ঢাকা ৯ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:১০ পিএম
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা: মির্জা ফখরুল
ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে সরকার ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ‘সোমবার একদিনে বর্তমান সরকার যা ঘটিয়েছে, তা দেশের ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা। ছাত্রলীগ যা করেছে তা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম? তারা হাসাপাতালে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। স্বাধীনতার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ সভা-সমাবেশ পণ্ড করতে পৈশাচিক নির্যাতন করত। বর্তমানে ছাত্রলীগ সেটিই করছে। ভয়াবহ নির্যাতন করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে সরকার।’

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহচর ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছে। আমাদের সন্তানদের ওপর অন্যায়ভাবে ভয়াবহ আক্রমণ করা হয়েছে। শুধু ঢাকাতে নয় গোটা দেশে এই হামলা চালিয়েছে। গোটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়ানো উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভয়াবহ। এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করেছে। দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সরকার অত্যন্ত চতুরভাবে গণতন্ত্র নির্বাসিত করেছে। ধীরে ধীরে দেশকে পরনির্ভরশীল অর্থনীতিতে পরিণত করেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর পিয়নের ৪০০ কোটি টাকার মালিক হওয়া প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রায় ১৫-১৬ বছর ধরে কাজ করলেও তিনি তা জানতে পারলেন না? সে আবার নাকি বিদেশে চলে গেলেন। জনগণের মূল দাবি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিকে পাশ কাটানোর জন্য একটার পর একটা ঘটনা ঘটাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফেরত চাই। আমরা সুষ্ঠু ও জবাবদিহিমূলক সরকার চাই, ব্যবস্থা চাই। কিন্তু সরকার একের পর এক ইস্যু তৈরি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেষ্টা করছে। তাই এই কঠিন সময়ে রুখে দাঁড়াতে না পারলে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তারা এখন সর্ম্পূণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আমলা ও তাদের তথাকথিত বাহিনীর ওপর। যারা আজকে পুরো রাষ্ট্রে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। আজকে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে। কোটা ব্যবস্থা তো প্রধানমন্ত্রীই বাতিল করেছিলেন। আবারও আদালতকে ব্যবহার করে একটা ইস্যু বানিয়েছে। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। এই সরকারকে বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমাদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’

মশিউর রহমান যাদু মিয়ার স্মৃতিচারণ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘তার মতো লোকদের একীভূত করে জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে বিলুপ্ত করে বিএনপিতে একীভূত করে দেন। তিনি আমাদের পথ দেখিয়েছিলেন। দেশের কল্যাণের জন্য সব সময় ভাবতেন।’ 

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘শুধুমাত্র একজনের বক্তব্যের সমালোচনা করার কারণে সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী পরিমাণ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। পাকিস্তান আমলেও এমন বরর্বতা দেখা যায়নি। ছাত্রলীগের হামলা থেকে রক্ষা পায়নি নারী শিক্ষার্থীরাও। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সারা দেশে দমন-পীড়ন ও শোষণ করতে চাইছে সরকার। এই স্বৈরাচার ও নৃশংস সরকারকে হটাতে হলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, নূর মোহাম্মদ খান প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

ফ্যাসিস্ট শাসন দীর্ঘায়িত করতে শেখ হাসিনা বিরোধীদের গুম করতেন: ফয়জুল হাকিম

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
ফ্যাসিস্ট শাসন দীর্ঘায়িত করতে শেখ হাসিনা বিরোধীদের গুম করতেন: ফয়জুল হাকিম
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা দীর্ঘায়িত করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম করে দিতেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এদিন দলের সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং টিমের সদস্য ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমার সঙ্গে ঢাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। 

ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের গুমের মৃত্যু গুহা আয়নাঘর থেকে ৫ বছর ৩ মাস বন্দি থেকে ফিরে এসেছেন মাইকেল চাকমা। শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিস্ট শাসন দীর্ঘায়িত করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম করে, বিচার-বহির্ভূত হত্যা করে সারা দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম রেখেছিলেন।’

২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল মাইকেল চাকমাকে ঢাকা থেকে রাষ্ট্রীয় সংস্থা তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ৫ বছর বন্দি থাকার পরে তিনি গত ৫ আগস্ট মুক্তি পান। মাইকেল চাকমা বলেন, ‘হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার উচ্ছেদের ফলেই গুমের মৃত্যু গুহা থেকে জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।’ 

অনুষ্ঠানে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকার, সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা মাইকেল চাকমাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানান। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের জাতীয় পরিষদ সদস্য হাসিবুর রহমান, মুঈনুদ্দীন আহমেদ, জাতীয় গণফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস ও কামরুজ্জামান ফিরোজ, বাংলাদেশ লেখক শিবির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ঢাকা অঞ্চল সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সমন্বয়ক ইফতেখার আহমেদ বাবু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়সহ আরও অনেকে।

জয়ন্ত/এমএ/ 

বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সমন্বয়হীনতা দূর করার আহ্বান এবি পার্টির

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সমন্বয়হীনতা দূর করার আহ্বান এবি পার্টির
ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় বানভাসি মানুষের উদ্ধার এবং ত্রাণ সহায়তায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সরকারের সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগর পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ আহ্বান জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। 

