ঢাকা ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪

ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ২৫

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ২৫
ছবি : সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার পূর্ব সদরদী এলাকায় বিআরটিসি বাস ও শাহ ফরিদ বাসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হতাহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে বরিশালগামী বিআরটিসি বাসের সঙ্গে ফরিদপুরগামী শাহ ফরিদ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চালক ও দুই যাত্রী নিহত হন। আর আহত ২৫ জনকে ফরিদপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আনাম জানান, দুর্ঘটনায় বাসের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়। মহাসড়কে যানজট তৈরি হলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

সঞ্জিব দাস/সালমান/

নওগাঁয় মাদক মামলায় ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
নওগাঁয় মাদক মামলায় ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড
ছবি : খবরের কাগজ

নওগাঁয় মাদক মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

বুধবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গড়াই পাড়া গোরস্থান ঈদগাহ এলাকার মোস্তাজ আলী মন্টুর ছেলে লিটন মিয়া ও চরবাগডাঙ্গা এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে ইউসুফ আলী।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, ‘এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মাদক কারবারিদের কাছে একটি সতর্কতামূলক বার্তা পৌঁছানো হয়েছে। যাতে মাদক কারবারি ও যুবসমাজ মাদক থেকে নিজেদের বিরত রাখে এবং মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী কৌশিক কুমার দাস বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ জন্য আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব এবং আমরা আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।’

আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫-এর সদস্যরা নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নির্মইল ইউনিয়নের সরাইডাঙ্গা গ্রামের ছাতলতলা ব্রিজের ওপর একটি ট্রাক্টরের পেছনে টুল বক্সের ভেতর থেকে ৭০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করেন। এ সময় ট্রাক্টরের চালক লিটন মিয়া ও ইউসুফ আলীকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে পত্নীতলা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন বিচারক। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গোদাগাড়ীতে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
গোদাগাড়ীতে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, গোদাগাড়ী পৌরসভার শ্রীমন্তপুর গ্রামের তাজিমুল ইসলামের ছেলে অটোরিকশার চালক মনিরুল ইসলাম (৪০) ও একই গ্রামের  আব্দুল মান্নানের ছেলে মিলন হোসেন (৩৯)।

নিহতরা হলেন- গোদাগাড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীমন্তপুর গ্রামের তাজিমুল ইসলামে ছেলে অটোরিক্শার চালক মনিরুল ইসলাম (৪০) ও একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মিলন হোসেন (৩৯)। তিনি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, রিকশাটি মহিশালবাড়ির দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আর. আর ট্রাভেলস নামে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মিলনের মৃত্যু হয়। রিকশাচালক মনিরুলকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে স্থানীয় গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তাস্তর করা হয়। এছাড়া, ঘাতক বাসচালককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনায়েত করিম/এমএ/

সাবেক সচিব ও আইজিপির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
সাবেক সচিব ও আইজিপির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

বরগুনায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে তালতলী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সোনাকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে কামাল বলেন, তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় নিশানবাড়িয়া মৌজার এসএ ৬২, ৭২ ও ৪০৩ খতিয়ানের ২৪ একর ৭৩ শতাংশ জমি রাখাইনদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রের মালিক আমার দাদা আবদুল আজিজ ও আমার বাবা শাহ আলম। ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে ওই জমি থেকে ৯ একর ২০ শতাংশ মালিকানা দাবি করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব মিহিরকান্তি মজুমদার, তার স্ত্রী গিতা রানী ও তার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সোহেল, জুয়েল, সজিব, ফারুক, মাসুমের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করে হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করে দেয়। বর্তমানে আমি জমি চাষাবাদ করতে গেলে ওই তারা আমাকে চাষাবাদে বাধা ও হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও সাবেক সচিব মিহিরকান্তি মজুমদার, তার স্ত্রী ও ভাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই এলাকার ফুলমিয়া ও ফরিদা বেগমের জমি দখল করে ড. এম. কে মজুমদার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে। 

এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার বলেন, ৬০ বছরের পুরোনো ভুয়া দলিল বানিয়ে মোস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলন করছেন। ৬০ বছরে কোনো খবর নেই। এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

মহিউদ্দিন অপু/এমএ/

গোমতীর পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নেই, পানিবন্দি ১০ লাখ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
গোমতীর পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নেই, পানিবন্দি ১০ লাখ
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িং এলাকায় গোমতী বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখনো লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নেই। বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে এখনো লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। ফলে বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। এছাড়া বন্যাকবলিত প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে এখনো ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে, তলিয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি থেকে এখনো উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। সরকারি হিসেবে জেলার ১৪ উপজেলার ১০ লাখ ৬১ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছেন।

