গত ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা প্রমাণ দিতে পারলে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেবে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। তবে উপযুক্ত প্রমাণ দিতে না পারলে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এর আগে গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১৮ জুলাই অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি টাকা ফেরত দেবে না, দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এসব মানুষ সর্বস্ব বিক্রি করে টাকা দিয়েছেন রিক্রুটিং এজেন্টদের হাতে।’
৩১ মের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেননি। এর ফলে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। ওই কমিটি গত ২৪ জুন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদন আজ পর্যন্তও প্রকাশ করা হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনে কাউকে দায়ী করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্তে প্রায় সবাই দোষী। এমনকি মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতা কোম্পানিগুলোকেও তদন্তে দায়ী করা হয়েছে, কারণ তারা দেরিতে ডিমান্ড নোট ইস্যু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কাছে ২ হাজার ২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। বায়রা নেতাদের বলেছি অভিযোগুলোর কথা। তারা টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়েছেন। কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন যে এবার ছাড় দেওয়া হবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা প্রায় ১৭ হাজার কর্মীকে পরবর্তী সময় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া অন্যান্য দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রেও তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’