ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে: এমপি জাহেদী

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুন ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে: এমপি জাহেদী
ছবি : সংগৃহীত

ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের গৃহীত ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। 

তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক উৎস থেকে সরকার ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই ঋণ নিলে এ উৎস থেকে সরকারের ঋণের স্থিতি প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সরকার এত বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ হ্রাস পাবে। এতে বিনিয়োগ বিঘ্নিত হবে, যা শিল্প  ও বাণিজ্যের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’

রবিবার (৯ জুন) সংসদে ২০২৩-২৪ সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন এমপি জাহেদী।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং উৎস থেকে যদি সরকার বেশি ঋণ নেয় তাহলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ হ্রাস পেয়ে যায়। বেসরকারি খাতে যদি ঋণের প্রবাহ হ্রাস পায় তাহলে সেখানে বিনিয়োগ ব্যাহত হয়।’

নাসের শাহরিয়ার জাহেদী উল্লেখ করেন, ‘২০১৭-১৮ সালে ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ ছিল মাত্র ১১ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। পরের বছর তা দাঁড়ায় ৩৪ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। কিন্তু কোভিডের ঠিক আগেই ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ৭২ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ঋণ নিতে হয় সরকারকে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোভিড পরবর্তী সময়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ১২৩ কোটি টাকা ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারকে ঋণ নিতে হয়। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র ২৪ সালের জুন মাসেই ৬১ হাজার কোটি টাকা সরকারকে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে।’

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্যাংক থেকে সরকারের গৃহীত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এ হারে যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা। আমি মনে করি, এ বিষয়ে আমাদের একটু সাবধান হওয়া দরকার। ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ যেন কমে আসে এবং বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহটা যেন বৃদ্ধি পায়। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘বেসরকারি বিনিয়োগ বিঘ্নিত হলে শিল্প ও সেবাখাতের অগ্রগতি বিঘ্নিত হয়। এতে দেশের কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পায় এবং বেকারত্ব বাড়তে থাকে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে আমরা আমাদের যুব সমাজকে স্বপ্ন দেখাতে পারব না। যুব সম্প্রদায় যদি স্বপ্ন না দেখে তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলতর হবে না। কাজেই সরকারের উচিত ব্যাংক থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ নেওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়া। এটা বাড়িয়ে দিতে হলে ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমাতে হবে।’

আয়কর আদায় আরও সম্প্রসারণ করার ওপর জোর দিয়ে এমপি জাহেদী বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলে জমি নির্ভর খাজনা ছিল রাজস্ব আদায়ের মূল উপাদান। কিন্তু আজকে জমি থেকে যে খাজনাটা আসছে সেটার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কিন্তু খাজনা আদায় করার জন্য এখন তহশিল অফিস ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু এখন রাজস্বের বড় অংশ এনবিআরের মাধ্যমে আহরণ হয়ে থাকে। তবে এনবিআর কার্যালয়ের কর্মকর্তা জেলা পর্যায়ের পরে খুব একটা নেই। আমি মনে করি এনবিআরের নেটওয়ার্কটা জেলা পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।’

বাজেটে অর্থ বরাদ্দের সমতা নিয়ে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘সরকারি অর্থ বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন যা ২০০৯ সালে করা হয়েছিল সেখানে অর্থ বরাদ্দের সমতা ও প্রাপ্তিটা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। সারা দেশে যেন সমানভাবে অগ্রগতি হয়, উন্নয়ন হয়, বাজেট আইনে তা বলা হয়েছে। কিন্তু আমার প্রত্যন্ত জেলা ঝিনাইদহে এখনো আমরা প্রত্যন্তই রয়ে গেছি। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ঝিনাইদহ জেলায় না আছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, না আছে একটি মেডিকেল কলেজ, না আছে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একটি স্পেশালিস্ট হাসপাতাল। এই যে অগ্রগতির ধারায় বাংলাদেশ চলছে আজ কিন্তু মনে হচ্ছে আমার ঝিনাইদহ জেলা যেন অগ্রগতির ধারায় উঠতে পারছে না।’ 

কাজেই আগামী বাজেটে যেন অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা হয়, সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এমপি জাহেদী।

