![বিশাল শোডাউনে নির্বাচনী প্রচার শুরু বাবলার](uploads/2023/12/18/1702913994.Abu_Hossain_Babla.jpg)
নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিনে ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রায় ১০ হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থককে নিয়ে শোডাউন দিয়েছেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুর থানার পশ্চিম দোলাইপাড়ে তার নিজস্ব কার্যালয় থেকে এ শোডাউন শুরু হয়। এ সময় লাঙ্গল, বাদ্যযন্ত্র, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে লাঙ্গল মার্কায় ভোট চেয়ে স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি জুরাইন-পোস্তগোলা হয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কদমতলী শিল্পাঞ্চলে গিয়ে শেষ হয়।
এদিন বাবলার কর্মী-সমর্থকরা লাঙ্গল প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করেন। গত ১০ বছর ধরে বাবলা ঢাকার শ্যামপুর-কদমতলী আসনের সংসদ সদস্য। এলাকায় তিনি কী কী উন্নয়ন করেছেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে লিফলেটে।
নির্বাচনী মিছিলে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও জাপার ভাইস চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা সুজন দে, শেখ মাসুক রহমান, শাহনাজ পারভীন, ইব্রাহিম মোল্লা, শামসুজ্জামান কাজল, কাউসার আহমেদ, মামুন হোসেন মোল্লাসহ শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাপা ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাবলা বলেন, ‘গত ১০ বছরে আমি রাস্তা, মাঠঘাট, কমিউনিটি সেন্টারসহ নানা উন্নয়ন করেছি। আমি জনগণের পাশে ছিলাম। আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে ইসলামি মূল্যবোধের চেতনায় দলমত নির্বিশেষে কাজ করেছি। এখন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হলে আমি মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় এবার জাতীয় পার্টির যে ছয়জন সংসদ সদস্য বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্যে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা একজন। আসন সমঝোতা না হলেও বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বাবলা বলেন, ‘অনেকে ভেবেছিলেন এ আসন থেকে নৌকা প্রত্যাহার না করলে বাবলা ভয়ে ভোট করবে না। কিন্তু বাবলা কাপুরুষ নয়। আমি কারও ক্ষতি করিনি, কারও জমি দখল করিনি। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করিনি। এখন জনগণই ভাববে কাকে ভোট দিলে এ এলাকার মানুষ শান্তিতে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে এ আসনে লাঙ্গল বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।’