
ঠাকুরগাঁও জেলায় কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনেও সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কপথে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে চালকদের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।
আবহাওয়াবিদ জুলফিকার আলী জানান, কুয়াশার ঘনত্ব এবং নিম্ন তাপমাত্রার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, আগামী কয়েক দিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, 'কুয়াশার কারণে আলু ও ধানখেতে পচন ধরার আশঙ্কা করছি। ফসল বাঁচাতে কী করব বুঝতে পারছি না।'
দিনমজুর রহিম উদ্দিন বলেন, 'শীতের কারণে কাজে যেতে পারছি না। বাড়িতে বসে থাকলে সংসার চালে না, আর বাইরে গেলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে।'
শহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, শীতের তীব্রতা শুধু মানুষকেই নয়, পশুপাখিকেও বিপর্যস্ত করেছে। গ্রামীণ এলাকায় গৃহপালিত পশু তীব্র ঠাণ্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। গবাদিপশুর যত্নে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে দরিদ্র কৃষকরা গবাদিপশুর খাদ্য জোগাড় করতেও হিমশিম খাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সড়কপথে দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ সহায়তা কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।
নবীন হাসান/জোবাইদা/