সরকারের মন্ত্রীরা মানুষের কষ্ট নিয়ে উপহাস করছে, তারা দেশের মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি। দলটির নেতারা বলেছেন, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও সিন্ডিকেট বাণিজ্যের প্রভাবে দেশের চার কোটি মানুষ এখন খাদ্য সংকটে আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও আমদানিতে আওয়ামী সিন্ডিকেট এমনভাবে ঝেঁকে বসেছে সেখানে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) মাসব্যাপী গণইফতারের ১৪তম দিনে আয়োজিত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন এবি পার্টির নেতারা।
পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণইফতারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, মেজর অব. রেজাউল হক ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল প্রমুখ।
ববি হাজ্জাজ বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে ভালো রাখে নাই। আমরা সবাই এই দেশের মানুষ, এইটা আমাদেরও বাপ-দাদার দেশ কিন্তু আজ আমরা কী দেখছি, মনে হচ্ছে এইটা একজন ব্যক্তির বাপ-দাদার দেশ। এই দেশ এক শেখ হাসিনার না, এই দেশ আমাদের সবার। সতের কোটি মানুষের হক মেরে টিকে থাকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, জনগণের হক আজ সব খেয়ে হজম করছে আওয়ামী লীগ। গরীব মানুষদের সহোযোগিতায় এগিয়ে আসার কথা এলাকার এমপি, মন্ত্রী, কমিশনারদের তারা আজ কোথায়? এখন গরীবদের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে এবি পার্টি।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, পত্র পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে চার কোটি মানুষকে ঋণ করে প্রতিদিনের খাবার যোগাড় করতে হচ্ছে। মানুষ যখন নীরব দুর্ভিক্ষে দিশাহারা, তখন সরকারের মন্ত্রীরা মানুষের কষ্ট নিয়ে বিদ্রুপ ও উপহাস করছে।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে, দাম বাড়লে এর লাভ উৎপাদনকারী ও কৃষকদের পাওয়ার কথা। কিন্তু কৃষক লোকসান গুণতে গুণতে সর্বাহারা হয়ে পড়েছে। সরকারি দলের চাঁদাবাজ ও লুটপাট সিন্ডিকেট সব লাভ খেয়ে ফেলছে। তিনি এই লুটপাট নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সাধারাণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মেজর অব. মিনার বলেন, আমরা মনে করি, আপনারা যারা আমাদের এখানে ইফতার করতে এসেছেন, আর যারা আয়োজন করছে সবাই মানুষ। আগামীকাল আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এই স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। আজ তার কিছুই প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এমন স্বাধীনতা পেয়েছি যে আজ মানুষদের এক প্যাকেট খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। স্বাধীনতার নামে এই অসম ব্যবস্থা, অনৈতিকতা আর অবাধ লুটপাট চলতে পারে না। তাই আমাদের বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাতে হবে। গণমানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
এবি পার্টির ইফতারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মেজর (অব.) রেজাউল হক বলেন, আমরা এই কার্যক্রমকে সার্বিক সহোযোগিতা করব ইনশাআল্লাহ।
গণইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স প্রমুখ।