![পলিথিনবিরোধী অভিযানে ৪২০৭ মামলা, জরিমানা ৬ কোটি: পরিবেশমন্ত্রী](uploads/2024/02/06/1707234427.Saber_Hossain_Chowdhury.jpg)
জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরও জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযানে ৫ বছরে ৪ হাজার ২০৭টি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশের মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এলাকায় বনভূমি রয়েছে। বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দেশের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষে জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জবরদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনে পাঠানো উচ্ছেদ প্রস্তাব ৭ হাজার ৩৭৬টি, জেলা প্রশাসনের রুজু করা উচ্ছেদ মামলা ১৩টি, নিম্ন আদালতে দেওয়ানি মামলা ৮৫২টি, উচ্চ আদালতে রিট মামলা ১২২টি, উচ্চ আদালতে আপিল/মিস মামলা ৮৭টি, পিওআর মামলা ৭ হাজার ৫৩২টি ও অন্যান্য ব্যবস্থায় ৬ হাজার ১৩০টি মামলা করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫১৬টি অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার ২০৭টি মামলায় ৬ কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার ৭১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পলিথিন, দানা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। ১৬টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
এমপি নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক পণ্যের বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পচনশীল প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রচলনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, পলিথিন বন্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- যার মধ্যে অন্যতম নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে অধিদপ্তরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা। তা ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের আওতায় জুলাই ২০১০ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানাসমূহ উচ্ছেদ বা কারখানার মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হচ্ছে।