ঢাকা ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪

শাবিপ্রবির হলে ‘ছাত্রলীগের কক্ষে’ আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিদেশি মদ

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম
আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২২ পিএম
শাবিপ্রবির হলে ‘ছাত্রলীগের কক্ষে’ আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিদেশি মদ
ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) হলে তল্লাশি চালিয়ে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র, বিদেশি মদ ও গাঁজা উদ্ধার করেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বেলা ৩টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দিলেও তা না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আন্দোলনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলগুলোতে তল্লাশি শুরু করেছেন তারা। বিশেষ করে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলোতে তল্লাশি করেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অভিযানে অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়। 

সরজমিনে দেখা যায়, বিকেল ৪টা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলগুলোতে তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশি অভিযানের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডিসহ শিক্ষকরা সঙ্গে ছিলেন। এ সময় শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের রুমেও তল্লাশি চালানো হয়। সাধারণ সম্পাদকের রুম থেকে মদ ও গাঁজা জব্দ করা হয় এবং শাহপরান হলের সি ব্লকের ৪২৩ নম্বর রুমের আলমারি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। পাশাপাশি বেশিরভাগ রুম থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মদ-গাঁজা জব্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে সিন্ডিকেট সভা করে বেলা তিনটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেয় শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। এই নির্দেশনার পরপরই কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বেলা ৩টার মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতি দেন। 

এর আগে বেলা ২টায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবারের সংঘাতে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে শাবিপ্রবির ফটকের সামনে গায়েবানা জানাজা পড়েন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরপর মিছিলের মাধ্যমে গোল চত্বরে এসে মিলিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। বিক্ষোভ সমাবেশ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতা দেখে ভয় পেয়ে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। আমরা ক্যাম্পাসে থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে গেছেন। বাকিদের বুঝিয়ে হল ছাড়তে বলা হচ্ছে।’

আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘আমরা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’

এদিকে শাবিপ্রবির হল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিক কিছু জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানালে আমরা ক্যাম্পাসে গিয়ে এসব উদ্ধার করব।’

এক সপ্তাহের মধ্যে একাডেমিক অচলায়তন কাটার আশা ঢাবি উপাচার্যের

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
এক সপ্তাহের মধ্যে একাডেমিক অচলায়তন কাটার আশা ঢাবি উপাচার্যের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। ছবি: খবরের কাগজ

গত ৬ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) খুললেও শুরু হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই অচলায়তন কাটবে। পূর্ণ মাত্রায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালুর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। 

বুধবার (২৮ আগস্ট) উপাচার্য কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। 

উপাচার্য বলেন, ‘আমার টিম এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা ক্রমাগত অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। সবার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে চালু করার চেষ্টা করছি। আবাসিক হল থেকে শুরু করে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’

এর আগে গত মঙ্গলবার দেশের রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ১১(২) ধারা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

কুবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
কুবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ
ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে আমাকে সচিবালয় থেকে একটি মেইল পাঠানো হয়েছে। আমি পদত্যাগপত্রটি পেয়েছি।’

পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে আজ ২৮ আগস্ট অপরাহ্নে পদত্যাগ করলাম। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আপনাকে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।’

উপ-উপাচার্যের দপ্তরসূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। সব মিলিয়ে তিনি ১৪ কর্মদিবস তার দপ্তরে অনুপস্থিত থেকে আজ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

আতিকুর রহমান/সালমান/ 

কুবিতে দায়িত্বে থাকা ২২ আনসারকে বহিষ্কারের সুপারিশ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
কুবিতে দায়িত্বে থাকা ২২ আনসারকে বহিষ্কারের সুপারিশ

ক্যাম্প ত্যাগ করে ঢাকায় সমাবেশ ও সচিবালয় ঘেরাও করার অভিযোগে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুমিল্লা রেঞ্জের মোট ৯৬ জন সদস্যকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন  আনসার সদস্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রেঞ্জের কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা আমাদের কাছে তাদের দাবি জানিয়েছিলেন। আমরা সেই সব দাবি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তার পরও অনেকে অতি উৎসাহী হয়ে ঢাকায় সচিবালয় ঘেরাও করেছেন। তাদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লা রেঞ্জ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৯৬ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত ২২ জন আনসারও রয়েছেন।’

এ ব্যাপারে কুবির এপিসি আবদুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুবিতে কর্মরত মোট ৪৯ জন আনসার সদস্যের মধ্যে ২২ জন সদস্য কোনো কারণ ছাড়াই কর্মস্থলের বাইরে ছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

