ঢাকা ৯ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪

সরকার জাতিকে বিভক্তকরণের খেলায় নেমেছে: ১২ দলীয় জোট

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
সরকার জাতিকে বিভক্তকরণের খেলায় নেমেছে: ১২ দলীয় জোট

আওয়ামী লীগ সরকার জাতিকে বিভক্তকরণের আত্মঘাতী খেলায় নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। 

তারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষের নামে প্রজন্মের মধ্যে বিভক্তি রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপরিণামদর্শী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য পরিস্থিতিকে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে।’

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে জোট নেতারা এসব কথা বলেন। 

সোমবার (১৫ জুলাই) ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ৫০০ শতাধিক সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী আহতদের ঘটনায় গভীর নিন্দা, উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন জোটের নেতারা।

জোট নেতারা বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের চিন্তা জগতের মূল লক্ষ্য বৈষম্যহীন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা। তাদের এই আদর্শগত আন্দোলনের গতিবেগ যখন দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে তখন সরকার মতাদর্শিক বুদ্ধিহীনতায় জাতিকে বিভক্তকরণের আত্মঘাতী খেলায় নেমেছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে সরকার রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করে গড়ে তুলেছে।’

তারা বলেন, ‘ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রক্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রক্তাক্ত। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে তাদের। হামলায় আহত হয়েছেন ৫০০ শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরাও ছাত্রলীগের এই বর্বর হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম আঘাত করতে যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে এবং এ সকল পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যে সব সন্ত্রাসী জড়িত তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’

নেতারা বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে এই বিভক্তিকে উসকে দিয়ে আসলে দেশকে কোথায় নিতে চাচ্ছেন? আসলে কি এই বিভক্তির মধ্য দিয়ে সরকারপ্রধান দেশের সব লুটেরা, দুর্নীতিবাজ আর দেশবিরোধীদের আড়াল করতে চাচ্ছেন।’

এ সময় দেশবাসীকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থনের আহ্বান জানান তারা। 

বিবৃতিদাতারা হলেন, ‘জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি মাস্টার এম এ মান্নান ও প্রগতিশীল ন্যাশনালিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ফিরোজ মাহমুদ লিটন।’ 

শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

হত্যা মামলায় সাংবাদিকদের জড়ানোর নিন্দা আ.লীগের

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম
হত্যা মামলায় সাংবাদিকদের জড়ানোর নিন্দা আ.লীগের

মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঢালাওভাবে হত্যা মামলার আসামি করছে। ইতোমধ্যে বহু বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, অ্যাকটিভিস্টদের নামে মামলা হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’

নাছিম বলেন, ‘বিরুদ্ধমত দমনে অন্তর্বর্তী সরকার হত্যা মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যাদেরই এই সরকার প্রতিপক্ষ মনে করছে, তাদেরই হত্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। বাছ-বিচারহীনভাবে প্রতিপক্ষকে দমনে হত্যা মামলার এমন অপব্যবহার বাংলাদেশ আগে কখনো দেখিনি।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা এলাকায় একটি হত্যা মামলায় সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ী থানায় করা আরেকটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, একাত্তর টিভির সাবেক বার্তাপ্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ জোবায়ের, এটিএন নিউজের সাবেক বার্তাপ্রধান মুন্নী সাহা, একাত্তর টিভির প্রিন্সিপাল করেসপনডেন্ট ফারজানা রুপা, একাত্তর টিভির চাকরিচ্যুত হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করার প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু এসব প্রতিবাদ ও উদ্বেগের তোয়াক্কা করছে না সরকার। গ্রেপ্তারদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য কোনো আইনজীবীকে লড়তে দেওয়া হচ্ছে না, যা সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গত ২০ আগস্ট ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন এবং গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে তথাকথিত গণহত্যার মামলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিতেই এমন অশুভ চেষ্টা চলছে বলে আমরা মনে করি। একই সঙ্গে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে হত্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনির ওপরে আদালত প্রাঙ্গণে হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। পুলিশের হেফাজতে থাকা একজন নারী নেত্রীকে নিরাপত্তা দিতে না পারাকে সরকারের ব্যর্থতা বলে মনে করি।’

নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অটিজম বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশে অটিজম সচেতনতা তৈরিতে তার ভূমিকা অনন্য। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকার পরও তাকে গত বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলার আসামি করা হয়। বর্তমান সরকার ভবিষ্যতে যারা তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে তাদেরও টার্গেট করে নির্মূলের পথ নিতে চাইছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগের।’

ফ্যাসিস্ট শাসন দীর্ঘায়িত করতে শেখ হাসিনা বিরোধীদের গুম করতেন: ফয়জুল হাকিম

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
ফ্যাসিস্ট শাসন দীর্ঘায়িত করতে শেখ হাসিনা বিরোধীদের গুম করতেন: ফয়জুল হাকিম
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা দীর্ঘায়িত করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম করে দিতেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এদিন দলের সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং টিমের সদস্য ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমার সঙ্গে ঢাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। 

ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের গুমের মৃত্যু গুহা আয়নাঘর থেকে ৫ বছর ৩ মাস বন্দি থেকে ফিরে এসেছেন মাইকেল চাকমা। শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিস্ট শাসন দীর্ঘায়িত করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম করে, বিচার-বহির্ভূত হত্যা করে সারা দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম রেখেছিলেন।’

২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল মাইকেল চাকমাকে ঢাকা থেকে রাষ্ট্রীয় সংস্থা তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ৫ বছর বন্দি থাকার পরে তিনি গত ৫ আগস্ট মুক্তি পান। মাইকেল চাকমা বলেন, ‘হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার উচ্ছেদের ফলেই গুমের মৃত্যু গুহা থেকে জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।’ 

