ঢাকা ৪ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। লাখো শহিদ রক্ত দিয়ে গেছেন, লাখো মা-বোন নির্যাতিতা, তাদের এই অবদান ভূললে চলবে না। এটা মনে রাখতে হবে। পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকার বাহিনী যেভাবে এদেশে অত্যাচার করেছে সেখানে আমার খুব দুঃখ লাগে গতকাল রবিবার যখন শুনি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও বলে তারা রাজাকার। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী কীভাবে দেশে অত্যাচার চালিয়েছে তা তারা জানে না। এসব অত্যাচার, রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাবোধ হয়নি।’

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ‘বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর’ এবং ‘বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দেওয়াকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যায়িত করেছেন।

২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্ম সম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তারা কী জানে ’৭১ সালের ২৫ মার্চ কি ঘটেছিল সেখানে। সেখানে ৩০০ মেয়েকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এই দেশীয় দোসররা। ৪০ জন মেয়েকে পাকিস্তানি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছিল। তারা সেখানে কী অবস্থায় ছিল? অনেক মেয়ে শাড়ি বা ওড়না দিয়ে ফাঁসি দিয়েছিল তাদের কাপড় পরতে দেওয়া হতো না। একটা পেটিকোট পরিয়ে বসিয়ে রাখতো। দিনের পর দিন তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাতো।’

সরকারপ্রধান বলেন, যখন তাদেরকে উদ্ধার করা হয় মিত্র শক্তির এক ভারতীয় শিখ সৈন্য নিজের মাথার পাগড়ি খুলে এক মেয়ের গায়ে পরিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এটা কেবল একটা ঘটনা, এ রকম বহু ঘটনা রয়েছে।

শেখ হাসিনা মুক্তিযদ্ধে নারীদের অবদান তুলে ধরে বলেন, আমাদের মেয়েরা বসে থাকতো না। তারাও কিন্তু কাজ করতো। পিরোজপুরে এক মেয়ে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর রান্নার কাজ করতো এবং রাতে নদী সাঁতরে পার হয়ে চিতলমারী গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে গিয়ে হানাদারদের খবর পৌঁছে দিত। ধরা পড়ার পর দুটো গাড়ির সঙ্গে তার দুই পা বেঁধে টেনে হিঁচড়ে খণ্ড বিখণ্ড করে ফেলা হয়। এসব অত্যাচার, রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না।

তিনি বলেন, আমাদের সেই শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে। তাহলেই এদেশ এগিয়ে যাবে এবং সেটা যে বাস্তবতা তার প্রমাণ ’৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল ২১ বছর এবং পরে আরও প্রায় ৯ বছর তারা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। কিন্তু আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি এবং আমরা ভুক্তভোগীরা যখন ক্ষমতায় এসেছি মাত্র ১৫ বছরে আজ বদলে গেছে বাংলাদেশ। বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত বাংলাদেশ। সেই দরদটুকু থাকতে হবে। যাই হোক এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সরকারপ্রধান বলেন, তার প্রথমবার সরকার গঠনের পর থেকেই লক্ষ্য ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্বে স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ যে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ’৭৫ এই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যে মর্যাদা ভূলুন্ঠিত হয়ে যায় তাকে আবার স্বগৌরবে ফিরিয়ে আনা। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা আর দেশকে একটা মর্যাদার আসনে নিয়ে আসা। 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সম্পাদন করা এপিএ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

২০২২-২৩ অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে সাফল্য প্রদর্শনের স্বীকৃতি হিসেবে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পুরস্কৃত করেন। সার্বিক মূল্যায়নে শীর্ষ স্থান লাভ করে বিদ্যুৎ বিভাগ। সূত্র: বাসস

অমিয়/

শাপলা চত্বরে নিহতদের নাম প্রকাশ অধিকারের

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৬ পিএম
শাপলা চত্বরে নিহতদের নাম প্রকাশ অধিকারের
ফাইল ছবি

২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে বিচারবহির্ভূতভাবে নিহত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অধিকারের পেজে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। 

অধিকারের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ২০১৩ সালে অধিকার নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘটিত সেই নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের একটি তথ্যানুসন্ধান মিশন পরিচালনা করে এবং ৬১ জন নিহত উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার অধিকারের তৎকালীন সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং সংগঠনের বর্তমান পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০০৯) এর ৫৭ ধারায় মামলা করে।

এতে বলা হয়, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৩ সাল থেকে অধিকার এবং এর নেতাদের ওপর নিপীড়ন, নজরদারি, কর্তৃপক্ষের হয়রানি এবং সরকারপন্থী মিডিয়ার নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে দমন-পীড়ন শুরু করে। এক দশকেরও বেশি সময় বিচারিক হয়রানির পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ রায় ঘোষণা করেন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের একটি সত্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আইসিটি আইনের অধীনে আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।

পোস্টে বলা হয়, কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩১ দিন বন্দি থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদ তাদের উভয়ের জামিন মঞ্জুর করলে গত বছরের ১৫ অক্টোবর দুজনেই কারাগার থেকে মুক্তি পান।

অধিকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে  সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

তালিকাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...

