ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণে ওলামা দলের নতুন কমিটি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণে ওলামা দলের নতুন কমিটি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার তিনদিনের মাথায় ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি। ১১ সদস্যবিশিষ্ট এই দুই কমিটি ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। মহানগর দক্ষিণে মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন খলিলীকে আহ্বায়ক ও মাওলানা মো. ফারুক হোসাইনকে (রুদ্র) সদস্য সচিব করা হয়েছে। আর উত্তরে হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও হাফেজ মাওলানা মো. সাইফুল ইসলামকে সদস্য সচিব ঘোষণা করা হয়েছে।  

শুক্রবার (৫ জুলাই) ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন সংগঠনের মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের এই কমিটি অনুমোদন করেছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে নেতৃত্বে যারা

আহ্বায়ক: মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন খলিলী, সদস্য সচিব: মাওলানা মো. ফারুক হোসাইন (রুদ্র)। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক: মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক: মাওলানা গাজী আবু বকর শিবলী, মাওলানা মো. মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আবদুস সোবহান, মাওলানা মো. নুরে আলম সিদ্দিকী, মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম শাওন, মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন (আলতু), মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ও মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান।

ঢাকা মহানগর উত্তরে নেতৃত্বে যারা 

আহ্বায়ক: হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী, সদস্য সচিব: হাফেজ মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক: এম এম আশরাফুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক: মাওলানা মো. হিজবুল্লাহ ফরহাদ, হাফেজ মাওলানা মো. আনিছুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মো. নেয়ামত উল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মো. ওয়ালী উল্লাহ, হাফেজ মো. আবু লাইচ, মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, মাওলানা মো. মোরতাজ ও মাওলানা মো. জামাল উদ্দিন চাকলাদার।

সবুজ/এমএ/

বগুড়ায় রথযাত্রায় মৃত্যু : প্রশাসনের গাফিলতি দেখছে সিপিবি

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
বগুড়ায় রথযাত্রায় মৃত্যু : প্রশাসনের গাফিলতি দেখছে সিপিবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)

বগুড়ায় রথযাত্রার অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো শোক বার্তায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ মন্তব্য করেন। 

সিপিবির দুই শীর্ষ নেতা বলেন, বগুড়ায় ইসকন আয়োজিত রথযাত্রার অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। তবে এই ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়। এর পেছনে প্রশাসনের চরম গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনা দায়ী। ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান সিপিবি নেতারা।  

জয়ন্ত সাহা/সালমান/

কোটা নিয়ে সরকার ও আদালতের ইচ্ছা কীভাবে এক হয়, প্রশ্ন রিজভীর

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
কোটা নিয়ে সরকার ও আদালতের ইচ্ছা কীভাবে এক হয়, প্রশ্ন রিজভীর
ছবি: সংগৃহীত

কোটা নিয়ে সরকারের ইচ্ছা ও আদালতের ইচ্ছা এক হয় কীভাবে এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যে কোটা আন্দোলনে সরকার কোটা বাতিল করেছিল সেটি তখন কোর্টও রায় দিয়েছিলো। তাহলে এখন আবার আদালতকে দিয়ে সেটি পুনর্বহাল করা হয়েছে। আসলে শেখ হাসিনা মেধা চান না। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায্য। অবিলম্বে ছাত্রদের দাবি মেনে নিন। না হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় কুরআন খতম ও দোয়া মোনাজাতের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল। এসময় খালেদা জিয়াসহ দলের অসুস্থ নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, একটি মেধাবী গোষ্ঠী রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এটাই গোটা বিশ্বের নীতি। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই প্রক্রিয়াটি নষ্ট করেছেন আদালতকে দিয়ে। আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। শেখ হাসিনার মনে ক্ষোভ রয়ে গেছে। যেমন তিনি ক্ষোভের কারণে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি করে রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সরকার ঋণ পাচ্ছে না। সরকারের ভুল ও লুটেরা নীতির কারণে চীনসহ কোনো দেশ শেখ হাসিনার সরকারকে আর ঋণ দিচ্ছে না। আজকে সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকেরা লুটপাট দুর্নীতি করে ফুলে ফেঁপে উঠছে। 

