ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪

বিএফইউজে-ডিইউজের প্রতিবাদ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ৪ সাংবাদিকের মামলা প্রত্যাহার দাবি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
সাইবার ট্রাইব্যুনালে ৪ সাংবাদিকের মামলা প্রত্যাহার দাবি
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ প্রকাশের জেরে পটুয়াখালীর বাউফলের চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। 

অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ প্রতিবাদ জানান। 

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারদলীয় নেতাকর্মীর দ্বারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। যখনই সাংবাদিকরা সত্য কথা লিখে, সমাজের অনিয়ম তুলে ধরে তখনই তারা ক্ষমতাসীনদের হামলা-মামলার স্বীকার হোন। পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা এর ব্যতিক্রম নয়।

তারা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসকল মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের ভয় দেখানো যাবে না। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করবে। একইসঙ্গে এই ন্যক্কারজনক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত বুধবার (৩ জুলাই) পটুয়াখালীর বাউফলের চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন বাউফল পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান ওরফে রিয়াদ খান (৪৩)। মামলায় আসামিরা হলেন-দৈনিক কালবেলার বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি জি এম মশিউর রহমান, বাউফল প্রতিদিন ডটকম অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক মো. এনামুল হক, বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার মো. মনির হোসেন ও দৈনিক ভোরের আকাশের বাউফল প্রতিনিধি মো. ফিরোজ। 

আদালত বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোণিত কুমার গায়েনকে মামলা তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এর আগে পরকীয়ার জেরে এক গৃহবধূকে নিয়ে পালানোর অভিযোগে মো. আরিফুজ্জামানের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে মামলা হয়। ২৬ জুন ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এই যুবলীগ নেতা।

শফিক/এমএ/

সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে আন্দোলন হচ্ছে: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:০৭ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:০৭ এএম
সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে আন্দোলন হচ্ছে: জি এম কাদের
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: খবরের কাগজ

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘সরকার যেটা বলছে, সরকারি লোকরাই আস্থা রাখতে পারছে না। দেশের সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে কোটা ও পেনশন নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। এ আন্দোলন যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য।’

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে রংপুর এসে সার্কিট হাউসের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। দুদিনের সফরে তিনি রংপুরে আসেন।

বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা পাচ্ছে না। সরকার তাদের অনুগতদের চাকরিতে নিয়ে আসছে মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে ব্যবহার করে। আর এ জন্য ছাত্ররা আন্দোলন করছে।’ তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারের ঘনিষ্ঠজন। সরকারের সঙ্গে তারা সব সময় থাকেন এবং সরকারের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন। সরকার বলছে নতুন পেনশন স্কিমে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু এর পরও শিক্ষকরা আস্থাহীনতার জায়গা থেকে আন্দোলন করছেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্প বিষয়টি সরকার জটিল করে তুলেছে। আমরা বিভিন্নভাবে বাইরের শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়েছি। সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা না করে নিজেদের ক্ষমতায় থাকার চিন্তা করেছে। যদি পদ্মা সেতু ঋণ নিয়ে তৈরি করা হয়, তবে কেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঋণ নিয়ে করা হবে না। এটি হলে গোটা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।’ 

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, জাহেদুল ইসলাম ও জেলা যুবসংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাইফুর রহমান রানা/এমএ/

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস ড্রাইভার আবেদ আলী চেয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হতে

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৭ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৮ এএম
ড্রাইভার আবেদ আলী চেয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হতে
সৈয়দ আবেদ আলী জীবন। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ৮ বছর বয়সে জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছিলেন রাজধানী ঢাকায়। সেখানে কখনো কুলির কাজ আবার কখনো ছোট ছোট কাজ করতেন। একসময় ফুটপাতে ঘুমাতে হতো। নিদারুণ কষ্ট করছেন তিনি। এরপর গাড়ি চালানো শিখে চাকরি নেন পিএসসিতে। দিনে দিনে জড়িয়ে পড়েন পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে। 

আর ফিরে তাকাতে হয়নি পেছনে। অর্জন করেছেন বিপুল সম্পদ। সেই সঙ্গে ক্ষমতাও। চেয়েছিলেন ডাসার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য প্রচার চালিয়ে গেছেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেননি।

তবে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে উঠে আসে আবেদ আলী সম্পর্কিত ভয়ংকর তথ্য। প্রায় একযুগ আগে থেকে বিপিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সৈয়দ আবেদ আলী মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের সৈয়দ আব্দুর রহমান মীরের ছেলে। তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে তিনি মেজো। তবে টাকাপয়সা ওয়ালা হওয়াতে মীর পদবি বাদ দিয়ে নিজেদের সৈয়দ বংশীয় বলে পরিচয় দিতেন।

সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের গল্প সিনেমাকেও হার মানায়। রহস্যেঘেরা জীবন গ্রামের বাড়িতে এসে নেমে পড়েন উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায়। রাজনীতির মাঠে ময়দানে কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে গণসংযোগ করেন জীবন ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। এলাকাবাসীর মধ্যে দান-খয়রাত করতেন বাবা ছেলে দু-হাত ভরে। 

সৈয়দ আবেদ আলী জীবন তার গ্রামের বাড়িতে কোটি টাকা খরচ করে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বাড়ির পাশে করেছেন মসজিদ। এ ছাড়াও রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা দখল করে গরুর খামার গড়েছেন। মার্কেট নির্মাণাধীন। উপজেলার পান্তাপাড়া ও পূর্ব বোতলা গ্রামে কিনেছেন বিপুল সম্পদ। স্থানীয়রা জানান, ঢাকায়ও তার একাধিক বাড়ি রয়েছে। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রয়েছে থ্রি স্টার হোটেল।

