ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

মোদির মন্ত্রিসভায় বাড়ল শরিকদের সংখ্যা

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
মোদির মন্ত্রিসভায় বাড়ল শরিকদের সংখ্যা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণ করলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। বিজেপির আগের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় শরিকনির্ভর সরকার গড়েছেন তিনি। মন্ত্রিসভাতেও সে ছাপ দেখা গেছে স্পষ্টভাবেই।

প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রবিবারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে শপথ পাঠ করেন ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী, পাঁচজন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী। 

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, মোদির মন্ত্রিসভার ৭২ জনের মধ্যে ১১ জনই শরিক দলের। ওই ১১ মন্ত্রীকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তেলেগু দেশম পার্টি, জনতা দল ইউনাইটেড, শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী), লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস), জনতা দল সেকুলার, রাষ্ট্রীয় লোক দল, হিন্দুস্তানি আওয়ামী মোর্চা (এইচএএম) এবং রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া থেকে। তৃতীয় দফার মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীদের মধ্যে ২৫ জন বিজেপির।

২০১৪ সালে মোদির সঙ্গে শপথ নিয়েছিলেন শরিক দলের চার পূর্ণমন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী। ২০১৯ সালে শপথ নেন তিন পূর্ণমন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে, প্রথম দু-বারই লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল বিজেপির। যা এবার অনুপস্থিত। এই পরিসংখ্যান দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছে বিজেপি এককভাবে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসন না পাওয়াতেই এবার এনডিএ জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতাদের চাপে মন্ত্রিসভার কলেবর বেড়ে ৭২ হলো।

এদিকে ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মোদি। সে সময় তার সঙ্গে শপথ নেন ৫৭ জন। এদের মধ্যে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৯ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ২৪ জন প্রতিমন্ত্রী। 

আর ২০১৪ সালে ২৬ মে প্রথমবার মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় তার সঙ্গে শপথ নেন ৪২ জন। এদের মধ্যে ২১ জন পূর্ণমন্ত্রী, পাঁচজন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী।

নতুন মন্ত্রিসভায় পুরোনোদের ওপরই আস্থা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গতবারের মতো এবারও অমিত শাহর হাতেই থাকবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব এবারও দেওয়া হয় রাজনাথ সিংকে। নীতিন গডকড়ি হলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। এই পদেই গত মন্ত্রিসভায় তিনি দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন।‌ অর্থমন্ত্রী করা হলো নির্মলা সীতারামণকেই। নতুন মন্ত্রিসভায় ফের এস জয়শঙ্করের হাতেই দেওয়া হলো বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব। 

বিদ্যুৎ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনহরলাল-খট্টর‌। অজয় টামটা ও হর্ষ মালহোত্রা হয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী হয়েছেন জিতনরাম মাঝি, রেলমন্ত্রী হয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, জেপি নাড্ডা হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জলশক্তি মন্ত্রকের দায়িত্বে এসেছেন সিআর পাতিল, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্বে এসেছেন শিবরাজ সিং চৌহান, ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান, সংসদীয় মন্ত্রী হয়েছেন কিরন রিজেজু, শিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে এসেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য দিল্লির কড়া বার্তা পেয়ে জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ মমতা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১০ এএম
দিল্লির কড়া বার্তা পেয়ে জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ মমতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য নিয়ে ঢাকা থেকে ভারত সরকারের কাছে আপত্তি জানানো হয়। সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এরপরই বাংলাদেশের বিষয়টি একটি সার্বভৌম দেশের বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। রাজ্য সরকারের ওই প্রসঙ্গে কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই বলেও জানান জয়সওয়াল। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিল্লি যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, ‘আমাকে কিছু শেখাবেন না।’

দিল্লিতে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভালো জানি। আমি সাত বারের এমপি, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। বিদেশনীতি অন্য কারও চেয়ে ভালো জানি। তাদের আমাকে শেখানো উচিত নয়। বরং তাদের পরিবর্তিত ব্যবস্থা থেকে শেখা উচিত।’

গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের ধর্মতলায় রাজনৈতিক সমাবেশে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, পড়শি দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। তবে সেই সঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকার বলবে। সেই মন্তব্যের পরই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মমতার বিরুদ্ধে সরব হয়। ক্ষমতাসীন বিজেপির দাবি, মমতার এমন কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই।

মমতার মন্তব্যে আপত্তি জানায় ঢাকাও। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার ওই বক্তব্যের জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে ‘নোট’ দেওয়া হয়েছে।

পরে গত বৃহস্পতিবার জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া ‘আপত্তিবার্তা’র কথা স্বীকার করেন। অন্যদিকে মমতাকেও কার্যত সংবিধানের পাঠ দিয়ে জানানো হয়েছে, অন্য কোনো দেশ বা বৈদেশিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। সংবিধান সেই অধিকার দেয়নি রাজ্যকে। এ নিয়ে বলার এখতিয়ার শুধু ভারত সরকারেরই আছে। সেই প্রসঙ্গেই মমতা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আক্রমণ করেন।

‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’
ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তার এ অবস্থানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রাজনৈতিক অবস্থানের মিল রয়েছে।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে হ্যারিস বলেন, এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় হয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা রয়েছে কমলা হ্যারিসের। আগামী মাসেই ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেতে পারেন হ্যারিস। 

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বিবৃতিতে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা দুর্ভোগের কারণে অসাড় হয়ে যেতে পারি না এবং আমি নীরব থাকব না।’ 

হ্যারিসের মন্তব্য তীক্ষ্ণভাবে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। নভেম্বরের ৫ তারিখ তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এ রকম কড়া মনোভাব দেখাবেন কি না, সে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।   

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল। তারা ঘোষণা দিয়েছে হামাসকে নির্মূল করার। মূলত ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও প্রায় ১২০০ মানুষের কারণেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। 

কিন্তু যুদ্ধে ইসরায়েল নির্বিচার হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে। যাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ।

আন্তর্জাতিক মহল থেকে এ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তোলা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। উল্টো নেতানিয়াহু বরাবরই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, যুদ্ধ জিইয়ে রেখে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অক্ষুণ্ন রাখতে চাইছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির দায়ে নিজ দেশে তার যে বিচার হওয়ার কথা, সেটি এড়ানোর চেষ্টা করছেন।

এরই মধ্যে একাধিকবার ইসরায়েলি মিত্র যুক্তরাষ্ট্র গাজার যুদ্ধ নিয়ে তাদের সতর্ক করেছে। শুরু থেকে তারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসলেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গোটা বিষয়টির সমাধান চাইছে। 

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল দুই পক্ষকে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আলাপ করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি খুব কাছে রয়েছে।

উল্টো গাজায় হামলার মাত্রা বেড়েছে। বিগত দিনগুলোতে প্রচুর আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার খান ইউনিস থেকে মানুষকে সরে যেতে বলে। তারা দাবি করে, ওই এলাকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। 

এরপর যথেষ্ট সময় না দিয়েই শুরু করা হয় আক্রমণ। মানুষ ভয়ে পালাতে শুরু করে এবং অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারায়। খান ইউনিসে এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় অভিযান। এর আগে চলতি বছরের শুরুতেও খান ইউনিসে হামলা চালিয়েছিল তারা। 

বাইডেন এর আগে নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, তার (নেতানিয়াহু) যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় শূণ্যস্থান পূরণে ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কাজ শুরু করা উচিত।

নেতানিয়াহু কমলা হ্যারিসের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করবেন। তবে হ্যারিস কী চাইছেন, তা পুরোপুরি স্পষ্ট। নিজ বক্তব্যে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা কীভাবে, সে বিষয়টি আমলে নিতে হবে।’ সূত্র: রয়টার্স

জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। শত শত বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দেখা দেওয়া ওই বন্যা ও ভূমিধসে অঞ্চলটির পরিবহনব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এরই মধ্যে জাপানের ইয়ামাগাতা ও আকিতা অঞ্চলের কয়েকটি পৌরসভায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার ও কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্যের ওপর মনোযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর বলছে, বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নৌকায় করে ১১ জনকে সরিয়ে নিয়েছেন শহরের উদ্ধারকর্মীরা। ইয়ামাগাতা প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউজা ও সাকাতা শহর। বৃহস্পতিবার শহর দুটিতে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের (৪ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন সে পরামর্শ মেনেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে, আকিতা প্রদেশের ইউজাওয়া শহরে একটি সড়ক নির্মাণ সাইটে ভূমিধস হয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। সূত্র: এপি 

পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

পাকিস্তান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রক্সি যুদ্ধের মাধ্যমে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও বলেছেন, তাদের সেই ‘অপবিত্র পরিকল্পনা’ কখনো সফল হবে না।

পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দশক ধরেই ভালো সম্পর্ক নেই ভারতের। কাশ্মীরে ইসলামি উগ্রপন্থিদের তহবিল জোগান দেয় পাকিস্তান– এমন অভিযোগ তারা বহু আগে থেকেই করে আসছে। তবে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তাদের কথা হলো– পাকিস্তান শুধু কাশ্মীরিদের কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।

কারগিল সংঘাতের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেন মোদি। হিমালয় অঞ্চল কারগিলে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সংঘাতে জড়িয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত। এ ছাড়া দুই দেশ মোট তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে বিভিন্ন সময়। তার মধ্যে দুটি কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। চলতি বছরেও জম্মু ও কাশ্মীরে উগ্রবাদী হামলা হয়েছে। সে হামলায় প্রায় এক ডজন ভারতীয় সেনা মারা গেছে।

মোদি দাবি করেন, পাকিস্তান যখনই নিজ পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চেয়েছে, তখনই বিব্রত হয়েছে। দেশটি নিজ ইতিহাস থেকে কোনোকিছু শেখেনি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেওয়া হয়নি। 

২০১৯ সালের আগস্ট থেকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এখনো সে অবস্থাই রয়েছে। কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার জেরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল সেবার। 

কাশ্মীরে ভারতীয় সামরিক বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। সেটির সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক উগ্রবাদীদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। পরে এর জেরে বিমান হামলাও চালায় ভারত।  

চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তান দাবি করে, তাদের হাতে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে ভারতীয় গুপ্তচররা পাকিস্তানের মাটিতে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তবে ভারত সে দাবি অস্বীকার করে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানায়াম জয়শঙ্কর গত মাসে জানান, ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সমাধান খুঁজছে। এটি ভালো প্রতিবেশীর লক্ষণ হতে পারে না। সূত্র: বিবিসি 

ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস
কমলা হ্যারিস ও বারাক ওবামা

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তাকে ওই সমর্থন জানান তারা।

ওই বিবৃতিতে বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা জানান, কমলা হ্যারিসের ‘নিজস্ব দর্শন, স্বকীয়তা এবং শক্তি’ রয়েছে যা সংকটময় মুহূর্তে একজন প্রেসিডেন্টের থাকাটা খুব জরুরি।

কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে বেশির ভাগ ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধির সমর্থন পেয়েছেন। আগস্টে দলীয় সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বাইডেন শুরুতেই সমর্থন দিয়েছেন কমলাকে। তবে এতদিন ওবামা কোনো সমর্থন দেননি। বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এর মধ্যে এমন কথাও শোনা গেছে যে কমলা অন্যদের সমর্থন পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওবামা। কারণ তিনি মনে করছিলেন, কমলা হ্যারিস জিততে পারবেন না।

তবে সেসবের অবসান ঘটিয়েই এলো সমর্থনের খবর। সেখানে ওবামা দম্পতি জানিয়েছেন, কমলাকে জয়ী করতে ‘সম্ভাব্য সবকিছু’ করবেন তারা। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে একমত। তিনি কমলাকে বেছে নিয়ে সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ সূত্র: বিবিসি