ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

বিতর্কিত রিয়াজ পদে থাকায় ক্ষোভ আওয়ামী লীগে

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫ এএম
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫ এএম
বিতর্কিত রিয়াজ পদে থাকায় ক্ষোভ আওয়ামী লীগে
রিয়াজ উদ্দিন

একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করেই যাচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ। অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারিসহ দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দলীয় পদ থেকে রিয়াজকে বহিষ্কারও করেছে আওয়ামী লীগ। তারপরও ক্ষান্ত হননি রিয়াজ। কেন্দ্রীয় নেতা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করেছেন রিয়াজ। 

সর্বশেষ দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীর সঙ্গে রিয়াজের ফোনালাপের এক অডিও ফাঁস হয়েছে। আলাপকালে চামেলীকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না বলে ১০ লাখ টাকায় রফাদফা করতে চেয়েছিলেন রিয়াজ। এর একটি রেকর্ড খবরের কাগজের কাছে রয়েছে। গত বুধবার ‘চামেলীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার, ১০ লাখ টাকায় রফার- দপ্তর সম্পাদকের ফোনকল ফাঁস’ এমন শিরোনামে খবরের কাগজে একটি প্রতিবেদন ছাপানো হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে। তা নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয় মহানগরের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এর পর থেকে রিয়াজের নামে একাধিক অপকর্মের কথা এ প্রতিবেদককে জানাতে শুরু করেন দক্ষিণের নেতারা। নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর অন্তত ৫ জন নেতা একাধিক অভিযোগ করেন রিয়াজের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হচ্ছে, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর অনুসারী হওয়ায় তার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি, দৃশ্যমান ব্যবসা না থাকলেও রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাটের ও গাড়ির মালিক হওয়া, নারীদের অশালীন প্রস্তাব দেওয়া ও নিজের সিনিয়র নেতাদের অসম্মান করা। দল থেকে আগে বহিষ্কারের পরও রিয়াজ কাদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব করছেন, কেন তাকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে তা নিয়েও নেতারা ক্ষোভ জানান। 

দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র এক নেতা খবরের কাগজকে বলেন, ‘রিয়াজ আওয়ামী লীগ করা ছেলে না। হঠাৎ এসে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দপ্তর সম্পাদক হয়ে গেল। কারণ, সে সভাপতি মান্নাফীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী। আওয়ামী লীগের পদ পেয়ে সে টাকা-পয়সা বানিয়ে ফেলেছে। ঢাকায় তার একাধিক ফ্ল্যাট ও গাড়ি রয়েছে। কোনো ব্যবসাও করতে দেখি না। সচিবালয়ে গিয়ে তদবির বাণিজ্য করতে দেখা যায়। নারীদের সঙ্গে অপকর্মের কারণে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তার পরও কেন তাকে- কোন প্রয়োজনে আবার দলে ফেরানো হলো? তার যে বয়স- এই বয়সে নগর আওয়ামী লীগের মতো জায়গায় এতবড় পোস্ট কীভাবে পায়? মান্নাফীর ঘনিষ্ঠ হলে কি দলে রাখতে হবে?’ তাকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন তাদেরও বিচার চেয়েছেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্পাদক পর্যায়ের আরেক নেতা। 

নগর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজের নাম নতুন করে আলোচনায় আসে চামেলীর সঙ্গে একটি দফারফা করতে ফোন কলের অডিও ফাঁস হওয়ার পর। অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেত্রী ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় গত বুধবার। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চামেলীকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না এই মর্মে ১০ লাখ টাকায় রফাদফা করতে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন। 

মতিঝিলের হীরাঝিলের রেস্টুরেন্ট মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে রিয়াজ চামেলীর সঙ্গে রফাদফা করার জন্য বৈঠক করেন। চামেলীর সঙ্গে তার স্বামীও ছিলেন। এ সময় রিয়াজ চামেলীকে বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, ১০ লাখ টাকা হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না। নিয়ম রক্ষার জন্য প্রথমে শুধু অব্যাহতি দেওয়া হবে। আর সেটি পরবর্তীকালে যাতে তুলে নেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হবে। পরে টাকার বিষয়ে জানতে রিয়াজ ফোন করেন চামেলীকে। সে ফোনের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। 

