মন্ত্রিসভায় যুক্ত হচ্ছেন আরও কয়েকজন। শুক্রবার (১ মার্চ) তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে এখনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি কাউকে। এই দুই মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী দেওয়া হবে, এটি নিশ্চিত। এতদিন আলোচনা ছিল সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা পুনরায় সম্প্রসারিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্যমতে, আরও ১০ থেকে ১২ জন নতুন মুখ যুক্ত হতে পারে মন্ত্রিসভায়। এ যাত্রায় পূর্ণ মন্ত্রীর চেয়ে প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীই বেশি হতে পারেন। এর মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে তিন-চারজন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন, এমন আলোচনা রয়েছে। রাজনৈতিক নেতা ও দলগুলোর বিভিন্ন বক্তব্য থেকেও এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এরই মধ্যে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের জন্য ৫০টি গাড়ি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী বাদে পূর্ণ মন্ত্রী রয়েছেন ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ১১ জন। ৩৭ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় কোনো উপমন্ত্রী নেই। একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভায়ও পূর্ণ মন্ত্রী এবারের মতোই ২৫-২৬ জনে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ২০ জনের মতো। এ ছাড়া তিনজন উপমন্ত্রী ছিলেন। সব মিলিয়ে আগের মন্ত্রিসভা ছিল ৪৯ সদস্যের।
মন্ত্রিসভা গঠনের সময়ই আলোচনায় আসে, চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত একজন সদস্যকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে। ওই নারী সদস্য এবার দ্বিতীয় দফায় সংরক্ষিত আসনে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অবশ্য দুবার সংরক্ষিত নারী সদস্য হওয়ার নজির কম। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের বিষয়ে সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এগুলোয় কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন।’ তিনি এও বলেছিলেন, ‘সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের পর নির্বাচিত নারীদের মধ্য থেকে মন্ত্রী হতে পারেন।’