জানা গেছে, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে চান্দিনা, মেঘনা ও হোমনা উপজেলা ছাড়া বাকি ১৪টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে অন্তত ৭টি উপজেলায়। বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, বরুড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি একেবারে ভয়াবহ। এসব উপজেলার প্রত্যন্ত কিছু এলাকায় ত্রাণসহায়তা একেবারে অপ্রতুল। অতি দুর্ভোগে দিন কাটছে তাদের।

লাকসাম উপজেলার উত্তর দা ইউনিয়নের দিকধাইর গ্রামের বাসিন্দা নুরুন্নবী বলেন, আমাদের এলাকাটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় এখানে ত্রাণসামগ্রী তেমন আসছেই না। বন্যায় বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ার প্রথম এক সপ্তাহে এ এলাকায় কোনো ত্রাণ আসেনি। পরে গত সোমবার নেত্রকোনা থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল প্রথমবারের মতো আমাদের গ্রামে ত্রাণ নিয়ে আসে। একই চিত্র মনোহরগঞ্জ এবং নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর। স্থানীয়রা বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এবং প্রত্যন্ত এলাকার তথ্য না থাকায় এসব অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী তেমন আসছে না।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবেদ আলী বলেন, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলায় বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব উপজেলার ১২৫টি ইউনিয়নের ১০ লাখ ৬১ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত। পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এদিকে গোমতী নদীর ভাঙনের ফলে বন্যাকবলিত বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখনো পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এছাড়াও গোমতী নদী এবং ঘুংঘুর নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়েও সদর উপজেলাসহ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া প্লাবিত হচ্ছে। বন্যায় সদর উপজেলার ২ ইউনিয়ন, বুড়িচং উপজেলার ৫ ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহার ইসলাম বলেন, এখনো নতুন নতুন উপজেলা প্লাবিত হচ্ছে। আমরা বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছি। আটকে পড়া মানুষ জনকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা এখন কঠিন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার প্রধান প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত গোমতী পানি কোনো অংশে ১০ সেন্টিমিটার এবং কোনো অংশে ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।

এদিকে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে যাওয়ার পর বাঁধে ভাঙা অংশ মেরামতের দাবি উঠেছে। কারণ এ ভাঙা অংশ দিয়ে এখনো হু হু করে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। এরই মধ্যে বাঁধের ভাঙা অংশের দৈর্ঘ্য ৫০০ ফিট ছাড়িয়েছে। বাঁধের এতো বড় অংশ দিয়ে ভাঙনের পানি প্রবেশের ফলে এই দুই উপজেলা বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ এই দুই উপজেলার চারপাশেই উঁচু উঁচু সড়ক থাকায় এবং পাশ্ববর্তী সালদা ও ঘুংঘুর নদীর বাঁধ ভেঙে এ অঞ্চলের দিকে প্রবেশ করায় পানি সরে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই দ্রুততার সঙ্গে গোমতীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

জহির শান্ত/এমএ/

রাঙামাটিতে বৈষম্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠনের দাবিতে মহাসমাবেশ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
রাঙামাটিতে বৈষম্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠনের দাবিতে মহাসমাবেশ
ছবি : খবরের কাগজ

রাঙামাটিতে বৈষম্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠনের দাবিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার মহাসমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)। 

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ সব ক্ষেত্রে পাহাড়ের বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যা অনুপাতে বন্টন করার দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মজিবর রহমান বলেন, মূলত আদিবাসী স্বীকৃতির নামে আলাদা রাষ্ট্র ‘জুম্মলেন্ড’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কতিপয় উপজাতীয় ও দেশীয় কুচক্রী মহল। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় সব উপজাতি সম্প্রদায় প্রতিবেশী ভারত, মায়ানমার ও চীন থেকে আঠারো শতকের দিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বসবাস শুরু করে। অথচ আদিবাসী হতে হলে ভূমি সন্তান হতে হয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করতে হয়। 

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ সব ক্ষেত্রে পাহাড়ের বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যা অনুপাতে বন্টন করার দাবি জানানো হয়।

এর আগে বেলা ১১টায় রাঙামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জিমনেশিয়াম মাঠে মহাসমাবেশে মিলিত হয়। বেলা পৌনে তিনটা পর্যন্ত চলে এই সমাবেশ। 

সমাবেশ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও বন্যার্তদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। 

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের (পিসিএনপি) মহাসচিব আলমগীর কবির।

এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার, পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিব আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবু আইয়ুব আনসারী প্রমূখ।

জিয়াউর রহমান/অমিয়/