ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

বিএনপি নেতাদের বাড়িতে ককটেল হামলা, শনাক্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২০ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
বিএনপি নেতাদের বাড়িতে ককটেল হামলা, শনাক্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা
ককটেল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাড়ির সামনে ককটেল হামলাকারীরা শনাক্ত হয়নি।

এ ছাড়া খুলনার ফুলতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাব্বির হোসেন রানার বাড়িতে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের যশোরের বাড়ির সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন সবুজের বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বিএনপি নেতাদের দাবি, আতঙ্ক সৃষ্টি করার নতুন অপকৌশল হিসেবে এসব হামলা করেছে আওয়ামী লীগ।

পুলিশ বলছে, তারা ঘটনাগুলো তদন্ত করেছে এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সকাল ৮টায় কারাগারে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসায় দুর্বৃত্তরা ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলের মধ্যে একটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং অপর ককটেলটি সম্পূর্ণ অবিস্ফোরিত থাকে। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ককটেল বিস্ফোরণের সময় বাসায় অবস্থান করা নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত বের হয়ে একটি মোটরসাইকেলকে চলে যেতে দেখেন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা বাসার গেটের সামনে ইউনিফর্ম পরা ৬-৮ জন পুলিশকে ৩-৪টি মোটরসাইকেলসহ অবস্থান করতে দেখেন। তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেল আরোহী এবং ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাটি পুলিশের কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন খবরের কাগজকে জানান, মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। 

এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) দুই মেয়াদের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাড়িতে ককটেল হামলাকারীরা ঘটনার ভিডিও করায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি রাজনৈতিক নয় জানিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঘটনাটি প্রথম দিকে মনে হয়েছিল রাজনৈতিক। সিসি ক্যামেরা দেখে মোটেও সেটি মনে হয়নি। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে যে দুজন, তাদের প্রশিক্ষিত মনে হয়েছে। মুখে মাস্ক পরা ছিল। ভিডিও ধারণকারীকেও দেখাচ্ছিল যেন কারও নির্দেশ পালন করছে। এসব কারণে ঘটনাটি আমার কাছে রাজনৈতিক নয়, রহস্যজনক মনে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ফুটেজ পেয়েও পুলিশ রহস্য ভেদ করতে না পারায় মানুষের মনে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণকারী কারা? কেন তারা ককটেল ফাটিয়ে ভিডিও ধারণ করল? কাকে দেখাতে এই হামলা?’ 

এদিকে খুলনার ফুলতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাব্বির হোসেন রানার বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খুলনা জেলা বিএনপির নেতারা বলেছেন, এক দফা আন্দোলনে গণগ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির নেতারা কৌশলগত কারণে বাড়িছাড়া। এ সুযোগে পরিবার-পরিজনের ওপর পুলিশি হয়রানির পাশাপাশি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নতুন অপকৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের যশোরের বাসভবনে বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপির দাবি, দুটি বাসভবনে ১৫টির মতো ককটেল হামলা করা হয়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের তথ্য পেয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। এ ঘটনায় কেউ আটক নেই।’ 

তা ছাড়া সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন সবুজের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাকে না পেয়ে তার বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহজাদপুর পৌর শহরের পাঠানপাড়ায় আমির হোসেন সবুজের বাড়িতে ৮ থেকে ১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে গিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন সবুজ বলেন, বর্তমান এমপি মেরিনা জাহান কবিতার নির্দেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান। এ বিষয়ে শাহজাদপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা বলেন, ‘হামলা ও ভাঙচুরের ব্যাপারে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয়।’

আল-আমিন/সালমান/

কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহালের ইস্যুতে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, কোটার বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। 

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সঙ্গে চাকরির কোটা সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র-যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’ 

ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য হলো শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।’

রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি  বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিন্তু তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সরকার কেন কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়- এ প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি করতে অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ অনুপযুক্তরা জানে তারা এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়।’

জয়ন্ত/এমএ/

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা মারা গেছেন। লিজার বড় ভাই পলাশ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজার স্বামী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজ ইসলাম উজ্জ্বল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, লিজার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজীবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু)।

শফিক/এমএ/

শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই আন্দোলনে স্পষ্ট সমর্থন দেখা যায় সাধারণ মানুষেরও। তাই দাবি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

মান্না বলেন, প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, রাস্তায় আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় কী-না! অথচ বিশ্বের কতো রাষ্ট্র আর তার সরকার আইনব্যবস্থারই পরিবর্তন ঘটেছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আদালতে রিট হয়েছে কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করতে, আদালত তা বাতিল করে শুনানি শুরু করেছে যা বর্তমানে মুলতবি রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন ও দাবির মুখে জারি করা কোটা বাতিল পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি করতে পারতেন আদালত, অবশ্য দুটিই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাধারণ মানুষের দুর্গতি, অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা ভেবে পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি চলমান রাখা যেত। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে, পরিপত্র বহাল রেখেই রিটের শুনানি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া শিক্ষার উপর আরও প্রবল নেতিবাচক প্রভাব দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদেরকে।

মান্না আরও বলেন, কোটা পুনর্বহাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানান। এগুলো হল- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শফিক/এমএ/

ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী
ছবি : খবরের কাগজ

‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা (সরকার) সবকিছু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যসচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের এস এন তরুণ দে প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করেছে। তাই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। এটা সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সক্ষমতায় টিকে আছেন।’ 

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে। যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে, সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’