![নির্মাণের এক মাসেই ভেঙে যাচ্ছে মহিষেরচরের সড়ক](uploads/2024/05/15/madaripur]-1715746790.jpg)
মাদারীপুর সদরের মহিষেরচর এলাকায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কে এক মাসের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এজিং (সড়কের কিনারা) ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে নতুন সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক। এতে নষ্ট হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ। স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদার এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি না হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মাদারীপুর সদর উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে এডিপির অর্থায়নে উপজেলার মহিষেরচর লঞ্চঘাট থেকে জাফরাবাদ পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২ কোটি টাকা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কোনো কোনো জায়গার কার্পেটিং উঠে এজিং ভেঙে গেছে। এ ছাড়া নিম্নমানের ইট, খোয়া, পাথর, বালু ব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন স্থানে সড়ক উঁচু নিচু হয়ে দেবে গেছে। এ ছাড়া পাকা সড়কের দুই পাশে কমপক্ষে তিন ফুট মাটি থাকার কথা। অথচ অধিকাংশ সড়কেই এই নিয়ম মানা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এই রাস্তা দিয়ে একটি ট্রাক গিয়েছিল। ওই গাড়ির চাপেই সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণেই নির্মাণের এক মাসের মধ্যেই সড়ক ভাঙতে শুরু করেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এত অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের উচিত তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা ঠিক নয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সড়ক নির্মাণের কয়েকদিন পরই বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়েছে, দেবে গেছে। অনেক স্থান উঁচু নিচু। কাজ করার সময় ঠিকাদার সঠিক নিয়মে ইট বালু ব্যবহার করেননি। পুরনো ইট তুলে তার ওপরে বিটুমিন (পিচ) ঢেলে রোলার দিয়ে কার্পেটিং করার কারণেই রাস্তার এই অবস্থা হয়েছে।’
যদিও বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদার মো. খোকন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বলতে বলেন। এলজিইডির মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন জানান, যেসব জায়গায় ভেঙে গেছে, সেখানে মাটি ফেলে মেরামত করা হবে। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।