ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

বেরোবি ইয়ুথ জার্নালিস্টস ফোরামের কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
বেরোবি ইয়ুথ জার্নালিস্টস ফোরামের কমিটি গঠন
ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশের (ওয়াইজেএফবি) বেরোবি শাখার সভাপতি গাজী আজম হোসেন ও সম্পাদক সাকিব সরকার। ছবি: খবরের কাগজ

ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশের (ওয়াইজেএফবি) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখায় দৈনিক খবরের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি গাজী আজম হোসেনকে সভাপতি এবং নিউজ সারাক্ষণের প্রতিনিধি সাকিব সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি তানভীর আলাদিন ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন কাদেরের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী এক বছরের জন্য এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহসভাপতি মো. হেলাল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল হুমাইরা জান্নাতি ঐশি, কোষাধ্যক্ষ মো.সুলাইমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খাদেমুল সরদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল ইসলাম কব্য, প্রশিক্ষণ ও দপ্তর সম্পাদক রিফাত ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মিনহাজুর রহমান মেহেদী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাইফুল্লাহ মাসুম এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মুনিরা আঞ্জুম রুমালী,আনিকা তাসকিন ও সোহানুর রহমান।

বাংলাদেশে কর্মরত সকল জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদপত্র, বার্তা সংস্থা, দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টার ও সাব-এডিটরদের নিয়ে তরুণ সাংবাদিকদের সংগঠন ইয়ুথ জার্নালিস্টস ফোরাম বাংলাদেশ (ওয়াইজেএফবি)।

গাজী আজম হোসেন/মেহেদী/এমএ/

রাবিতে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ অবরোধ প্রত্যাহার

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ এএম
প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ অবরোধ প্রত্যাহার
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কলেজ শিক্ষার্থী শিমুল শিহাবের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের বিক্ষোভ ও অবরোধ প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষের আশ্বাসে প্রত্যাহার করেছে।  

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আশ্বাস দিলো তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।  

তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের কাজলা, বিনোদপুর, মেহেরচন্ডীসহ বিভিন্ন এলাকার স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা 'আয় রাবি দেখে যা, রাজপথে তোর বাপেরা', 'আয় প্রক্টর দেখে যা, রাজপথে তোর বাপেরা', 'শিমুল ভাই মরল কেন, জবাব চাই জবাব চাই', 'প্রক্টরের চামড়া, তুলে নেব আমরা'সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে থেকে একটা বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয়রা। মিছিলটি সাড়ে ৬টার দিকে বিনোদপুর গেইটের সামনে এসে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ ছাড়াও রাবির বিনোদপুর গেইট বন্ধ করে দেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গেইট খোলার চেষ্টা করলে কয়েক দফায় উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে মহানগরীর মেহেরচন্ডী এলাকার সুজন খবরের কাগজকে বলেন, 'গতকাল রাতে আমাদের শিমুল ভাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যে করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার পর্যন্ত আমরা সড়ক অবরোধ করে রাখব।'

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিমুল শিহাব নামে রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার মৃত্যুকে সড়ক দুর্ঘটনা দাবি করলেও স্থানীয়রা হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করেছে।

এস আই সুমন/জোবাইদা/

ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ এএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। 

চলতি শিক্ষাবর্ষে আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট দুই হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীত এক লাখ ২৫ হাজার ৪৯৮ জন অংশ নেবে এ পরীক্ষায়। সেই হিসাবে আসনপ্রতি লড়বে প্রায় ৪৩ (৪২.৭৮) জন।

এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় কলা অনুষদের ডিন অফিসসংলগ্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের।

বিগত বছরগুলোর ন্যায় আইবিএ এবং চারুকলা ইউনিট ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

বিভাগীয় কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে গেল বছরের ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয় চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদন, যা চলে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এদিকে বিশ্ব ইজতেমার কারণে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। 

এ ছাড়া ২৫ জানুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তিসংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/

বেরোবিতে পরীক্ষা ছাড়া পাসে জড়িত আরও ২ শিক্ষক!

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ এএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
বেরোবিতে পরীক্ষা ছাড়া পাসে জড়িত আরও ২ শিক্ষক!
ছাত্রলীগ নেত্রী ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুরাইয়া ইয়াসমিন ওরফে ঐশী

সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুরাইয়া ইয়াসমিন ওরফে ঐশী পরীক্ষা না দিয়ে পাস করার অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন ছাড়াও ওই বিভাগের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ওই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য পাওয়া যায়। নাম প্রকাশ না করে একাধিক সূত্র বলছে, এই ঘটনায় ওই বিভাগের আরও দুই সিনিয়র শিক্ষকের ক্রমাগত চাপে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক রুহুল আমিন। এমনকি ওই দুই শিক্ষকের চাপে ঐশীকে চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলোয় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন, যদিও পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে ওই পরীক্ষাগুলোয় অংশগ্রহণ করেনি ঐশী। 

