![মোদির মন্ত্রিসভায় বাড়ল শরিকদের সংখ্যা](uploads/2024/06/11/Modi-1718090806.jpg)
তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণ করলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। বিজেপির আগের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় শরিকনির্ভর সরকার গড়েছেন তিনি। মন্ত্রিসভাতেও সে ছাপ দেখা গেছে স্পষ্টভাবেই।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রবিবারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে শপথ পাঠ করেন ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী, পাঁচজন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, মোদির মন্ত্রিসভার ৭২ জনের মধ্যে ১১ জনই শরিক দলের। ওই ১১ মন্ত্রীকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তেলেগু দেশম পার্টি, জনতা দল ইউনাইটেড, শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী), লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস), জনতা দল সেকুলার, রাষ্ট্রীয় লোক দল, হিন্দুস্তানি আওয়ামী মোর্চা (এইচএএম) এবং রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া থেকে। তৃতীয় দফার মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীদের মধ্যে ২৫ জন বিজেপির।
২০১৪ সালে মোদির সঙ্গে শপথ নিয়েছিলেন শরিক দলের চার পূর্ণমন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী। ২০১৯ সালে শপথ নেন তিন পূর্ণমন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে, প্রথম দু-বারই লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল বিজেপির। যা এবার অনুপস্থিত। এই পরিসংখ্যান দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছে বিজেপি এককভাবে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসন না পাওয়াতেই এবার এনডিএ জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতাদের চাপে মন্ত্রিসভার কলেবর বেড়ে ৭২ হলো।
এদিকে ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মোদি। সে সময় তার সঙ্গে শপথ নেন ৫৭ জন। এদের মধ্যে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৯ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ২৪ জন প্রতিমন্ত্রী।
আর ২০১৪ সালে ২৬ মে প্রথমবার মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় তার সঙ্গে শপথ নেন ৪২ জন। এদের মধ্যে ২১ জন পূর্ণমন্ত্রী, পাঁচজন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী।
নতুন মন্ত্রিসভায় পুরোনোদের ওপরই আস্থা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গতবারের মতো এবারও অমিত শাহর হাতেই থাকবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব এবারও দেওয়া হয় রাজনাথ সিংকে। নীতিন গডকড়ি হলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। এই পদেই গত মন্ত্রিসভায় তিনি দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী করা হলো নির্মলা সীতারামণকেই। নতুন মন্ত্রিসভায় ফের এস জয়শঙ্করের হাতেই দেওয়া হলো বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব।
বিদ্যুৎ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনহরলাল-খট্টর। অজয় টামটা ও হর্ষ মালহোত্রা হয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী হয়েছেন জিতনরাম মাঝি, রেলমন্ত্রী হয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, জেপি নাড্ডা হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জলশক্তি মন্ত্রকের দায়িত্বে এসেছেন সিআর পাতিল, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্বে এসেছেন শিবরাজ সিং চৌহান, ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান, সংসদীয় মন্ত্রী হয়েছেন কিরন রিজেজু, শিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে এসেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। সূত্র: বিবিসি