ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

ইউনানী-আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিন’ করার দাবি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
ইউনানী-আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিন’ করার দাবি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে  ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’ এর পরিবর্তে ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিন’ বলে অভিহিত করার দাবি জানিয়েছে প্রাচীন চিকিৎসা উন্নয়ন প্রচেষ্টা- প্রাচি। একই সঙ্গে ৫ জুলাইকে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত চিকিৎসকবৃন্দ।

প্রাচি-এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জাতীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি ডা. সালেহ মোহাম্মদ আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাকীম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও কবিরাজ আবদুল মোতালেব মতিন প্রমুখ।

চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থার বিশ্লেষণ ও বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনা সম্বলিত প্রাচি'র কার্যপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং মুখপাত্র মোখলেসুর রহমান।

মতবিনিময় সভায় চিকিৎসকগণ বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদ কলেজসমূহের সঙ্গে ১০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি। হাসপাতাল না থাকার কারণে বিশাল জনগোষ্ঠী এ দুই চিকিৎসা পদ্ধতির সুফল লাভ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া আমাদের ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ করতে হয় অ্যালোপ্যাথিক হাসপাতালে। এ বিষয়ে সরকারের কোন নজর ও পৃষ্ঠপোষকতা নেই, রয়েছে চরম অবহেলা।

প্রাচি মনে করে বাংলাদেশে অন্তত একটি পাবলিক ইউনানী ও আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয় থাকা উচিত।

সেসঙ্গে এ শিক্ষার মান নির্ধারণও জরুরি। চিকিৎসকদের দাবি বাংলাদেশ ড্রাগ এন্ড কসমেটিক অ্যাক্ট-২০২৩ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার জন্য সঠিক হলেও ইউনানী ও আয়ুর্বেদের জন্য এটি প্রযোজ্য হতে পারে না। আলোচ্য আইনটি পাশের পূর্বে এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির মৌলিক রীতিনীতি মেনে তা চূড়ান্ত করা আবশ্যক বলে প্রাচি মনে করে। একইসঙ্গে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ ফর্মুলারি নতুন করে প্রণয়নের দাবি জানায় সংগঠনটি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার হলেন ড. মো. শাহ্ কামাল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার হলেন ড. মো. শাহ্ কামাল
ড. মো. শাহ্ কামাল

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. শাহ্ কামাল বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার (সিএনসি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন। 

সম্প্রতি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৫২তম বার্ষিক (ত্রি-বার্ষিক) সাধারণ সভায় কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি সিএনসি নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে স্কাউটিং আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ইউনিট থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ড. মো. শাহ্ কামাল। তিনি বাংলাদেশ স্কাউটসের কোষাধ্যক্ষ, জাতীয় কমিশনার (সংগঠন এবং সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য), জাতীয় উপকমিশনার (উন্নয়ন), গ্রুপ সম্পাদক, গ্রুপ সভাপতি, উপজেলা সভাপতি, জেলা সম্পাদক, জেলা কমিশনার, জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

দেশব্যাপী স্কাউট আন্দোলনের সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ স্কাউটসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ইলিশ’ এবং সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ব্যাঘ্র’ পদকে ভূষিত হয়েছেন। 

শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে: সিএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে: সিএমপি কমিশনার
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম শহরে যানজট নিরসন ও মানুষের ভোগান্তি দূর করতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের নতুন কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। 

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় মিট দ্য প্রেসে এ কথা বলেন তিনি। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নতুন কমিশনারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় উপলক্ষে দামপাড়া পুলিশ লাইনসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারশেনস) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। 

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্ন ও পরামর্শের আলোকে সিএমপি কমিশনার বলেন, এই শহরকে মডেল হিসেবে গড়তে চাই। এই শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। নগরীতে সড়কের মাঝখানে যে ডিভাইডারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো যদি যানজটের কারণ হয় তাহলে সে ব্যবস্থা নেব। এগুলো পরিকল্পিতভাবে দেওয়ার কথাও আমরা ভেবে দেখব। যেহেতু ট্রাফিক বিভাগে সবচাইতে সমস্যা বেশি সেহেতু সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ট্রাফিকে কাজ করব আমি।

তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিংকে ঢেলে সাজানো হবে। বিশেষ করে কমিটিগুলোকে সাজাব। সেখানে কোনো কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা-গডফাদাররা ঢুকে যাচ্ছে কিনা সেটি দেখব। বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হবে। ওপেন হাউজ ডেতে বিশাল আয়োজন করে খাবারের অর্থায়নের জন্য বিট পুলিশিংয়ের কমিটিতে কাউকে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। সিঙ্গারা খাওয়ানোর টাকা পুলিশের কাছে আছে। এত বিশাল আয়োজন দরকার নেই। আর আমি ওপেন হাউজ ডে থানায় করতে দেব না। এটি করতে হবে ওয়ার্ডে। কেননা, মানুষ থানায় এসে কেন তার অভিযোগ জানাবে? পুলিশ যাবে তার কাছে। 

সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘অপরাধীর পরিচয় যেই হোক না কেন; আমার কাছে তার পরিচয় শুধুই অপরাধীই। তাকে আমি অপরাধী হিসেবে চিনব। খুনের আত্মা আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। বলে যে আমি খুন হয়েছি। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করে দাও। যতক্ষণ না আসামি ধরা পড়ছে বা আমি তাদেরকে ধরতে পারছি ততক্ষণ আমার শান্তি হয় না।’

