ঢাকা ৫ ভাদ্র ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় কী করেছেন, প্রশ্ন রিজভীর

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় কী করেছেন, প্রশ্ন রিজভীর
ছবি : সংগৃহীত

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় কী করেছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি কি করেছেন? বাংলাদেশে ছিলেন, স্বামীকে নিয়ে বহাল তবিয়তে ঢাকায় তো ছিলেন। কই স্বামীকে তো মুক্তিযুদ্ধে পাঠাননি। অথচ আজকে যারা কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রতিবাদ করছে তাদেরকে আপনি রাজাকারের নাতি নাতনি বলছেন!’

সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামের পরিবারের খোঁজখবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘খন্দকার এনামের স্ত্রীর মর্মস্পর্শী কথাগুলো শুনে হৃদয়ে আলোড়ন তৈরি করেছে। এটি বিরোধী রাজনীতির সবার পরিবারের কথা। কারণ এই পরিবারগুলো বেশি কষ্ট করছে। আমাদের স্থায়ী ঠিকানা করে দেওয়া হয়েছে কারাগার। আমাদের প্রত্যেকের বসবাস হয় নদীর ধারে, বাঁশঝাড়ে, না হয় লাল দালানে।’

প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে রাগ করে কোটা সিস্টেম বাতিল করেছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি তো ডামি প্রধানমন্ত্রী। আপনি শপথ নেওয়ার সময় বলেছিলেন রাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না। আপনি তো শপথ ভঙ্গ করছেন। সংবিধান ভঙ্গ করছেন প্রতিনিয়ত। প্রতি মুহূর্তে তিনি একের পর এক আইন ভাঙছেন। রাগের বশবর্তী হয়ে আপনি কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছেন, প্রথমেই আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। আপনি শপথ ও আইন ভঙ্গকারী প্রধানমন্ত্রী।’
 
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘বর্তমানে কেউ তো ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই তাদের কাছে শপথ ভঙ্গ করা বিষয় নয়, তাদের কাছে জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখাই বিষয়। আজ কোটা সংস্কারের জন্য উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণ প্রধানমন্ত্রী যৌক্তিক আন্দোলন পরিপন্থী কথা বলে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিচ্ছেন। ১৮ সালে আপনি আন্দোলনরত ছাত্রদের সান্তনা দিতে বাতিল করেছিলেন। মনে আক্রোশ পুষে রেখেছিলেন, সময়মতো সেটি কাজে লাগাবেন। তাই লাগিয়েছেন। আমি যদি ৩৪ বছর আগে ফিরে যেতে পারতাম। তাহলে এ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিতাম বলেও ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।’

আইন আদালত সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর আঁচলে বন্দী এমন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আদালতকে দিয়ে আপনি সব ইচ্ছা পূরণের কাজ করে যাচ্ছেন। আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ যুবলীগ ও পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন। আপনি হয়তো ভাবছেন, সব পথ বন্ধ করে দিয়েছেন, কেউ আসবে না। মনে রাখতে হবে বেহুলার বাসরঘরের কোথাও না কোথাও ছিদ্র থাকে। সেই ছিদ্র দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষের ঢেউ আপনার সিংহাসন ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।’

এনামের স্ত্রী নাজনীন আক্তার লতা তার পরিবারের দুর্সময়ের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা সব সময় নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি। আমার দুটি বাচ্চা জন্ম হওয়ার সময় আমি আমার স্বামীকে কাছে পাইনি। এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে। জন্ম হওয়ার পর তার সন্তানের মুখ দেখতে পারেনি। বাবা বেঁচে থাকার পরও আমরা সন্তানেরা এতিম। শুধুমাত্র বিরোধী রাজনীতি করায় বিসিএস ভাইবা থেকে নো নো শুনে বের হয়েছি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জয়দেব জয়, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুর রহমান তুষার, সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা নাহিদুর রহমান নাহিদ, মহিউদ্দিন মহি, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, ছাত্রদল নেতা ডা. মুশফিক, মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান চায় গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান চায় গণতন্ত্র মঞ্চ
ছবি : খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সব শহিদের প্রতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রংপুরের পীরগঞ্জে শহিদ আবু সাঈদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার বীরোচিত আত্মদানের সংগ্রামী স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তারা। এ সময় তারা এ আহ্বান জানান।

নেতারা বলেন, ‘আবু সাঈদ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সাহসী আত্মদানের প্রতীক হিসেবে ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, আওয়ামী স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছেন।’ 

এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল এবং মঞ্চের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আবু সাঈদের মাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান এবং তাদের সমবেদনা জানান।

আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় পুনর্বাসনেরও আহ্বান জানান। এ ছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আহত সবার উপযুক্ত চিকিৎসারও দাবি জানান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

দেশে ফিরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ ফালুর

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
দেশে ফিরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ ফালুর
মোসাদ্দেক আলী ফালু (ফাইল ছবি)

দীর্ঘ ৮ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু। দেশে ফিরেই তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। 

