ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

জাপার অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৩ এএম
জাপার অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত
রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও জাতীয় পার্টিতে (জাপা) নাটকীয়তার শেষ হয়নি এখনো। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রির চতুর্থ দিনেও মনোনয়ন ফরম তোলেননি বিরোধীদলীয় নেতা ও জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। ফরম তোলেননি তার ছেলে ও রংপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদও।

গত দুদিন ধরে জাপার রাজনীতিতে আলোচিত বিষয় ছিল সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর মনোনয়ন। একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপের দায়িত্বে থাকা রাঙ্গাঁকে ফিরিয়ে আনার আভাস মিললেও গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনিও মনোনয়ন ফরম নেননি।

রওশন এরশাদ ও মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর আসনে অনেকে দলের প্রার্থী হতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়নের দৌড়ে তারা যে টিকবেন না, সেই আভাস মিলেছে দলের শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে।

দলের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শেষে মনোনয়ন পর্ব শেষ করে জাতীয় পার্টি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ২৮ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে ওই তালিকা জমা দিতে হবে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ওই সময়ের মধ্যেই জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম নেবেন রওশন এরশাদ, সাদ এরশাদ।

মুজিবুল হক চুন্নু খবরের কাগজকে বলেন, ‘তিনি আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, তিনি আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। তিনি নির্বাচন করলে আমরা খুশি, তাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করব। তিনি নির্বাচন না করলে অবশ্য ভিন্ন বিষয়। নির্বাচন করবেন না, এমন কিছু এখন পর্যন্ত তিনি বলেন নাই।’

রওশনপন্থিরা ব্যাকফুটে

ভোটের আগে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের শিবিরে চেয়ারম্যান জি এম কাদেরবিরোধী তৎপরতা আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নির্বাচনের আগে জাপার দশম কাউন্সিল অধিবেশন ডেকে রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ঘোষণার নানা তোড়জোড় করেছেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সে কাউন্সিল আর আয়োজন করতে পারেননি তারা।

এরপরও থমকে থাকেননি তারা। রওশনপন্থি এমপিদের অনেকে দশম জাতীয় সংসদের মতো এবারও ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে থেকে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে চাপে রাখেন বিরোধীদলীয় নেতাকে। জাপার প্রেসিডিয়াম ও কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সদস্যের অভিযোগ, ‘এই নেতারা কেবল নিজে এমপি-মন্ত্রী হতে পারলেই খুশি। সমঝোতায় যতগুলো আসন পাওয়া যায়, ততগুলোকে লাভজনক মনে করেন তারা। দলের কী হলো তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই তাদের।’ সর্বশেষ গত ২ নভেম্বর জাপার এমপিদের বড় একটি অংশ হঠাৎ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গেলে জাপায় গুঞ্জন ওঠে গোপন সমঝোতার। 

জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রওশন আরা মান্নান এ সময় প্রকাশ্যে রওশন এরশাদের পক্ষ নেন। তিনি পরে রওশন এরশাদের সঙ্গে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। 

ওই বৈঠকের পরে রওশন এরশাদপন্থি নেতারা ছক কষতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে গেলে কয়টি আসন তারা পাবেন। তাদের প্রত্যাশায় বাদ সাধেন জি এম কাদের। জাপা চেয়ারম্যান সাফ জানিয়ে দেন, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কোনো জোট বাঁধবে না জাপা। নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী, দলের চেয়ারম্যানের কথাই চূড়ান্ত। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে মহাজোটে যাওয়ার কথা জানিয়ে রওশন এরশাদ যে চিঠি দিয়েছিলেন ইসিতে, তা নিয়েও জলঘোলা হয়েছে অনেক। বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্ বলেন, ‘ওই চিঠিটি ম্যাডামের কি না, তা আমরা জানি না।’ 

তৃণমূল বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও বিএনএমের ব্যানারে বিএনপির দলছুট নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর জাপার এই এমপিরা এখন বিপাকে পড়েছেন। এই তিন দলের যেকোনো একটি বেশি আসনে জিতে জাপাকে টক্কর দিতে পারলে বসবে প্রধান বিরোধী দলের আসনে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ খবর জোরালো ভিত্তি পেলে জাপার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক। 

এমন এক পরিস্থিতিতে রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চান বলে জানান গোলাম মসীহ্। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছেন। হয়তো দুই একদিনের মধ্যে আমরা সেই অনুমতি পেয়ে যাব।’

এদিকে রওশন শিবিরের মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, রওশন আরা মান্নানের সঙ্গে এ সময় হঠাৎ আলোচনায় ফেরেন বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মো. মামুনুর রশিদ। জাপায় জোর গুঞ্জন- রওশন এরশাদ শিবিরের বিষয়ে যেসব গুজব ছড়িয়েছে, তার নেপথ্যে রয়েছেন মামুন।