সালমান/

৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৩৫ শিশু নিখোঁজের যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

রবিবার (৭ জুলাই) এ প্রসঙ্গে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই। তদন্তে দেখা গেছে, একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পোস্টে যাদের নিখোঁজ হওয়া কথা বলা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসে, ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬টি জিডি করা হয়েছে। ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।’

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’

একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলমও।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’ ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

খাজা/পপি/অমিয়/

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স: গৃহায়নমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স: গৃহায়নমন্ত্রী
খুলনায় মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা রাখেন গৃহায়ন মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

রবিবার (৭ জুলাই) খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত জোন ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আপনাদের কাজের গুরুত্ব রয়েছে। নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজের ধারা অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই।’

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার।

মাকসুদ রহমান/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন
ছবি: সংগৃহীত

বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে ৩৭ মিনিট বন্ধ থাকে মেট্রোরেল চলাচল। 

রবিবার (৭ জুলাই) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২টা ২৭ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। 
 
পরে বেলা ৩টার দিকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল শুরু হয়েছে। 

মেট্রোরেলের যাত্রী মো. শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, তিনি ওই সময় মেট্রোরেলে পল্লবীর দিকে যাচ্ছিলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় আগারগাঁও স্টেশনে মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় অনেক যাত্রী মেট্রোরেল থেকে নেমে যান। 

ফার্মগেট থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনে যাচ্ছিলেন খালেদ নোমান নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, মেট্রোর পেইড জোনে অপেক্ষা করছিলাম। ভাবছিলাম, বিদ্যুৎ কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসবে। কিন্তু আধা ঘণ্টারও বেশি সময় পেইড জোনে অপেক্ষা করতে হলো। গলদঘর্ম হয়ে গেছি। 

ঈশিতা নামে আরেক যাত্রী জানান, তিনি তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পরে স্টেশন থেকে বের হয়ে যান।

সাংবাদিক সালমান গালিব বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় শেওড়াপাড়ায় অন্তত ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর মেট্রোরেলে কারওয়ান বাজারে আসি। এর ফলে শেওড়াপাড়া স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে। অনেককে স্টেশন ছেড়ে যেতেও দেখা যায়। 

জেনারেল ম্যানেজার ইফতেখার উদ্দিন রবিবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে খবরের কাগজকে বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিপিডিসি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে থাকে, সেখান থেকে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছিল। এখন আবার চলাচল শুরু হয়েছে।’

জয়ন্ত সাহা/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

পুলিশের বার্ষিক আজান ও ক্বিরাত প্রশিক্ষণ শুরু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
পুলিশের বার্ষিক আজান ও ক্বিরাত প্রশিক্ষণ শুরু
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আজান ও ক্বিরাত প্রশিক্ষণ-২০২৪ শুরু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) একেএম হাফিজ আক্তার, বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নির্দেশনায় ৫ সপ্তাহ মেয়াদী এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা)।

এতে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন ক্বারী ও ইক্বরার সভাপতি, শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল-আযহারীসহ ইকরার অন্যান্য প্রশিক্ষকরা।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সার্বিক সহাযোগিতায় রয়েছে ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সোহেল রানা।

এ সময় ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স এবং লজিস্টিকস বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ পুলিশের আজান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ১৬ জনকে নিয়ে ৫ সপ্তাহ মেয়াদী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

ইসরাত চৈতী/অমিয়/

চাল আমদানি নয় রপ্তানি করবো: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
চাল আমদানি নয় রপ্তানি করবো: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করছেন খাদ্যমন্ত্রী। ছবি: খবরের কাগজ

চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 

তিনি বলেন, বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ অভিহিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা দিয়ে, ভর্তূকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদনও বাড়বে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।’ 

পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলা হচ্ছে কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর কমলে কৃষকের সমস্যা। 

উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ওএমএস ও টিসিবির ভর্তূকিমূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।’  

এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষিপ্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন। 

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন। 

পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।

২০২৪-২৫ মৌসুমে আমন প্রণোদনা হিসাবে এক হাজার ২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

শফিক ছোটন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/