ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

পরকীয়ার অভিযোগে ইমামকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১১:১৬ এএম
আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ১১:১৬ এএম
পরকীয়ার অভিযোগে ইমামকে কুপিয়ে জখম

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় পরকীয়ার অভিযোগে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। 

রবিবার (১২ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের জামতলায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহত আব্দুল্লাহ আল মামুন ঝিকরগাছা উপজেলার কৃতিপুর গ্রামের স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম।   

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছা উপজেলার কৃতিপুর গ্রামের হঠাৎপাড়ার রবিউল ইসলামের স্ত্রীর সঙ্গে ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে রবিউল রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইমাম আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঝিকরগাছা থেকে নিয়ে আসেন। পথে জামতলায় রাস্তায় ইমামকে রেখে কাজের অজুহাত দেখিয়ে ৫ মিনিটের জন্য দূরে চলে যান রবিউল। একই স্থানে রবিউলের দুই শ্যালক ওত পেতে থাকে। রবিউল চলে যাওয়ার পর ইমাম আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ওপর ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে রবিউলের দুই শ্যালক।  

এ সময় ইমামের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে গুরুতর আহত অবস্থায় ইমামকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। 

হামলার পরপর রবিউল ঘটনাস্থলে এলে পুলিশ তাকে আটক করে মনিরামপুর থানায় নিয়ে যায়। আর আহত ইমামকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

মনিরামপুর থানার রাজাগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক রকিবুজ্জামান খবরের কাগজকে  বলেন, ‘পরকীয়ার জেরে ইমামকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় রবিউল নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের অভিযান চলছে।’ 

এইচআর তুহিন/ইসরাত চৈতী/অমিয় 

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল ১৬ গ্রেনেড

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল ১৬ গ্রেনেড
ছবি : খবরের কাগজ

গাজীপুর মহানগরীতে মাটি খুঁড়তে গিয়ে কলসভর্তি ১৬টি গ্রেনেড পান নির্মাণশ্রমিকরা। এরপর ঢাকা থেকে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে গ্রেনেটগুলো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। 

সোমবার (৮ জুলাই) জোরপুকুরপাড় দক্ষিণ ছায়াবীথি বোম্বাইবাড়ী এলাকায় পাওয়া গ্রেনেটগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী আবুল কাশেম বাড়ি নির্মাণের জন্য দক্ষিণ ছায়াবীথি বোম্বাইবাড়ী এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জমি কিনেন। সস্প্রতি ওই জমিতে ৬ তলা বাড়ির কাজ শুরু করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কয়েকজন শ্রমিক মাটি খুঁড়তে ছিলেন। এক পর্যায়ে ৪-৫ ফুট গর্ত করার পর একটি মাটির পাতিল বেরিয়ে আসে। কোদালের আঘাতে পাতিলটি ফেটে গেলে শ্রমিকরা ভেতরে গ্রেনেড পান। 

জমির মালিক আবুল কাশেম বলেন, ‘শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে কাজ বন্ধ দেন। এরপর তারা বিষয়টি আমাকে জানান। আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেই। পরে গাজীপুর সদর থানায় গিয়ে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে।’

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, এগুলো পরিত্যক্ত গ্রেনেট। নিরাপত্তার জন্য লোকজনকে সরিয়ে বাউন্ডারি ওয়ালের  গেটে তালা মেরে দেওয়া হয়। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (সিটিডিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিটের টিম লিডার মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান জানান, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের ১৯ জন সদস্য ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে। এই সময় আমরা ভাঙা মটকার ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো মোট ১৬টি গ্রেনেট দেখতে পাই। সেগুলো হলো আরজেস গ্রেনেট। রোবোটের মাধ্যমে প্রত্যেকটা গ্রেনেটের পিনগুলো অক্ষত আছে কি না, তা দেখার চেষ্টা করি। পিনগুলো ঠিকমতো থাকায় পরবর্তীতে সবগুলো গ্রেনেট আলাদা করতে সক্ষম হই। আমাদের টিমের দুজন সদস্য (বোমটেক) বোম স্যুট পড়ে আলাদা আলাদা ভাবে প্রত্যেকটি বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আরজেস গ্রেনেটগুলো খুবই শক্তিশালী। এই গ্রেনেটগুলো কোন দেশে তৈরি তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ বিস্ফোরকগুলোর মধ্যে কোন ম্যানুফ্যাকচুরাল মার্ক পাওয়া যায়নি। এগুলো অনেক আগের গ্রেনেট। তবে এই ধরনের গ্রেনেট আমাদের দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলার সময় ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাব। বিস্ফোরক অধিদপ্তরেও পাঠানো হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যাবে কবে এবং কোন দেশে এগুলো তৈরি হয়েছে। কত দিন আগে এগুলো মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কারা এগুলো মাটিতে পুঁতে রেখেছে তা তদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না।’

