![রাফা থেকে বাস্তুচ্যুত ৯ লাখেরও বেশি](uploads/2024/05/25/Rafa-1716605436.jpg)
রাফায় ইসরায়েলি অভিযান শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে আবারও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৯ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। তারা ভুগছেন খাবার, পানি ও ওষুধের সংকটে।
গাজার আল আকসা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, জেনারেটর চালু করার মতো কোনো জ্বালানি নেই এবং তারা এখন বিদ্যুৎ ছাড়াই রয়েছেন। সেখানকার সব রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দেইর এল-বালাহতে অবস্থিত ওই হাসপাতালটি এখন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রগুলো ব্যবহার করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে তাদের ভিন্ন প্রক্রিয়ায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির মুখপাত্র খলিল আল-দেকরান। তিনি বলেন, ‘এ থেকে অনেক অসুস্থ ও আহত মানুষের মৃত্যু হবে।’
আল-জাজিরার খবর বলছে, রাফার দক্ষিণপূর্বে ইসরায়েলি ট্যাংক ও সেনা অগ্রসর হতে দেখা গেছে। সেখানকার পশ্চিমের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার দিকে যাচ্ছে তারা। উত্তর গাজায় আর দুটি মাত্র হাসপাতাল কার্যকর রয়েছে। জাবালিয়া অঞ্চলের ওই হাসপাতাল দুটি গত কয়েক দিন ধরেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। ওই অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনীকে গোলাবর্ষণও করতে দেখা গেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৫ হাজার ৮০০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজার ১১ জন। হামাসের হাতে এখনো ১৩০ জনের মতো জিম্মি রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আরও তিন ইসরায়েলি জিম্মির লাশ উদ্ধার করেছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, ওই তিন জিম্মি হলেন হানান ইয়াব্লোনকা, মিশেল নিসেনবাউম ও অরিয়ন হার্নান্ডেজ। ইসরায়েলের দেশীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযানে উত্তরের জাবালিয়া থেকে লাশগুলো উদ্ধার হয়েছে। এর এক সপ্তাহ আগে গাজা থেকে আরও তিন জিম্মির লাশ উদ্ধার করেছিল আইডিএফ।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলেন, ‘সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা দেশ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব- জীবিতদের এবং মৃতদেরকেও যাতে তাদের আমরা ইসরায়েলে সমাহিত করতে পারি।’
গত ডিসেম্বরে গাজায় ভুলবশত তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। জিম্মিরা সে সময় সাদা পতাকা ধরে রেখেছিল বলেও জানায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
নিরাপত্তা পরিষদে ভোট
মানবাধিকারকর্মী ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভোটাভুটির জন্য এক প্রস্তাব উত্থাপন করার কথা রয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সব যোদ্ধাকে সুরক্ষিত রাখার কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। তবে এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সংঘাতের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি।
সুইজারল্যান্ড সমর্থিত ওই প্রস্তাবে জাতিসংঘ ও মানবিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানোর বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলা
ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের বালাতা শিবিরে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে অবকাঠামো ভেঙে দিয়েছে ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই অভিযানের কারণে বালাতা শিবিরজুড়ে লড়াই ছড়িয়ে পড়ে বলেও জানিয়েছে ওয়াফা। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সূত্র: আল-জাজিরা