অডিও রেকর্ড ও রেস্তোরাঁয় বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বীকার করে চামেলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিশ্বাস না হলে হীরাঝিলের ২৩ তারিখের সিসি টিভি ফুটেজ দেখেন। আমি আর আমার স্বামীর সঙ্গে বৈঠক করে রিয়াজ বলেন, ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) ভাইকে ম্যানেজ করা যাবে। সমস্যা নেই। দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, ১০ লাখ টাকা হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না। নিয়ম রক্ষার জন্য প্রথমে শুধু অব্যাহতি দেওয়া হবে। আমি রাজি হই। পরবর্তী সময়ে ওই দিন সন্ধ্যায় রিয়াজ আমাকে আবার ফোন করে টাকা চান। তখন আমি বলি সকালে টাকা ম্যানেজ করে পাঠাবো।’ সেই কল রেকর্ডটি এখন নগর আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের মোবাইলে ঘুরছে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সব অস্বীকার করে রিয়াজ খবরের কাগজকে বলেন, ‘রেকর্ড ১০ এর আলোচনা শোনা গেছে। তবে এখানে এই ১০টা কী? এখন আমিও তো ফোনের শেষে ১০ পাঠাই দেব- একথা বলে রাখতে পারি। তার মানে কি আমি আপনাকে ১০ লাখ টাকা দেব।’ ফোনে চামেলীর সঙ্গে কথা বলেছেন কি না জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি সরাসরি হ্যাঁ অথবা না স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে টাকা নিয়ে কোনো কথা হয়নি।’ 

রিয়াজের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নাফী গত বুধবার রাতে খবরের কাগজকে বলেন, ‘এসব খারাপ কাজ। ঘৃণিত কাজ। সে (রিয়াজ) কাউকে বহিষ্কার কিংবা দলীয় পদ দিতে পারবে না। এটা তার কাজও না। সে আমাদের বিক্রি করেছে নাকি তা জানব। আমি তার কাছে এগুলো নিয়ে জানতে চাইব।’ সত্যতা পেলে ফের রিয়াজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন মান্নাফী। 

নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ অন্যায়। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা এর সত্যতা যাচাই করব। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রিয়াজের বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম খবরের কাগজকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সে (রিয়াজ) কাউকে বহিষ্কার করতে পারবে না। তাহলে এমন কিছু পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রিয়াজের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়ম ও শিক্ষিকাদের অশালীন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের (নারী শিক্ষা মন্দির) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তৎকালীন বিদ্যালয়টির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের বিরুদ্ধে। তখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ তাকে অব্যাহতি দিয়েছিল। পরে লবিং-তদবির করে আবার নিজের পদ ফিরে পান রিয়াজ। পদ পাওয়ার পরই আবার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি। 

কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহালের ইস্যুতে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, কোটার বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। 

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সঙ্গে চাকরির কোটা সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র-যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’ 

ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য হলো শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।’

রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি  বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিন্তু তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সরকার কেন কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়- এ প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি করতে অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ অনুপযুক্তরা জানে তারা এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়।’

জয়ন্ত/এমএ/

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা মারা গেছেন। লিজার বড় ভাই পলাশ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজার স্বামী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজ ইসলাম উজ্জ্বল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, লিজার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজীবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু)।

শফিক/এমএ/

শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই আন্দোলনে স্পষ্ট সমর্থন দেখা যায় সাধারণ মানুষেরও। তাই দাবি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

মান্না বলেন, প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, রাস্তায় আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় কী-না! অথচ বিশ্বের কতো রাষ্ট্র আর তার সরকার আইনব্যবস্থারই পরিবর্তন ঘটেছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আদালতে রিট হয়েছে কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করতে, আদালত তা বাতিল করে শুনানি শুরু করেছে যা বর্তমানে মুলতবি রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন ও দাবির মুখে জারি করা কোটা বাতিল পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি করতে পারতেন আদালত, অবশ্য দুটিই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাধারণ মানুষের দুর্গতি, অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা ভেবে পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি চলমান রাখা যেত। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে, পরিপত্র বহাল রেখেই রিটের শুনানি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া শিক্ষার উপর আরও প্রবল নেতিবাচক প্রভাব দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদেরকে।

মান্না আরও বলেন, কোটা পুনর্বহাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানান। এগুলো হল- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শফিক/এমএ/

ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী
ছবি : খবরের কাগজ

‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা (সরকার) সবকিছু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যসচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের এস এন তরুণ দে প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করেছে। তাই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। এটা সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সক্ষমতায় টিকে আছেন।’ 

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে। যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে, সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’