ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: এমপির সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিবাদের শঙ্কা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:০৬ এএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:০৬ এএম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: এমপির সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিবাদের শঙ্কা

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মাথাচাড়া দিচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দ্বন্দ্ব বাড়ছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলের নেতাদের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলার ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপ ২৩ মে, তৃতীয় ধাপ ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট হবে। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় দেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ইতোমধ্যেই প্রার্থিতা ঘোষণা করে মাঠে নেমেছেন। এতে দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। এ নিয়ে ভোটের আগে অভ্যন্তরীণ বড় সংঘাতের শঙ্কা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

দলের স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও সংসদ সদস্যরা পছন্দমতো প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এতে দলের অন্য যারা প্রার্থী হতে চান, তাদের সঙ্গে সংসদ সদস্যের বিরোধ দেখা দিচ্ছে। এসব বিরোধে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ঘটেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ জানান।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক খবরের কাগজকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, এবারে উপজেলা নির্বাচনে দলের কোনো প্রার্থী দেওয়া হবে না। সে কারণে আমাদের দলের আগ্রহীরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, মানুষের কাছে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক হয় এবং কোনো সহিংসতা যেন না ঘটে আমরা সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বিগত দুটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের প্রার্থী দেওয়ায় অভ্যন্তরীণ বিরোধ বেড়ে যায়। সে অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য এবার দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। কিন্তু বাস্তবে এমন কৌশলের সুফল পাওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারণ দলীয় প্রতীক না দিলেও অন্তর্কোন্দল থামানো যাচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে খবরের কাগজকে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দিলেও বিপদ, না দিলেও বিপদ। কোনো ভাবেই তৃণমূলে বিরোধ থামানো যাচ্ছে না। আসলে শক্ত বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে না এলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় কোন্দল কমানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না।’

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে দলের একাধিক নেতাকে প্রার্থী হতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখলেও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা চাইছেন নিজের পছন্দমতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে। কারণ অনুগত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হলে স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্যদের আধিপত্য হুমকির মধ্যে পড়ে যায়। 

কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার মতে, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনয়নে উপজেলা চেয়ারম্যানরা বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকেন। বিগত সংসদের বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনে দলের মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। এবারের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রায় অর্ধশত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই জয় পেয়েছেন। ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের নিজের জন্য হুমকি মনে করেন সংসদ সদস্যরা। এ কারণে তারা চান যেন বিরোধ থাকা কোনো নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান না হন। এটি করতে গিয়ে দেশের অনেক উপজেলাতেই দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে দলের আগ্রহীরা প্রার্থী হবেন, এতে কোনো বাধা নেই। তবে কেউ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। মূলত তরুণদের কাছে দলের বার্তা, দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন।’

বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।

জানা গেছে, বিএনপির মিডিয়া সেলেরও একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘টিকটকের বেশি ভিউয়ার হচ্ছে দেশের তরুণ ও টিএনজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের কাছে দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে দলটি।’ 

হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ
ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বরগুনা জেলার স্থানীয় পর্যায়ে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। 

বুধবার (৩ জুলাই) বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র এবি এস গোলাম কবীর ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সালমান/

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতালে রুহুল কবির রিজভী

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারপ্রধানের নির্দেশেই এই বর্বরোচিত আক্রমণটা করা হয়েছে বাচ্চুর ওপর। কারণ বিএনপি নেতাদের রক্ত দেখলেই সরকারপ্রধান আনন্দিত ও খুশি হন। এই কারণেই একটি দোয়ার অনুষ্ঠান এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। এই হামলা শুধু ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত নয়, আওয়ামী লীগ যে একটি বর্বর সংগঠন সেটির বহিঃপ্রকাশ।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখম নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু একজন বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। যাকে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ সজ্জন হিসেবেই চেনেন। জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এমনকি জেলার তিনি প্রধান নেতা। তার গায়ে আদিম বন্য হিংস্রতায় এভাবে আক্রমণ করে তার হাত, পা, শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে। আজকে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে কী আনন্দ পেলেন সেখানকার আওয়ামী লীগ এবং এমপি শিমুল সাহেব?’ শহীদুল ইসলাম বাচ্চুর সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাটোর জেলা বিএনপির সমাবেশ ঘিরে হামলায় গুরুতর জখম হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

