বিশ্ববিখ্যাত মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি একটি যোগাযোগ স্যাটেলাইট সম্প্রতি মহাকাশে ভেঙে পড়েছে। এই স্যাটেলাইটের ডিজাইনও করেছে বোয়িং। এই যোগাযোগ স্যাটেলাইট ভেঙে পড়ায় ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গ্রাহকদের সেবা ব্যাহত হয়েছে। এ স্যাটেলাইট পরিচালনা করছিল ইন্টেলস্যাট। এই ক্ষতির বিষয় নিশ্চিত করেছে ইন্টেলস্যাট। একই সঙ্গে তারা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে।
ইন্টেলস্যাট বলেছে, ‘আমরা স্যাটেলাইট নির্মাতা বোয়িং এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি স্যাটেলাইটটির ডেটা ও পর্যবেক্ষণগুলো নিয়ে।’
তবে বোয়িং সরাসরি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মহাকাশ ট্র্যাকিং সাইট ‘স্পেসট্র্যাক’ ও ইউএস স্পেস ফোর্সও এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, স্যাটেলাইটের ভেঙে যাওয়া টুকরাগুলোর মধ্যে প্রায় ২০টি খণ্ড বর্তমানে ট্র্যাক করা হচ্ছে।
বোয়িং বর্তমানে একাধিক সংকটে রয়েছে। তাদের স্টারলাইনার মহাকাশযানেও সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে দুই নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকা পড়েছেন। তারা আগামী বছর ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের একটি মহাকাশযানে করে পৃথিবীতে ফিরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বোয়িংয়ের বাণিজ্যিক প্লেন বিভাগের ৩০ হাজারে বেশি কর্মী ধর্মঘট করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সংকটও প্রকট হয়ে উঠছে। কারণ সম্প্রতি তারা প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। নভেম্বর থেকে তাদের কর্মীর ১০ শতাংশ (প্রায় ১৭ হাজার) ছাঁটাই শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৮ সালে দুটি ৭৩৭-ম্যাক্স বিমান দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় হওয়া মামলাসংক্রান্ত একটি চুক্তি লঙ্ঘন অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ কারণে বোয়িং ২৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার জরিমানা পরিশোধে রাজি হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
/আবরার জাহিন