ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

খেজুর রসের গ্রাম

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
খেজুর রসের গ্রাম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী গ্রামের একটি খেজুরগাছ থেকে একজন গাছি রস সংগ্রহ করছেন। মোহাম্মদ হানিফ

দুপাশে দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। এর মধ্য দিয়ে প্রশস্ত সড়ক সোজা সমুদ্র তীরে গিয়ে মিশেছে। তার দুধারে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য ছোটবড় খেজুরগাছ। শুধু সড়কের ধার নয়, খেতের আইল, পুকুরপাড়, খালের কিনারা, দীঘির চারকোণ, বাড়ির আঙিনা, বেড়িবাঁধের দুপাশে শোভা পাচ্ছে দীর্ঘ লাইনের খেজুরগাছ।

এসব গাছে আড়াআড়িভাবে বাঁধা আছে গাছের দণ্ড। তার ওপর দাঁড়িয়ে কোমরে ও গাছে মোটা রশি পেঁচিয়ে ধারালো বাটাল দিয়ে গাছের শীর্ষ ভাগ চাঁছছেন গাছিরা। তারপর কোমরে ঝুলন্ত বেতের টুকরিতে বাটাল সামলে রেখে অন্য হাতে থাকা রসের পাত্রটি ঠিকঠাকভাবে আটকে দিচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই পাত্রে টপটপ করে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তে শুরু করেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। একই কায়দায় অনেক খেজুরগাছ চেঁছে পাত্র ঝুলানোর কাজটি সুনিপুণভাবে করছেন একদল গাছি। 

গাছগুলোর কাটা অংশে জমেছে সাদা ফেনা। সেই ফেনা থেকে বের হওয়া রসের ম ম গন্ধে চারপাশে ভরে গেছে। রসের নলে বসতে পাখিদের আনাগোনাও নজর কাড়ছে। মনোরম এ দৃশ্য সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতসংলগ্ন গ্রামের। যেখানে যেদিকে চোখ যায় শুধুই খেজুরগাছ। সেই সঙ্গে গাছে গাছে রস আহরণে গাছিদের ব্যস্ততা। এ যেন খেজুর রসের গ্রাম।

শুধু সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী নয়, পাশের বশরতনগর, ভাটেরখীল নামে আর দুটি রসের গ্রাম রয়েছে। খেজুর রসের গ্রাম খ্যাত এই তিন গ্রামে এখন রস নিয়ে নির্ঘুম রাত পার করছেন নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোররা। মধ্য রাত থেকে সন্ধ্যা অবধি এখানে চলছে রসের মহোৎসব। সেই সঙ্গে রস দিয়ে গুড় আর সেই গুড় দিয়ে ভাপা, পুলি, চিতইসহ হরেক রকমের পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম। যেন শীতের আমেজের কোনো কমতি নেই সেখানে। কিশোর থেকে বয়স্ক সবাই এ মৌসুমে রস ব্যবসায়ী।

জানা যায়, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী গ্রামে আছে প্রায় দুই হাজার খেজুরগাছ, বশরতনগর গ্রামে আছে প্রায় তিন হাজার আর ভাটেরখীল গ্রামে আছে অন্তত দেড় হাজার খেজুরগাছ। এছাড়াও মুরাদপুর ইউনিয়ন, সৈয়দপুর ইউনিয়ন, বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন, বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নসহ এ উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আনুমানিক ২০ হাজার খেজুরগাছ। তবে গাছির অভাবে সব এলাকায় খেজুর রস সংগ্রহ করা হয় না। 

যত্নের অভাবে ও নির্বিচারে নিধনের কারণে গাছের সংখ্যাও কমে এসেছে। বর্তমানে প্রধানত গুলিয়াখালী, বশরতনগর, ভাটেরখীল, এই তিন গ্রামে রস সংগ্রহ করা হয়। এখানে আছে দুই শতাধিক গাছি। রস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গুলিয়াখালী গ্রাম থেকে দৈনিক আড়াই হাজার লিটার, ভাটেরখীল গ্রাম থেকে দৈনিক দুই হাজার লিটার আর বশরতনগর গ্রাম থেকে দৈনিক চার হাজার লিটার রস উৎপাদন হয়। এসব রস শহরে ও গ্রামে বিক্রি হয়। 

গুলিয়াখালী গ্রামের গাছি আলমগীর হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রতিদিন রাত ৩টায় শুরু হয় গাছ থেকে রস আহরণ। এরপর অটোরিকশায় করে রসগুলো শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। শহরে বর্তমানে প্রতি লিটার রসে ১০০ টাকা পাওয়া যায়। আর গ্রামে চলে ৫০-৬০ টাকায়। রস বিক্রি করে এসে ফের গাছ কাটতে হয় গাছিদের। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে শুরু হয় রস পাহারার কাজ।