 

দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? আপনি তো ট্রানজিট দেননি, দিয়েছেন তো করিডোর। তাদের দেশ থেকে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশে যাবে। সেখানে কী থাকবে আমরা জানি না।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে’ এ প্রতিবাদ সভা হয়। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার কিছু কিছু মানুষকে হঠাৎ করে সামনে আনেন। খুব রসিকতা করে, হাসি-ঠাট্টা করে তাকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়ে দেন। আজ রাষ্ট্রের প্রধান, এক নম্বর ব্যক্তি রসিকতা করতে করতে খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করে দেন। রসিকতা করতে করতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের আরও প্রমোশন দিয়ে দেন। এরা জালিম সরকার, প্রতারক সরকার।’

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’ কিন্তু তিনি বেনজীর আহমেদ, আজিজ আহমেদ, মতিউরসহ তাদের প্রথম দেখেছেন? আজিজের ভাইদের তিনি প্রথম দেখেছেন? তাকে তিনি প্রমোশন দেননি, প্রশ্রয় দেননি আর আমাদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে পরিবার থেকে বলা হয়েছে, বেড়াতে গেছে। এই ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির মামলা কি আছে? এই নিয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি? এই নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম নিউজও করেছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, ‘এরা আমাদের দলের কেউ নয়’।”

মান্না বলেন, ‘পুলিশের একটি সিপাহি পদে চাকরি দিতে গেলে আগে তার পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে। তার পরিবারের কেউ, দূর সম্পর্কের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে থাকলে তার চাকরি হয় না। কিন্তু সরকার একজন মানুষকে সামরিক বাহিনী থেকে ধীরে ধীরে বাহিনীপ্রধান বানিয়ে দিলেন, তার পরিবারের খোঁজ নেননি। তার আপন ভাই জেলে আছে এটা জানতেন না?’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়। জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। এই সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, জনগণের ভরণপোষণ দিতে পারে না, ভোট দিতে দেয় না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার করে, নির্যাতন করে, এখন পর্যন্ত জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার বিচার করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। ভরসা রাখেন, আজ হোক, কাল হোক এর বিরুদ্ধে সেরকম আন্দোলনই গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’ 

মিজানুর রহমান/সালমান/

বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর
ছবি : সংগৃহীত

বিতর্কিত কারিকুলাম ও পাঠ্যসিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। 

তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম ১০০ শতাংশ কারিগরিনির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, এই কারিকুলামের পাঠ্যসিলেবাস লজ্জাহীন প্রজন্ম উপহার দিতে চলেছে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার লাকসামে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর।

রেজাউল করীম বলেন, ‘ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি বয়সীদের কিশোর গ্যাংসহ ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।’

চরমোনাই পীর বলেন, “৯ম শ্রেণির ‘জীবন- জীবিকা’ বইয়ে ‘নারীরূপী পুরুষের অন্তর্বাসে ভরপুর ছবি সম্বলিত কিউআর কোড ব্যবহার’ করে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব করা হলেও কর্তৃপক্ষ বেখবর। প্রয়োজনে এসব পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে আবারও অভিজ্ঞ, দক্ষ, রুচিশীল স্কলারদের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। যেন ধর্মীয় চেতনায় বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানরা চরিত্রহীন হয়ে না যায়।”

তিনি বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জালিমদের কবল থেকে আলেমদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ 

জেলা সভাপতি মুফতি শাসছুদ্দোহা আশরাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীশ আবরার, কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লা জেলা উত্তর সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী।

এনাম আবেদীন/সালমান/