পরিবেশ রক্ষায় ৫ লাখ গাছ লাগাবে চসিক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ পিএম
পরিবেশ রক্ষায় ৫ লাখ গাছ লাগাবে চসিক
ছবি : খবরের কাগজ

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজায়ন নগরী গড়ে তুলার প্রত্যয় নিয়ে ৫ লাখ গাছ লাগানোর কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী। 

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে নগরের টাইগারপাসে বিন্না ঘাস প্রকল্প এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন। এটি মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ অপরিহার্য।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন পরিবেশকে আঘাত করেছি, তেমনি পরিবেশও আমাদের প্রতি বৈরী আচরণ করছে। যার ফলে অতিরিক্ত খরা ও অতিবৃষ্টি দেখা দিচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে আমাদের বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে। আমরা ওই লক্ষ্যে, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের স্কুল-কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ৫ লাখ গাছের চারা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য ৫ হাজার করে গাছের চারা কাউন্সিলদের দেওয়া হয়েছে। এ কার্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নগরীকে সবুজায়ন করে গড়ে তোলা হবে।’

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মইনুল হোসেন জয় প্রমুখ।

পিরোজপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
পিরোজপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
শহীদুল ইসলাম হাওলাদার

পিরোজপুরে কালীমন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে শহীদুল ইসলাম হাওলাদার নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। 

গতকাল রবিবার (৮ জুলাই) সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদারের সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শহীদুল ইসলাম সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। 

২০১৮ সালের ৭ জুলাই ওই ইউনিয়নের পাঁচপাড়া বাজারে থাকা কালীমন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে ওই বছরের ৭ অক্টোবর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ্রহণ করায় এবং জেলা প্রশাসকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে শহীদুল ইসলাম হাওলাদারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পিরোজপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সরদার ফারুক আহম্মেদ জানান, পুলিশ তদন্ত শেষে ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হাওলাদারসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর আদালত শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। তিনি বেশ কিছুদিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল।

বগুড়ায় রথযাত্রায় মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
বগুড়ায় রথযাত্রায় মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ায় গতকাল রবিবার (৭ জুলাই) রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পিএস ইমরুল কায়েসকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ তদন্ত কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। 

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জেলা পুলিশের একজন প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে নেসকোর এক কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের একজন এবং সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি। 

শহরের পালপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত ইসকন মন্দির থেকে রবিবার বিকেলে বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমতলা এলাকায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে রথের ২০ ফুট লম্বা চূড়া। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান শহরের পুরান বগুড়া এলাকার গৃহবধূ আতশী, দুপচাঁচিয়ার নরেশ মোহন্ত, অলোক কুমার, রঞ্জিতা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার জলি রানী সাহা। এ ঘটনায় আহত ৫০ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডাক্তার মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, আহতদের মধ্যে আর কেউ মারা যাননি। তবে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং তাদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

তালাক দেওয়ায় স্বামীকে খুন, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
তালাক দেওয়ায় স্বামীকে খুন, গ্রেপ্তার ২
ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে মঞ্জুর আলম নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্ত্রীসহ দুইজনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (৮ জুলাই) র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. আইউব খান ওরফে তারা (৩০) ও সাফিয়া আক্তার মনি (২৬)। 

র‌্যাব জানায়, নিহত ভিকটিম মঞ্জুর আলম ফেনী জেলার ফেনী সদর থানার লেমুয়া মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক। আগের পরিচয় থাকায় দেড় বছর আগে সাফিয়া আক্তার মনির সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ভুক্তভোগী। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের জেরে ভিকটিম মঞ্জুর আলম স্ত্রী সাফিয়াকে তালাক দেন। এরপর মনির সঙ্গে আইউব খান ওরফে তারার বিয়ে হয়। কিন্তু তালাকের বিষয়কে কেন্দ্র করে সাফিয়া ভিকটিম মঞ্জুর আলমকে হত্যার হুমকি দেয়।

গত ১০ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী মঞ্জুর আলমের পরিবার (প্রথম সংসার) কোন সন্ধান না পেয়ে বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে, পুলিশ একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরবর্তীতে মঞ্জুর আলমের পরিবার সেখানে গিয়ে অজ্ঞাত লাশটি মঞ্জুর আলমের বলে সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় গত ১২ জুন মঞ্জুর আলমের প্রথম স্ত্রী তিনজনকে এজাহারনামীয় এবং ৩/৪ 'কে অজ্ঞাতনামা আসামি ফেনী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে, আসামিরা চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ্ থানাধীন বিশ্ব কলোনী এলাকায় অবস্থান করছে। গত ৭ জুলাই দিবাগত রাত ৮টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছে, গত ১০ জুন ভুক্তভোগীকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং মুখমণ্ডল থেঁতলানোসহ দাঁত উপড়ে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে লাশ অজ্ঞাত স্থানে ফেলে পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।