সালমান/

৯৮৮ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
৯৮৮ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ

দেশের ৪৯৫ উপজেলার ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান ৪৯৪ জন (পুরুষ) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪৯৪ জন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে মন্ত্রণালয় এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এতে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ১৩ঘ প্রয়োগ করে এসব ভাইস চেয়ারম্যান ও সব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদের স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হলো।

এর আগে, সারা দেশে মোট ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ১২ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৫ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ পৌরসভার মেয়র রয়েছেন।

সালমান/

আদালতের রায় দেখার পর এবি পার্টির নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত : ইসি

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
আদালতের রায় দেখার পর এবি পার্টির নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত : ইসি

রাজনৈতিক দল হিসেবে আমার বাংলাদেশ পার্টিকে (এবি পার্টি) নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের সেই রায় হাতে পেলে দলটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

সম্প্রতি এবি পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে জারি করা রুল চূড়ান্ত করে সোমবার (১৯ আগস্ট) রায় দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, যিনি দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক। ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট দলটির আহ্বায়কের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই রুল জারি করেন। একই বছরের ২৪ জুলাই দলটির নিবন্ধনের আবেদন খারিজ করতে নির্বাচন কমিশন একটি চিঠি দেয়। সে চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে দলটির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী।

আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ২৪ জুলাই চিঠি দিয়ে জানায়, ১০৪টি উপজেলার দেওয়া তথ্যের মধ্যে ২৫টি সঠিক। বাকি ৭৯টির শর্ত পালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। কিন্তু কোন কোন উপজেলার শর্ত পালনের তথ্য ঠিক নেই, তা উল্লেখ করা হয়নি। আমাদের বক্তব্য হলো ১০৪টি উপজেলার সঠিক তথ্য দিয়েছি। এরপরও নিবন্ধন দেয়নি ইসি।’

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো দলকে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ জেলা কার্যালয় ও কমপক্ষে ১০০টি উপজেলা কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হয়, যার প্রত্যেকটি কমিটিতে অন্তত ২০০ ভোটার সদস্য থাকতে হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালে নতুন দলের নিবন্ধন নিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। সে সময় নিবন্ধন পেতে আবেদন করে এবি পার্টি। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে গেলেও চূড়ান্ত বাছাইয়ে তথ্যে সঠিকতা না থাকার অভিযোগে তালিকা থেকে বাদ পড়ে।

এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে রিভিউ আবেদন করে দলটি। ওইদিন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবি পার্টির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার বাস্তব অস্তিত্ব নেই। আমাদের সব পর্যায়ে কমিটি আছে। সব শর্ত পূরণ করেছি। তবে এসব যাচাই করতে গিয়ে ইসি কর্মকর্তারা আমাদের অফিস ভাড়ার কাগজের পরিবর্তে বাড়ির মালিকানার কাগজ দেখেছে। কাজেই অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের কারণে এমন হয়েছে।’  

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা (মজলিসে শুরার সদস্য) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এফএম সোলায়মান চৌধুরী এবি পার্টির আহ্বায়ক। এ ছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু দলটির সদস্যসচিব।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পাওয়া দুটি দলসহ বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।

এলিস/সালমান/

ড. ইউনূসকে শাহবাজের চিঠি বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় পাকিস্তান

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় পাকিস্তান
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক চিঠিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় তার দেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে এ আগ্রহের কথা জানান তিনি। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ চিঠির কথা জানানো হয়।

চিঠিতে শাহবাজ জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বলিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় পাকিস্তান। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী দেশটি। 

তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বলিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই; যা আমাদের দুই দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে এবং তাদের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে পারবে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই।’ 

চিঠিতে শাহবাজ শরিফ উল্লেখ করেন, ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে পাকিস্তান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায়গুলো আমাদের সক্রিয়ভাবে খুঁজে বের করা দরকার বলে আমি বিশ্বাস করি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ ইউএনবি

জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চেয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চেয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা
জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চেয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি। 

সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার জাপান। তারা এতদিন মূলত প্রকল্প সহায়তা দিয়েছে। এবার তাদের কাছে বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’ জাপান এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাপানের অর্থায়নে যেসব প্রকল্প চলছে, সেগুলো চলমান থাকবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘তাদের (জাপান) ব্যাপারে আর কোনো প্রশ্ন নেই, দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। বরং ভবিষ্যতের জন্য ওরা আরও প্রকল্প নিয়ে নেগোসিয়েশন করবে।’ এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. সালেহউদ্দিন।

আপনি যা চেয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে জাপানি রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন- সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘উনি বললেন আমরা তোমাদের ব্যাপারে হ্যাপি। জাপান মনে করে, এখন যারা লিডারশিপে আছেন দিজ আর গুড হ্যান্ড।’

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘শুধু টাকা-পয়সা না, আমরা স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আলোচনা করেছি। জাপান বলেছে এ ব্যাপারে আমাদের যে চলমান প্রকল্প আছে সেগুলোতে সহায়তা করবে। প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে আরও বেশি সহায়তা করবে।’ 

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বলেছি বাজেট সাপোর্ট আমাদের দরকার, টাকা-পয়সা দরকার। জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এটা গ্লোবাল কন্টেক্স, বাট দে হ্যাভ নোটেড ডাউন। জাপানের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত পজিটিভ বার্তা পেয়েছি।’ 

বাংলাদেশের অনেক ছাত্র জাপানে পড়াশোনা করতে যান। জাপানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে যেন বৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।

জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে জাপান। এই সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা আছে। নতুন সরকারের প্রতি তার পরামর্শ, ব্যাংকিং খাতসহ এনবিআর ও বিভিন্ন সংস্থার সংস্কারের পাশাপাশি ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে জোর দিতে হবে।’