ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

সাকিবের প্রার্থিতা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য আ.লীগ নেতাদের

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৩ এএম
সাকিবের প্রার্থিতা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য আ.লীগ নেতাদের
সাকিব আল হাসান। ছবি : সংগৃহীত

মাগুরার দুটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ বিষয়ে জেলার সর্বত্র চলছে নানা ধরনের আলাপ, আলোচনা ও সমালোচনা। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক কোনো অবস্থানে নেই জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী মাগুরা-১ আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, সাবেক এমপি রেড ক্রিসেন্ট চেয়ারম্যান সাবেক সেনা কর্মকর্তা এটিএম আব্দুল ওয়াহ্হাব, এস এম শফিকুল ইলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমীর ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পংকজ সাহা, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসমত আরা হ্যাপি দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

মাগুরা-২ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীরেন শিকদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী, জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ওহিদুর রহমান টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কবিরুজ্জামান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কাজী শরিফ উদ্দিন, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আইয়ুব বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সৈকতুজ্জামান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী শেখ নবীব আলী, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, সাংবাদিক শাহিদুল হাসান খোকন, ফয়জুর রহমান চৌধুরী, আব্বাস আলী কৈরাশী এই ১৪ জন দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহ বলেন, জেলায় আমরা রাজনীতির পরীক্ষিত মানুষদেরকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাই। হঠাৎ করে কাউকে চাপিয়ে দিলে বিশেষ করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ভোটের মাঠে বুঝ দেয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তৃণমূলের মানুষ সবসময় যাদের সহজে কাছে পেয়েছেন কিংবা পান, সবসময় তাদেরকেই ভোট দিতে পছন্দ করেন- এটাই হলো প্রকৃত বাস্তবতা। তবু আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল।

মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক কলেজ শিক্ষক ও ব্যবসায়ী মাজেদুল হক ঝন্টু বলেন, সাকিব আল হাসান ক্রিকেটে ভালো, জেলার রাজনীতিতে তার কোনো অবস্থান কোনোদিন ছিল না, এখনো নেই। তিনি কেন মাগুরা থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন, তার কোনো কারণ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। এ কথা বলার কারণ হচ্ছে, জনপ্রতিনিধি হতে গেলে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে কেউ সম্পৃক্ত থাকুক কিংবা না থাকুক, অন্তত তাকে জেলার সামাজিক ও মানবিক সেবার ক্ষেত্রে সক্রিয় থাকতে হয়। এই জনপদের মানুষ হিসাবে সাকিব আল হাসানের পক্ষে সেই কথাটা বলার মতো অবস্থা তিনি রাখেননি। তিনি জেলায় লুকিয়ে আসেন, লুকিয়ে চলে যান। কেউ তাকে দেখতে গেলে তিনি বিরক্ত হন। এমনকি যত দ্রুত সম্ভব ঈদের নামাজের মাঠ পর্যন্ত পরিত্যাগ করেন, যাতে মানুষের সান্নিধ্যে আসতে না হয়। আমার জানা মতে, জেলার সাংবাদিকদের পর্যন্ত তিনি এড়িয়ে চলেন। এ ধরনের তারকাদের জন্য রাজনীতি নয়। রাজনীতি করতে হলে জনপ্রতিনিধি হতে গেলে আগে সামাজিকতা শিখতে হবে। রাজনীতির বর্তমান এ চ্যালেঞ্জিং সময়ে অহেতুক আমরা কোনো চাপ নিতে চাই না।

জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম বিপু বলেন, আমাদের জানা মতে জেলার মানুষের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নির্বাচন এলে অনেককেই মনোনয়নপত্র কিনতে দেখছি। কিন্তু আমরা যারা জেলার রাজনীতির সঙ্গে আছি, কোনোদিন তো আমাদের সঙ্গে সামান্য কুশল বিনিময় পর্যন্ত করতে দেখি না। দুঃসময়ে রাজনীতির মাঠে থাকা তো দূরের কথা, এ কারণে আমরা দলীয় ও জনগণের সমর্থনযোগ্যদেরকেই আগামী নির্বাচনে জেলায় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতারা বিশেষ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন রাখতে চাই। না হলে সাংগঠনিকভাবে দল অনেক পিছিয়ে যাবে। অতীতে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বলেন, সাকিব দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। মাগুরার রাজনীতি কিংবা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কটি মানুষের নাম তিনি বলতে পারবেন, সেটা আমাদের জানা নেই। এ কারণে রাজনৈতিক পর্যায়ে শুধু নয়, কোনো পর্যায়েই তাকে নিয়ে কোনো কৌতূহল নেই।

শহরের চা দোকানি সেন্টু দত্ত বলেন, সাকিব আল হাসান আমাদের মতো দরিদ্র মানুষের কোনো কাজে আসবে বলে তো মনে হয় না। তাহলে এতদিনে কিছুটা অন্তত বুঝতাম। শুনেছি, তিনি অনেক টাকার মালিক। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি আমাদের কাছে অনেক গর্বের। কিন্তু যদি মাশরাফিদের সঙ্গে মিল করেন তাহলে তার পক্ষে বলার মতো জেলার কারও কিছু নেই। আমরা যেমন আছি, অনেক ভালো আছি। যারা বর্তমানে এমপি আছেন, অনেক ভালো। 

কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহালের ইস্যুতে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, কোটার বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। 

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সঙ্গে চাকরির কোটা সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র-যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’ 

ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য হলো শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।’

রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি  বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিন্তু তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সরকার কেন কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়- এ প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি করতে অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ অনুপযুক্তরা জানে তারা এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়।’

জয়ন্ত/এমএ/

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা মারা গেছেন। লিজার বড় ভাই পলাশ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজার স্বামী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজ ইসলাম উজ্জ্বল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, লিজার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজীবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু)।

শফিক/এমএ/

শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই আন্দোলনে স্পষ্ট সমর্থন দেখা যায় সাধারণ মানুষেরও। তাই দাবি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

মান্না বলেন, প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, রাস্তায় আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় কী-না! অথচ বিশ্বের কতো রাষ্ট্র আর তার সরকার আইনব্যবস্থারই পরিবর্তন ঘটেছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আদালতে রিট হয়েছে কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করতে, আদালত তা বাতিল করে শুনানি শুরু করেছে যা বর্তমানে মুলতবি রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন ও দাবির মুখে জারি করা কোটা বাতিল পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি করতে পারতেন আদালত, অবশ্য দুটিই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাধারণ মানুষের দুর্গতি, অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা ভেবে পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি চলমান রাখা যেত। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে, পরিপত্র বহাল রেখেই রিটের শুনানি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া শিক্ষার উপর আরও প্রবল নেতিবাচক প্রভাব দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদেরকে।

মান্না আরও বলেন, কোটা পুনর্বহাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানান। এগুলো হল- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শফিক/এমএ/

ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী
ছবি : খবরের কাগজ

‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা (সরকার) সবকিছু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যসচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের এস এন তরুণ দে প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করেছে। তাই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। এটা সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সক্ষমতায় টিকে আছেন।’ 

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে। যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে, সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’