ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

ভিন্ন আয়োজনে ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’-এর মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
ভিন্ন আয়োজনে ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’-এর মোড়ক উন্মোচন
‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করছেন আবুল হায়াত ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা। ছবি:

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার ও পরিচালক আবুল হায়াত। গত ৮ সেপ্টেম্বর নিজের ৮০ বছরে পা রেখেছেন এ গুণী অভিনেতা। এ দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মঞ্চনাটক থেকে চলচ্চিত্র, লেখক থেকে পরিচালক সব জায়গায় বাংলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। নিজের কর্মময় ৮ দশককে গ্রন্থাবদ্ধ করেছেন এই জীবন্ত নক্ষত্র। নিজের আত্মজীবনীর নাম রেখেছেন 'রবি পথ-কর্মময় ৮০'।

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে এক বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন হয়। অভিনেতার নানা অভিজ্ঞতা, গল্প ও ঘটনা নিয়ে ‘রবি পথ’ বইটি লেখা। প্রায় দশ বছর ধরে পরম যত্নসহকারে বইটি লিখেছেন বলে জানান তিনি। আবুল হায়াতের ডাক নাম রবি। ডাক নামেই নিজের আত্মজীবনীর নাম রাখা হয়েছে বলে জানান এ অভিনেতা।

মোড়ক উন্মোচনের আগে বইটির বিভিন্ন ভাগ থেকে অতিথিদের সামনে পড়ে শোনান নাট্যাঙ্গানের পরিচিতমুখেরা। তাদের মধ্যে ছিলেন আজাদ আবুল কালাম, অপি করিম, দীপা খন্দকার, রওনক হাসান, ইন্তেখাব প্রমুখ। 

গভীর মনোযোগসহকারে উপস্থিত সবাই আবুল হায়াতের লেখা কথাগুলো শুনছিলেন, আর গভীরভাবে মোহিত হচ্ছিলেন। গ্রামে বেড়ে উঠা থেকে শুরু করে শহরের লেখাপড়ার জীবনের গল্প শুনে মনে হচ্ছিল এ গল্প শুধু আবুল হায়াতের একার নয়। সবাই যেন কোনো না কোনোভাবে গল্পের মধ্যে নিজেদের খুঁজে পাচ্ছিলেন। 

গল্পপাঠের ফাঁকে ফাঁকে আবুল হায়াৎকে নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন আমন্ত্রিত গুণীজনেরা। উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশিদ, নওয়াজিশ খান, সারা জাকের মতো পদকপ্রাপ্ত নাট্যকার ও শিল্পীরাও। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তারিক আনাম খান, নরেশে ভুঁইয়া, আবুল হায়াতের দুই কন্যা বিপাশা হায়াৎ, নাতাশা হায়াত প্রমুখ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

অভিনয় শিল্পী সঙ্গের ব্যানারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অপি করিম। 

গুণীজনদের কথা ও গল্পপাঠ শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে নিজের আত্মজীবনের মোড়ক উন্মোচন করেন আবুল হায়াৎ। এরপর জীবনসঙ্গীনি মাহফুজা খাতুন শিরিন ও দুই মেয়ে বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াতকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন আবুল হায়াত, আবেগঘন কথা বলেন দর্শকদের উদ্দেশ্যে। 

নিজের আত্মজীবনী সম্পর্কে আবুল হায়াত বলেন, ‘বইটা কেন লিখেছি, এর কোনো জবাব নেই। ১০ বছর ধরে লিখেছি, বইটা পড়লেও সবাই তা টের পাবেন। আমি নিজেও তো অনেকের বই পড়েছি। ভাবলাম, লিখি না, আমার জীবনেও তো অনেক ঘটনা আছে। বই লেখার ক্ষেত্রে যে ঘটনা আমাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে, মুর্শিদাবাদ থেকে একটি পরিবার চট্টগ্রামে এল শুধু টেবিলে বসে একটা দাগ টানার কারণে। যখন বলা হলো, এটা হিন্দুস্তান, এটা পাকিস্তান। তার কারণে আমার মা-বাবা একটা দেশ ছেড়ে আরেকটা দেশে এলেন। বোঝালেন যে এটা তোমার দেশ না, ওটা তোমার দেশ। প্রথমত, সেখান থেকে কষ্টটা, ক্ষতটা আমি আমার লেখায় ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। তারপর আমি যে তিন বছর বয়সে এলাম, এরপর বড় হলাম—সেই বিষয়গুলো লিখতে লিখতে মনে হলো, বাকি জীবনটা লিখে ফেলি। এরপর অনেকবার ফেলে রেখেছি, অবহেলা করেছি। এক পাতা লিখেছি, ছিঁড়ে ফেলেছি। দশ পাতা লিখেছি। তারপরও পড়ে ছিল বহুদিন। বিপাশা নিয়মিত বলত লেখার ব্যাপারে। আমি বলেছিলাম, আমার জীবনী কে পড়বে? তখন বিপাশা বলেছিল, তুমি তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ লেখক। তোমার জীবনী তোমার চেয়ে ভালো কেউ লিখতে পারবে না। আমি চাই, তোমার জীবনীটা লেখা হোক। এটা মনে হয়েছে, হ্যাঁ, তাই তো, আমার জীবনী আমার চেয়ে ভালো আর কে লিখবে। আমিও তারপর ভাবলাম, লিখি। এরপর তিথি (বইটির প্রকাশক) যখন বলল, ‘আমি ছাপাব।’ তখন তাড়াতাড়ি লেখা শেষ করলাম। ভেবেছি আর সময় পাব কি না। এভাবেই লেখা হলো।’

