![ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত](uploads/2024/05/29/EarthQuake-1716998062.jpg)
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে মায়ানমারের মাওলাইকে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্যানুযায়ী, মায়ানমারের স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১১০ কিলোমিটার গভীরে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। উঁচু ভবনের অনেকেই সড়কে নেমে আসেন। রাস্তায় জড়ো হয়ে অপেক্ষা করেন। অনেকেই ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন।
সবশেষ গত ২৮ এপ্রিল (রবিবার) বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। মৃদু ভূমিকম্প হওয়ায় সেসময় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৩.৭ মাত্রার একটি মাঝারি ভূমিকম্প বন্দরনগরী থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। মৃদু ভূমিকম্পটির অবস্থান ছিল ভারত সীমান্ত থেকে ৩৪ কিলোমিটার ও মায়ানমার থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে চুয়াডাঙ্গা। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল পাবনা জেলার আটঘরিয়া। ওই ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সালে দেশে ১১টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।