![এবার চা-বাগানের বাজারে চোরাই চিনি, ১৩০ বস্তাসহ গ্রেপ্তার ২](uploads/2024/07/04/5454545-1720094009.jpg)
ট্রাকটি চা-বাগানের দোকানের সামনে গিয়ে থেমেছিল। সেখানে ওঁৎ পেতে ছিল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ডিবি পুলিশ দল। ট্রাকটি থামতেই তল্লাশি চালিয়ে ১৩০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করে পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে চোরাই চিনির দুই বাহক।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভোরে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুরা চা-বাগানের বাজার থেকে এভাবেই জব্দ করা হয়েছে চোরাই চিনি।
বিকেলে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা হওয়ার পর এসএমপির মিডিয়া সেল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘটনাটি জানিয়েছে।
এসএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপ পুলিশ কমিশনারের (ডিবি) নির্দেশনায় ভোর চারটা ৫০ মিনিটে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টিম-১ নিয়মিত টহল ডিউটি ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুরা চা-বাগান বাজারের মা ডেন্টিং ওয়ার্কশপের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক সেখানে থামে। ট্রাকটি থামামাত্র ডিবি পুলিশ ঘিরে রাখে। এরপর তল্লাশি চালিয়ে চোরাই চিনি পাওয়ায় দু'জন বাহককে আটক করা হয়।
আটক দু'জন হলেন, আফজল হোসেন (২৪) ও মো. রুহুল আমিন (৩৩)। এরমধ্যে আফজলের বাড়ি সিলেটের সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামে। রুহুলের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বরম সিদ্ধিপুর গ্রামে। বিভিন্ন রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তায় ১৩০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মোট ৬ হাজার ৫০০ কেজি চিনি। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী চিনির মূল্য প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
অবৈধ মালামাল বহনের কাজে ব্যবহার করায় চিনির সঙ্গে ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে জানিয়েছেন এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনায় বিকেলে এয়ারপোর্ট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। আটক দু'জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লাক্কাতুরা সিলেটের একটি পুরোনো চা-বাগান। ন্যাশনাল টি কোম্পানি পরিচালিত এই চা-বাগানটির অবস্থান সিলেট নগরমুখী বিমানবন্দর সড়কের পাশে। চা-বাগান ঘিরে সড়কের একপাশে একটি বাজার রয়েছে। লাক্কাতুরা চা-বাগান বাজার নামে পরিচিত হলেও চা-বাগান পরিচালনার বাইরে এটি পরিচালিত হয় বলে এ ঘটনায় লাক্কাতুরা চা-বাগান কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।