টর্চলাইটের আলোয় সারারাত পাহারা দিতে হয়। কেন না রস ঘিরে সক্রিয় আছে চোর চক্র। এভাবে দিনরাত নির্ঘুম কাটে গাছিদের।’ একই কথা বলেন, গাছি ও রস বিক্রেতা মনির উল্লাহ ও মোশাররফ। 

গুলিয়াখালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একসময় মাটির তৈরি হাঁড়ি ব্যবহার করা হলেও কালের বিবর্তনে মাটির হাঁড়ির স্থান দখল করেছে প্লাস্টিকের পাত্র। আগেকার দিনে পাত্র সরাসরি বাঁশের নলের সঙ্গে বাঁধা হতো। এখন নলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে লম্বা নাইলেন সুতো। গাছের শিরোভাগে থাকা নল থেকে রস গড়িয়ে পড়ছে সুতায়। আর সুতা বেয়ে রস নামছে নিচে বাঁধা পাত্রে। পাখি কিংবা বাদুড় থেকে বাঁচাতে এ বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন গাছিরা। ভোর রাত ৪টা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে রস কিনতে হাজির হন উৎসুক রসপ্রেমীরা। আবার অনলাইন উদ্যোক্তারাও গাছিদের কাছ থেকে রস কিনে নিয়ে শহরে বেশি দামে বিক্রি করছেন। 

এদিকে গুলিয়াখালী সমুদ্র তীরে ১০০ টাকা কেজি দরে আগুনে জ্বাল দেওয়া গরম রস বিক্রি করছে শিশু-কিশোররা। সেই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে গরম গরম ভাপা পিঠা। গৃহিণীরা উনুনে রস জ্বাল দিয়ে রাব মিঠাই বানাতে ব্যস্ত। গ্রামীণ পরিবেশে বানানো এসব মিঠাইয়ের বাজারে রয়েছে আলাদা কদর। গুলিয়াখালীর মতোই একই দৃশ্যের দেখা মেলে ভাটেরখীল ও বশরতনগর গ্রামে। 

সত্তরোর্ধ্ব মোহাম্মদ হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘একসময় প্রাকৃতিকভাবে পাখিরা খেজুর খেয়ে বীজ ফেললে সেই বীজ মাটিতে পড়ে গাছ গজাত। এভাবেই বেশির ভাগ গাছের জন্ম। একেকটি খেজুরগাছ ৮০-৯০ হাত লম্বা হয়। বাঁচে ১০০-১৫০ বছর। পাঁচ বছর বয়স থেকে খেজুরগাছ রস দেওয়া শুরু করে। রসের স্বাদ ভালো পেতে সপ্তাহে তিন দিন সংগ্রহই উত্তম। যে গাছের আঁশ পাতলা সেই গাছের রস হয় বেশি মিষ্টি।’ 

মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার খবরের কাগজকে বলেন, ‘শীত মানেই খেজুর রস। আমাদের এলাকায় খেজুর রস বিশেষ ঐতিহ্য। যার আলাদা কদর রয়েছে। এ ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। একসময় খেজুরগাছের কোনো যত্ন নেওয়া হতো না বলেই গাছ কমে গেছে। তবে এখন বাণিজ্যিক আকারে খেজুরগাছের বাগান করছেন কেউ কেউ। যদিও রসের দাম এখন দুধের সমতুল্য।’ 

সীতাকুণ্ড উপকূলীয় বন বিভাগের ফরেস্টার রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে ১৯৯৬-৯৭ সালে ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে কয়েক হাজার খেজুরগাছ লাগানো হয়েছিল। এখন বেড়িবাঁধের ধারে টিকে আছে মাত্র দুই হাজারের বেশি গাছ। এর বাইরেও আছে অনেক। বেড়িবাঁধের গাছগুলো প্রতি শীত মৌসুমে উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। এ মৌসুমে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা সরকারি রাজস্ব আয় এসেছে খেজুরগাছ থেকে। আগামীতে আর গাছ সৃজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক। ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনার ঘটে। 

এই দুজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, মহাসড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ কাটা হচ্ছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় পাশের বিদ্যুতের তারে ক্রেনটি লেগে গিয়ে ক্রেনের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

জুয়েল রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে দীর্ঘ ৩৩ দিন পর যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে তিনটি সার্ভিস ট্রলার নিরাপদে পৌঁছেছে।

সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন পর টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহী সার্ভিস ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বাংলাদেশের নাফ নদী দিয়ে নিরাপদে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছেছি। যদি গোলারচরটি খনন করা হয় তাহলে সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং সহজে পণ্যবাহী ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সকালে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার যাত্রীসহ টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। আমরা নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছতে পেরেছি।

তিনি বলেন, ‘আগে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন যে নৌরুট ছিল সেটি যদি খনন করা হয় তাহলে আমাদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। তখন আমাদের মায়ানমারের জলসীমানা আর ব্যবহার করতে হবে না। সেন্টমার্টিনে চাকরিরত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যাওয়া আসা করতে অসুবিধা হবে না। তবে তাদের চাকরির আইডি কার্ড অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।’

মায়ানমারে নিজেদের মধ্যে চলামান সংঘাতের কারণে গত ৫ জুন থেকে এ নৌরুটে সার্ভিস ট্রলার চলাচর বন্ধ ছিল।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় বালুভর্তি এক ট্রাক থেকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ট্রাকের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে বালুভর্তি ট্রাকে ভারতীয় চোরাই চিনি পরিবহনের খবর পেয়ে, সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। পরে দুপুর সোয়া দুইটার দিকে গোয়াইনঘাটে একটি ট্রাক ধরা পড়ে। বালু যেভাবে পরিবহন করা হয়, ঠিক সেভাবেই ট্রাকটিতে বালু ছিল। বেলচা দিয়ে কিছু বালু সরালে চিনির বস্তা দেখা যায়। পরে ট্রাকের চালককে আটক করা হয়। তার নাম জাকির হোসেন (৩৪)। বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার পানিছড়ায়।

পরে পুলিশ শ্রমিক দিয়ে বালু সরিয়ে ৩০০ বস্তা ভারতীয় তৈরি চিনি জব্দ করে। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি চিনি রয়েছে। এ হিসেবে ১৫ হাজার কেজি চিনির বর্তমান বাজার দর প্রায় ১৮ লাখ টাকা। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিলেটের সীমান্ত উপজেলাগুলোতে একাধিক পাথর ও বালুমহাল রয়েছে। এসব মহাল থেকে বালু-পাথর পরিবহনে নিয়োজিত রয়েছে কয়েক হাজার ট্রাক। পাথরমহাল বন্ধ থাকার পরও ট্রাক দিয়ে পাথর পরিবহনের বিষয়টি খোঁজ নিতে গিয়ে একের পর বেরিয়ে আসে পাথরচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা। এরপর পাথরবাহী ট্রাকে আর কোনো চিনি পাওয়া যায়নি। তবে বালুচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা এই প্রথম দেখা গেছে।

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি চোরাচালানের সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা করে আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

সিলেট ব্যুরো/পপি/অমিয়/

চাষি সম্মেলনে বিরিয়ানি খেয়ে হাসপাতালে শতাধিক মানুষ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
চাষি সম্মেলনে বিরিয়ানি খেয়ে হাসপাতালে শতাধিক মানুষ
ছবি : খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চাষি সম্মেলনে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদেরকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল গ্রামে একটি ফিস ফিড কোম্পানির চাষি সম্মেলন ছিল। সম্মেলনে অংশ নেওয়া চাষিদের চৌরাস্তা মোড়ের ঢাকা নবাব বিরিয়ানি হাউজের বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হয়। এই বিরিয়ানি খেয়ে পেটব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা শুরু হয় তাদের। সন্ধ্যার পর থেকে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে থাকেন।

জালালাবাদ ইউপি সদস্য আফতাবুজ্জামান জানান, নবাব বিরিয়ানি হাউজ থেকে আনা বিরিয়ানি চাষিদের খেতে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর থেকে একের পর এক ফোন আসতে থাকে।

কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) হয়েছে। সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

নাজমুল শাহাদাৎ/জোবাইদা/অমিয়/

নওগাঁয় পুকুরে ডুবে যমজ ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
নওগাঁয় পুকুরে ডুবে যমজ ভাইয়ের মৃত্যু
ছবি : খবরের কাগজ

নওগাঁর ধামইরহাটে পুকুরে ডুবে যমজ দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের পশ্চিম চকভবানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশুর নাম লক্ষণ ও রাম। তাদের বয়স তিন বছর। তারা চকভবানী গ্রামের সুজিত ওরাও এর ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম বলেন, সকালের খেয়ে দুই ভাই বাড়ির পাশে খেলতে থাকে। খেলার একপর্যায়ে সবার অগোচরে বাড়ির সামনে পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাদের খোঁজাখুঁজির করে পুকুরে লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে গিয়েই শিশুরা পানিতে ডুবে মারা গেছে।

শফিক ছোটন/জোবাইদা/অমিয়/