![ড. মুহম্মদ ইকবালের ৮৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত](uploads/2024/04/22/1713784602.iqbal.jpg)
কবি ও দার্শনিক ড. মুহম্মদ ইকবালের ৮৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ডক্টর এম শমসের আলী, প্রখ্যাত লেখক ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার, প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান।
সমাপণী বক্তব্য রেখেছেন প্রফেসর ড. মো. মাহমুদুল হাসান।
আলোচনা সভার সঞ্চালনায় ছিলেন ইকবাল গবেষক আবদুল কাদের জিলানি।
ইকবাল সম্পর্কে ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘ইকবাল আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন। তার আগে দীর্ঘ দিন ধরে স্থবিরতা চলছিল। ইকবালের খুলে দেওয়া চোখকে একশো বছর ধরে আমরা অনেক বিস্তৃত করেছি।’
প্রফেসর ড. শমশের আলি বলেন, ‘মূলত জার্মানিতে থাকা অবস্থাতেই ইকবালের মধ্যে রিকনস্ট্রাকশন লেখার তাড়না এসেছিল।’
দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘ইকবালের দাবি ছিল, আমাদেরকে জাতি প্রশ্নটাকে ভাবতে হবে উপলব্ধির দিক থেকে। উম্মাহ ধারণায় ভূখণ্ডকেন্দ্রিক বিভাজন চলবে না। তাঁর উত্থাপিত এই জিজ্ঞাসা দর্শনে এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে, যাকে আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।’
ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মাত্র দুই বছর ১০ মাসের মধ্যে ইকবাল ক্যামব্রিজ থেকে ডিগ্রি নেন। লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি করেন, মিউনিখ থেকে পিএইচডি করেন এবং ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে আরবি পড়ান। আর এ সবই করেছেন মাত্র দুই বছর ১০ মাসের মধ্যে। এ থেকেই বুঝা যায় তার সক্ষমতা।’
ড. মুহম্মদ ইকবাল কেবল উপমহাদেশে নয়, সারা বিশ্বে স্বতন্ত্র জীবন দর্শনের জন্য পরিচিত। তার কবিতা, দর্শন-উপলব্ধি, চিন্তা-চেতনা, বক্তৃতা ও লেখনীর মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ, সংষ্কৃতি ও রাজনীতির বিষয়গুলো মূর্ত হয়েছে।
এই দার্শনিক ১৯৩৮ সালের ২১ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
তার বইগুলো হলো- আসরারে খুদি, রুমুয-এ বেখুদি, রিকনস্ট্রাকশন অব রিলিজিয়াস থট ইন ইসলাম, পায়ামে মাশরিক, ডেভেলপমেন্ট অব মেটাফিজিকস্ ইন পারসিয়া প্রভৃতি।
বিজ্ঞপ্তি/পপি/