সূত্র বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া নানা কাণ্ডে বিতর্কিত ওই বিভাগের আওয়ামীপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক ড. আর এম হাফিজুর রহমান সেলিম এবং তার ঘনিষ্ঠ আরেকজন সিনিয়র শিক্ষকের ক্রমাগত চাপ ও সুপারিশে প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন কঠোর গোপনীয়তায় সবার অগোচরে কোনো একজন শিক্ষকের বাসায় পরীক্ষাটি নিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক রুহুল আমিনের বক্তব্যে এমনটিই আভাস পাওয়া যায়, যদিও তিনি মিডিয়ার সামনে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। ধারণা করা হচ্ছে, তদন্ত কমিটির কাছে বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরবেন ওই শিক্ষক। এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালকের পদ হতে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই ঘটনায় প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিনকে আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়কের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামীপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন উপাচার্যের সময় প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক গুণমান নিশ্চিতকরণ সেল আইকিউএসির পরিচালক ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যও রয়েছেন পরিবারের সদস্য। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন নিজেকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত দাবি করছেন। এ ছাড়া গত বছর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি গান রচনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মুরসালিন মুন্না বলেন, এগুলোর কলকাঠি নাড়ছে হাফিজুর রহমান সেলিম স্যার। উনি সেদিন ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। ওনার মতো করে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফোনও দিয়েছিলেন। তবে ওনার সামনে শিক্ষার্থীরা যায়নি। যতদূর শুনেছি সিআররা হয়তো-বা গেছে।

তিনি আরও বলেন, গণিত বিভাগে এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, পরীক্ষা না দিয়েও মার্ক পাওয়ার ঘটনা আছে আরও।

এ ব্যাপারে ড. আর এম হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি তো দেশেই ছিলাম না। এখন কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে, এ ব্যাপারে আর কি বলব!

এ ব্যাপারে ড. মো. রুহুল আমিনকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

গাজী আজম/জোবাইদা/

রাবিতে কলেজ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০১ পিএম
রাবিতে কলেজ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

শিমুল শিহাব রাজশাহী কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রাজশাহী নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে।

তবে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে দুর্ঘটনা, নাকি মারধর করে হত্যা- তা নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে। 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান জানান, ক্যাম্পাস থেকে রাত ১১টার দিকে একটি ছেলেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে লুকাচ্ছিল। পরে জেরার মুখে মারামারি করে মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। তাকে ফিজিক্যাল অ্যাসল্ট ব্রডডেথ হিসেবে পেয়েছেন। শরীরের বাইরের অংশে মেজর কোনো ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করা এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, 'রাস্তায় রড বিছানো ছিল। এর মধ্যে দিয়ে বাইক চালাতে গিয়ে ওই ছেলে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যান। তখন ওই ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ে ছিল। তাদের শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি। ওই সময় কেউ গায়ে হাত কিংবা মারধর করেনি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুরর রহমান বলেন, 'ক্যাম্পাসের ভিতরে শিমুল তার মেয়েবন্ধুকে নিয়ে সায়েন্স ভবনের দিকে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। একপর্যায়ে প্রক্টর দপ্তরের গাড়ি দেখে তারা বাইক নিয়ে পালাতে যান। এ সময় ওই যুবক রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। এরপর রামেক হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাজিদ হাফিজ বলেন, 'যখন ওই ছেলেকে নিয়ে আসে তখন তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে গায়ে ধুলাবালি লেগে ছিল। ওই সময় রোগীর পালস বা বিপি কোনোটাই ছিল না। পরে তাকে আমরা রামেকে রেফার্ড করে দেই।'

এ বিষয়ে জানতে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। একটু পর ময়নাতদন্ত শেষ হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

এস আই সুমন/জোবাইদা/

চবির ৮৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চবির ৮৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৮৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার জন্য ৭৩ জন আর এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ১১ জনসহ মোট ৮৪ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও তদন্ত করে যদি গুরুতর অপরাধের প্রমাণ পান তাহলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বহিষ্কারাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ড. কামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করার জন্য তাদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা হবে।’

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন পর্ষদের পরিচালক ও প্রশাসকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৪ জুলাই রাতে আর ১৫ জুলাই দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছিল। একই দিন কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদকে শাটল ট্রেন থেকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন তল্লাশি চালিয়ে মারধরের অভিযোগও উঠেছিল। এ ছাড়া ৩১ জুলাই এক শিক্ষকের বাসায় বোমা হামলা ও ক্যাম্পাসে কর্মরত দৈনিক পূর্বদেশ-এর সাংবাদিক শাহ রিয়াজকে মারধরের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

এমএ/