গুণী এ অভিনেতা গত ৩ বছর যাবৎ ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করছেন। স্ত্রী শিরিন হায়াতকে কাছে টেনে কান্নাজড়িত কন্ঠে শোনালেন অসুস্থতা ও ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করার গল্প। 

তিনি বলেন, ‘আজ থেকে তিন বছর আগে চিকিৎসক বললেন, আমার ক্যান্সার হয়েছে। আমি জানতে পারলাম, আমি ক্যান্সার রোগী। হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আর কথা বলতে পারিনি। পুরো রাস্তা আসার সময় তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। রাতে খাওয়া দাওয়া করে আমি শুয়ে ছিলাম। অন্ধকারে একা কাঁদছি। হঠাৎ টের পেলাম, উনি পাশে এসে শুয়েছেন। আমি তখনো নিঃশব্দে কাঁদছি। হঠাৎ ওনার একটা হাত আমার গায়ে এসে পড়ল। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। তখন উনি বললেন, ‘আল্লাহ তায়ালা এই রোগটা তোমাকে কেন দিল, আমাকে দেখতে পেল না?’ বলেই হাউমাউ করে কেঁদে আমাকে জড়িয়ে ধরল। সারাটা জীবন আমার সঙ্গে, আমার দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, আনন্দ সবকিছুতে সে। আজকে আমি এই যে তিনটা বছর ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছি, শুধু তাঁর কারণে। সে আমার সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা, আমাকে শিখিয়েছে, আই এম অ্যা ফাইটার।’

আবুল হায়াত যখন এসব কথা বলছিলেন তখন পুরো মিলায়তনটা কেমন জানি ভারী হয়ে উঠল। শুধু মঞ্চে আবুল হায়াতের সাথে তার পরিবার কাঁদছিলো এমন নয়, এ কান্না স্পর্শ করেছিল উপস্থিত সকলকে। সবাই দাঁড়িয়ে জীবনের এ লড়াইয়ে অভিনতাকে জানালেন অভিবাদন, করতালি দিয়ে জোগালেন সাহস। অভিনেতাও বললেন, ‘আমি শেষ দিন পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন।’
 হাসান

প্রাক্তন প্রেমিককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করলেন নার্গিস ফাকরির বোন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
প্রাক্তন প্রেমিককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করলেন নার্গিস ফাকরির বোন
আলিয়া ফাকরি। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী নাগির্স ফাকরির বোন আলিয়া ফাকরি তার প্রাক্তন প্রেমিককে তার বর্তমান প্রেমিকাসহ জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। গতকাল সোমবার নিউ ইয়র্কের কুইনস এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। জোড়া খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আলিয়াকে। 

৪৩ বছরের আলিয়ার জন্ম ও বেড়ে উঠা কুইনস এলাকাতেই। সেখানেই পরিচয় হয় তার চেয়ে ৮ বছরের ছোট এডওয়ার্ড জেকবসের সাথে। এরপর প্রেম। তবে তা টিকেনি বেশি দিন। বছরখানেক আগে সম্পর্ক ছিন্ন করেন প্রেমিক জেকবস। জড়ান নতুন সম্পর্কে। তবে সেটা মেনে নিতে পারেননি আলিয়া। তার জের ধরেই গতকাল সাবেক প্রেমিকের বাড়িতে ঢুকে প্রেমিকের বর্তমান প্রেমিকাসহ আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করলেন আলিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়িতে যখন আলিয়া ঢুকেন তখন জেকবস ও তার প্রেমিকা অ্যানাস্টাশিয়া স্টার ইটেইন ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। বাড়িতে ঢুকেই জেকবসের ওপর চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন আলিয়া। এরপর বর্তমান প্রেমিকাসহ প্রেমিকের শরীরে আগুনর্ ধরিয়ে দেন তিনি। তারপর আগুনে পুড়ে ও বিষাক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাদের। এরমাঝে জেকবসের এক বন্ধু তাদের বাঁচাতে আসেন. কিন্তু ততক্ষণে আগুন এমন ছড়িয়ে পড়ে যে ভেতরেই মৃত্যু হয় তাদের। 

