ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

ঈদের ছুটিতে ১০৪ স্পটে পর্যটকদের নিরাপত্তা দেবে ট্যুরিস্ট পুলিশ

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৭ এএম
আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ এএম
ঈদের ছুটিতে ১০৪ স্পটে পর্যটকদের নিরাপত্তা দেবে ট্যুরিস্ট পুলিশ
পর্যটন কেন্দ্রে ট্যুরিস্ট ‍পুলিশের টহল। ছবি : সংগৃহীত

আগামী ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট ‍পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশে দেড় হাজারের বেশি পর্যটন স্পট। এর মধ্যে ১০৪টি স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাকি স্পটগুলোতেও পর্যটকরা যান। সেখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইজিপির সঙ্গে কথা বলেছি। নিরবচ্ছিন্ন ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য আমরা জেলা পুলিশেরও সহযোগিতা চেয়েছি। 

রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে প্রধান কার্যালয়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্যুরিস্টদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু কালাম সিদ্দিক।

তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ঘোড়ার গাড়ি ও ময়ূরপঙ্খি বিচ বাইকের মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তায় টহল ডিউটি প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সব পর্যটন স্পটে স্বল্প সংখ্যক ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের দিয়ে নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব নয়। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে ট্যুরিস্ট পুলিশ সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে। সমন্বয় করে পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। যে কোনো ট্যুরিস্টেদের সহযোগিতায় ট্যুরিস্ট পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে ০১৩২০-২২২২২২ এবং ০১৮৮৭-৮৭৮৭৮৭ এর মাধ্যমে ফোন করে ২৪ ঘণ্টা সেবা পাবেন।

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনাদের সার্ভিলেন্স সিস্টেম কতটা কার্যকর হবে– জানতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি পেতে যাচ্ছে দেশবাসি। সংগত কারণে চাপ বাড়বে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদ টার্গেট করে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পল্টনে ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে সব কিছু মনিটরিং করা হবে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকমিং সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে টুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে পারবেন। বিচে নির্দিষ্ট স্থানে সুইচ থাকবে। বিপদগ্রস্ত বা সমস্যাগ্রস্ত কোনো পর্যটক সেই সুইচ চাপ দিলে নিকটস্থ ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হবেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমাদের বিচগুলোর অবস্থা নয়। বিচের কাছে ১০০ মিটার পরপর চেঞ্জিং রুম, ওয়াশরুম নেই। আমরা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে এসব সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে বলেছি।

বান্দরবান থেকে সাজেকগামী চান্দের গাড়ি চলাচলে অব্যবস্থাপনা রয়েছে। চান্দের গাড়ি দুর্ঘটনায় পর্যটকও মারা যাচ্ছে। সেখানে কোনো ব্যবস্থাপনা ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান করবে কি না জানতে চাইলে আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের পার্বত্য এলাকার কর্মকর্তা ও পার্বত্যমন্ত্রীকে বলেছি। এটা কীভাবে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এডিশনাল ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের লাইসেন্স থাকবে। প্রত্যেক গাড়ির কাগজপত্র থাকবে, চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্তৃক এনলিস্টেড হতে হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটা একটা সিস্টেমের মধ্যে আনার ব্যবস্থা করা হবে। কারণ ট্যুরিস্ট তো জানে না কার লাইসেন্স আছে বা গাড়ির কাগজ আছে বা নেই। যাতে কোনো পর্যটকের নিরাপত্তা অনিশ্চয়তায় না পড়ে, সেজন্য ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।

মতবিনিময় সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা, গাজীপুর ইউনিটের প্রধান, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় ১০৪টি ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারা অনলাইনে অংশ নেন।

খাজা/এমএ/

শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে: সিএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে: সিএমপি কমিশনার
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম শহরে যানজট নিরসন ও মানুষের ভোগান্তি দূর করতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের নতুন কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। 

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় মিট দ্য প্রেসে এ কথা বলেন তিনি। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নতুন কমিশনারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় উপলক্ষে দামপাড়া পুলিশ লাইনসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারশেনস) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। 

