ঢাকা ১০ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ২৫ আগস্ট ২০২৪

কোটাবিরোধী আন্দোলনরত ছাত্ররাই বীর মুক্তিসেনা: জি এম কাদের

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:১২ পিএম
কোটাবিরোধী আন্দোলনরত ছাত্ররাই বীর মুক্তিসেনা: জি এম কাদের
বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

কোটা পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনরত ছাত্ররাই বীর মুক্তিসেনা। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি কোটাসংস্কার আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী তরুণদের প্রতি আমার অভিনন্দন। কোমলমতি তরুণ সমাজ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সেই কারণে আমি তাদের বৈষম্য মুক্তির এ সংগ্রামের বীরযোদ্ধা বা বীর মুক্তিসেনা বলে মনে করছি।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারদলীয় নানা সংগঠনের হামলার প্রতিবাদও জানান তিনি। 

বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘বাঙালি বৈষম্যের এই অভিশাপ থেকে মুক্তি লাভের জন্য তারা বারবার সংগ্রাম করেছে, অনেকে আত্মদান করেছে এবং বারবার বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু তাদের সেই বিজয় প্রতিনিয়ত ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে এই বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়েছিল বাঙালি জাতি। কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের অর্জন এখন আবার তারা হারাতে বসেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দেশে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই বিভাজনের মাধ্যমে একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরি করা হচ্ছে। কোটা পদ্ধতি সেই প্রক্রিয়ার একটি অংশ মাত্র।’ সরকারের সমালোচনায় জি এম কাদের বলেন, ‘বর্তমান শাসকশ্রেণি সরকারসৃষ্ট এই সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর মাধ্যমে দেশের জনগনকে শাসন-শোষন করে চলেছেন। সামনের দিনগুলোতেও এ উদ্দেশ্য আরও ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’ 

তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অপব্যবহার করে তাদের ‘কলঙ্কিত’ করা হচ্ছে বলে মনে করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা হয় ভবিষ্যতে কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করতে পারেন।’

সহিংসতা এড়িয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন,   ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিগুলো নীতিগতভাবে মেনে নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। সে লক্ষ্যে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা যেতে পারে। বিষয়গুলো আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের জানানো যেতে পারে। অন্যথায় দেশ ও আগামী প্রজন্ম একটি সংঘাতময় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে। মনে রাখতে হবে, অযৌক্তিক জেদ কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।’

জয়ন্ত/এমএ/ 

সাগরে লঘুচাপ, ৬ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম
সাগরে লঘুচাপ, ৬ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে আগামীকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) ছয় বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ আগস্ট) আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের সই করা আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে ছয় বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ইসির এনআইডি সেবা স্বাভাবিক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:১০ পিএম
ইসির এনআইডি সেবা স্বাভাবিক
ছবি : খবরের কাগজ

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের আইডিইএ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত করে রবিবার (২৫ আগস্ট) থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন। ফলে আজ থেকে পুরোদমে স্বাভাবিক হয়েছে এনআইডির সব ধরনের সেবা কার্যক্রম। দাবি পূরণের আশ্বাস ও হঠাৎ দেশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং সরকারের প্রতি সম্মান রেখে নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ-২ প্রকল্পের আউটসোর্সিং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র আইন-২০২৩ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালনার দাবিতে ডাকা কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সবাইকে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিবার।

এর আগে গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ইসি সচিব মো. শফিউল আজিম। 

ইসির এনআইডি অনুবিভাগে সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. সাহাবুদ্দিন। আন্দোলন স্থগিতের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘এনআইডি শাখায় ২ হাজার ২৬১ পদের মধ্যে বর্তমানে আমরা কাজ করছি ২ হাজার ২৩১ জন। তার মধ্যে আমাদের অনেকের কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে গেছে। তাই প্রকল্প থেকে আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তি এবং এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবি করে আসছি। এ বিষয়ে কমিশনের সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তারাও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। এ পর্যায়ে দাবি আদায়ে আইডিইএ-২ প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দাবি আদায়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। এ ছাড়া সারা দেশে ৪০ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি করা হয়েছে। একই সঙ্গে দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে ইসির সহযোগিতা নিয়ে আমরা একটি আবেদনপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। সম্ভব হলে আগামী মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট আমরা সেটা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দিতে চাই।’

এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সারা দেশ থেকে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে এনআইডি সার্ভার চালু থাকলেও জেলা ও উপজেলা থেকে লোকবল ঢাকায় চলে আসায় স্থানীয় পর্যায়ে এনআইডিসংক্রান্ত অনেক সেবা বন্ধ ছিল। পরে তাদের রাজস্ব খাতে আনতে কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এমন আশ্বাস দেওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত রেখে তারা রবিবার নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ১ কোটি টাকা দিল বেবিচক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:০০ পিএম
আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ১ কোটি টাকা দিল বেবিচক
ছবি : খবরের কাগজ

চলমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রায় ২২ লাখ টাকা এবং বোর্ড মেম্বারদের সর্বসম্মতিক্রমে নিজস্ব ফান্ড থেকে আরও ১ কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছে বেবিচক কর্তৃপক্ষ। 

রবিবার (২৫ আগস্ট) এ অর্থ জমা দেওয়া হয়। 

এ ছাড়া বেবিচকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌথ উদ্যোগে সংগৃহীত নগদ অর্থের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- খাদ্যদ্রব্য, ওষুধপত্র, এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীও সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। 

বেবিচক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারা তাদের সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে এবং দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে।

ঢাকা নগর পরিবহনের ৪২ রুট খুলে দিতে চায় ডিটিসিএ

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
ঢাকা নগর পরিবহনের ৪২ রুট খুলে দিতে চায় ডিটিসিএ
ছবি : সংগৃহীত

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ঢাকা নগর পরিবহনের প্রস্তাবিত ৪২টি রুট খুলে দিতে চায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। বাসমালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নগর পরিবহনের রুট বিন্যাস করার পরিকল্পনা করছে এই কর্তৃপক্ষ। 

ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। পরিকল্পনা ছিল ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রাজধানীকে একটি কোম্পানির আওতায় আনা। তিন বছর পার হলেও এই পরিকল্পনা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। 

রবিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁয় ডিটিসিএ ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় ঢাকার অভ্যন্তরে চলাচলকারী বিভিন্ন বাস কোম্পানির মালিকরা ডিটিসিএকে নতুন করে বাস রুটের বিন্যাস করার অনুরোধ জানান। 

এ বিষয়ে বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, ‘সভায় বাসমালিকদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। এই বিষয়ে আরও আলোচনা করে পরিকল্পনা ঠিক করা হবে। আমরা ৪২টি রুটই ওপেন করে দিচ্ছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘একটি রুটে একটি মাত্র বাস কোম্পানিই গাড়ি চালাতে পারবে। এ ক্ষেত্রে যারা রুট ভায়োলেশন করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

ডিটিসিএ সূত্র বলছে, ঢাকায় যখন নগর পরিবহন চলাচল শুরু হয়, তখন বাসের মোট রুট ছিল ১১০টি। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২০টি। বর্তমানে ঢাকায় প্রায় ১৩০টি রুটে বাস চলাচল করছে। এসব রুট কমিয়ে ৪২টি রুট করবে ডিটিসিএ। 

২০১৬ সালের শুরুতে ছয়টি কোম্পানির অধীনে ছয় রঙের বাস নামানোর উদ্যোগ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। তবে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর আনিসুল হকের মৃত্যুর পর থেমে যায় প্রকল্প। এরপর আবার ২০২০ সালে বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৯টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের, ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে নগর পরিবহন ৬টি (রুট ৩৪টি) ও শহরতলি পরিবহন ক্লাস্টার ৩টি (রুট ৮টি)। নগর পরিবহনে বর্তমানে চলমান মোট ৫৪টি রুটকে সমন্বয় করে ৮টি রুটে পরিণত করা হয়েছে, যাদের রুট নং ২১ থেকে ২৮। আর এটি দেখভাল করছে ডিটিসিএ।

সভায় ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে বাস রুট রেশনালাইজেশন কর্মসূচির আওতায় পাইলটিং কার্যক্রমটি সফলতা পায়নি। দুটি রুটে এখনো বিআরটিসি বাস পরিচালনা করছে। যদিও অবৈধ বাসের দৌরাত্ম্যে আমরা আশানুরূপ সেবা প্রদান করতে পারেনি। তবে ঢাকা শহরের শৃঙ্খলাবদ্ধ পরিবহনের সূচনা করতে ডিটিসিএ দৃঢ়সংকল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

নীলিমা আখতার জানান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে চালক ও সহায়কদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। 

সভায় বিআরটিএ, বিআরটিসি, ডিএসসিসি, ডিএনসিসি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধি, ডিটিসিএ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বাস পরিচালনায় আগ্রহী ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট, বোরাক পরিবহন, এইচআর ট্রান্সপোর্টের প্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সালে ২১ নম্বর রুট (ঘাটারচর-মোহাম্মদপুর-জিগাতলা-প্রেস ক্লাব-মতিঝিল-যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর) পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে প্রথম বাস সেবা শুরু হয়। এরপর আরও তিনটি রুটে বাস চালু করা হয়। তবে চলতি মাসের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ঢাকা নগর পরিবহনের সব রুট বন্ধ হয়ে যায়। এখন কোনো রুটেই নগর পরিবহনের বাস চলছে না। 

সারা দেশে ১৮১৪টি লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
সারা দেশে ১৮১৪টি লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠন করা হয়েছিল সেগুলো উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। রবিবার (২৫ আগস্ট) পর্যন্ত পুলিশ বিভিন্ন ধরনের ১৮১৪টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

রবিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, অস্ত্র ছাড়াও পুলিশ ৮৭ হাজার ৪০ রাউন্ড গুলি, ২৬৪৭টি টিয়ার গ্যাস সেল ও ২৯২টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে।

এ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আল-আমিন/এমএ/