ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

আসকের প্রতিবেদন ৬ মাসে মামলা-নির্যাতন ও হয়রানির শিকার ১৪৫ সাংবাদিক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৮ পিএম
৬ মাসে মামলা-নির্যাতন ও হয়রানির শিকার ১৪৫ সাংবাদিক
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতির পরিসংখ্যানগত প্রতিবেদনে জানা যায়, বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন ১৪৫ জন সাংবাদিক। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে গত ৬ মাসে অন্তত ২ জন নারীসহ ৮ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠন- আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, সীমান্তে হত্যা, সাংবাদিক নিপীড়নসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা প্রদানের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রকাশিত আসকের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নার সই করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত এই প্রতিবেদনটি ১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও আসকের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।  

গত ৬ মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৪০টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪১ জন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৬ জন। এ সময় কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৪৬ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২০ জন এবং হাজতি ২৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৩ জন হাজতি এবং ১০ জন কয়েদির মৃত্যু হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুন মাসে সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১০ জন, আহত ১৪ জন। চলতি বছরের ৬ মাসে সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১১ জন নাগরিক। অন্যদিকে মায়ানমার সীমান্তে মর্টার শেলের আঘাতে ১ জন বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে আশ্রিত মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ১ জন নিহত হন। 

বছরের প্রথম ৬ মাসে ২৭টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০টি বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর, ৫টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ২১টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ১টি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। 

এ সময়ে যৌন হয়রানি ও সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যা, পারিবারিক নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ মাসে যৌন হয়রানিকেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৪৬ জন নারী-পুরুষ, যাদের মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন ১১৩ জন নারী ও ৩৩ জন পুরুষ। এর মধ্যে বখাটেরা লাঞ্ছিত করেছে ১০১ জন নারীকে, বখাটেদের উৎপাতকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত হয়েছেন ৩৬ জন। যৌন হয়রানির কারণে ১ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের দ্বারা ৪ জন পুরুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। 

ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ২৫০ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪ জন নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন। এ ছাড়া ৫৮ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২৬৯ জন নারী। এর মধ্যে ৮৪ জন নারীকে তার স্বামী হত্যা করেছেন।  পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা হয়েছেন ৯৪ জন নারী। 

এ সময়ে যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৩৩ জন নারী। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪ জন নারী। এ সময়কালে মোট ১০ জন গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।  

দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ৬ মাসে হত্যার শিকার হয়েছে ২৩৯ শিশু এবং ৩ জন শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ৫০ শিশু, বিভিন্ন সময়ে মোট ৭৭ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া গত ৬ মাসে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হন মোট ৩২ জন। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে করে আসক। অন্যথায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

তিথি/এমএ/

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স: গৃহায়নমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স: গৃহায়নমন্ত্রী
খুলনায় মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা রাখেন গৃহায়ন মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

রবিবার (৭ জুলাই) খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত জোন ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আপনাদের কাজের গুরুত্ব রয়েছে। নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজের ধারা অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই।’

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার।

মাকসুদ রহমান/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন
ছবি: সংগৃহীত

বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে ৩৭ মিনিট বন্ধ থাকে মেট্রোরেল চলাচল। 

রবিবার (৭ জুলাই) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২টা ২৭ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। 
 
পরে বেলা ৩টার দিকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল শুরু হয়েছে। 

মেট্রোরেলের যাত্রী মো. শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, তিনি ওই সময় মেট্রোরেলে পল্লবীর দিকে যাচ্ছিলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় আগারগাঁও স্টেশনে মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় অনেক যাত্রী মেট্রোরেল থেকে নেমে যান। 

ফার্মগেট থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনে যাচ্ছিলেন খালেদ নোমান নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, মেট্রোর পেইড জোনে অপেক্ষা করছিলাম। ভাবছিলাম, বিদ্যুৎ কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসবে। কিন্তু আধা ঘণ্টারও বেশি সময় পেইড জোনে অপেক্ষা করতে হলো। গলদঘর্ম হয়ে গেছি। 

ঈশিতা নামে আরেক যাত্রী জানান, তিনি তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পরে স্টেশন থেকে বের হয়ে যান।

সাংবাদিক সালমান গালিব বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় শেওড়াপাড়ায় অন্তত ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর মেট্রোরেলে কারওয়ান বাজারে আসি। এর ফলে শেওড়াপাড়া স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে। অনেককে স্টেশন ছেড়ে যেতেও দেখা যায়। 

জেনারেল ম্যানেজার ইফতেখার উদ্দিন রবিবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে খবরের কাগজকে বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিপিডিসি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে থাকে, সেখান থেকে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছিল। এখন আবার চলাচল শুরু হয়েছে।’

জয়ন্ত সাহা/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

পুলিশের বার্ষিক আজান ও ক্বিরাত প্রশিক্ষণ শুরু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
পুলিশের বার্ষিক আজান ও ক্বিরাত প্রশিক্ষণ শুরু
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আজান ও ক্বিরাত প্রশিক্ষণ-২০২৪ শুরু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) একেএম হাফিজ আক্তার, বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নির্দেশনায় ৫ সপ্তাহ মেয়াদী এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা)।

এতে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন ক্বারী ও ইক্বরার সভাপতি, শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল-আযহারীসহ ইকরার অন্যান্য প্রশিক্ষকরা।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সার্বিক সহাযোগিতায় রয়েছে ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সোহেল রানা।

এ সময় ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স এবং লজিস্টিকস বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ পুলিশের আজান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ১৬ জনকে নিয়ে ৫ সপ্তাহ মেয়াদী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

ইসরাত চৈতী/অমিয়/

চাল আমদানি নয় রপ্তানি করবো: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
চাল আমদানি নয় রপ্তানি করবো: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করছেন খাদ্যমন্ত্রী। ছবি: খবরের কাগজ

চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 

তিনি বলেন, বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ অভিহিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা দিয়ে, ভর্তূকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদনও বাড়বে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।’ 

পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলা হচ্ছে কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর কমলে কৃষকের সমস্যা। 

উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ওএমএস ও টিসিবির ভর্তূকিমূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।’  

এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষিপ্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন। 

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন। 

পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।

২০২৪-২৫ মৌসুমে আমন প্রণোদনা হিসাবে এক হাজার ২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

শফিক ছোটন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীবাসীকে সময় নিয়ে বের হওয়ার আহ্বান ডিএমপির

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীবাসীকে সময় নিয়ে বের হওয়ার আহ্বান ডিএমপির

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীবাসীকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নগরবাসীর প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।

ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, রথের শোভাযাত্রাটি আজ (রবিবার) দুপুর তিনটায় রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে জয়কালী মন্দির মোড়, ইত্তেফাক মোড়, শাপলা চত্ত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, রাজউক ক্রসিং, গুলিস্তান, গোলাপশাহ মাজার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্ত্বর, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, জগন্নাথ হল ও পলাশী হয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এসে শেষ হবে।

রথযাত্রা উপলক্ষে এই সময়ে উল্লেখিত রোডের পরিবর্তে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করারও অনুরোধ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে অবৈধ পার্কিং, অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন সব মিলিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল পার হওয়া ছিলো নগরবাসীর কাছে এক ভোগান্তির নাম। কিন্তু ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের শক্ত অবস্থানে সেই চিরচেনা যানজটের  রূপ পাল্টেছে। সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, স্বস্তিতে যাতায়াত করছেন নগরবাসী।

এ সময় ডিএমপির ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান, ট্রাফিক-রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. জয়নুল আবেদীন, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব।

অমিয়/