বন্যাকবলিত অধিকাংশ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে ফেনীর দুই উপজেলা এবং কুমিল্লায় শতাধিক গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ১১ জেলায় বানভাসির সংখ্যা প্রায় অর্ধকোটি। বন্যা আক্রান্ত এলাকায় প্রকট হয়ে উঠেছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট। জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধি, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব কামরুল হাসান শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ পর্যন্ত বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৫, কুমিল্লায় ৪, নোয়াখালীতে ৩, কক্সবাজারে ৩, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীতে একজন করে মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় নগদ ৩ কোটি ৫২ লাখ, শিশুখাদ্য বাবদ ৩৫ লাখ, গো-খাদ্য বাবদ ৩৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০ হাজার ১৫০ টন চাল ও ১৫ হাজার শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বর্ষণ হতে পারে তিন বিভাগে
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে তিন বিভাগে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলসহ উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে নিয়মিত পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বন্যাকবলিত এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। শনিবার বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থা এবং পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি এবং উজানের নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে। এ কারণে বর্তমানে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিচু এলাকায় বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি শুক্রবার থেকে উন্নতি শুরু হয়েছে এবং অব্যাহত আছে।
ফেনীর দুই উপজেলা নতুন করে প্লাবিত
বন্যার পানি জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়ার পর ফেনী সদরেও ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। তবে দাগনভূঞা ও সোনাগাজীতে পানি বাড়ছে। এ পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষকে বন্যাদুর্গত অঞ্চল থেকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রসহ নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী জেলা প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জেলা প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষের কাছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর আগে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি থাকার তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অভিষেক দাশ জানান, উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।
এ জেলার অধিকাংশ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল রয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ দুই-তৃতীয়াংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ অনেক বেড়ে গেছে।
কুমিল্লায় প্লাবিত শতাধিক গ্রাম
কুমিল্লার বুড়িচং অংশে গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙার পর এবার বাঁধ ভেঙেছে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া অংশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সালদা নদীর। বুড়িচং অংশে গোমতীর বাঁধ ভেঙেছে উত্তর পাড়ে। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে দুই উপজেলার শতাধিক গ্রাম। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। নেই বিদ্যুৎ। শুকনো খাবার খেয়ে কোনো রকমে দিনযাপন করছে লক্ষাধিক মানুষ। সংকট দেখা দিয়েছে শিশুখাদ্য এবং ওষুধের। পর্যাপ্ত নৌকা ও স্পিডবোট না থাকায় বন্যার্তদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবেদ আলী বলেন, ইতোমধ্যে জেলার ১৪টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রামে বাড়িঘরে ফিরছেন পুরুষরা
হালদার পানি কমতে থাকায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমছে মিরসরাই, জোরারগঞ্জেও। ঘরে ফিরছেন পুরুষরা। বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় নারী ও শিশু-কিশোররা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের ইছামতী, সাঙ্গু, কর্ণফুলী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে আরও বাড়ছে ফেনী নদীর পানি।
মিরসরাইয়ের করেরহাটে উজানের দিকে পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বন্যার্তরা। খাবারের জন্য হন্যে হয়ে ছুটছেন তারা। ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীরা অনেক জায়গায় যেতে পারছেন না।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, চট্টগ্রামে এখনো ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫০ কিমি দীর্ঘ যানজট
এখনো বন্যার পানির নিচে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অঞ্চল। এ কারণে তিন দিন ধরে চট্টগ্রাম ও ঢাকার উভয় দিক থেকে যানবাহন চলাচল আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফেনীর লালপোল এলাকায় মহাসড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার অংশ এখনো পানির নিচে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও ঢাকার দুই প্রান্তে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি। এ কারণে অনেক এলাকায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এ জেলায় প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি। নলকূপ ও সুপেয় পানির অন্যান্য উৎস তলিয়ে গেছে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, রাউজানসহ বন্যাকবলিত উপজেলায়। তাই বানভাসি মানুষ বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার করছে।
তবে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কাছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওরাল স্যালাইনের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার পাঁচটি উপজেলা এখনো প্লাবিত