ছেলের মৃত্যুর পর জেকবসের মায়ের দাবি, সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরও নানা অজুহাতে তার ছেলের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করতেন আলিয়া। 

হাসান

আঁচলের ‘দুই চাক্কার সাইকেল’

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
আঁচলের ‘দুই চাক্কার সাইকেল’
আঁচল আঁখি। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি। দীর্ঘদিন ধরেই নতুন কোনো সিনেমার কাজ নেই তার হাতে। সিনেমায় এ নায়িকার ব্যস্ততা না থাকলেও মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হন তিনি।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংগীতশিল্পী সৈয়দ অমির ‘মাতাল’ গানের ভিডিওতে ভিন্ন লুকে হাজির হয়েছিলেন আঁচল। এই ভিডিওটি বেশ আলোচিত হয়। এরপর এ জুটিকে আরও বেশ কিছু গানের ভিডিওতে দেখা গেছে। এবার তারই ধারাবাহিকতায় বছরের শেষ প্রান্তে এসে আবারও সৈয়দ অমির গানে মডেল হয়েছেন আঁচল। গানের শিরোনাম ‘দুই চাক্কার সাইকেল’।

সালাউদ্দিন সাগরের কথায় গানটিতে সৈয়দ অমির সঙ্গে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন সানজিদা রিমি। গানটির সুর করেছেন এ এন ফরহাদ এবং সংগীতায়োজন করেছেন সৈয়দ অমি নিজেই। কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন রোহান ও বেল্লাল। মালয়েশিয়া এবং সিলেটের মনোরম লোকেশনের গানটির চিত্র ধারণ হয়েছে। সম্প্রতি সৈয়দ অমির ইউটিউব চ্যানেলে মিউজিক ভিডিওটি মুক্তি পেয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা আঁচল বলেন, ‘বছরের শুরুতে আমাদের ‘মাতাল’ গানটি থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছিলাম। চিন্তা করছিলাম বছর শেষে ভক্তদের জন্য ভিন্ন কিছু উপহার দিই। সেই ভাবনা থেকে ব্যতিক্রম ঘরানার একটি গান ‘দুই চাক্কার সাইকেল’। গানটি প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকদের প্রচুর সাড়া ও সাপোর্ট পাচ্ছি।’

এ সম্পর্কে সংগীতশিল্পী সৈয়দ অমি বলেন, ‘সব সময় ভিন্ন গায়কীর মাধ্যমে দর্শক-শ্রোতাদের নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা থেকেই এই গানটি নির্মিত হয়েছে। এরই মধ্যে গানটি শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। তাদের ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ।’

হাসান

স্বাধীন মিউজিকে অডিওবুক ও অডিওড্রামা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
স্বাধীন মিউজিকে অডিওবুক ও অডিওড্রামা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্বাধীন মিউজিক শ্রোতাদের জন্য এনেছে অডিওবুক ও অডিওড্রামা। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে লক্ষাধিক দেশি-বিদেশি গান প্রকাশ করে শ্রোতাদের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। এবার শ্রোতাদের জন্য শতাধিক বই নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে স্বাধীন অডিওবুক, যেখানে রয়েছে কালজয়ী ও সমসাময়িক লেখকদের লেখা গল্প ও উপন্যাস।

স্বাধীন অডিওবুকে শ্রোতারা পাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার রায়, সত্যজিৎ রায়, স্যার আর্থার কোনান ডয়েলসহ দেশি-বিদেশি জনপ্রিয় লেখকদের সাহিত্যকর্ম। এ ছাড়া স্বাধীন অডিওড্রামায় রয়েছে জনপ্রিয় সিরিজ ‘তিন গোয়েন্দা’, ‘মাসুদ রানা’ এবং ‘শার্লক হোমস’-এর মতো বই। স্বাধীন অডিওবুকে কণ্ঠ দিয়েছেন এ কে আজাদ সেতু, জাহাঙ্গীর আলম, স্বপ্নীল সোহেল, শোয়াইব আহমদ, শেগুফতা আবিদ সারির মতো ভয়েস শিল্পীরা। 