রাজনীতিতে আগ্রহ নেই, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই: ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৫ এএম
রাজনীতিতে আগ্রহ নেই, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই: ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্রজীবন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দলীয় রাজনীতিতে অংশ নেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সেই সঙ্গে রাজনীতিতে নিয়ে আগ্রহও নেই তার। ঢাবিকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করে যেতে চান তিনি। এমনকি এই চেষ্টার পরও তেমন কিছু করতে না পারলে বিদায় নেবেন বলে জানিয়েছেন ঢাবি নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) উপাচার্য কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ঢাবির এই উপাচার্য বলেন, ‘আমার ছাত্রজীবন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দলীয় রাজনীতিতে অংশ নিইনি। তার মানে এই না যে, রাজনীতিবিদদের হেয় করছি, তাদের আমি সম্মান করি কিন্তু দলকেন্দ্রিক রাজনীতিতে আমার আগ্রহ শূন্য। কোনো দলীয় কর্মকাণ্ডে আমার সম্পৃক্ততা নাই। এখন আমার সম্পর্কে যে কেউ, যেকোনো ধরনের কথা বলার স্বাধীনতা সবার রয়েছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি লুকোচুরি করব না, চেষ্টা করতে থাকব। ভুলত্রুটি থাকবে, ভুল হলে আমি তা স্বীকার করব এবং চেষ্টা করতে থাকব। যখন আমার মনে হবে, চেষ্টা করার পরেও তেমন কিছু করতে পারছি না, আমি বিদায় হব। বিরাট কোনো লম্বা-চওড়া পরিকল্পনা করে এখানে আমি আসিনি।’

ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমি আন্তরিকতার সঙ্গে বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যতটুকু নিয়াজ আহমদ খানের বিশ্ববিদ্যালয়, ততখানি ছাত্রদের, আবার ঠিক ততটুকু একজন রিকশাচালকের ও আপামর জনতার বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে আমাদের দায় আছে, কোনো না কোনোভাবে সবাই অ্যাটাস্টড।’

একাডেমিক কার্যক্রম কবে নাগাদ শুরু হচ্ছে এবং বিভাগগুলো পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক নিয়াজ বলেন, ‘জটিলতা অনেক রয়েছে। তবে কনফ্লিক্ট জিইয়ে রাখা তো কঠিন। আমরা জাতি হিসেবে চূড়ান্তভাবে বিভাজিত হয়ে গেছি, দীর্ঘদিনের একই প্রশাসনের কারণে। তাদের একসঙ্গে করার প্রক্রিয়াটি অনেক কঠিন, যতটুকু পারা যায় অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে এনে কাজ করতে পারি। গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ যা হয়েছে, সেগুলো আইনগত প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হবে।’

ঢাবি উপাচার্য জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতে চান তিনি। বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যতটুকু করা যায় ততটুকু করব।’

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি এবং দলীয় রাজনীতির সহাবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক অর্থে বাংলাদেশ। এর ওপর সার্বিকভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর পরিসরে কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্তগুলো হয়। মূল যে আদর্শগত বিষয়, তা কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই রয়েছে। যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সমাজের অন্যতম একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান, সে জন্য খেয়াল রাখতে হবে, সমাজ আমাদের কাছ থেকে কী চাইছে?’

এর আগে গতকাল দেশের রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ১১ (২) ধারা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৩০তম উপাচার্য হিসেবে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

জবিতে চ্যারিটি কনসার্ট বুধবার, গাইবেন ১১ ব্যান্ডদল

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
জবিতে চ্যারিটি কনসার্ট বুধবার, গাইবেন ১১ ব্যান্ডদল

বন্যার্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করা হবে। 

বুধবার (২৮ আগস্ট) এ কনসার্ট আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন জবির ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আল আরাবি।

‘কনসার্ট ফর ফ্লাড ভিকটিম’ শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গনে কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে।

মহিউদ্দিন আল আরাবি বলেন, ‘আমাদের মিউজিসিয়ানদের একটা গ্রুপ আজকে (সোমবার) ফেনীর দিকে গিয়েছে, তাই কনসার্ট একদিন পিছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ 

প্রায় ৮০০ টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

কনসার্টের টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। কেউ এর বেশি দিয়ে ক্রয় করতে চাইলেও করতে পারবেন। 

জানা যায়, কনসার্টে বিনা পারিশ্রমিকে গান গাইবেন শিরোনামহীন, সোনার বাংলা সার্কাস, হাইওয়ে, ওউনড, আপেক্ষিক, চাঁন্দের গাড়ি, অ্যাভার্স অব বাংলাদেশ, আর্ট অব হ্যাভেন, এ কে রাহুল অ্যান্ড ব্লাক জ্যাং, প্রতিবিম্ব, শেফার্ডস ব্যান্ডদলগুলো।

কনসার্ট আয়োজনের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সাল কবির বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দেশটা একটি ভয়াবহ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মানব সৃষ্ট এই দুর্যোগ পরিস্থিতর জন্য আন্তর্জাতিক মহলে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা গায়ক, আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস সংগীত। আমরা এই সংকট মুহুর্তে যদি কিছু করতে পারি সেটাও গানের মাধ্যমে। যত দ্রুত সম্ভব বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্যই আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েসন একটি কনসার্টের আয়োজন করেছি।’

মুজাহিদ/পপি/