ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বাবার দেহাংশ এক টুকরো হলেও চাই, এমপি আনারের মেয়ে ডরিন

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
বাবার দেহাংশ এক টুকরো হলেও চাই, এমপি আনারের মেয়ে ডরিন
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। ছবি: খবরের কাগজ

আমার বাবার লাশের দেহাংশের এক টুকরো আমি চাই। যে লাশের টুকরো ছুঁয়ে দেখতে পারি। লাশের টুকরোকেই বাবা মনে করে জানাজা করাতে চাই।

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে নৃশংসভাবে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও হত্যার পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলেন নিহত সংসদ সদস্য আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। মানববন্ধন চলাকালে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাবা হারানোর ব্যথা-কষ্ট বোঝেন। তিনি আমার বাবা হারানোর বেদনা বুঝবেন। তার বাবার হত্যার বিচার করেছেন, আমার বাবা হত্যার বিচারও করবেন। হত্যার পরিকল্পনাকারীকে ধরার পরই খতিয়ে দেখা যাবে আসলে সে এত বড় অপকর্ম কেন ঘটাল। এর বিচার অবশ্যই হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। গতকালও কথা বলেছি। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। প্রধানমন্ত্রী আছেন, আওয়ামী লীগের দলীয় সর্বোচ্চ অভিভাবকরা আছেন, তারা আমাদের পরামর্শ দেবেন এবং তারা অবশ্যই তাদের দলীয় এমপি হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। কালীগঞ্জের মানুষের সুখে দুঃখে যিনি সবসময় পাশে থেকেছেন সেই মানুষটির হত্যার বিচার আমরা চাই। আমরা কোনো শৃঙ্খলাহানি করতে চাই না।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ। এ সময় নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতি, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

মাহফুজুর রহমান/এমএ/

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ
সজীব ওয়াজেদ জয়

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা- এ দুজনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। 

লেখাপড়ারত অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। তিনি ২০০৭ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ এএম
বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করেছেন। এসব বিক্ষোভ কারা সংগঠিত করেছে, কারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে তা জানতে দেশগুলোয় বাংলাদেশের মিশনগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের নানা প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিকরা সেখানকার সরকারের কাছ থেকে বিক্ষোভের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করবেন। এরপর ওই তথ্য ঢাকায় পাঠাবেন।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে অন্তত ছয়টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিক্ষোভ করায় ইতোমধ্যে আরব আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশির কারাদণ্ড হয়েছে।

কোটা আন্দোলন সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে নাগরিক সমাজের নিন্দা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
কোটা আন্দোলন সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে নাগরিক সমাজের নিন্দা
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলন সামনে রেখে সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। শুক্রবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো ‘সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের বিবৃতি’তে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। নাগরিক সমাজের পক্ষে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিক এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

তাদের পক্ষে সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকীর স্বাক্ষর করা এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ছাত্রদের কোটা সংস্কারের বিষয়টি সামনে রেখে সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দেশব্যাপী সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। গত কয়েক দিনের সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বহু মূল্যবান প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিরীহ পথচারী, ছাত্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং আহত হয়ে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ১৬ জুলাই থেকে এ নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডিজিটাল ডেটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করেছে। জনজীবন বিপন্ন ও কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। আমরা এ ধরনের দেশবিরোধী কার্যক্রমের নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছে, তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জ্ঞাপন করছি।’

বিবৃতিতে নাগরিক সমাজ বলেছে, ‘ইতোমধ্যে কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করায় আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এর মাধ্যমে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যে সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পুনরায় অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্র, জাতীয় সম্পদ ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী, দুই সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা ও হাসান মাহমুদ খন্দকার, নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকুর আলী শুভ, চিত্রনায়ক আলমগীর, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম সামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ।

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ ইন্ডিয়া টুডে এনইর ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
ইন্ডিয়া টুডে এনইর ক্ষমা প্রার্থনা
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রদেশ থেকে প্রকাশিত সংবাদ আউটলেট ইন্ডিয়া টুডে এনই ঢাকায় সহিংস সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানযোগে সরিয়ে নেওয়ার দাবি করে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জন্য ক্ষমা চেয়েছে।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করার পরে আউটলেটটির ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে: ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং এটি আমাদের প্রতিবেশী দেশে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা উত্তেজনা সৃষ্টি করে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘একটি মর্যাদাপূর্ণ সংবাদ প্রকাশনা হিসেবে আমরা তথ্যনির্ভর ও নৈতিক উভয় সাংবাদিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ খবর বাসসের। 

ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ২১ জুলাই ইন্ডিয়া টুডে এনই থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের যথার্থতাকে নাকচ করে দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘সহিংস সংঘর্ষের কারণে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ঢাকা ছাড়ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ সংবাদটি ইন্ডিয়া টুডে এনইর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও শেয়ার করা হয়।

এই সংবাদের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, যেকোনো দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গুজবের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের ভুল তথ্য ও প্রতিবেদন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে, এমনকি সংকটে ইন্ধন জোগাতে এবং পরিস্থিতিকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলতে পারে। এ ছাড়া সংবেদনশীলতা অনুধাবন না করে, এ ধরনের প্রতিবেদন কেবল জনগণ ও সমাজকে ব্যাপক নেতিবাচকভাবে প্রভাবিতই করে না, বরং যেকোনো সংবাদ আউটলেটের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।

উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বসতে আহ্বান জানাবে মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ এএম
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বসতে আহ্বান জানাবে মন্ত্রণালয়
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বন্ধ থাকা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালুর জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার জন্য অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো ‘শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা’ শিরোনামে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে নিরাপত্তা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনসমূহের সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৬ জুলাই রাতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কবির/এমএ/