স্বাধীন অডিওবুক প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিরুল হক বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি বহুমুখী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যা আমাদের শ্রোতাদের সুস্থ বিনোদনের সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। অডিওবুক পরিষেবা চালু করার মাধ্যমে আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’ স্বাধীন মিউজিক ব্যবহারকারীরা মাসিক মাত্র ২০ টাকায় গান, পডকাস্ট এবং অডিওবুকের সব কন্টেন্ট শুনতে পারছেন।

হাসান

ট্রাক ড্রাইভারের চরিত্রে সাব্বির

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
ট্রাক ড্রাইভারের চরিত্রে সাব্বির
সাব্বির আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সাব্বির আহমেদ। এবার তিনি একজন ট্রাক ড্রাইভারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। হাসানুজ্জামান জুয়েলের রচনা ও পরিচালনায় ‘ড্রাইভারের সুন্দরী বউ’ নামের নাটকে দর্শকরা সাব্বিরকে এই চরিত্রে দেখতে পাবেন। এই নাটকে আরও অভিনয়ে আছেন মিম চৌধুরী, শফিক খান দিলু, নুর এ কাঞ্চন, রিকো ডি রোজারিও প্রমুখ। 

নাটকের গল্প প্রসঙ্গে সাব্বির আহমেদ বলেন, এই নাটকে আমি জালাল নামের একজন ট্রাক ড্রাইভারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পে জালাল কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মাঝে মাঝে বন্ধুর প্ররোচনায় জুয়া খেললেও, একসময় নিজের ভুল বুঝতে পেরে জুয়া ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এই সিদ্ধান্তের কারণে তার বন্ধু নুরুর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর ঘটে নানা ঘটনা। সবমিলিয়ে গল্পটা বেশ মজার। আশা করি নাটকটি দর্শকদের ভালো লাগবে। নাটকটি শিগগিরই একটি চ্যানেলে প্রচার হবে। 

হাসান

পুষ্পা ২ সিনেমা মুক্তির আগেই বিতর্কে রাশমিকা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
পুষ্পা ২ সিনেমা মুক্তির আগেই বিতর্কে রাশমিকা
রাশমিকা মান্দানা। ছবি: সংগৃহীত

ঠিক দুই দিন পর ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে ভারতের ২০২৪ সালের সর্বাধিক প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’। সিনেমাটিতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় দুই সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানা। সিনেমাটি নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশাও আকাশচুম্বী। কিন্তু মুক্তির চার দিন আগেই প্রকাশিত ছবিটির ‘পিলিংস’ শিরোনামের একটি গান নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

মূলত গানটি সবার কাছেই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এমনকি আশা করা হচ্ছে, এটি টপ চার্টেও স্থান করে নেবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে গানের কোরিওগ্রাফি নিয়ে। ‘পিলিংস’ গানে কোরিওগ্রাফার ছিলেন শেখর ভুল্লি ভিজে। যেখানে আল্লু অর্জুন ও রাশমিকার কোনো রসায়নই ফুটিয়ে তোলা হয়নি। উল্টো তাদের উদ্যম নাচই পুরো গানে দেখানো হয়েছে। আর এ নিয়েই দর্শকদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।

গানের নাচ নিয়ে অনেকেই কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন। এর মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘কীভাবে? কেউ এমন কাজ করাতে পারে? এটি দেখা আমার জন্য চরম অস্বস্তিকর ছিল।’ দ্বিতীয় একজনের মন্তব্য, ‘ভাই, এটা দেখাও তো বিব্রতকর।’

অন্য একজনের মন্তব্য তো বাকি সব সমালোচনাকে ছাপিয়ে গেছে। তিনি লেখেন, ‘আজকাল কোরিওগ্রাফি যেন নীল দুনিয়ার ভিডিওর মতো হয়ে গেছে। একজন অভিনেত্রী এমন কাজে কীভাবে রাজি হন বুঝি না।’ আরেক দর্শক তো তার পুরো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আল্লু অর্জুনের ওপর, ‘আল্লু এত ভালো একজন ড্যান্সার হওয়ার পরও কেন এমন ছাপড়ির মতো কাজ করলেন!’

এই সিনেমার প্রথম গান ‘কিসিক’ খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। তবে মুক্তির চার দিন আগে ‘পিলিংস’ গান প্রকাশ করে আবারও আলোচনায় উঠে এল আল্লু অর্জুন-রাশমিকা মান্দানার বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি।

হাসান