ভয়াবহ বন্যায় দূর্গত মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এবি পার্টি একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল গঠন করেছে। সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও কেন্দ্রীয় নেতা লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আকস্মিক এই বন্যায় সারাদেশের মানুষ দূর্গত মানবতার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লাইন ধরে মানুষ সহোযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছে। বহু মানুষ নিজেরা সেখানে সহায়তা নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, স্বেচ্ছাসেবী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক সমন্বয়হীনতা রয়েছে।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে দূর্গত এলাকায় না গিয়ে সেনাবাহিনী অথবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করলে সঠিক জায়গায় এাণ সহায়তা পৌঁছাতে সক্ষম হবো। 

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আকস্মিক এই বন্যার কারণ আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। মাস দুয়েক আগেই একনেকের বৈঠকে আগস্টের বন্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই হিসেবে রাষ্ট্রের কোন না কোন অংশ এটা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা আগাম কোন সতর্কতা পাইনি। এটা নিয়ে সরকারকে বিশেষভাবে অনুসন্ধান করার আহ্বান জানান। 

বন্যায় ভারতের ভুমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নদীসমুহে বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার, নদীগুলোর ইন্টার কানেক্টিভিটির মাধ্যমে পানির প্রবাহ ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা, এমনকি বাঁধের পানি ছাড়ার আগে কোন ধরনের অবহিত না করা পুরোটাই অপরাধ। সরকারকে আন্তর্জাতিক বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সব সংস্থায় অভিযোগ করার আহ্বান জানান। 

লে. কর্ণেল হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দূর্গত এলাকায় এখন প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক অবস্থান করছেন। যারা ত্রাণ সহায়তা করতে চান তারা সমন্বয় করে দিলে আমরা শৃঙ্খলার সঙ্গে বিতরণ করতে পারব। বর্তমানের চাহিদা ও দূর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বিক সহায়তা করবে এবি পার্টি। 

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, মহানগরী উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন, শাহিনুর আক্তার শীলা, আব্দুর রব জামিল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

গণফোরাম জনগণের বিজয় সুসংহত রাখতে সচেষ্ট থাকবে: মোহসীন মন্টু

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
গণফোরাম জনগণের বিজয় সুসংহত রাখতে সচেষ্ট থাকবে: মোহসীন মন্টু
ছবি: সংগৃহীত

জনগণের বিজয় সুসংহত রাখতে ঐক্যবদ্ধ নেতাকর্মীরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণের যে শক্তির উত্থান ঘটছে। বর্তমান বাংলাদেশ জনগণের। ছাত্র-জনতা মিলে যে বিজয় অর্জন করেছে তা ধরে রাখার দায়িত্ব সবার। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন দম্ভ করা সব জনবিচ্ছিন্ন সরকারের জন্য শিক্ষা। দীর্ঘ নিপীড়ণ নির্যাতন থেকে এদেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গণফোরাম সভাপতির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, যুগে যুগে ছাত্র যুব সমাজ অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে। ৫২, ৬৯, ৭১ ও ৯০ এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিপ্লবী ছাত্র জনতা মানুষ মারা শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের জনগণ কখনও বৈষম্যের সঙ্গে আপোষ করেনি, তাই কেউ বৈষম্য সৃষ্টি করতে চাইলে পতন অনিবার্য। শত প্রাণের বিনিময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তুলতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, ইতিহাসে ৩৬ দিনের জুলাই বিপ্লব অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নতুন অধ্যায় নতুন ইতিহাস বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে, বিশ্ববাসী দেখেছে।। ছাত্র জনতার রক্তস্নাত বিজয়ে খুনি হাসিনার বিদায়ের মাধ্যমে যে নতুন সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছে শক্তিশালী জাতি গঠনের সে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে গণফোরাম।

বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনায় গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। অবিলম্বে এই কমিটি বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করবে এবং সহায়তা করবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি মহিউদ্দীন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাফিজ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, আলীনূর খান বাবুল, আলহাজ্ব মির্জা হাসান, অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. রায়হান উদ্দিন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

বন্যার্তদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করল যুবদল

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
বন্যার্তদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করল যুবদল
বন্যা দুর্গতদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন যুবদলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দুর্গতদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিএনপির এ অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘এই বন্যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উদ্ভুত কোনো কারণে নয় বরং এর জন্য ভারত দায়ী। বাংলাদেশের বন্যা কবলিত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও সেটি পূর্বাঞ্চলের বন্যার মূল কারণ নয়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা। হঠাৎ করে তারা বাঁধ খুলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভারত একটি বারের জন্যও বাংলাদেশকে আগাম কোনো সতর্কতা দেইনি।’ 

এ ছাড়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসীমউদ্দীন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিউর রহমান রাজিব, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সালুর রহমান পাভেল, সদস্য সচিব রোমান হাসান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/পপি/

ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পাশে জেডআরএফ

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পাশে জেডআরএফ
নিহতের পরিবারকে আর্থিক অনুদান তুলে দিচ্ছেন জেডআরএফ এর নেতাকর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও  তাদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শহিদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মো. সোহরাব হোসেন সুজন। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলামসহ জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ও সোনামুখী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

নেতারা শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তারেক রহমানের সহমর্মিতা ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবার জন্য দোয়া কামনা করেন তারা। 

এ সময় যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আক্কেলপুর উপজেলাধীন সোনামূখী ইউনিয়নের রামশালা গ্রামের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম ও তিলকপুর ইউনিয়নের শিয়ালাপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থী রেজওয়ান শরীফ রিয়াদ শহিদ হন।

শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/