বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৬তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার (২৫ নভেম্বর)। এতে সাত বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ ২০২৩ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি পরিচালিত সাতটি পৃথক পুরস্কার সাতজন বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কার ও ফেলোশিপপ্রাপ্ত গুণীজনদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র, সম্মাননা-স্মারকও তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ ২০২৩ প্রাপ্তরা হলেন মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু (সাংবাদিকতা), এ কে শেরাম (আদিবাসী গবেষণা), মো. আলম দেওয়ান (ফোকলোর), তানভীর মোকাম্মেল (চলচ্চিত্র), আক্কু চৌধুরী (মুক্তিযুদ্ধ), ফাল্গুনী হামিদ (সংস্কৃতি) এবং ডা. হালিদা হানুম আখতার (চিকিৎসাবিজ্ঞান)।
পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক ও পুরস্কারগুলো হচ্ছে- কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ‘অধ্যাপক মমতাজ উদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কার’ অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ ‘আবু রুশ্দ সাহিত্য পুরস্কার’, ডা. এবিএম আবদুল্লাহ ‘মেহের কবীর বিজ্ঞানসাহিত্য পুরস্কার’, ড. অনুপম সেন ‘সাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার’, কবি ওমর কায়সার ‘সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার’ এবং ‘বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট: বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদান’ গ্রন্থ রচনার জন্য আবদুল গাফফার ‘হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
কবি নির্মলেন্দু গুণের পক্ষে তার কন্যা মৃত্তিকা গুণ এবং আক্কু চৌধুরীর পক্ষে রামেন্দু মজুমদার পুরস্কার ও ফেলোশিপ গ্রহণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করে চলেছে। সাধারণ পরিষদের সভায় সারা দেশ থেকে আগত ফেলো, জীবনসদস্য এবং সাধারণ সদস্যদের মতামত ধারণ করে একাডেমি তার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক-প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি প্রায় সাত দশক ধরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বাতিঘর হিসেবে বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে গোটা জাতির কাছে তুলে ধরতে আমরা নিবিষ্টভাবে কাজ করে চলেছি।
এআর