তিনি আরও বলেন, নগরীতে চুরি-ছিনতাইয়ের শত শত ঘটনা। জিডি হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কিছু হচ্ছে না। আমি আসার পর ওসিদের বলেছি জিডিগুলো নিয়ে ভাল করে কাজ করতে। কেন হারানো মোবাইল পাওয়া যায়নি? যেই অফিসার তদন্ত করেছে তিনি কি করছেন? উদ্ধার না হয়ে থাকলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কি রিপোর্ট দিয়েছেন? আমি জানতে চেয়েছি। এরপর থেকে ফিডব্যাক আসতে শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ আমি এগুলো নিয়ে আরও ভালো করে কাজ করতে পারব। আমি চাই মামলা বাড়ুক। কেননা অপরাধের ঘটনা ঘটলে মামলা হলে ডকুমেন্টস তৈরি হয়। প্রতিমাসে আমি জিজ্ঞেস করতে পারব সেই মামলার কি অগ্রগতি হলো।

সিএমপিকে মানবিক পুলিশ ইউনিটে রূপান্তর করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আমি চাই সিএমপির দরজা সবার জন্য খোলা থাকুক। প্রয়োজনে কোনো গেট রাখব না। কোনো ধরাবাধা থাকবে না। সবাই আসতে পারবে। মানুষ অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের অবশ্যই থানার ওসিরা সহযোগিতা করবে। আপনাদের ফোনও ধরবেন উনারা। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলব। কোনো তথ্য না পেলে আমার সঙ্গে কথা বলবেন সরাসরি। আমাকে জানাবেন। আমি সেই তথ্য পৌঁছে দিব। প্রতি তিন মাস অন্তর আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে বসব। আমি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফুটপাত দখল করে দোকান, ভ্যান, অবৈধ স্থাপনা থেকে পুলিশ টাকা নেয়। এ অভিযোগের আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আর সন্ত্রাসীদের তালিকা করে প্রকাশ হবে। কেননা অপরাধী আমার আত্মীয় নয়। আমি পুরো শহরে অপরাধ দমনে ভিন্নভাবে কাজ করব। আমি কোথায় যাব সেটি আমার বডিগার্ডও জানবে না। আমি এই শহরে আগে একটি বিভাগের ডিসি ছিলাম। কাজেই শহরটা চেনা-জানা। থানাগুলো চিনি।

সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, যতদিন আছি মানুষের সেবা করার চেষ্টা করব। আমি তেলে মাথায় তেল দিতে যাব না কিন্তু সেই অসহায় মানুষটার মাথায় অবশ্যই তেল দেব, যাকে একটু তেল দেওয়া আসলেই দরকার। আমি সবার সহযোগিতা চাই। 

মনির/অমিয়/

মাতারবাড়ি রেল প্রকল্পে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান রেলমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
মাতারবাড়ি রেল প্রকল্পে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান রেলমন্ত্রীর
রেলভবনে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি

মাতারবাড়ি রেলওয়ে প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। 

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর রেলভবনে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। 

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে যে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তা সম্পন্ন হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে। এজন্য সরকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে সমুদ্রবন্দর থেকে সরাসরি রেলপথে কন্টেইনার পরিবহন করা যাবে এবং মাতারবাড়ি বন্দর থেকে বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করা যাবে দ্রুত।’ 

রেলমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং রেলওয়ের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভবিষ্যতেও রেলওয়ের প্রকল্পে জাপানের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’

জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে কাজ করার এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সেই সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটবে।’

জয়ন্ত সাহা/সালমান/

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীরা
ছবি : খবরের কাগজ

সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের দাবিতে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট অবরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলার সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি তাঁতীবাজার, গোলাপশাহ মাজার হয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেয়। 

প্রথমে শিক্ষার্থীদের তাঁতীবাজার পার হতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর গুলিস্থান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এসে আবারও পুলিশ বাধা দিলেও সেই বাধা উপেক্ষা করেই জিরোপয়েন্ট আসেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা; মেধা মেধা, আমার সোনার বাংলায়; বৈষম্যের ঠাই নাই, সারা বাংলায় খবর দে; কোটা প্রথার কবর দে, জেগেছে রে জেগেছে; ছাত্রসমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে; রক্তে আগুন লেগেছে, পড়েছে রে পড়েছে; পেটে লাথি পড়েছে, আঠারোর হাতিয়ার; গর্জে উঠো আরেকবার, কোটা প্রথা নিপাত যাক; মেধাবীরা মুক্তি পাক, বৈষম্যের বিরুদ্ধে; এক হও এক হও, তুমি আমি আমরা; গরবো সোনার বাংলা, ছাত্রসমাজ গরবে দেশ; মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ, জগন্নাথ আসছে; রাজপথ কাপছে, মেধাবীরা আসছে; রাজপথ কাপছে, কবি নজরুল আসছে; রাজপথ কাঁপছে, সোহরাওয়ার্দী আসছে; রাজপথ কাঁপছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

মোজাহিদ বিল্লাহ/অমিয়/

৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের এবং শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পরে বৈঠকে যোগ দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। সেখানে দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন। 

দলীয় সূত্র মতে, হুট করেই বৈঠকটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। 

এর আগে সংবাদ সম্মেলন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার কোটা বাতিলের বিরুদ্ধে আন্তরিক বলেই উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা পরিহার করা উচিত।’ 

সালমান/