগুলো বের করুন। এবার চিন্তা করুন কীভাবে আপনার প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে আপনার ভিডিও প্রমোট করবেন। কোন বিষয়গুলো অ্যাড করলে অতি সহজে প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে আপনি সফল হতে পারবেন তা জানুন।

 

নিজের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে ইউটিউব একটি। সুতরাং ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় ক্রিয়েটিভ প্ল্যাটফর্মে ভালো করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ বা সৃজনশীল মানুষ হতে হবে। আপনার চ্যানেলের জন্য নতুন নতুন আকর্ষণীয়, মজাদার ইউনিক ভিডিও তৈরি করতে হবে, যা ইতোমধ্যে কেউ তৈরি করেনি। আপনার ভিডিও বা কনটেন্টের ভেতরে ইউনিকনেস আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে। তাই নিজের মধ্যে সৃজনশীলতা খুঁজুন এবং তা বের করে ছড়িয়ে দিন, জানিয়ে দিন বিশ্বকে।

 

এসইও ও ট্যাগ করুন
সবার জানা যে এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। একমাত্র এসইও ফর্মুলাই পারে আপনার ভিডিওকে ভাইরাল করতে এবং অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে আপনার ভিডিও পৌঁছে দিতে। সহজভাবে ইউটিউব এসইও করা যায়। ইউটিউব এসইও বলতে, ভিডিওর টাইটেল, ট্যাগ, থাম্বনেইল, কি-ওয়ার্ড রিসার্চ, ডেসক্রিপশন এগুলো বুঝিয়ে থাকে। আপনাকে অবশ্যই কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন সুন্দর করে লিখতে হবে।

 

হাই কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করুন
আপনি যে ভিডিও তৈরি করুন না কেন তা অবশ্যই হাই কোয়ালিটির হতে হবে। হাই কোয়ালিটি বলতে Full HD (1080p/4k) হতে হবে এমন কিছু না। যদি টাইটেল, থাম্বনেইল, ট্যাগ, ডেসক্রিপশন, ভিডিও টপিক, সাউন্ড কোয়ালিটি ইত্যাদি ঠিক থাকে তাহলে 360p/480p রেজল্যুশনের ভিডিও কাজে দিতে পারে। অনেক ট্রাফিক আসতে পারে। মজার বিষয় হচ্ছে, যদি আপনার কনটেন্ট ভালো না হয় তাহলে ট্রাফিক এসেও লাভ হবে না। তাই ট্রাই করুন কনটেন্ট এর মান বৃদ্ধি করার।


ভিডিও লেন্থের দিকে লক্ষ রাখুন
ভিডিও অবশ্যই ১০ মিনিটের বেশি হতে হবে। কারণ ইউটিউব ভিউ টাইম দেখে। দর্শক বেশি সময় ধরেই ভিডিও দেখুক, ইউটিউব তা পছন্দ করে। ধরুন আপনি ১০ মিনিটের একটি ভিডিও অনেক কষ্ট করে তৈরি করছেন এবং ইউটিউবে সাবমিট করছেন, তবে ভিউয়াররা শুধু ৩০ সেকেন্ড বা ৫০ সেকেন্ড অথবা ১ মিনিট দেখে তার পর আস্তে করে ভিডিও থেকে চলে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন আপনার রিচ কমে যাচ্ছে। তখন ইউটিউব তার এলগারিদম দিয়ে বুঝতে পারছে যে, আপনার ভিডিওতে বিশেষ কিছু নেই যা দেখে দর্শকরা বেশিক্ষণ থাকছে না। অন্যদিকে ২০ মিনিটের ভিডিওটি অন্তত পাঁচ সাত মিনিট ধরেই লোকেরা দেখলে তখন ইউটিউব অনেক মানুষের সামনে সাবমিট করবে। ফলে আপনার ভিডিওটি অতি তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়ে যাবে। এর এজন্য ভিডিও লেন্থের দিকে লক্ষ রাখুন।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এত বেশি যে, কারা ব্যবহার করে না তা বের করা সম্ভব। আপনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে ভিডিও শেয়ার করুন। এতে করে কী হবে জানেন? আপনার ভিডিও কতটা ভালো বা কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়েছে বুঝতে পারবেন। কীভাবে? তা হচ্ছে যদি আপনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে না চান, তাহলে ধরেই নিতে হবে আপনার নিজের পছন্দ হয়নি। একটু ভাবুন তো যে ভিডিও আপনার পছন্দ না, সেই ভিডিও কি অন্য মানুষের পছন্দ হবে? এজন্য নিজের কাছে ভালো লাগে এমন কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

 

ধৈর্য ধরুন
দু-একটি ভিডিও তৈরি করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দিলেন এরপর স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন যে আপনি এখন সফল ইউটিউবার হয়ে যাবেন, এমন স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেন। এখানে সফল হতে অনেক ধৈর্য ধরেই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ধৈর্যের মতো মূল্যবান অভ্যাস যদি আপনার না থাকে, তাহলে এটা আপনার জন্য না।

 

মেহেদী আল মাহমুদ