![অগ্নি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর](uploads/2023/12/20/1703084321.Sheikh_hasina.jpg)
অগ্নি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বোমাবাজি ও অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি ভোট বানচাল করতে চাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বোমাবাজি-খুন-অগ্নিসন্ত্রাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে, এত সাহস কোথা থেকে পায়।
তিনি বলেন, আমরা যখন উন্নয়নের কাজ করছি, তখন বিএনপির কাজ হচ্ছে পেট্রোল দিয়ে মানুষ পোড়ানো। যারা লুটেরা, খুনি, হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, তারাই এ দেশের মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়। নির্বাচন বানচাল করতে চায়। লন্ডনে বসে একটা কুলাঙ্গার হুকুম দেয়, আর কতগুলো লোক নিয়ে এখানে আগুন নিয়ে খেলে। কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এইভাবে আগুন নিয়ে মা-সন্তানকে পোড়াত পারে?
শেখ হাসিনা বলেন, আজ আগুন দিয়ে বাস পোড়াচ্ছে, রেল পোড়াচ্ছে। ২০১৩ সালে নির্বাচন ঠেকাতে অগ্নিসংযোগ করে, গাড়ি পোড়ায়। তাদের আগুনে ৩ হাজারের মতো মানুষ পুড়ে যায়। পাঁচশর মতো মানুষ মারা যায়। তবে অগ্নিসংযোগ করে তারা ২০১৩ সালের নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে তারা নির্বাচনে এলো। কিন্তু ভোট করবে কী? ওই লন্ডনে বসে একটা নমিনেশন দেয়। গুলশানে বসে একটা দেয়, আর পল্টন বসে আরেকটা। নমিনেশন বাণিজ্য শুরু করে দিলো। এই সিলেটেও বাণিজ্য করেছে। বাণিজ্য করেই তাদের নির্বাচন শেষ। দোষ কার? দোষ তো তাদের।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির চেয়ারম্যান কে? মানিলন্ডারিং, গ্রেনেড হামলা, অস্ত্র চোরাকারবারি এবং দুর্নীতি। তাদের দুর্নীতির সাক্ষী এফবিআই দিয়ে গেছে। কোনোদিন রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে। আর এখন ওখানে বসে বসে হুকুম দিয়ে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়। এটা হলো তাদের চরিত্র।
সরকারপ্রধান বলেন, আজকে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বিএনপির আমলে এটি ছিল না। দারিদ্র্য হার ৪১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮-তে নামিয়েছি। ৮ লাখ ৪১ হাজার মানুষকে ঘর দিয়েছি। ২১ জেলা গৃহহীনমুক্ত করেছি, তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। কোনো মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, সেই লক্ষ্য রেখে কাজ করি। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন কারও হাতে ছিল না। ৯৬ সালে আমরা তা নিয়ে এসেছি, সহজলভ্য করেছি। আজকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ। ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে মানুষ। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সিলেট আমাদের সঙ্গে আছে।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি, প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অভিনেত্রী তারিন জাহান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, হবিগঞ্জের সভাপতি আবু জাহির, মৌলভীবাজারের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমান, সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডেইজি সারওয়ার প্রমুখ।