অনুষ্ঠানে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকার, সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা মাইকেল চাকমাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানান। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের জাতীয় পরিষদ সদস্য হাসিবুর রহমান, মুঈনুদ্দীন আহমেদ, জাতীয় গণফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস ও কামরুজ্জামান ফিরোজ, বাংলাদেশ লেখক শিবির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ঢাকা অঞ্চল সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সমন্বয়ক ইফতেখার আহমেদ বাবু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়সহ আরও অনেকে।

জয়ন্ত/এমএ/ 

বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সমন্বয়হীনতা দূর করার আহ্বান এবি পার্টির

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সমন্বয়হীনতা দূর করার আহ্বান এবি পার্টির
ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় বানভাসি মানুষের উদ্ধার এবং ত্রাণ সহায়তায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সরকারের সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগর পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ আহ্বান জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। 

ভয়াবহ বন্যায় দূর্গত মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এবি পার্টি একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল গঠন করেছে। সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও কেন্দ্রীয় নেতা লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আকস্মিক এই বন্যায় সারাদেশের মানুষ দূর্গত মানবতার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লাইন ধরে মানুষ সহোযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছে। বহু মানুষ নিজেরা সেখানে সহায়তা নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, স্বেচ্ছাসেবী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক সমন্বয়হীনতা রয়েছে।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে দূর্গত এলাকায় না গিয়ে সেনাবাহিনী অথবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করলে সঠিক জায়গায় এাণ সহায়তা পৌঁছাতে সক্ষম হবো। 

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আকস্মিক এই বন্যার কারণ আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। মাস দুয়েক আগেই একনেকের বৈঠকে আগস্টের বন্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই হিসেবে রাষ্ট্রের কোন না কোন অংশ এটা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা আগাম কোন সতর্কতা পাইনি। এটা নিয়ে সরকারকে বিশেষভাবে অনুসন্ধান করার আহ্বান জানান। 

বন্যায় ভারতের ভুমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নদীসমুহে বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার, নদীগুলোর ইন্টার কানেক্টিভিটির মাধ্যমে পানির প্রবাহ ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা, এমনকি বাঁধের পানি ছাড়ার আগে কোন ধরনের অবহিত না করা পুরোটাই অপরাধ। সরকারকে আন্তর্জাতিক বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সব সংস্থায় অভিযোগ করার আহ্বান জানান। 

লে. কর্ণেল হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দূর্গত এলাকায় এখন প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক অবস্থান করছেন। যারা ত্রাণ সহায়তা করতে চান তারা সমন্বয় করে দিলে আমরা শৃঙ্খলার সঙ্গে বিতরণ করতে পারব। বর্তমানের চাহিদা ও দূর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বিক সহায়তা করবে এবি পার্টি। 

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, মহানগরী উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন, শাহিনুর আক্তার শীলা, আব্দুর রব জামিল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

গণফোরাম জনগণের বিজয় সুসংহত রাখতে সচেষ্ট থাকবে: মোহসীন মন্টু

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
গণফোরাম জনগণের বিজয় সুসংহত রাখতে সচেষ্ট থাকবে: মোহসীন মন্টু
ছবি: সংগৃহীত

জনগণের বিজয় সুসংহত রাখতে ঐক্যবদ্ধ নেতাকর্মীরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণের যে শক্তির উত্থান ঘটছে। বর্তমান বাংলাদেশ জনগণের। ছাত্র-জনতা মিলে যে বিজয় অর্জন করেছে তা ধরে রাখার দায়িত্ব সবার। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন দম্ভ করা সব জনবিচ্ছিন্ন সরকারের জন্য শিক্ষা। দীর্ঘ নিপীড়ণ নির্যাতন থেকে এদেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গণফোরাম সভাপতির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, যুগে যুগে ছাত্র যুব সমাজ অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে। ৫২, ৬৯, ৭১ ও ৯০ এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিপ্লবী ছাত্র জনতা মানুষ মারা শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের জনগণ কখনও বৈষম্যের সঙ্গে আপোষ করেনি, তাই কেউ বৈষম্য সৃষ্টি করতে চাইলে পতন অনিবার্য। শত প্রাণের বিনিময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তুলতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, ইতিহাসে ৩৬ দিনের জুলাই বিপ্লব অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নতুন অধ্যায় নতুন ইতিহাস বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে, বিশ্ববাসী দেখেছে।। ছাত্র জনতার রক্তস্নাত বিজয়ে খুনি হাসিনার বিদায়ের মাধ্যমে যে নতুন সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছে শক্তিশালী জাতি গঠনের সে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে গণফোরাম।

বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনায় গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। অবিলম্বে এই কমিটি বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করবে এবং সহায়তা করবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি মহিউদ্দীন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাফিজ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, আলীনূর খান বাবুল, আলহাজ্ব মির্জা হাসান, অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. রায়হান উদ্দিন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

বন্যার্তদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করল যুবদল

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
বন্যার্তদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করল যুবদল
বন্যা দুর্গতদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন যুবদলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দুর্গতদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিএনপির এ অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘এই বন্যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উদ্ভুত কোনো কারণে নয় বরং এর জন্য ভারত দায়ী। বাংলাদেশের বন্যা কবলিত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও সেটি পূর্বাঞ্চলের বন্যার মূল কারণ নয়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা। হঠাৎ করে তারা বাঁধ খুলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভারত একটি বারের জন্যও বাংলাদেশকে আগাম কোনো সতর্কতা দেইনি।’ 

এ ছাড়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসীমউদ্দীন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিউর রহমান রাজিব, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সালুর রহমান পাভেল, সদস্য সচিব রোমান হাসান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/পপি/