জাপার প্রেসিডিয়াম থেকে বহিষ্কৃত এই নেতার বিষয়ে এক প্রশ্নে বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্ খবরের কাগজকে বলেন, ‘রওশন এরশাদ সবসময় একটা ইউনাইটেড দল দেখতে চেয়েছেন। কিন্তু দুই চারজন লোক আছেন, যারা রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রাখতে চান। তারা দলকে কুক্ষিগত করে রাখতে চান।’ 

জাপার সাবেক এমপি গোলাম সারোয়ার মিলন, এম এ গোফরান, রওশনের পক্ষ নেওয়া ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজু এবার লাঙলের প্রার্থী হবেন বলে যত তোড়জোড় শুরু করেছিলেন, এখনো তার কিছুই পরিলক্ষিত হয়নি। তাদের শিবির থেকে খবর রটেছিল, রওশন এরশাদ আলাদাভাবে মনোনয়ন ফরম দেবেন। গোলাম মসীহ্ জানান, আরপিও অনুযায়ী রওশন এরশাদ আলাদাভাবে মনোনয়ন ফরম দিতে পারেন না। 

জাপা পেতে পারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা: চুন্নু 

আওয়ামী লীগবিরোধী ভোটের ওপর ভর করে জাতীয় পার্টি (জাপা) নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে বলে মনে করেন দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। বৃহস্পতিবার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন বিক্রির শেষ দিনে সাংবাদিকদের এমন আশার কথা জানান চুন্নু।

তিনি বলেন, ‘ভোটাররা যদি ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে... অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোট এদেশে ব্যাপক। আওয়ামী লীগের যা ভোট আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোট। কেন্দ্রে যদি ভোটার আসতে পারে, তাহলে আমার মনে হয় ৩০০ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতেও পারি।’

কোনো চাপে পড়ে জাপা নির্বাচনে এসেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, ‘আমাদের কেউ কিনে নাই। টাকা পয়সাও দেয় নাই। দিলে তো ভালো হতো। জাতীয় পার্টি একটা বড় দল। তার নিজস্ব রাজনীতি আছে। নিজস্ব কৌশল আছে। কৌশল অনুযায়ী ভোটে যাওয়া বা না যাওয়া তা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো স্বাধীনতা আছে। নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নিইনি। অনেক তর্ক-বিতর্ক করে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

জাপার দপ্তর বিভাগ জানিয়েছে, দলের নেতা-কর্মীদের দাবির মুখে আজ শুক্রবারও দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে। গতকাল ২৩ নভেম্বর জাপার বনানী কার্যালয় থেকে ২২৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে গত চার দিনে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৩৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। আজ শুক্রবার বনানী কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ পর্ব শুরু হবে। 

কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহালের ইস্যুতে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, কোটার বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। 

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সঙ্গে চাকরির কোটা সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র-যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’ 

ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য হলো শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।’

রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি  বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিন্তু তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সরকার কেন কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়- এ প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি করতে অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ অনুপযুক্তরা জানে তারা এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়।’

জয়ন্ত/এমএ/

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা মারা গেছেন। লিজার বড় ভাই পলাশ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজার স্বামী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজ ইসলাম উজ্জ্বল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, লিজার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজীবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু)।

শফিক/এমএ/

শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই আন্দোলনে স্পষ্ট সমর্থন দেখা যায় সাধারণ মানুষেরও। তাই দাবি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

মান্না বলেন, প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, রাস্তায় আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় কী-না! অথচ বিশ্বের কতো রাষ্ট্র আর তার সরকার আইনব্যবস্থারই পরিবর্তন ঘটেছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আদালতে রিট হয়েছে কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করতে, আদালত তা বাতিল করে শুনানি শুরু করেছে যা বর্তমানে মুলতবি রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন ও দাবির মুখে জারি করা কোটা বাতিল পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি করতে পারতেন আদালত, অবশ্য দুটিই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাধারণ মানুষের দুর্গতি, অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা ভেবে পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি চলমান রাখা যেত। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে, পরিপত্র বহাল রেখেই রিটের শুনানি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া শিক্ষার উপর আরও প্রবল নেতিবাচক প্রভাব দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদেরকে।

মান্না আরও বলেন, কোটা পুনর্বহাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানান। এগুলো হল- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শফিক/এমএ/

ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী
ছবি : খবরের কাগজ

‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা (সরকার) সবকিছু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যসচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের এস এন তরুণ দে প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করেছে। তাই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। এটা সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সক্ষমতায় টিকে আছেন।’ 

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে। যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে, সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’