![ভোমরা স্থলবন্দর হবে আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র : নৌপ্রতিমন্ত্রী](uploads/2024/07/04/Khalid_Mahmud_Chowdhury-1720089779.jpg)
ভোমরা স্থলবন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “বন্দরের সেবা কার্যক্রম পেপারলেস করার লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পর তৃতীয় বন্দর হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। প্রায় ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। ভোমরা বন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে যাবে। ‘হিরো’ পোর্ট হয়ে যাবে। বন্দরটি যেন কোনো সংকটে না পড়ে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের (জিএটিএফ) অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে সম্পাদিত ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সব স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোমরা বন্দরে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সুবিধা-অসুবিধা আছে। নতুন কোনো কিছুতে ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই। ব্যবসাবান্ধব ও ব্যবসাকে আরও স্মুথ করার জন্য ভোমরা বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করা হলো। স্থলবন্দরগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সন্ত্রাসীগোষ্ঠী যদি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ না নিত, তাহলে চ্যালেঞ্জগুলো থাকত না। আমরা স্থলবন্দরগুলোর আপডেট করছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করেছে, তারা ভুল বলছেন। মিথ্যা বলছেন। যদি তিনি দেশ বিক্রি করে দিতেন তাহলে স্থলবন্দর করতেন না। তার সময় সর্বক্ষেত্রে- সড়ক, রেল, আকাশ, নৌপথে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যারা বলছেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিশ্বে বন্ধু নেই; তাদের দেখা দরকার, আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের কী অবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সংগ্রাম। জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নে তিনি কাজ করছেন। ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে কেন দুর্নীতি হবে? জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা দুর্নীতি করেছে। সেই বোঝা আমাদের টানতে হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আছে। আমাদের এগিয়ে যাওয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দুর্নীতির ফাঁদ পেতেছে। এ ফাঁদ থেকে সাবধান থাকতে হবে। দেশকে টেনে ধরার জন্য অনেকে ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাত দিয়েই উন্নয়ন সম্ভব। তিনি সাহসের সঙ্গে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করছেন।’
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) ডিরেক্টর ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্টের ডিরেক্টর (গ্লোবাল প্রোগ্রামস) বেনজামিন ল্যাং, ভোমরা স্থলবন্দর এক্সপোর্ট ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী এবং সাধারণ সম্পাদক এইচ আর মাকসুদ খান।
এনাম আবেদীন/সালমান/