অল্প কিছু পানি সরেছে শনিবার। তবে পানিবন্দি হয়ে জেলার সাড়ে ছয় লাখ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অনেক এলাকা, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট এখনো তলিয়ে আছে। সেই সঙ্গে ডুবেছে নলকূপ, পানির ট্যাংকও। তাই খাবারের পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকট চলছে। অব্যাহত ভারী বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর জোয়ারের ঢলে লক্ষ্মীপুর জেলার ৮০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে।
বানভাসি মানুষ জানিয়েছে, এমন দুর্বিষহ অবস্থা ১৯৮৮ সালের বন্যার সময়ও হয়নি।
কক্সবাজারে শিশুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের রামু থেকে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া শিশু জুনাইদ আল হাবিবের (১১) লাশ শনিবার দুপুরে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জুনাইদ রামু উপজেলার লম্বরিপাড়ার নুরুল কবিরের ছেলে।
আখাউড়ায় ঘরে ফিরতে পারছেন না অনেকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ ফুট পানি কমেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপশ কুমার চক্রবর্তী জানান, বন্যাকবলিত ১২৪টি পরিবার উপজেলার ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছিল। এর মধ্যে ৮৮টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে বাড়ি ফিরে গেছে। যেভাবে পানি কমতে শুরু করেছে, আশা করা যায়, বাকি পরিবারগুলোও দু-এক দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শনিবারও বন্ধ ছিল।
নোয়াখালীর লক্ষাধিক মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে
গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ রয়েছেন।
এদিকে নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন উপজেলা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ লাখ মানুষ। ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠে লক্ষাধিক মানুষ। এসব কেন্দ্রে রান্নার ব্যবস্থা নেই। তাই খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন বন্যার্তরা। কোম্পানীগঞ্জের প্রায় সবাই এখনো পানিবন্দি।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নোয়াখালীর আট উপজেলা প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ২০ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ। জেলার ৮২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে দেড় লাখের বেশি মানুষ। এ ছাড়া বন্যায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে পানিবন্দি হয়ে নিজের বসতবাড়িতে আছেন। আমরা সবার মধ্যে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।’
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
নোয়াখালীতে বন্যার পানিতে আটকা পড়া গুরুতর অসুস্থ এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে উদ্ধার করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে মুক্তা বেগম (২৩) নামের ওই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাঙামাটিতে বন্যার উন্নতি
দুর্গত এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে।
খাগড়াছড়িতে স্বস্তি ফিরছে জনমনে
জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টিপাত না থাকায় নেমে গেছে বন্যার পানি। স্বস্তি ফিরছে জনজীবনে। সকাল থেকে বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষজন। জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
জেলা সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ি উপজেলায় বরাদ্দের অনুপাতে সামান্য কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হলেও জেলার অন্যান্য উপজেলাতে প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য তৎপরতা নেই। তবে ব্যক্তিগত এবং বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ত্রাণ পেয়েছেন কিছু কিছু এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা। সেনাবাহিনীকেও ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে।
জেলার অন্তত লক্ষাধিক মানুষ সুপেয় পানির সংকটে ভুগছে।
মৌলভীবাজারে উন্নতি হচ্ছে বন্যার
গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে ভারী বর্ষণ ও উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় কমেছে এখানকার নদ-নদীর পানি। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মনু নদের পানি কমতে থাকে। এ ছাড়া ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জেলা সদরসহ রাজনগর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী উপজেলার দুই শতাধিক গ্রামের ৩ লাখের বেশি মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে।
সিলেটে নদ-নদীর পানি কমছে
সিলেটে কমছে নদ-নদীর পানি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি ৪ পয়েন্ট বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সিলেটের সব নদ-নদীর পানি কমতে থাকে।
এদিকে আকাশে কালো মেঘ থাকলেও বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি সিলেটে।
হবিগঞ্জের ছয় উপজেলার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
জেলায় খোয়াই, কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে হলেও শায়েস্তাগঞ্জ ও মাছুলিয়া পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার অনেক নিচে আছে। অন্যদিকে কুশিয়ারা ও কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও তা এখনো বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।
তবে নদীর পানি কমলেও জেলার বন্যাকবলিত ছয়টি উপজেলার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হলেও অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এসব মানুষের মধ্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করছে।