সূত্র জানায়, গতকাল রবিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুবাই থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান ফালু। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান বড় ভাই নুরুদ্দিন আহমেদসহ পরিবারের সদস্যরা। ঢাকায় এসে রাতেই তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি দেশে এসেছেন।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ফালুর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ‘হয়রানিমূলক’ মামলা করা হয়। একপর্যায়ে বিদেশে চলে যান বিএনপির এই নেতা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি দেশে ফিরলেন। এর আগে ২০১৬ সালে ৬ আগস্ট তাকে ভাইস চেয়ারম্যান করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। 

শফিকুল ইসলাম/সালমান/ 

বিজয়কে ম্লান করতে যারা অপকর্ম করছে তারা দেশদ্রোহী : মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
বিজয়কে ম্লান করতে যারা অপকর্ম করছে তারা দেশদ্রোহী : মির্জা ফখরুল
আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের ছাত্ররা নতুন কিছু শিক্ষা দিয়েছে। আমি অভিভূত হয়ে যাই, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে দেখেছি আর দেখলাম এই ছাত্র-জনতার আন্দোলন, এটা কখনো ভোলার নয়।’

তিনি বলেন, ‘আজকে যারা এখানে এই বিজয়কে ম্লান করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক, তারা দেশপ্রেমিক না, তারা দেশদ্রোহী। তাদের পরাজিত করতে হবে। আমাদের ছেলেদের বুকের রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি সেই স্বাধীনতাকে বিনাশ করে দিতে পারি না। এক ফ্যাসিবাদ গেছে আরেক নয়া ফ্যাসিবাদকে আবির্ভূত হতে দিতে পারি না।’

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিএনপির সাবেক এই মহাসচিবের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শক্ত করে দাঁড় করিয়ে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনুরোধ করব, আমরা স্বাধীন হয়েছি ঠিকই, এখনো স্থিতিশীল হতে পারিনি। এখনো গণতন্ত্রকে আমরা ঠিক সেভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। এই সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন করে শক্ত করে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। কোনো নেতিবাচক কথা বলে বা কোনো নেতিবাচক কাজ করে আমাদের এই প্রচেষ্টাকে ভন্ডুল করে দেওয়া একেবারে ঠিক কাজ হবে না। আমরা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ গঠন করতে পারব এবং সেটা সরকার গঠন করবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, ছাত্রনেতারা এই সংস্কারের কথাই বলছেন। এই সংস্কারকে আমরা স্বাগত জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখনো দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশের বিজয়কে ভন্ডুল করে দেওয়ার জন্য। এই কথাটা আমি জোরের সঙ্গে বলছি। আমরা বলতে চাই, দেশের মানুষের শত্রুকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের জনগণের ভালোবাসা পেতে পারে বলে আমি মনে করি না।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও শামসুজ্জামান মেহেদির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এএসএম আবদুল হালিম, আবদুস সালাম, আফজাল এইচ খান, আবদুল হাই শিকদার, কেন্দ্রীয় নেতা রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এম সিরাজুল হক, নিলোফার চৌধুরী মনি, আবদুল বারী ড্যানি, রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, প্রয়াত ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের জামাতা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মিজানুর রহমান/সালমান/

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। 

এ সময় গোয়েন লুইসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়ের মানবাধিকারবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হুমা খান। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতিসংঘের বাংলাদেশের আবাসিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। 

বৈঠকে দেশের চলমান পরিস্থিতি ও ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণঅধিকার পরিষদের ভাবনা ও জাতিসংঘের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। আলোচনায় জুলাই থেকে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো ‘গণহত্যা’র তদন্তে ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হয়। ‘গণহত্যা’র নিরপেক্ষ তদন্তে জাতিসংঘের টেকনিক্যাল ও নন টেকনিক্যাল সহায়তা চাওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে সহনশীল, গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করাসহ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের কার্যকরী ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। তরুণদের প্রত্যাশা ও জনআকাঙ্ক্ষার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে জাতিসংঘ বাংলাদেশে সব ধরনের সহায়তা করবে বলে গণঅধিকার পরিষদকে নিশ্চিত করেছে।

মিজানুর রহমান/সালমান/

পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন করুন : খেলাফত মজলিস

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন করুন : খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিস (লোগো)

২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের নামে পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃতদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। 

সোমবার (১৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে দলটির আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ দাবি জানান।

নেতারা বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার বিয়োগাত্মক ঘটনাটি যে দেশ ও দেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল তা ভুক্তভোগীদের কথায় আবারও উঠে এসেছে। দেশের ইতিহাসে একদিনে এত বেশি সংখ্যক সেনা কর্মকর্তার নিহতের ঘটনা আর কখনো ঘটেনি।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতার শুরুতেই এই ঘটনা সংঘটিত হয়। যার কারণে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে এতদিন যে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে তা সঠিক ছিল না। এই ঘটনার সঠিক বিচার চাইতে গিয়ে অনেক দেশপ্রেমিক ও সাহসী সেনা কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছেন। অনেক কর্মকর্তা জেল ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিডিআরেরও নির্দোষ অনেক সদস্য চাকরি হারিয়েছেন ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন।’

নেতারা আরও বলেন, ‘নির্যাতিতদের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কাছাকাছি আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। অবিলম্বে এই কমিশন গঠন করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা এবং ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

শফিকুল ইসলাম/সালমান/