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্ন ও পরামর্শের আলোকে সিএমপি কমিশনার বলেন, এই শহরকে মডেল হিসেবে গড়তে চাই। এই শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। নগরীতে সড়কের মাঝখানে যে ডিভাইডারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো যদি যানজটের কারণ হয় তাহলে সে ব্যবস্থা নেব। এগুলো পরিকল্পিতভাবে দেওয়ার কথাও আমরা ভেবে দেখব। যেহেতু ট্রাফিক বিভাগে সবচাইতে সমস্যা বেশি সেহেতু সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ট্রাফিকে কাজ করব আমি।

তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিংকে ঢেলে সাজানো হবে। বিশেষ করে কমিটিগুলোকে সাজাব। সেখানে কোনো কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা-গডফাদাররা ঢুকে যাচ্ছে কিনা সেটি দেখব। বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হবে। ওপেন হাউজ ডেতে বিশাল আয়োজন করে খাবারের অর্থায়নের জন্য বিট পুলিশিংয়ের কমিটিতে কাউকে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। সিঙ্গারা খাওয়ানোর টাকা পুলিশের কাছে আছে। এত বিশাল আয়োজন দরকার নেই। আর আমি ওপেন হাউজ ডে থানায় করতে দেব না। এটি করতে হবে ওয়ার্ডে। কেননা, মানুষ থানায় এসে কেন তার অভিযোগ জানাবে? পুলিশ যাবে তার কাছে। 

সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘অপরাধীর পরিচয় যেই হোক না কেন; আমার কাছে তার পরিচয় শুধুই অপরাধীই। তাকে আমি অপরাধী হিসেবে চিনব। খুনের আত্মা আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। বলে যে আমি খুন হয়েছি। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করে দাও। যতক্ষণ না আসামি ধরা পড়ছে বা আমি তাদেরকে ধরতে পারছি ততক্ষণ আমার শান্তি হয় না।’

তিনি আরও বলেন, নগরীতে চুরি-ছিনতাইয়ের শত শত ঘটনা। জিডি হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কিছু হচ্ছে না। আমি আসার পর ওসিদের বলেছি জিডিগুলো নিয়ে ভাল করে কাজ করতে। কেন হারানো মোবাইল পাওয়া যায়নি? যেই অফিসার তদন্ত করেছে তিনি কি করছেন? উদ্ধার না হয়ে থাকলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কি রিপোর্ট দিয়েছেন? আমি জানতে চেয়েছি। এরপর থেকে ফিডব্যাক আসতে শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ আমি এগুলো নিয়ে আরও ভালো করে কাজ করতে পারব। আমি চাই মামলা বাড়ুক। কেননা অপরাধের ঘটনা ঘটলে মামলা হলে ডকুমেন্টস তৈরি হয়। প্রতিমাসে আমি জিজ্ঞেস করতে পারব সেই মামলার কি অগ্রগতি হলো।

সিএমপিকে মানবিক পুলিশ ইউনিটে রূপান্তর করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আমি চাই সিএমপির দরজা সবার জন্য খোলা থাকুক। প্রয়োজনে কোনো গেট রাখব না। কোনো ধরাবাধা থাকবে না। সবাই আসতে পারবে। মানুষ অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের অবশ্যই থানার ওসিরা সহযোগিতা করবে। আপনাদের ফোনও ধরবেন উনারা। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলব। কোনো তথ্য না পেলে আমার সঙ্গে কথা বলবেন সরাসরি। আমাকে জানাবেন। আমি সেই তথ্য পৌঁছে দিব। প্রতি তিন মাস অন্তর আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে বসব। আমি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফুটপাত দখল করে দোকান, ভ্যান, অবৈধ স্থাপনা থেকে পুলিশ টাকা নেয়। এ অভিযোগের আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আর সন্ত্রাসীদের তালিকা করে প্রকাশ হবে। কেননা অপরাধী আমার আত্মীয় নয়। আমি পুরো শহরে অপরাধ দমনে ভিন্নভাবে কাজ করব। আমি কোথায় যাব সেটি আমার বডিগার্ডও জানবে না। আমি এই শহরে আগে একটি বিভাগের ডিসি ছিলাম। কাজেই শহরটা চেনা-জানা। থানাগুলো চিনি।

সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, যতদিন আছি মানুষের সেবা করার চেষ্টা করব। আমি তেলে মাথায় তেল দিতে যাব না কিন্তু সেই অসহায় মানুষটার মাথায় অবশ্যই তেল দেব, যাকে একটু তেল দেওয়া আসলেই দরকার। আমি সবার সহযোগিতা চাই। 

মনির/অমিয়/

মাতারবাড়ি রেল প্রকল্পে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান রেলমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
মাতারবাড়ি রেল প্রকল্পে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান রেলমন্ত্রীর
রেলভবনে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি

মাতারবাড়ি রেলওয়ে প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। 

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর রেলভবনে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। 

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে যে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তা সম্পন্ন হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে। এজন্য সরকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে সমুদ্রবন্দর থেকে সরাসরি রেলপথে কন্টেইনার পরিবহন করা যাবে এবং মাতারবাড়ি বন্দর থেকে বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করা যাবে দ্রুত।’ 

রেলমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং রেলওয়ের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভবিষ্যতেও রেলওয়ের প্রকল্পে জাপানের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’

জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে কাজ করার এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সেই সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটবে।’

জয়ন্ত সাহা/সালমান/

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীরা
ছবি : খবরের কাগজ

সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের দাবিতে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট অবরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলার সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি তাঁতীবাজার, গোলাপশাহ মাজার হয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেয়। 

প্রথমে শিক্ষার্থীদের তাঁতীবাজার পার হতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর গুলিস্থান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এসে আবারও পুলিশ বাধা দিলেও সেই বাধা উপেক্ষা করেই জিরোপয়েন্ট আসেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা; মেধা মেধা, আমার সোনার বাংলায়; বৈষম্যের ঠাই নাই, সারা বাংলায় খবর দে; কোটা প্রথার কবর দে, জেগেছে রে জেগেছে; ছাত্রসমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে; রক্তে আগুন লেগেছে, পড়েছে রে পড়েছে; পেটে লাথি পড়েছে, আঠারোর হাতিয়ার; গর্জে উঠো আরেকবার, কোটা প্রথা নিপাত যাক; মেধাবীরা মুক্তি পাক, বৈষম্যের বিরুদ্ধে; এক হও এক হও, তুমি আমি আমরা; গরবো সোনার বাংলা, ছাত্রসমাজ গরবে দেশ; মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ, জগন্নাথ আসছে; রাজপথ কাপছে, মেধাবীরা আসছে; রাজপথ কাপছে, কবি নজরুল আসছে; রাজপথ কাঁপছে, সোহরাওয়ার্দী আসছে; রাজপথ কাঁপছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

মোজাহিদ বিল্লাহ/অমিয়/

৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের এবং শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পরে বৈঠকে যোগ দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। সেখানে দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন। 

দলীয় সূত্র মতে, হুট করেই বৈঠকটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। 

এর আগে সংবাদ সম্মেলন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার কোটা বাতিলের বিরুদ্ধে আন্তরিক বলেই উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা পরিহার করা উচিত।’ 

সালমান/

চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি

চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পড়ার যে সৌভাগ্য সেটা সবার হয় না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ‘অ্যাপ্রোনের মর্যাদাটা ধরে রাখতে হবে। যথাযথভাবে পড়াশোনা করে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। মা-বাবাকে সম্মান করতে হবে। তাদের সম্মান করলে জীবনে সাফল্য অর্জন করবে।’ 

সোমবার (৮ জুন) রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (মিটফোর্ড হাসপাতাল) পরিদর্শনের সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাজহারুল ইসলাম খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানসহ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের থাকার সুযোগ-সুবিধাসহ নানা অপ্রতুলতা রয়েছে। আমি রাতারাতি হয়তো পারব না। কিন্তু সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে।’  

এরপর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ, এমআরআই, আইসিইউ, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বিভাগ, সার্জারি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরিদর্শন শেষে তিনি হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। 

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করব। আমার কাজ হচ্ছে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা ঠিকমতো পাচ্ছে কি-না, ডাক্তাররা কর্মউপযুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারছে কি-না সেটা দেখা। রোগী এবং ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়া আমার দায়িত্ব। এজন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ চলছে।’

মারুফ/সালমান/