সামান্য একজন ড্রাইভার থেকে হঠাৎ করে এমন বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ায় তার সম্পর্কে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে জনমনে।

জীবন পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক। এলাকার মানুষ এটা জানতোই না। গত কোরবানির ঈদে দামি গাড়িতে চড়ে ১০০ জনকে এক কেজি করে মাংস তিনি বণ্টন করেন। সেই ভিডিও শেয়ার করেন নিজের ফেসবুকে। আবেদ আলীর ছেলে সিয়াম শুধু একটি নয়, একাধিক দামি গাড়ি ব্যবহার করেন। পড়াশোনা করেছেন ভারতের শিলং এবং স্বদেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বর্তমানে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। 

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সেই অভিযুক্ত কর্মচারীদের একজন হচ্ছেন পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক এই সৈয়দ আবেদ আলী জীবন।

তবে এসব ব্যাপারে সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের নম্বরে সোমবার (৮ জুলাই) একাধিকবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি। তাদের গ্রামের বাড়িও তালাবদ্ধ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আবেদ আলী পরিবারের সবাই ইউরোপের ভিসা করে রেখেছেন আগেই। যেকোনো সময় তারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, যারা অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন করেছেন, তাদের নিয়ে সচেতন মহলের প্রশ্ন তোলা উচিত। সরকারের উচিত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। প্রশ্ন ফাঁস করে এরা বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার কারণেও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করব।

রফিকুল ইসলাম/এমএ/

 

অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ এএম
অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

গত ১২ জুন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন। এ মামলায় আগামী ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। চার্জশিটে আরও একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১২ জুন ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।

 

 

নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরি স্থাপনে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম
নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরি স্থাপনে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন গার্মেন্টস ও কলকারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরি স্থাপনের বিষয়ে সম্ভাব্যতার সমীক্ষা করে আবাসন বরাদ্দে দ্রুত নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩য় বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।

এসময় উবার-পাঠাও এবং কুরিয়ার সার্ভিসে মানুষ ও পণ্য বহনকারী শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের আওতায় আনার বিষয় নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছেন কমিটির নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই নীতি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে একটি কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়।

সভায় দেশের কলকারখানার জন্য প্রযোজ্য এক বছর মেয়াদি লাইসেন্সকে ৫ বছরে উন্নীতকরণসহ লাইসেন্স প্রাপ্তিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে  সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিম এমপির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীসহ কমিটির অন্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।  এছাড়াও সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক শ্রম অধিদপ্তর, প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/এমএ/

গুলশানে বেনজীরের ৪ ফ্ল্যাটের মালামালের তালিকা করেছে দুদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:০৯ এএম
গুলশানে বেনজীরের ৪ ফ্ল্যাটের মালামালের তালিকা করেছে দুদক
বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন গুলশানের ১২৬ নম্বর সড়কের র‌্যাংকন আইকন টাওয়ারের চারটি ফ্ল্যাটের সব মালামালের তালিকা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালতের নির্দেশে ক্রোকের অংশ হিসেবে সোমবার (৮ জুলাই) রিসিভার কমিটির আহ্বায়ক ও দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদের নেতৃত্বে ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তিনজন প্রকৌশলী, গুলশান থানার পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা ফ্ল্যাটগুলো পরিদর্শনে যান। 

তারা সেখানে আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, এসি, ফ্যান, কিচেন সরঞ্জামসহ ফ্ল্যাটগুলোতে থাকা সব জিনিসপত্রের তালিকা করেন। তারা ফ্ল্যাটগুলোতে প্রবেশ, তালিকা তৈরি, বেরিয়ে আসা পর্যন্ত পুরো সময়ের ভিডিও ধারণ করেন। তালিকা তৈরির সময় ওই ভবনের ম্যানেজার ও নিরাপত্তা কর্মীদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তৈরি করা তালিকায় সাক্ষী হিসেবে ভবনের ম্যানেজারসহ কয়েকজনের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। 

এ ব্যাপারে দুদক পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই ফ্ল্যাট চারটির দেখভাল করার দায়িত্ব রিসিভার কমিটির। ক্রোকের অংশ হিসেবে ভবনটিতে ফ্ল্যাটের বাইরের অংশে আদালতের ক্রোকাদেশসংবলিত সাইনবোর্ড টাঙাতে হবে। এরপর ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সময়ে সময়ে আয়-ব্যয়ের হিসাব আদালতে দাখিল করতে হবে।’ 

আদালতের ক্রোকাদেশের পর গত ২৭ জুন দুদককে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়। রাজধানীর গুলশানের ১২৬ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়ি র‌্যাংকন আইকন টাওয়ার। ১৯ দশমিক ৭৫ কাঠা জমির ওপর তৈরি ১৫ তলা এই ভবনটিতে রয়েছে ২৫টি অ্যাপার্টমেন্ট। দুটি বেজমেন্ট। ৩৭টি কার পার্কিং। ভবনে ২০২৩ সালের ৫ মার্চ একসঙ্গে ৪টি ফ্ল্যাট কেনেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। নিজের অবসরে যাওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই ২ হাজার ২৪২ বর্গফুটের দুটি ও ২ হাজার ৩৫৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। র‌্যাংকন আইকন টাওয়ারে এই চারটি ফ্ল্যাটের তিনটি সাভানা ইকো রিসোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মির্জার নামে কেনা। অপর ফ্ল্যাটটি বেনজীর আহমেদের ছোট মেয়ের হয়ে তিনি নিজের নামে কেনেন।

গত ২৩ ও ২৬ মে দুদকের দুই দফায় করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার ক্রোক ও ফ্রিজের নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এ ছাড়া বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা প্রায় ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি এবং বিও অ্যাকাউন্টসহ ৩৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হয়।