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি ধুঁকছেন। আল্লাহ যেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-সম্পাদক আবদুল বারী ড্যানি, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, যুবদলের সাবেক নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের ডা. তৌহিদুর রহমান আওয়ালসহ ওলামা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। 

শফিক/এমএ/

খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে : মির্জা ফখরুল
ছবি : খবরের কাগজ

আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখে আসার পর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়াকে ২৪ ঘণ্টা মনিটর করছেন চিকিৎসকরা। সোমবার ভোরের দিকে হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার অনেক অসুখ আছে যা আমরা বারবার জাতির কাছে তুলে ধরেছি। কিন্তু সরকার কোনো কেয়ার করেনি। এটা তারা ইনটেনশনালি করছে বলে আমরা মনে করি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন এটা জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে যে, তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তার প্রতি যে অন্যায় করা হচ্ছে, তা চরম অন্যায়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এভাবে আটকে রেখে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। ভবিষ্যতে আরও আন্দোলন হবে। আমরা চেষ্টা করব এই আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার। কিন্তু কতটা অমানবিক সরকার যে, বেগম জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চায় না। তারা এমন এমন কথা বলে যে, তার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে। কিন্তু যারা দেশের বাইরে থেকে চিকিৎসা দিতে এসেছিলেন তারা পর্যন্ত বলেছেন, তার বিদেশে আরও উন্নত চিকিৎসা দরকার, যেখানে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি ট্রিটমেন্টটা হয়।’ 

এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর পেয়ে সকালে হাসপাতালে যান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কর্নেল অলির সমর্থন

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কর্নেল অলির সমর্থন
এলডিপি প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ

সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের এবং শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। 

তিনি বলেন, ‘সন্তানদের চাকরির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি, বৈষম্য দূরীকরণের জন্যই আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। শিক্ষকদের আন্দোলন এবং শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে এলডিপি সার্বিক সহযোগিতা দেবে।’

সোমবার (৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ সমর্থন দেন।

অলি আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের দাবি-দাওয়া যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিগুলোর সঙ্গে এলডিপি একমত। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে তা অবশ্যই যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য। আমরা তাদের এই যৌক্তিক আন্দোলন সমর্থন করছি এবং অবিলম্বে এই পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের অর্থ্যাৎ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান অঙ্গীকার ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণ করা। সাংবিধানিকভাবে ও আইনের দৃষ্টিতে সব নাগরিক সমান।’ 

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থানের দাবি ছাত্র ফ্রন্টের

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থানের দাবি ছাত্র ফ্রন্টের

কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সব শূন্যপদে নিয়োগ, চাকরিতে নিয়োগে ঘুষ, দুর্নীতি, দলীয়করণ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। 

সোমবার (৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছাত্রনেতা মুক্তা বাড়ৈ এবং সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার দাবি জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, সমাজের অনগ্রসর ও পিছিয়ে থাকা অংশকে মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য কোটা বা আসন সংরক্ষণ সামাজিক দায়িত্বেরই অংশ। সে দিক বিবেচনায় বাংলাদেশের আদিবাসী প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য কোটার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু তারও একটা টার্গেট সময় থাকা প্রয়োজন, এটা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে না। 

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে তীব্র বেকারত্ব, সরকারি শূন্যপদে বছরের পর বছর নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করার ফলে শিক্ষা শেষে কাজ না পাওয়ায় ছাত্রসমাজের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ নাতি-পুতি পর্যন্ত কোটা সংরক্ষণ এই অসন্তোষকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষা শেষে কাজের অধিকার, কোটার নামে অযৌক্তিক সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের আবেগ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়। কিন্তু পুঁজিবাদী শোষণমূলক ব্যবস্থা সব নাগরিকের কর্মসংস্থানসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। তাই বেকার সমস্যা সমাধানের যথার্থ উদ্যোগ না নিয়ে এই তিন বিষয়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে শাসকশ্রেণি নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করার অপচেষ্টা দুঃখজনক। এখন এর সঙ্গে আদালতকেও যুক্ত করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলা হয়েছে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতারা কোটা নিয়ে সরকারপ্রধানসহ মন্ত্রীদের বিতর্কিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও আবেগকে বিবেচনায় নিয়ে কোটা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের দাবি জানান।

জয়ন্ত সাহা/সাদিয়া নাহার/অমিয়/