ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ০৮:৫০ এএম
আপডেট: ০১ জুন ২০২৪, ০৮:৫০ এএম
তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ছবি: সংগৃহীত

জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় টানা তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ সময় সুন্দরবনে সাধারণ মানুষের চলাফেরাসহ নদী-খালে মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। মাছ ও বন্য প্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নিষেধাজ্ঞা সামনে রেখে গহীন সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে ফিরছেন উপকূলীয় অঞ্চলের বনজীবী হিসেবে পরিচিত জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালরা। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত। ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন হতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বন বিভাগ ও মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এখন সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। তাই বন বিভাগ থেকে জেলেদের জন্য সব ধরনের পারমিট বন্ধ রাখা হবে। বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হবে তাই সব ধরনের নৌযানও বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া বনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মৌসুম চলছে। এসব প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বাঘ, হরিণ, শূকর, বানর, কুমির, ডলফিন, ভোঁদড়, বন বিড়াল ও মেছো বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী।

সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার, যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক এক পাঁচ ভাগ। সুন্দরবনের জলভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, জুন থেকে আগস্ট- এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী-খালের মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ ছাড়া এই সময়ে বন্য প্রাণীরও প্রজনন মৌসুম। এই তিন মাস বনে পর্যটক ও জেলে না গেলে বনের জীববৈচিত্র্য ও বন্য প্রাণী নিরুপদ্রব থাকবে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের যে ক্ষতি হয়েছে, তা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে।

মোংলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মোংলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৮ হাজার ৪০০ জন। অবশ্য স্থানীয় বনজীবীরা বলছেন, মোংলায় জেলেদের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। ভৌগোলিক কারণে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষ। মোংলায় অনেক জেলে পরিবারের বসবাস, যারা বংশপরম্পরায় বনজীবী। তারা সারা বছর সুন্দরবনসংলগ্ন নদ-নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।

মৎস্যজীবী আছাদুল মোল্লা বলেন, ‘সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া ও মধু আহরণ করে আমাদের সংসার চলে। তিন মাস পাস বন্ধ থাকবে। মাত্র কদিন হলো ঝড়ের সংকেত শুনে বন থেকে বাড়িতে ফিরেছি। খুব বেশি মাছ ধরতে পারিনি। সামনের তিন মাস বন্ধের সময় সংসার চালানোর মতো সঞ্চয় করা টাকা নেই। কীভাবে সংসারের খরচ মিটাব এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক বিপর্যয়সংক্রান্ত নানামুখী প্রতিকূলতা রোধ করে উপকূলীয় অঞ্চলে ডেলটা প্ল্যানের সফল বাস্তবায়নের আওতায় বিশ্বের ম্যানগ্রোভ বনভূমির ইকোসিস্টেম পুনরুজ্জীবিতকরণ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের ১৩ ও ১৪ নম্বর লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যক্ষভাবে অর্জনের লক্ষ্যে জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সর্বপ্রকার পর্যটন ও বননির্ভর পেশা স্থগিত রাখা হয়েছে। এ আইন অমান্য করলে বন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ের ভেতরে সংরক্ষিত এলাকাটির ওপর জীবন-জীবিকার জন্য নির্ভরশীল বাওয়ালি, মৎস্যজীবীদের নির্ধারিত সময়ে বিশেষ খাদ্যসহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। 

শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে: সিএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে: সিএমপি কমিশনার
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম শহরে যানজট নিরসন ও মানুষের ভোগান্তি দূর করতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের নতুন কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। 

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় মিট দ্য প্রেসে এ কথা বলেন তিনি। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নতুন কমিশনারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় উপলক্ষে দামপাড়া পুলিশ লাইনসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারশেনস) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। 

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্ন ও পরামর্শের আলোকে সিএমপি কমিশনার বলেন, এই শহরকে মডেল হিসেবে গড়তে চাই। এই শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। নগরীতে সড়কের মাঝখানে যে ডিভাইডারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো যদি যানজটের কারণ হয় তাহলে সে ব্যবস্থা নেব। এগুলো পরিকল্পিতভাবে দেওয়ার কথাও আমরা ভেবে দেখব। যেহেতু ট্রাফিক বিভাগে সবচাইতে সমস্যা বেশি সেহেতু সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ট্রাফিকে কাজ করব আমি।

তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিংকে ঢেলে সাজানো হবে। বিশেষ করে কমিটিগুলোকে সাজাব। সেখানে কোনো কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা-গডফাদাররা ঢুকে যাচ্ছে কিনা সেটি দেখব। বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হবে। ওপেন হাউজ ডেতে বিশাল আয়োজন করে খাবারের অর্থায়নের জন্য বিট পুলিশিংয়ের কমিটিতে কাউকে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। সিঙ্গারা খাওয়ানোর টাকা পুলিশের কাছে আছে। এত বিশাল আয়োজন দরকার নেই। আর আমি ওপেন হাউজ ডে থানায় করতে দেব না। এটি করতে হবে ওয়ার্ডে। কেননা, মানুষ থানায় এসে কেন তার অভিযোগ জানাবে? পুলিশ যাবে তার কাছে। 

সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘অপরাধীর পরিচয় যেই হোক না কেন; আমার কাছে তার পরিচয় শুধুই অপরাধীই। তাকে আমি অপরাধী হিসেবে চিনব। খুনের আত্মা আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। বলে যে আমি খুন হয়েছি। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করে দাও। যতক্ষণ না আসামি ধরা পড়ছে বা আমি তাদেরকে ধরতে পারছি ততক্ষণ আমার শান্তি হয় না।’

তিনি আরও বলেন, নগরীতে চুরি-ছিনতাইয়ের শত শত ঘটনা। জিডি হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কিছু হচ্ছে না। আমি আসার পর ওসিদের বলেছি জিডিগুলো নিয়ে ভাল করে কাজ করতে। কেন হারানো মোবাইল পাওয়া যায়নি? যেই অফিসার তদন্ত করেছে তিনি কি করছেন? উদ্ধার না হয়ে থাকলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কি রিপোর্ট দিয়েছেন? আমি জানতে চেয়েছি। এরপর থেকে ফিডব্যাক আসতে শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ আমি এগুলো নিয়ে আরও ভালো করে কাজ করতে পারব। আমি চাই মামলা বাড়ুক। কেননা অপরাধের ঘটনা ঘটলে মামলা হলে ডকুমেন্টস তৈরি হয়। প্রতিমাসে আমি জিজ্ঞেস করতে পারব সেই মামলার কি অগ্রগতি হলো।

সিএমপিকে মানবিক পুলিশ ইউনিটে রূপান্তর করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আমি চাই সিএমপির দরজা সবার জন্য খোলা থাকুক। প্রয়োজনে কোনো গেট রাখব না। কোনো ধরাবাধা থাকবে না। সবাই আসতে পারবে। মানুষ অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের অবশ্যই থানার ওসিরা সহযোগিতা করবে। আপনাদের ফোনও ধরবেন উনারা। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলব। কোনো তথ্য না পেলে আমার সঙ্গে কথা বলবেন সরাসরি। আমাকে জানাবেন। আমি সেই তথ্য পৌঁছে দিব। প্রতি তিন মাস অন্তর আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে বসব। আমি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফুটপাত দখল করে দোকান, ভ্যান, অবৈধ স্থাপনা থেকে পুলিশ টাকা নেয়। এ অভিযোগের আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আর সন্ত্রাসীদের তালিকা করে প্রকাশ হবে। কেননা অপরাধী আমার আত্মীয় নয়। আমি পুরো শহরে অপরাধ দমনে ভিন্নভাবে কাজ করব। আমি কোথায় যাব সেটি আমার বডিগার্ডও জানবে না। আমি এই শহরে আগে একটি বিভাগের ডিসি ছিলাম। কাজেই শহরটা চেনা-জানা। থানাগুলো চিনি।

সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, যতদিন আছি মানুষের সেবা করার চেষ্টা করব। আমি তেলে মাথায় তেল দিতে যাব না কিন্তু সেই অসহায় মানুষটার মাথায় অবশ্যই তেল দেব, যাকে একটু তেল দেওয়া আসলেই দরকার। আমি সবার সহযোগিতা চাই। 

মনির/অমিয়/

মাতারবাড়ি রেল প্রকল্পে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান রেলমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
মাতারবাড়ি রেল প্রকল্পে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান রেলমন্ত্রীর
রেলভবনে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি

মাতারবাড়ি রেলওয়ে প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। 

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর রেলভবনে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। 

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে যে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তা সম্পন্ন হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে। এজন্য সরকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে সমুদ্রবন্দর থেকে সরাসরি রেলপথে কন্টেইনার পরিবহন করা যাবে এবং মাতারবাড়ি বন্দর থেকে বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করা যাবে দ্রুত।’ 

রেলমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং রেলওয়ের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভবিষ্যতেও রেলওয়ের প্রকল্পে জাপানের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’

জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে কাজ করার এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সেই সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটবে।’

জয়ন্ত সাহা/সালমান/

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীরা
ছবি : খবরের কাগজ

সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের দাবিতে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট অবরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলার সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি তাঁতীবাজার, গোলাপশাহ মাজার হয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেয়। 

প্রথমে শিক্ষার্থীদের তাঁতীবাজার পার হতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর গুলিস্থান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এসে আবারও পুলিশ বাধা দিলেও সেই বাধা উপেক্ষা করেই জিরোপয়েন্ট আসেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা; মেধা মেধা, আমার সোনার বাংলায়; বৈষম্যের ঠাই নাই, সারা বাংলায় খবর দে; কোটা প্রথার কবর দে, জেগেছে রে জেগেছে; ছাত্রসমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে; রক্তে আগুন লেগেছে, পড়েছে রে পড়েছে; পেটে লাথি পড়েছে, আঠারোর হাতিয়ার; গর্জে উঠো আরেকবার, কোটা প্রথা নিপাত যাক; মেধাবীরা মুক্তি পাক, বৈষম্যের বিরুদ্ধে; এক হও এক হও, তুমি আমি আমরা; গরবো সোনার বাংলা, ছাত্রসমাজ গরবে দেশ; মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ, জগন্নাথ আসছে; রাজপথ কাপছে, মেধাবীরা আসছে; রাজপথ কাপছে, কবি নজরুল আসছে; রাজপথ কাঁপছে, সোহরাওয়ার্দী আসছে; রাজপথ কাঁপছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

মোজাহিদ বিল্লাহ/অমিয়/

৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের এবং শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পরে বৈঠকে যোগ দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। সেখানে দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন। 

দলীয় সূত্র মতে, হুট করেই বৈঠকটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। 

এর আগে সংবাদ সম্মেলন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার কোটা বাতিলের বিরুদ্ধে আন্তরিক বলেই উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা পরিহার করা উচিত।’ 

সালমান/

চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি

চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পড়ার যে সৌভাগ্য সেটা সবার হয় না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ‘অ্যাপ্রোনের মর্যাদাটা ধরে রাখতে হবে। যথাযথভাবে পড়াশোনা করে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। মা-বাবাকে সম্মান করতে হবে। তাদের সম্মান করলে জীবনে সাফল্য অর্জন করবে।’ 

সোমবার (৮ জুন) রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (মিটফোর্ড হাসপাতাল) পরিদর্শনের সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাজহারুল ইসলাম খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানসহ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের থাকার সুযোগ-সুবিধাসহ নানা অপ্রতুলতা রয়েছে। আমি রাতারাতি হয়তো পারব না। কিন্তু সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে।’  

এরপর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ, এমআরআই, আইসিইউ, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বিভাগ, সার্জারি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরিদর্শন শেষে তিনি হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। 

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করব। আমার কাজ হচ্ছে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা ঠিকমতো পাচ্ছে কি-না, ডাক্তাররা কর্মউপযুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারছে কি-না সেটা দেখা। রোগী এবং ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়া আমার দায়িত্ব। এজন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ চলছে।’

মারুফ/সালমান/