![খাতুনগঞ্জে আমদানি কম, চাপ দেশি পেঁয়াজে](uploads/2024/06/11/Onion-1718090513.gif)
ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসায় ও ভারত থেকে আমদানি কমার অজুহাতে চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে দফায় দফায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে ১৫ থেকে ১৮ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজে দাম বেড়েছে আকারভেদে ১৩ থেকে ১৫ টাকা। ফলে দেশীয় পেঁয়াজে বেশি চাপ থাকবে বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি কম থাকায় খাতুনগঞ্জে ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাপ বাড়বে দেশি পেঁয়াজে। তবে বর্তমানে দেশি ও ভারতীয় দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনা কয়েক দিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে।
গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে তিন দফা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত ১৬ মে খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। গত ৩০ মে দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় আকারভেদে ৬৫ থেকে ৭২ টাকায়। বাজারটিতে বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে ৭০ থেকে ৭৮ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি পুরোদমে চালু হয়নি। প্রতিবেশী দেশটি থেকে পেঁয়াজ না এলেও আমাদের দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করা যাবে। দেশি পেঁয়াজের সরবরাও বেশ ভালো রয়েছে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ যা আসছে, সেগুলো চাহিদার তুলনায় কম। তাই সব ধরনের পেঁয়াজের দামটা বাড়তি। আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।’
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, ভারত এখনো পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক বহাল রেখেছে। তাই দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে অনেকে সাতক্ষীরা, ভোমরাসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। তবে এটা দেশের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। ভারতে মাত্র নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটি শুল্কের বিষয়ে হয়তো নতুন সিদ্ধান্ত জানাবে। তখন পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে।
এদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো উৎসবের সময় ঘনিয়ে এলে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধু পেঁয়াজ নয়, ঈদুল আজহা ঘিরে সব ধরনের মসলার দাম বাড়ানো হয়েছে। তাই প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত হবে বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’